নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে মেট্রিক ফেইল ই যোগ্যতা!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

থ্রী ইডিয়টস মুভির শেষে আমির খানকে একটি স্কুলের শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিলো সেই স্কুলটি বাস্তবে চীন এবং ভারতের মধ্যকার একটি জায়গা লাদাখে অবস্থিত!
.
সেই স্কুলে ঢুকতে হলে আপনাকে অবশ্যই মেট্রিক পরীক্ষায় ফেইল করতে হবে!
.
ওই স্কুলে যা কিছু শিখানো হয় সবি বাস্তবতার আলোকে! সোজা কথা আপনি ব্যর্থ হতে হতে শিখবেন!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অংকে ফেইল করেছিলাম সেদিন আমার বাবা ই প্রথম আমাকে বলেছিলো তোমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না!
.
ইংরেজি ফেইল করার পর তো আমার শ্রদ্ধেয় স্যার গ্যারান্টি দিয়ে বলেছিলেন, আবদুর রব শরীফ পড়ালেখা তোমার জন্য আসেনি! যাও গরুর ঘাস কাটো!
.
সমাজে ফেইল করেছিলাম একবার সেদিন আপন বন্ধু ই বলেছিলো, দোস্ত কেউ সমাজেও ফেইল করে! এটাও সম্ভব!
.
পান থেকে চুন খসলেই ছোট বেলা থেকে সবাইকে বলতে শুনেছি তোমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না! কিচ্ছু হবে না!
.
আর সেই জন্য বোধহয় লেখক আনিসুল হক বলেছিলেন, 'তরুণ পাঠকেরা , যদি পার , থ্রি ইডিয়টস ছবিটা দেখে নিও!'
.
ভারতের রাজস্থানের শিবচরণ যাদব ৪৬বার মেট্রিক পরীক্ষায় ফেল করার পরও হাল ছাড়েননি। স্কুলের গণ্ডি পার হতে ২০১৬ সালে ৪৭তম বারের মতো মেট্রিকে বসেছিলেন ৭৭ বছর বয়সী এই ছাত্র ! কিন্তু সেটাই আজ ইতিহাস!
.
১১ই মে ২০১৬ সালে মেট্রিক পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার পর ১১ জন ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছে!
.
এই যখন অবস্থা আমি শিক্ষামন্ত্রী হলে থ্রী ইডিয়টস মুভি টা পাঠ্য করে দিতাম!
.
আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৯৫ সালে এবং অর্থনীতি থেকে মাস্টার্স করে বের হয়েছি ২০১৫ তে এর মাঝখানে অনেক ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্টের কারণে অথবা মানসিক চাপে আত্মহত্যা করতে দেখেছি!
.
আমার দেখা একটি ঘটনা বলি,
ক্লাশ থ্রি তে পড়া একটি বাচ্চা সর্বোচ্চ নাম্বার থেকে মাত্র এক নম্বর কম পেয়েছে বলে তার মা তিনদিন করে বিলাপ করে কাঁদতেছিলো! আরো এক মার্কস কম পেলে মনে হয় মা ই আত্মহত্যা করতো!
.
এ কেমন অসুস্থ বেহায় প্রতিযোগিতা! সন্তানদের শাড়ি গয়নার মতো বানিয়ে পাশের ফ্লাটের ভাবীকে বলেন, আপনার মেয়ে তো এক নম্বর কম পেয়েছে! আগেই বলছিলাম ভাবী মাষ্টার পাল্টান! সেই থেকে আমার তিন হাজার টাকা দামের টিউশনিটি হারিয়েছিলাম!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০০

ইফতি সৌরভ বলেছেন: ক্লাশ থ্রি তে পড়া একটি বাচ্চা সর্বোচ্চ নাম্বার থেকে মাত্র এক নম্বর কম পেয়েছে বলে তার মা তিনদিন করে বিলাপ করে কাঁদতেছিলো! - এই বাচ্চার ভবিষ্যত্ সম্পর্কে খুব জানতে ইচ্ছে করে!

আপনার মেয়ে তো এক নম্বর কম পেয়েছে! আগেই বলছিলাম ভাবী মাষ্টার পাল্টান! সেই থেকে আমার তিন হাজার টাকা দামের টিউশনিটি হারিয়েছিলাম! - কষ্টটা এইবার বুঝলাম।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৩

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: হাহা ধন্যবাদ

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩০

সুমন কর বলেছেন: মজা করে হলেও কিছু ভালো বলেছেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৭

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রেখে গেলুম

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সেটাই ভাই, কেউই এখন প্রকৃত যে শিক্ষা তা অর্জনে পড়ালেখা করে না, সব অভিভাবক শুধু মার্কস চায়, কিহবে জাতির।
যা হোক আমার চিন্তা শেষ যে কয়দিন পৃথিবীতে আছি দেখে যাই ভালো লাগে না আর বলতে,
আমাদের এখন সব কিছু তেই ব্যর্থতা, তাই সব কিছুর প্রতি আশা ছেড়ে দিছি। হোক আর না হোক আমার কি, আমি এখনো বিয়ে করিনি আর করবো কিনা দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছি, আমার সন্তানেরা কি শিখবে?! যেখানে মার্কস আর রেপিউটেড প্রতিষ্ঠান ছাড়া কারও মেধা মূল্যায়ন করা হয় না সেখানে আমি কি করতে পারি।
বৈশ্বিক অবস্থাও ভালো না! যেকোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে তাই আমি বেশ কিছুদিন যাবত এক বেলা কম খাই!
এই কম খাওয়া নিয়ে একটা লেখা ছিলো খুঁজে পেলে পোস্ট করবো ভাবছি! কম খাওয়ার বেপারে সিদ্ধান্ত আমার একান্ত।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আমার এখনো মনে আছে আমি কমার্স নেওয়ার পরও এইম ইন লাইফ ডাক্তার লিখেছিলাম ইংরেজী পরীক্ষায়!

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৪

মানবী বলেছেন: আপনি তিন হাজার টাকার টিউশনি হারিয়েছেন যা হয়তো কয়দিনের মাঝেই অন্য কোথাও পেয়ে গেছেন তবে এমন মায়ের কারনে বাচ্চাটা যা হারাচ্ছে, তার ক্ষতিপূরণ নেই।
সন্তানকে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টায় সচেষ্ট না হয়ে লোক দেখানো খেলো প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেয়া এধরনের অসুস্থ মানসিকতার অভিভাবকের সংখ্যা খুব কম নয়।

আর থ্রী ইডিয়টস সিনেমার ফুংসুখ ওয়াংডু চরিত্রটি বাস্তব জীবন থেকে নেয়া হয়েছে। এই ভদ্রলোক এতোটাই প্রচার আর বাহাবা পাবার প্রতি প্রতি উদাসীন যে তাঁকে না জানিয়ে তাঁর জীবন নিয়ে এমন সিনেমা করা হয়েছে জানার পরও কৃতীত্বের দাবী নিয়ে ছুটে যাননি। "এসবের পিছনের সময় নষ্ট না করে, সেসময়টা আমি আমার স্কুলের বাচ্চাদের কিছু শেখানোর কাজে ব্যবহার করবো" - এমনটাই ছিলো তাঁর বক্তব্য।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আব্দুর রব শরীফ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২১

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: অসাধারণ একটা কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ!

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৩২

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: ভাই আমাদের লেখাপড়াটা এমন হয়ে গেছে যে, কেউ যদি প্রশ্ন করে তুমার বাবার নাম কি, ছাত্র বলে ৪টা অপশন বলেন।
এই হলো আমাদের লেখা পড়ার অবস্থা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২১

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: হাহাহাহা

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি বিষয়ে অল্প কথায় অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। আজকাল মা-বাবাদের কাছে তাদের সন্তানও পন্য।
এত্ত এত্ত মার্ক পেয়ে কি হবে বুঝি না। জীবনে কি ভাবে সুখী হবে তা নিয়ে কেউ ভাবে না। ক্যারিয়ার নিয়েই আছে সবাই। অনেক বড় ক্যারিয়ারে থেকে বাস্তব জীবনে অসুখি মানুষের সংখ্যাই তো আজ আমাদের সমাজে বেশী।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: একদম ভাইজান!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.