নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
সেই সাজ সকালে উঠে তারা পরিবারের জন্য নাস্তা এবং দুপুরের খাবার তৈরী করে,
.
ঘর ঝাড়ু দেয়, উঠোন পরিষ্কার করে, বাচ্চাদের খাওয়ায় তারপর ঘড়িতে ঠিক আটটা বাজলে বাসা থেকে বের হয়,
.
পোশাক জরাজীর্ণ, সেন্ডেলে চার সেলাই, তারপর লোকাল বাসের প্রতীক্ষায় রাস্তায় দলে দলে মিছিল সমেত কাক ভূত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে !
.
ওরা পোশাক সেলাই করে আমাদের জন্য পোশাক বানায়, যেখানে সামান্য শার্ট আইরন করা না থাকলে জুতো চকচকে না থাকলে আমাদের বকা শুনতে হয় সেখানে তাদের নতুন পোশাক ই নেই !
.
সকাল থেকে সন্ধ্যা খাটুনি দিয়ে ওরা পাঁচ ছয় হাজার টাকা রোজগার করে হিসেব কষে দেখলাম যা আমাদের পকেট খরচ !
.
এসি আস্তে চলছে কেনো ঠিক যখনি আমরা টেকনিশিয়ানদের ডেকে বকা দিই ঠিক তখনি তারা সুই আর পা চালাতে চালাতে তাদের শরীল শীতে ও ভিজে যায় !
.
তবুও পাওনা টাকা আদায় করার জন্য ঈদে দুইবার করে ওদের আন্দোলন করতে হয় !
.
তবুও ওরা বীর দর্পে এগিয়ে যাচ্ছে, খেটে খাচ্ছে, কেউ বসে নেই সত্যি কেউ বসে নেই ঘরে বসে থাকলে তা জীবনেও টের পাবেন না,
.
ওদের হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাবে, উন্নয়ন কেউ থামাতে পারবে না, যে দেশে এমন লড়াকু সৈনিকরা আছে সে দেশ অবশ্যই একদিন এগিয়ে যাবেই !
.
সত্যি এই অদম্য বীর পোশাক শ্রমিকরা সেলুট পাওয়ার যোগ্য ! একদিন কেউ যদি দেশের মেরুদন্ড ভাঙ্গে কখনো, ওরা লক্ষ হাত সেই মেরুদন্ড মেরামত করবে বলে যেন পণ করেছে ৷
©somewhere in net ltd.