নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আযান যার জান!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৮

আমার নানার বাড়ি সন্দ্বীপের বাউরিয়া বধু মালাদারের বাড়ি ৷ আমার নানা সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলেন!
.
সবাই হামিদ মাষ্টার হিসেবে চিনে! নানার একটি সাইকেল ছিলো! সে সাইকেলটি নানা ছাত্র জীবনে কিনেছিলেন! তারপর নানা বিয়ে করলেন চাকরি হলো! দীর্ঘ চাকরি জীবন শেষে অবসর নিলেন! কিন্তু সাইকেলটির আর অবসর হলো না!
.
চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পরও নানা সাইকেলটি চালাতেন!
.
আমি নানার সাইকেল নিয়ে অনেকবার গল্প লিখতে চেয়েছি! কিন্তু একটি সাইকেল কিভাবে একটা মানুষের জীবনের সাথে এভাবে জড়িয়ে যেতে পারে তা ভেবে ভেবে আর লেখা হয়নি!
.
ফনিক্স সাইকেল নামের এমন অনেক গল্প আছে অনেক মানুষের জীবনে!
.
এক সময় বিয়েতে সাইকেল যৌতুক দিতো! বউ এবং সাইকেল মিলে গড়ে উঠতো একটি ছোট্ট সংসার!
.
এক সময় ঘড়িও যৌতুক দিতো! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শোভাকলোণী মসজিদের একজন মোয়াজ্জিন ছিলো! চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তার কাজ ছিলো একটি ঘড়ির টাইম ফলো করে ঠিক টাইমে আযান দেওয়া! প্রফেশনাল মোয়াজ্জিন না!
.
দাদা ডাকতাম! মারা গেছে অনেক দিন হলো!
.
কেউ যদি ভুলে দাদার আগে এসে আযান দিয়ে দিতো তাহলে তিনি খুব মন খারাপ করতেন! অনেকে ওনাকে রাগানোর জন্য ঠিক টাইমের একটু আগে এসে আযান দিয়ে দিতো!
.
সে কি রাগ!
.
উনি যখন প্রথম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভাকলোণীতে এসেছিলেন তখন আমাদের কলোণীটা জঙ্গল ছিলো! লোক মুখে প্রচলিত উনি এই কলোণীর প্রথম বাসিন্দা!
.
যে ঘড়িটা দেখে উনি আযান দিতেন ওটা ব্রিটিশ আমলের ঘড়ি! তারপর পাকিস্তান আমল গেলো! বাংলাদেশ স্বাধীন হলো! দুই হাজার শতক এলো! কিন্তু সেই ঘড়িটা তার হাতে রয়েই গেলো!
.
একদিন দেখা যেতো উনি আযান দেওয়ার জন্য গরু বাসায় রেখে দৌড়ে আসতেছেন এমন সময় চাঁনমিয়া কাকা আযান দিয়ে দিচ্ছে তারপর রাগ করে ঘোষণা দিলো আর আযান দিবে না তারপর চ্যালেঞ্জ করে আমাকে তার মনের দুঃখ বুঝিয়ে বলতে লাগলো টাইম হওয়ার আগেই আযান দিয়ে দিছে চাঁনমিয়া!
.
পৃথিবীতে মানুষের অনেক শখ থাকে কিন্তু টাইম মতো আযান দেওয়ার শখ বিনা পারিশ্রমিকে আর কারো ছিলো কি না আমি জানিনা!
.
এই উচিলায় হলেও আল্লাহ দাদাকে বেহস্ত নসীব করুক! আমীন!
.
এভাবে বছরের পর বছর টাইম মতো আযান দিতেন তিনি শেষ যেদিন আযান দিতে পারেননি সেদিন তার জানাজার নামায হয়েছে!
.
তার নামটি আমি ভুলে গিয়েছিলাম! তার নাতী রাসেল মজুমদার থেকে ফোন করে নামটি আপনাদের জানালাম! তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিরন্তন প্রহরী শামসুল হক খান!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৮

ওমেরা বলেছেন: আল্লাহ উনাকে বেহেস্ত নসীব করুন । আমীন

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৩

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আমীন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.