নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
২০০৯ সালে কৌশিক যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তখন আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি এমন!
.
প্রথম ম্যাচেই ইঞ্জুরিতে পড়েন কৌশিক! তারপর দেড় বছর পর আবার ফিরে এসে কৌশিক থেকে একজন সফল অধিনায়ক মাশরাফি হওয়ার গল্প পৃথিবীর ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই!
.
বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড ইয়ারে আমি দুইটা সাপ্লি দুইটা ইমপ্রোভ খেয়ে একটুর জন্য ইয়ার ক্রাশ থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম! বলা যায় জীবনের প্রথম হার! আমার মনে হয়েছিলো আমি জীবনে আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না!
.
সবাই রেজাল্ট নিয়ে উল্লাস করছে! আমি ভাবছি এরপর সমাজে মুখ দেখাবো কি করে! বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে অনার্স কমপ্লিট না করে বাড়ি ফিরতে হবে!
.
আমার বন্ধু শাহীন আমাকে বলেছিলো দোস্ত আজ আমার সাথে থাক কারণ বাসায় গেলে তোর অনেক খারাপ লাগবে! বন্ধুদের সাথে থাক মন ভালো থাকবে!
.
আমি বাসায় এসেছি! বলে রাখি ২০০১ সালে মাশরাফি যখন জিম্বাবুয়ের সাথে প্রথম অভিষেক হয় তখন আমি মে বি ক্লাশ সেভেনে! ক্লাশ নাইনে এসে আমি টিউশনির টাকা দিয়ে মাশরফির বিভিন্ন এঙ্গেলের একটি ক্যালেন্ডার কিনেছিলাম! তখন ম্যাক্সিমাম মানুষের পকেটে, ঘরে, টেবিলের কাঁচের নিচ থেকে শুরু করে সিলিং ফ্যানের ব্লেডে মাশরাফির ছবি থাকতো!
.
আমি সেই পুরনো ক্যালান্ডারটি বের করে তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম! জীবনে যদি কখনো অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করতে পারি তাহলে সেই ক্রেডিট মাশরাফিকে দিবো বলে! আমি মাস্টার্সে ফাস্ট ক্লাশ পেয়েছি কিন্তু অন্ধকার গর্ত থেকে উঠে আসার জন্য আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো একজন মাশরাফি!
.
আমি মাশরাফি খুব কাছ থেকে দেখেছি কারণ সে যখন অভিষেক হয় তখন আমি পৃথিবী বুঝতে শিখেছি মাত্র(সিক্স/সেভেন) মাত্র! আজ যখন তাকে অবসর নিয়েছে শুনি তখন পড়ালেখা শেষ করে চাকরিও বয়সও একবছর হয়ে গেছে!
.
দেখেছি এগার বার চোট পেয়ে মাঠের বাহিরে থাকার পর ক্যারিয়ারে আবার ফিরে আসা সম্ভব!
.
শুনেছি একজন সৌরভ গাঙ্গুলি যে কিনা ভারতের আইডল এন্ড আইকন ক্রিকেটার সে বলছে, 'ইশ!! আমাদের যদি একটি মাশরাফি থাকতো!'
.
কেনো বলবে না? যে ক্রিকেটার ইনজুরি নিয়েও বলতে পারে, 'ফ্যাকচার যেহেতু নেই তাই পেইন কিলার নিয়ে খেলতে নামবো কোন অসুবিধা হবে না কারণ গত ম্যাচও তো পেইন কিলার ঔষুধ খেয়ে খেলেছি!'
.
আমাকে পৃথিবীর বুকে এমন আরেকজন খেলোয়ার দেখাতে পারবেন যে প্রতি ম্যাচ খেলার পর থ্যারাপি নিতে হয়? তাহলে আমি লেখাটি ডিলিট করে দিবো!
.
বুকে হাত দিয়ে কোন খেলোয়ার কি মাশরাফির মতো বলতে পারবে, আমার পায়ে হাজারটা অস্ত্রোপচার হোক তবুও আমি এই দৌড় থামাতে চাই না!
.
আমি বিশ্বাস করি আমাদের মাশরাফি প্রজন্ম কখনো হারবে না একদিন না একদিন সফল হবেই! আমাদের সফল হওয়ার জন্য আব্রাহাম লিংকনের জীবন কাহিনী লাগবে না একজন মাশরাফির জীবন কাহিনীই যথেষ্ট! বিলিভ মি এন্ড ট্রাস্ট মি!
.
ম্যাশের অবসর নিয়ে আমি শুধু একটি কথায় বলবো,
হুইল চেয়ার নিয়ে দ্রুত বেগে আসছেন মাশরাফি বল ছুড়ে মারলেন ঠিক অফ স্টাম্পের উপর দিয়ে! ব্যাটসম্যান আবেগে অলতো করে ক্যাচ উঠিয়ে দিয়ে চোখ মুচতে মুচতে প্যাভলিয়নে ফিরে গেলেন!
.
এমন দৃশ্য আমি অন্তত দেখতে চাই না! আমি ছোট থেকে আজ বুড়ো হয়ে যাচ্ছি সে এখনো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলে যাচ্ছে! আমি খেলা চাই না আমি মাশরাফিকে চাই! আমি তাকে পঙ্গু দেখতে চাই না!
.
আপনারা কি তাকে পঙ্গু করে মেরে ফেলবেন? আসেন তাকে জোর করে অবসরে নিয়ে যায় না হলে এই ক্রিকেট পাগলা একদিন খেলতে খেলতে মাঠেই মারা যাবে!
.
কেউ কেউ খেলতে নামে না বরং যুদ্ধে নামে!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩০
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রেখে গেলুম
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৮
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫০
মো: হাফিজুল ইসলাম হাফি বলেছেন: একমত.
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৮
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত
লেখা টা খুব ভালো লাগলো +