নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আপনার কারো জন্য মন কাঁদছে ঠিক সেই মুহূর্তে আরেকটি মানুষ তা অবচেতন মনে বুঝতে পেরে তারও মন খারাপ এমন টাইপের ঘটনাগুলোকে মনোবিজ্ঞানীরা বলে টেলিপ্যাথি !
.
তো এক মেয়ে আমাকে বলেছিলো শরীফ কোং তোমার সেন্স কম ! আমি বলেছিলাম ঠিক তাই এক্সট্রা একটা 'সিক্সথ সেন্স' আছে আর সেটা তোমাকেই ভাবে ! 'সিক্সথ সেন্স' 'ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়' 'টেলিপ্যাথি' এগুলো সমার্থক শব্দ !
.
আমি কমার্সের ছাত্র ছিলাম তো একদিন আমার বন্ধু সায়েন্সের ছাত্র আমাকে বললো, তুই একটা ভালো মানের হোমোসেফিয়ান্স ! আমি তো রেগে মেগে ফায়ার ! পরে বললো, হোমাসেফিয়ান্স মানুষের বৈজ্ঞানিক ! তাই আমি টেলিপ্যাথি বুঝি না ! মনের টান বললে ভালো বুঝি !
.
আমার আগ্রহের এই বিষয় নিয়ে আমি পড়াশোনা করতে গিয়ে বুঝেছি এটি বাংলা সিনেমার নায়কের পিঠে চাবুক পড়লে নায়িকার উহ্ উহ্ করে উঠা ! যদিও এখন নায়কের গলায় দড়ি পরলেও নায়িকা অন্যকারোর সাথে বেদনায় আহ্ আহ্ করে ! যদিও ব্যাকরণের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হবে ভাষা দশ মাইল অন্তর অন্তর রূপ পাল্টাই ! যুক্তি আছে
.
ট্যালিপ্যাথির উপর লিখা তিনটি বিখ্যাত বইয়ের মধ্যে Silent Awakening by Eric Pepin, How to Read the Aura and Practice Psychometry, Telepathy, and Clairvoyance by W.E. Butler এবং Spiritual Telepathy: Ancient Techniques to Access the Wisdom of Your Soul
by Colleen Mauro অন্যতম !
.
আমার জীবনে প্রথম ট্যালিপ্যাথি চর্চা এক সুন্দরী মেয়েকে কেন্দ্র করে ! তবে বিয়ের আগে একদিন হঠাৎ মেয়েটির সাথে কিছু কথাবর্তা হয় ঐ দিন ই প্রথম কথাবার্তা ! কেন জানি মনে হলো তারও আমার প্রতি টান আছে কারণ আমি হৃদয় দিয়ে টানতাম !
.
বাংলাদেশ প্যারাসাইকোলজি গবেষণা সংস্থা যতটুকু জানি ট্যালিপ্যাথির উপর গবেষণা করে যাই হোক তবে আমি বিশ্বাস করি তারবিহীন দুইটি মোবাইলের মাধ্যমে যদি যোগাযোগ সম্ভব হয় তাহলে দুটি মনের গোপন যোগাযোগ অবশ্যই সম্ভব !
.
আমি অনেকবার বাবাকে ফোন দিতে গিয়ে দেখি বাবার কল ঢুকে বসে আছে অথবা কোন কাছের বন্ধুকে দিতে গিয়ে এমন কিউট মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছে অনেকবার ! তবে এই ও দেখেছি, স্যারের ভয়ে লুকিয়ে সিগারেট ধরিয়েছি কিছুক্ষণ পর দেখি ওনি আমার সামনে ! টিনের চালে কাক, আমি তো অবাক !
.
সেদিন ফেসবুকে রোমান্টিক স্ট্যাটাস দিয়ে ভাবছি ! ইশ্ ! প্রথম লাইকটা যদি নীলঞ্জনার হতো ! তাই ই হয়েছে ! চোখ চানাবড়া হয়ে গেছে ! কিছু ব্যপার থাকে যা মনেরও অগোচরে !
.
যদিও দুটি মনের টান না থাকলে ট্যালিপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, এ্যালোপ্যাথি কোন প্যাথি কাজ করবে না তেড়ে আসতে পারে লাথি ও....!
.
যাই হোক ২০০৬ এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রঙ্গিন ট্যাবলেট 'আমার ক্যাম্পাসে' সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সময় বারী ভাইকে নিয়ে কিছু প্রতিবেদনের স্বাক্ষী ছিলাম ! রোজ কাক ডাকা ভোরে আইরিনের প্রতীক্ষায় বসে থাকতো বারী ভাই ! তরপর বারী ভাইয়ের সাক্ষাৎকার অতঃপর ক্যাম্পাসে খেজুর বিলিয়ে গায়েবী বিয়ে ! পত্রিকার রমরমা বিক্রী ! স্বয়ং পত্রিকা নিয়ে তৎকালীন ভিসি বদিউল আলমের ভূয়সী প্রশংসাও উপঢৌকন কোন ট্যালিপ্যাথি কাজে দেয়নি বারী ভাইয়ের জীবনে ! অর্থনীতির ছাত্র বারী ভাই এখনো এক দশক পেরিয়ে গেলো ও ঠিক ঐ জায়গায় রোজ বসে থাকে তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ ছাত্র ই জানে !
.
অনেকের কাছে এগুলো পাগলামি মনে হতে পারে কিন্তু পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না !
©somewhere in net ltd.