নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আগ্রাবাদ আখতারুজ্জামান সেন্টারের পিছনে এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড জুতো পাওয়া যায় সেখানে আমার পছন্দের একজন জুতা বিক্রেতা আছে সে গর্ব সহকারে বলে এই ব্যবসা করে তিনটা বিয়ে করেছে !
.
ঐ তিন বউয়ের কসম তিন বছর না গেলে আপনি আমার থেকে আর জুতা নিয়েন না
.
সত্যি সাতশ টাকার জুতো সাত মাসেও কিছু হয়নি কিন্তু এরি মধ্যে আঠারো'শ টাকার বাটা জুতোর তলা ভেঙ্গে গেছে আরেক জোড়া এপেক্স ছিলো যার চামড়া উঠে গেছে
.
ঐ মার্কেটগুলোতে ব্রান্ড চিনলে হবে না জুতা চিনতে হবে !
.
প্রথম যখন ঐ হকার মার্কেট থেকে জুতো কিনি তার পরের দিন ঐ জুতো পড়ে এক ললনার সাথে ঘুরতে গেছিলাম পথিমধ্যে তার খেয়াল হলো চায়ের দোকানে ব্যাগ রেখে এসেছে ! নায়কের মতো রিক্সা থেকে কাঁধ বাঁকা হয়ে লাফ দিলাম তারপর একটু দৌড়ানোর পর লক্ষ্য করলাম জুতার তলা নেই !
.
এবার রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে ভাবতেছিলাম ব্যাগ না জুতোর তলা কোনটি খুঁজে আনা এখন বেশী গুরুত্বপূর্ণ
.
জুতো নিয়ে জীবনে অনেক গল্প আছে ! মসজিদে হারানো জুতা নাকি আমতলায় পাওয়া যায় ! তো সেখানে ঘুরতে গিয়ে দেখি একজন কাকুতি মিনতি করে বলছে, ভাই এটা আমার ই জুতা অমুক মসজিদ থেকে চুরি করে এনেছে চোরাইয়া, দুইশ টাকা কম রাখেন !
.
অক্সফোর্ড সু কে সাধারণত বেস্ট অফিসিয়াল সু বলা হয় ! যে মসৃণ সু তে ফিতা থাকে তাকে অক্সফোর্ড সু বলে ! ছোট বেলায় আমারও একজোড়া ছিলো ! তো খুব ছোট বেলায় সন্দ্বীপে এক বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম ৷ যাওয়ার সময় সবাই একসাথে বের হলাম ! আমি খুব মনোযোগ দিয়ে ফিতা বাঁধতেছিলাম !
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ড্রিল স্যার ছিলো তখন সোলাইমান স্যার ৷ স্যার বলেছিলো ফিতা সব সময় এইডস চিহ্নের মতো করে বাঁধতে হয় ! কিন্তু আমার কোন রকমেই সমীকরণ মিলছে না ! আদ্যোপান্ত চেষ্টা করে শেষে গিট্টু মেরে উঠে দেখি কোথাও কেউ নেই ! সেই কি কান্না আমার !
.
একদা ছিলো না জুতো চরণ যুগলে ! কবি ঠিকি বলেছিলেন ! আমার দাদাদের সময়ে মানুষ জুতো বগল তলে নিয়ে হাটতো ক্ষয় হয়ে যাবে বলে তারপর সেটি আত্মীয়ের বাড়ির সামনে এসে পা ধুয়ে পড়ে সেই এক্কান ভাব নিয়ে ঢুকতো
.
আমি বুড়োদের সাথে গল্প করি ! আমি যেখানে থাকি সেখানে এক বুড়ো আছে নাম 'গোল্ড মিয়া' নামটি একটু ভদ্র ভাষায় বলতে গিয়ে বিকৃত করতে হচ্ছে ! তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনাদের সময় ঘড়ি, রেডিও, সাইকেল যৌতুক দিতো কিন্তু জুতো দিতো না কেনো ? সে ইয়ার্কি করে বলে, 'মুচি ছিলোনা বলে !'
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৯
পলাশমিঞা বলেছেন: এই গল্পে অনেক সত্যাসত্য বিশেষ ভাবে বিশ্লেষিত হয়েছে।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবদুর রব শরীফ ,
আপনার পছন্দের ঐ জুতা বিক্রেতাকে বলুন আরো দু'টি বিয়ে করতে । তাহলে পাঁচ বউয়ের কসম, পাঁচ বছর না গেলে আপনাকে আর জুতো কিনতে হবেনা ।
এটা হবে আপনার জুতো কেনার পাঁচশালা পরিকল্পনা .....................
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: আবদুর রব শরীফ ,
আপনার পছন্দের ঐ জুতা বিক্রেতাকে বলুন আরো দু'টি বিয়ে করতে । তাহলে পাঁচ বউয়ের কসম, পাঁচ বছর না গেলে আপনাকে আর জুতো কিনতে হবেনা ।
এটা হবে আপনার জুতো কেনার পাঁচশালা পরিকল্পনা
হা হা হা
আপনার পোস্টের শিরোনাম বেশ আকর্ষণীয়।
ভাই তওবা করেছি বাটার কোন কিছু কিনবো না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩
পলাশমিঞা বলেছেন: নাম পড়ে এসেছি। পড়ে আবার মন্তব্য করব।