নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যাট দিবো, না ভাত খাবো বাবা!?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

পছন্ড আবেগ নিয়ে লিখতে বসলাম, কারণ এমন একটি আন্দোলন আমরা করেছিলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বেতন ভাতা বৃদ্ধি কমানোর আন্দোলন,
.
আমি বায়ান্ন, ৬৬, ঊনসত্তর কিংবা একাত্তর দেখি নি কিন্তু বেতন ভাতা কমানোর জন্য একটি আন্দোলন দেখেছি! তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, উদ্যমতা, শৃঙ্খলা কিভাবে একটি আন্দোলন শিল্পে পরিণত হয়ে সফল হয় তা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে,
.
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, অসম্ভব সুন্দর শৃঙ্খলিত আন্দোলন, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন অথবা পিঠে লেখা ডায়লগগুলো পড়তেছিলাম,
- আমার বাবা ATM BOOTH নয়
-টাকা কি গাছে ধরে?
-no vat on education
-শিক্ষা কি পণ্য, ভ্যাট কি জন্য?
-দেহ পাবি, মন পাবি মাগার VAT পাবি না
-পিঠে লেখা, শিক্ষা মুক্তি
-ভ্যাট দিব না, গুলি কর!
.
দেশের শিক্ষার হার তিনশতাংশ কমে ৬১ শতাংশ হয়ে গেছে, ভাবতে অবাক লাগে এখনো ৩৯ শতাংশ মানুষ পড়তেই পারে না!
.
অর্থনীতির একজন ছাত্র হিসেবে বলতে পারি, কল্যাণ অর্থনীতির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, যে কোন দেশ উন্নত হয়ে শিক্ষার হার উন্নতির মাধ্যমে, আগে শিক্ষা পরে উন্নয়ন, আমরা চলছি উল্টো পথে! শামসুর রাহমানের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে, উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"

উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?

উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?

উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।

-ড. সাকিল আল মামুন।
১. সরকার কোনদিনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এর শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দেবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর এটা ভোরের কাগজের লিঙ্ক।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, অনেক কিছু নতুন করে জানলাম ৷ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.