নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় গল্প নিয়ে যার দুই চারটা গল্প থাকতো সেই চকরিয়ার বন্ধু বশিরও যেনো জীবন থেকে ক্রমান্বয়ে স্মৃতিতে হারিয়ে যাচ্ছে !
.
হারিয়ে গেছে সেই মেয়েটিও বৃষ্টিতে ছাতা দিয়ে চলে যেতে বলে নিজে বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা করতো !
.
আজও চাকরি শেষে অক্সিজেনের মোড়ে কলিগ রিয়াজ ভাইয়ের ঘন্টার পর ঘন্টার গল্পে বশিরকে খুঁজে বেড়ায় ! কোথাও যেনো মিল খুঁজে ও পেয়ে যায়
.
এখনও বৃষ্টি হলে রাস্তা থেকে সিএনজিতে তুলে নেওয়া মেয়েটির মাঝে সেই তোমাকে খুঁজে পেয়ে যায়
.
হারিয়ে গেলে একজনের মধ্যে অন্যজনকে খুঁজে নেওয়া এই যেন এক অন্য অভ্যেস !
.
সেদিন কেডিএস এক্সেসোরিজের সামনে দাঁড়িয়ে এক ভদ্রমহিলা আমাকে দেখে থমকে গেলো ! বললো, বাবা ! তোমার হাঁটা অবিকল আমার ছেলের মতো ! তুমি কি করো বাবা ? কোন উত্তর দেওয়ার আগে ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে সোজা সামনে হাঁটছে
.
অনেক কিছু পাল্টে গেছে ! যেমন রুমালের বদলে টিস্যু বের হয় তবুও চোখের জলের রং পাল্টায় নি !
.
জানো পৃথিবীর অনেক কিছু পাল্টাই না তেমনি অনেক অনুভূতিও
.
যেমন তোমার দাদার লাঠির ভিতরে আমার ঘাড় বেঁকে গেলে তোমাকে স্পষ্ট দেখা
.
লাঠিম ঘুরিয়ে হাতে নেওয়া ছেলেটির দিকে তোমার অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকা দেখে আমার ব্যর্থ চেষ্টা
.
ও পড়াশুনা করে না বলে পুতুলকে আমার সাথে মিশতে নিষেধ করা
.
তোমার বাবার দিকে তাক করা টিনের পিস্তল
.
ভাইয়ের দিকে তাক করে রাখা জল কামান অতঃপর তোমার গাল ফোলা
.
সাইড পকেটে লুকানো মার্বেলে তোমার মতো পেত্নী খুঁজে পাওয়া
.
ঘুরে ফিরে কাছে আসা ইয়ো ইয়ো'টি দেয়ালে লেগে একদিন ভেঙ্গে যাওয়া
.
তারপর আর মনে নেই.... এরপর এই শহর ! প্রাণের শহর ! আজব শহর চট্টলা রে...!
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো,, খুব সুন্দর লিখেছেন, অভিনন্দন....
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ভাই, ক্যাম্পাসে আপনাদের বুইজ্ঞা চুইজ্ঞা সাম্প্রদায়কতার কোন ইতিহাস থাকলে জানিয়েন। শুনেছি আপনাদের ক্যাম্পাসে নাকি চট্টগ্রামের বাইরের ছেলেদের প্রচুর দাবড়ানি দিয়ে রাখা হয়!