নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আমার বাবার সাধ্য ছিলো না আমাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর, তিনি আমাকে পাবলিকে পড়িয়েছে
.
আসলে আমার বাবার মতো লক্ষ বাবারা এগিয়ে এসেছে হাত বাড়িয়ে
দিয়েছে
.
>তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দিয়েছে
.
>তারা আমার বসার চেয়ার টেবিল এবং স্যারের লেখার মার্কারের টাকা যুগিয়েছে
.
>তারা অভাবে আবুল বিড়ি খেয়ে সেখান থেকেও ট্যাক্স দিয়েছে
.
>তারা মোবাইলে এক মিনিট কথা বললে পনের পয়সা আমাদের জন্য দিয়েছে
.
তারা যা করেছে সব কিছু থেকে কিছু টাকা সরকারের কোষাগারে ভ্যালু এড্ডেড ট্যাক্স অথবা ইনকাম ট্যাক্স হিসেবে পাঠিয়েছে
.
এমন কি সমাবর্তনের গাউন থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট সবকিছুর জন্য তারা ভুর্তুকি দিয়েছে
.
কিন্তু তারা কখনো কিছু চায়নি আমাদের কাছ তারা শুধু দিয়ে ই গেছে !
.
আমরা একজন শিক্ষককে দেখলে শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়ি আর সেটি শিক্ষকদের অধিকার, জনগনের টাকাগুলো সুসংগঠিত করে যারা এনেছে তাদেরও গার্ড অব অনার করি হ্যাঁ তারা ও যোগ্য কিন্তু যারা পিছন থেকে রসদ জোগাড় করেছে সেই সাধারণ মানুষগুলো থেকে সম্মান সালাম প্রত্যাশা করি !
.
আসলে মূল সম্মানটা তাদেরি পাওয়ার যোগ্য হয়তো তাদের পোশাক জরাজীর্ণ মলিন তারা আজও আমাদের সেবা করে যাচ্ছে
.
-কেউ জুতা সেলাই করে দিল
-কেউ রিক্সা টেনে নিয়ে গেলো
-কেউ খাবারের ব্যবস্থা করে দিল
-কেউ চা বানিয়ে দিলো
-কেউ চুল কেটে নায়ক বানিয়ে দিলো
.
এভাবে কেউ কেউ কেউ বলে শেষ করা যাবে না, সত্যি শেষ করা যাবেনা, কি হবে লেখাটি পড়ে আসেন নিজেদের একটু পরিবর্তন করি, ওদের একটু সম্মান দিই! পারবেন? একটু হাসি মুখে কথা বলতে?
.
এর বেশী কিছু ওরা প্রত্যাশা করে না এতো ইগো দিয়ে কি হবে? সম্মান করলে সম্মান বাড়ে ৷
©somewhere in net ltd.