নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিংক শেয়ারের নামে নোংরামি!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সাবিলা নূরের নামে যে ভিডিও লিংক বের হয়েছে তা আপনি কতোটা শিওর যে এটা সাবিলা নূর!
.
ধরলাম এটা সাবিলা নূর! যদিও আমি শিওর এটা সাবিলা না! ধরেন সাবিলা নূর আপনার বোন! আপনার বোন এমন একটি কাজ করেছে তাহলে কি আপনি এভাবে লিংক শেয়ার করবেন?
.
কিছুদিন আগে দেখলাম এক বিবাহিত দম্পতির ভিডিও ভাইরাল! যে কোন ভাবে লিক হয়ে গেছে ভিডিওটি! তারা নিজেরা মজা করে করেছে! আপনারা সেটা পুরো দুনিয়া করে দিলেন!
.
ধরেন আমি বিয়ে করেছি! তারপর আপনাদের ভাবীর সাথে একটি লুল ভিডিও করেছি! আমার মোবাইলটি চুরি হয়ে গেলো! কেউ ভিডিওটি পেয়ে নেটে ছেড়ে দিলো! তারপর আবদুর রব শরীফের স্কান্ডাল ভাইরাল!
.
যেটা আজ সাবিলা নূরের সাথে ঘটেছে সেটা আগামীকাল আমার সাথে ও ঘটতে পারে অথবা আপনার সাথেও!
.
একটি অন্তরঙ্গ ভিডিও আপনারও থাকতে পারে সেটি স্পাম বা ম্যালওয়ারের মাধ্যমেও লিক হয়ে যেতে পারে! হতেই পারে!
.
আমার বোন নেই কিন্তু আপনার তো বোন আছে! এমন একটি ভিডিও তারও থাকতে পারে! মানুষ ফেরেশতা না!
.
আজ সাবিলা নূরের যে ভিডিওটা দেখে আপনি ছিঃছিঃ করছেন সেটা হয়তো মধ্য রাতে আপনার বিনোদনের উৎস হবে! দেখবেন আর ভাববেন! ইশ! আমি যদি সাবিলা নূরের সাথের ছেলেটি হতাম!
.
খেলা জমতো! একবার ভেবে দেখেন আমি আপনি কতটা বাস্টার্ড হলে এমন বিষয়গুলো নিয়ে লালায়িত হয়!
.
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্ধুর মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিতে আত্মহত্যা করেছিলেন পল্লবীতে বসবাসরত ২৫ বছর বয়সী সোনিয়া!
.
২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের উত্তর প্রদেশে এক মাঝবয়সী নারীকে গণধর্ষণ করে সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পর ওই নারী অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছিলেন!
.
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে অশ্লীল ভিডিও প্রর্দশনের কারণে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন সিলেটের মধুবন ব্রেড ফ্যাক্টরির নারী শ্রমিক জাহানারা!
.
২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর হুমকির কারণে এক ছাত্রী লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো!
.
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে প্রকাশের হুমকি দেয়ায় সুমী আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছিলো!
.
আমার বাড়ি সন্দ্বীপ গিয়েছিলাম ২০১৩ অথবা ১৪ সালে তখন অনেকের মোবাইলে দেখলাম কোন এক বকাটের এডিট করা একটি মেয়ের ছবি তাতে লেখা মেয়েটির বিয়ে হচ্ছেনা! তাতে মেয়েটি লজ্জায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো!
.
এমন একটি স্কান্ডাল ভাইরাল হয়েছিলো আমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের এক আপুকে কেন্দ্র করে! তখন আমি মে বি অর্থনীতি ফাস্ট ইয়ারে ছিলাম! আমরা দল বেঁধে চিড়িয়াখানার চিড়িয়া দেখার মতো করে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম!
.
পরে শুনেছি আপুটি পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে লজ্জায়!
.
এমন হাজারো ঘটনা আছে! প্রতিদিন কত খবর আসে পত্রিকার পাতা ভরে! জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে!
.
আপনার সামান্য একটু বিনোদন এবং লিংক শেয়ারের কারণে আরেকজনের জীবন বিপন্ন!
.
হোক না সে খারাপ মানুষ! সৃষ্টিকর্তাও তো খারাপ মানুষদের রিজিক দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন অসীম দয়ায়!
.
সবচেয়ে বড় কথা মানুষ মাত্রই ভুল! আপনি আমি কি সাধু না অসাধু তা আমরাই ভালো জানি!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০২

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমি সাধু এতে সন্দেহ নাই। আমি সাধু তার লিংকও আছে!!!!!!!!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৯

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: হাহা

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এভাবে নাম ধরে ব্লগে লেখা উচিত হয় নি। এক্ষেত্রে কিছু পারভার্ট আপনার এই পোষ্টকে বিজ্ঞাপন মনে করে নব উদ্যমে খোঁজ: দ্যা সোর্স শুরু করবে। তাই আমার মনে হয় এ ধরণের লেখার আগে আরো সতর্ক হওয়া দরকার। তা নাহলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে লেখাটা লিখেছেন তা হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ভালো থাকুন। আর পারভার্টরা নিপাত যাক।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২২

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: হাহাহা আসলেই তো!

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: বেডরূমের মত সেন্সিটিভ জায়গায় যারা ভিডিও করার চিন্তা করতে পারে, সেইসব মজাবাজ পারভারট দের উপযুক্ত শিক্ষা হওয়াটাই উচিত। আমি একটা ভিডিওতে দেখেছিলাম সালমান নামের একটা ছেলে প্রেগন্যান্ট একটা মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে নিজের মায়ের সঙ্গে প্রাংক খেলার জন্য।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৩

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: !!!! বিস্ময়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.