নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃদ্ধাশ্রমের ডায়রীর পাতা থেকে.....!

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

প্রথম ভাল লাগা হলো জীবনে প্রথম মশা কামড়ানোর মতো কখন যে প্রথম কামড়িয়েছিলো বলা যায় না !
.
প্রথম কাছে পাওয়ার আকুতি হলো কখন যে বুঝতে শিখেছিলাম তার মতো বলা অসম্ভব !
.
প্রথম ভালবাসা হলো জীবনের প্রথম উষ্টা খাওয়ার মতো কখন যে খেয়েছিলাম বলা যায় না !
.
তবে প্রথম প্রেম কখন তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় ! অমুক গার্ডেনে তমুক প্লাটে সমুক রেস্তোরায়........!
.
প্রেম ট্রেম নিয়ে লেখার জন্য এই কথাগুলো না
.
সন্তান হওয়ার পর নতুন দম্পতি একটি ডায়রী কিনেছিলো ! ফেব্রুয়ারীর ছয় তারিখ তাদের প্রথম সন্তান প্রথমবার হেগেছিলো তা নোট করে রেখেছিলো তাতে ! দুই হাজার ষোল সালের ফেব্রুয়ারীর ছয় তারিখ যদিও আমার জীবনেরও মূল্যবান ঘটনা ! কেডিএসএক্সেসোরিজে প্রথম চাকরিতে জয়েন করেছিলাম !
.
সন্তানটি জন্মের সময় মা অনেকটা অচেতন ছিলো ! চেতন হওয়ার পর হাজবেন্ডকে সে তিন দিন তার আশে পাশে আসতে দেয়নি কারণ কয়টা কয় মিনিট কত সেকেন্ডে সন্তান পৃথিবীতে এসেছিলো তা বায়ারের শিপমেন্টের ফোনের টেনশনে গুলিয়ে ফেলেছিলো সে !
.
এভাবে চলছিলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গল্পকার একজন মায়ের লেখালেখি ! প্রথম যখন সন্তান মা বলে ডেকেছিলো সেটি নোট করার জন্য ডায়রী খুঁজতে গিয়ে লক্ষ্য করলো ডায়রীর পাতা শেষ !
.
ডায়রীটি রোজ তিনবেলা করে পড়তো মা ! প্রথম যত সব অনুভূতি ! এভাবে চলছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অখ্যাত মায়ের গল্প ! তার অনুভূতির গল্প লেখার সাহস আমার নেই ! সত্যি নেই ৷
.
সন্তানটি বড় হওয়ার পর একটি ডায়রী লিখতো ! প্রথম হাগার(জড়িয়ে ধরা) কাহিনী ! ফেব্রুয়ারীর ভ্যালেন্টাইন ডে এর আগের এক দিন !
.
তাদের প্রথম বিয়ে করার কাহিনী মার্চের বার তারিখ যদিও মার্চের বার তারিখ আমার জন্মদিনের জন্য আমার কাছেও বিখ্যাত ! গিফট দিলে ট্রিট হবে মামু !
.
বেশ চলছিলো বাবা মাসহ তাদের সুখী সংসার ! একদিন ছেলেটি আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে লাগলো ! বুড়ো বুড়িও আস্তে আস্তে বুঝতে শিখলো তাদের আর প্রয়োজন নেই !
.
মুখে না বললেও রোজ বুড়োবুড়িকে কেন্দ্র করে ছোট খাটো কিছু সমস্যা নিয়ে তারা অতিষ্ট এমন ভাব যেনো তাদের কাজে কর্মে ফুটে উঠতো !
.
একদিন বুড়ো সিন্ধান্ত নিলো তারা আশ্রমে আশ্রয় নিবে ৷ বুড়িকে সে কথা বলাতে বুড়ি নিশ্চুপ হয়ে থাকলো ৷ তারা তাদের সিন্ধান্তের কথা সন্তান এবং তার বউকে জানালো ! ছেলেটি প্রথমে না বললেও বউ তাকে বুঝালো তুমি আমি দুইজনই অফিসে থাকি ! বাবা মায়ের দেখাশুনা করার জন্য কেউ থাকে না ! ওখানে তারা সব পাবে সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য অনেককে ও পাবে ! এই বয়সে সবাই একটু কথা বলে গল্প করে সময় পাড় করতে চাই ! কি চাইনা ?
.
সন্তান মাথা নাড়ালো সাথে বাবা মাও সমস্বরে মাথা নাড়ালো !
.
মানুষের একটি স্বভাব সহ্য করতে না পারলে সে পালিয়ে বাঁচতে চাই ! জীবন কোলাহল প্রিয়জন থেকে পালানোর শুরু তাদের তখন থেকেই !
.
বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার আগে ছেলে জিজ্ঞেস করলো, বাবা একটি নতুন কম্বল কিনে দিবো যা ঠান্ডা ? বাবা না বললো !
.
সবকিছুতে না না না বললো ! তারা কিছুই নিবে না ওখানে ! পুরাতনগুলো সব ভালো আছে !
.
যাওয়ার সময় বুড়ো বুড়িকে বললো তুমি ডায়রীটা নিয়েছো ? বুড়ি আঁচলের তলা থেকে ডায়রীটা বের করে বললো ওটা আমার সঙ্গেই আছে ! আঁচল দিয়ে ঢেকে রেখেছি !
.
শেষ যখন তাদের সন্তান বৃদ্ধাশ্রমে ডায়রীটির সন্ধান পেয়েছিলো ততদিনে বুড়ো বুড়ি না ফেরার দেশে চলে গেছে !

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

ফারজানা আকতার বলেছেন: দারুন

০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.