নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
টারজান দেখে টারজান হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বনে বনে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটির নাম সোহাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়ার সময় আমার বন্ধু ছিল, একদিন আমাকে নিয়ে গেল মাকড়সা ধরতে, দুই জনে মিলে মাকড়সা খুজতেছি, বন্ধুটি মাকড়সার বাসার মধ্যে নিজের নাম খুজে পেত, সাদা সাদা আঠা দিয়ে লেখা নাম, আমার নামটা চাইনিজ ভাষায় লিখতো মনে হয় তাই খুজে পেতাম না,
.......
তার কাছে এত এত প্রকার মাকড়সার গল্প শুনতাম যে মাকড়সার প্রেমে পড়ে গেলাম, দু কাঁটা ওয়ালা, তিন কাঁটা ওয়ালা মাকড়সা, তার গল্পের যাদুতে ভয়ানক মাকড়সাগুলো আমার কাছে দিন দিন কিউট হতে লাগলো,
.......
একদিন মকড়সা ধরতে বের হলাম, বনে বনে ঘুরতেছিলাম, সোহাগ, দুই ইঞ্চি মাকড়সা ধরে ধরে তার পকেটে ডুকাচ্ছে, এগুলো সে তার বাসার আশে পাশে ছাড়বে, লালন পালন করবে, আমার স্কুল সাদা শার্টের পকেটে দুই ইঞ্চি দুই কাটার একটা মাকড়সা ডুকিয়ে দিল,দুই জনে মিলে বাসায় চলে আসলাম,
........
বাসায় এসে পকেট একটু ফু দিয়ে ফুলিয়ে মাকড়সাটি দেখতেছিলাম, হঠাৎ করে দেখলাম কিলবিল করে মাকড়সাটি পকেট থেকে উপরের দিকে উঠতেছে, মাকড়সাটি দেখতে এখন একটু ও কিউট লাগছে না, মাকড়সা পকেট থেকে উঠার আগে আমাকে শার্ট খুলতেই হবে, শার্টে এত বোতাম কেন!!!? শিট! হোমন্দির পো টেইলার্স, শার্টে দুইটা বোতাম দিলে কি ক্ষতি হতো!!
......
অবশেষে শার্ট খুলে হাতে নিয়ে পুকুরে দৌড় দিলাম, শার্ট পুকুরে ডুবিয়ে রাখলাম, মাকড়সাটি পকেট থেকে বেড়িয়ে পুকুরে ডুবে যাচ্ছে ক্রমশ, খুব খারাপ লাগতেছিল, প্রিয় মাকড়সা, তুই আরেকটু কিউট হতে পারলি না!!
©somewhere in net ltd.