নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
২০০৭ সালে মে বি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ-এর একবার ক খুলে পড়ে গেছে হয়ে গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লেজ! সবাই অনেক হাসাহাসি করতাম!
.
ক্যান্ট পাবলিক কলেজের এক সদ্য পরিচয় হওয়া বন্ধু একবার আমাকে ইয়ার্কি করে বলেছিলো তোমাদের তো লেজ নেই! আমি বলেছি লেজ আছে কিন্তু ক নেই! সে বললো আমি বলতে চেয়েছিলাম, তোমাদের নলেজ নেই!
.
ক্যান্ট পাবলিক কলেজে এক সময় নাকি এ+ ও চান্স পেতো না! যাক গে সে কথা! রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন নলেজ দুই প্রকার! এক) পাঠ্য বইয়ের নলেজ দুই) অপাঠ্য বইয়ের নলেজ! অপাঠ্য বইয়েরটা নলেজ আর পাঠ্য বইয়েরটা লেজ! এমন!
.
কলেজের ক খসে গেলে যেমন লেজ হয় তেমনি বিজ্ঞানী ডারউইনের মতে বানরের লেজ খসে কালের বিবর্তনে নাকি আমার মানুষ হয়েছি!
.
পৃথিবীতে শত শত হাজার হাজার লক্ষ কোটি নলেজ বইয়ে পড়ে থাকে! বইয়ের পাতা নষ্ট হয়ে যায়! উলি পোকা খায়! যতদিন না তা আহরণ করে কেউ না কেউ আলোকিতো হয়!
.
আপনি যদি মাটির প্রদীপের মতো নিজে আলোকিত হোন তাহলে একদিন আপনি জ্বলতে জ্বলতে নিজে নিবে যাবেন!
.
কিন্তু আপনি যদি নিজেকে জ্বালিয়ে অন্যকে প্রজ্বালিতো করতে সহায়তা করেন তাহলে একদিন আপনি পৃথিবীর বুকে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবেন!
.
কনফুসিয়াস এমন একটি ব্যক্তি যে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৭৯ (মতান্তরে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৭৮) অব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করলেও তার প্রভাব চীন এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি! কারণ সে জ্বলার থেকে বেশী অন্যদের প্রজ্বালিতো করেছে!
.
সক্রেটিসের প্রভাব পুরো বিশ্বকে জ্বালাচ্ছে কারণ সে রাস্তায় মানুষ ধরে ধরে পাগলের মতো প্রশ্ন করে আবার নিজেই সমাধান দিয়ে দিতো! নলেজ ইজ পাওয়ার জনপ্রিয় উক্তিটির করে গিয়েছিলে সেই কবে!
.
প্লেটো, এরিস্টটোটল..... আজো ঠিকে আছেন!
.
জ্ঞানের দরজা হয়ে টিকে আছে হযরত আলী (রাঃ)
.
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব আমাদের প্রিয় নবী বলেছিলেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য দরকার হলে চীন দেশে যাও!
.
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার যাকে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, আপনি আমার উপদেষ্টা হন! তিনি বলেছিলেন আমি শিক্ষক তাই আমি ব্রাহ্মণ। আপনি সৈনিক। আপনি ক্ষত্রিয়। ব্রাহ্মণ তো কখনো ক্ষত্রিয়ের অধীনে থাকতে পারে না।
.
নলেজের উপরে কিছু নেই!
.
ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বলা হতো জ্ঞানের সাগর! তো তার বন্ধুরা খুব জেলাস ছিলো! একদিন তারা ঠিক করলো তাকে বোকা বানাবে! যেই ভাবা সেই কাজ!
.
একদিন তারা সবাই পকেটে করে লুকিয়ে ডিম আনলো! একে একে সবাই পানিতে ডুব দিলো! এবং একটি করে ডিম নিয়ে আসলো সাথে করে! আর বিদ্যাসাগরকে বলতে থাকলো, নলেজ ইজ পাওয়ার! তা দিয়ে ডিমও পাড়া যায়!
.
সবাই তোমাকে জ্ঞানী বলে তাহলে ডুব দিয়ে একটা ডিম পেড়ে এনে দেখাও দেখি! তো ভাবলেশহীনভাবে সে ও ডুব দিলো! কিন্তু খালি হাতে ফেরত আসলো! সবাই হাসাহাসি করে বলছে, ডিম আনতে পারছো? সে বললো, আমি তো মোরগ তাই ডিম পাড়তে পারি না আর তোমরা তো মুরগী!
.
কোন জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সবার আগে তাদের বই এবং জ্ঞানের মাধ্যম ধ্বংস করে দিতে হয়!
.
তাই পাকিস্তানীরা বাঙ্গালী জাতি যেনো মাথা উঠাতে না পারে সেই জন্য বিজয়ের আগে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড করেছিলো!
.
কে যেনো বলেছিলেন, আনন্দের মাধ্যমে যে শিক্ষা লাভ হয় সেটাকে নলেজ বলে!
.
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শিক্ষা গল্পে গল্পে শিক্ষা আর জীবন থেকে শিক্ষা! জীবন থেকে নেওয়া!
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৮
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: হেহে ভাই আপনি ব্লগে থাকে ব্লগে ঘুমান!
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঘুম, সেটা কি প্রকার পদার্থ? কোন সিম্বল মিম্বল?
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: "তাই পাকিস্তানীরা বাঙ্গালী জাতি যেনো মাথা উঠাতে না পারে সেই জন্য বিজয়ের আগে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড করেছিলো!"
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের কারণ এতো সরল বোধহয় ছিল না। খেয়াল করিয়া দেখিবেন হত্যাকাণ্ডের শিকার বুদ্ধিজীবীদের অধিকাংশই কমুনিস্ট ঘরানার ছিলেন। পশ্চিমা ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা বহাল তবিয়তেই ছিলেন। কেহ কেহ জামাই আদরেও ছিলেন ! দুয়েকজনতো মুরগিও নাকি সাপ্লাই দিতেন ! যাহা হউক , জাতির দুর্ভাগ্য, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা পরাশক্তির নোংরা রাজনীতির শিকার হইয়াছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা তাহাদেরই হাতে আঁকা বলিয়া বিশ্বাস। পাক কসাই ও তাহাদের দোসররা তাহা বাস্তবায়ন করিয়াছেন।
এবিষয়ে চাঁদগাজী কাকুর পোস্ট আশা করছি।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
রুরু বলেছেন: সব মিলিয়ে ভালো লাগলো
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
চট্টগ্রাম কলেজ, অনেক সুন্দর কলেজ