নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
ছেলেটি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিলো, দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা দিলো, ইংরেজী প্রথম পত্র এবং দ্বিতীয় পত্র দুটি পরীক্ষা ই দিলো কিন্তু অংক পরীক্ষার দিন ক্লাশ নাইনের একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেলো
.
টেস্ট পরীক্ষায় ছেলেটি গণিতে ফেইল করেছিলো তবে আন্দোলন করে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি নিয়েছিলো
.
আসলে কি ছেলেটি অংকে দুর্বল না মেয়েটির উপর দুর্বল সে প্রশ্নটি জাতির কখনো জানা হবে না
.
আমার এখনো মনে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ক্লাশ এইটে মে বি ইংরেজী প্রথম পত্রে আমি ছাড়া আর কেউ ফেইল করেনি ! ভীষণ লজ্জার বিষয় ! সেদিন বুঝেছি ফেইল করলেও দশে মিলে করা দরকার না হলে বেইজ্জতি !
.
এক বন্ধুকে অংক পড়াতাম(করাতাম না) ! মানে একটু আধটু বুঝিয়ে দিতাম ! মাষ্টার মাষ্টার ভাব ! পরীক্ষার পর দেখলাম সে পাশ আমি ফেইল !
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তো একজন আমার থেকে দেখে দেখে পরিসংখ্যান পাশ করে ফেলেছে আমি ফেইল করে বসে আছি !
.
তারপর থেকে আমি পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছি ! মাশাল্লাহ আর ফেইল করিনি তেমন !
.
এটা এক প্রকার টেকনিক ! পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে অর্থনীতিবিদ রুদকেল্প বলেছিলেন, 'ফরাসিরা রুদ ব্যবহার করতো ! রুদ মানে তীর ! এক সাথে অনেকগুলো কেল্প ছুটতো ৷ কেল্প মানে তীর ! লক্ষ্যহীন ছুটে চলা তাদের কিন্তু শিকারীর দিকে একটিও বরুদকেল্প হতো না !' এটা রুদকেল্প বা পরিবার পরিকল্পনার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ! রুদকল্প কে ! আদৌ এমন থিওরি আছে কি না আমি জানি না ! তবুও অধ্যায়ঃ তিন অনুচ্ছেদঃ খ পৃষ্টাঃ ৩৩
.
বইয়ের নাম পরিচিত পরিচিত লাগে কিন্তু স্যার নিজেও শুনেনি
.
পাশ ঠেকায় কে ! ব্যবসায় পরিচিতি পড়াতো খালেক স্যার ৷ পাঁচ টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে কিন্তু চারটা কমন ! দুঃখের বিষয় কমনগুলোতে দশে ছয় আর আনকমনটিতে দশে নয় পেয়েছিলাম
.
এসএসসিতে ২০০৫ এ সব বিষয়ে এ+ কিন্তু ইংরেজী আর অংক তে পাইনি কারণ ওগুলোতে চোরামি চলে না ৷
.
ম্যাথম্যাথিকেল বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে হেনতেন করে নাম্বার নিয়ে এসেছি ৷
.
জীবনের প্রয়োজনে কখনো অর্থনীতিবিদ হয়েছি ! কখনো সমাজতত্ত্ববিদ ! কখনো দার্শনিক ! কখনো পীথাগোরাস ! কখনো নজরুলের কোরাস !
.
কখনো একশ মার্কসের একটিও কমন পরেনি কিন্তু একশ দশ উত্তর করে আবার চারটা লুজ সিটও নিয়েছি
.
লুজ সিট নিয়ে এতো দৌড়াদৌড়ি দেখে ব্রিলিয়ান্টদের মাথায় হাত ভেবেছে একশতে আশি প্লাস পাবো কিন্তু ৫০ পেয়ে বসে আছি সে হাসছে আমিও হাসছি ! দুই হাসি রহস্যময়
.
অংকের সাথে এসব যায় না ৷ জীবনের অংক মিলাতে হলে আবার মনের মানুষ ছাড়া কেউ সেখানে মানায় না ৷ সুতরাং ছেলেটি আসলে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিক সময়টি বেঁচে নিয়েছিলো ৷
.
শুনেছি তারা বাবা পচন্ড বদমেজাজী ! পরীক্ষার রেজাল্ট দিলে এমনেও ঘাড় ধরে বের করে দিতো ! আর ম্যাট্টিক ফেইল করা ছেলেটিকে কোন মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করবে ! একে বলে, সময়ের কাজ সময়ে করা ! যাও বাবা সুখি হও ৷
©somewhere in net ltd.