নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ সালের বেঁচে যাওয়া শিশু !

২০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

আমরা যারা নদী ভাঙ্গা মানুষ কিন্তু অন্য জায়গায় থাকি তাদের জন্য ঘূর্ণিজ্বড় অথবা বিপদ সংকেত হলো আতংকের নাম !
.
আমরা হয়তো নিরাপদ জায়গায় আছি/থাকি ! আত্মীয় স্বজনরা কেমন আছে/থাকবে?
.
১৯৯১ সালের ২৯ মে যে ভয়াল ঘূর্ণিজ্বড় হয়েছিলো সেটি ছিলো আমার জীবনের প্রথম দূর্যোগ ! আমার বয়স তখন দেড়/দুই বছর হবে এমন ৷ আমার মনে নেই কিছু তবে আমি জানি কি হয়েছিলো সেদিন ! আমি শুনেছি !
.
আমার পরিবারের ২৭ জন মানুষ সেদিন মারা গিয়েছিলো ! মৃত্যুর মিছিল থেকে আমি কিভাবে বাঁচলাম আমার বাবা মা ভাই কিভাবে বাঁচলো এটাকে বলে 'রাখে আল্লাহ মারে কে? '
.
তার দুই বছর পর আমরা বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে চলে আসি কিন্তু মৃত্যুর মুখে এখনো সংগ্রাম করে টিকে আছে প্রিয় সন্দ্বীপবাসী !
.
কি করে যখন বন্যা হয় তখন সন্দ্বীপের মানুষরা ? ঘরের দরমা'র (টিনের ছাদের নিচে যে মালপত্র রাখার জায়গা তাকে দরমা বলে) উপর আশ্রয় নেয় ! সে পর্যন্ত পানি উঠলে বাতাস যাওয়ার জন্য ঘরের টিন খুলে ফেলে ৷ তারপর পানি বাড়তে থাকলে ভেসে অথবা ডুবে মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষা আর আল্লাহ ! আল্লাহ ! করা ছাড়া কিছুই করার থাকে না !
.
এখন যদিও সাইক্লোন সেন্টারসহ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কিছুটা হলে পাল্টিয়েছে কিন্তু শুধরায়নি ! শেষে একটি কথা বলবো, আজ দূর্যোগ কবলিত মানুষের মুখে একটি কথা উচ্চারিত হবে, "রাখে আল্লাহ মারে কে ৷" সেই আর্তনাদ নদী পেরিয়ে সভ্য সমাজ কখনো শুনবে না, শুনার চেষ্টা ও করবে না ৷ কিন্তু যাদের সামর্থ আছে তারা আমাদের মতো পালিয়ে আসবে অন্য কোথাও তবুও ভালবাসি রে সন্দ্বীপ তোকে !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.