নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই মুহূর্তে সকল ব্লগারের সাহায্য কামনা করছি, আসুন দেখিয়ে দিবো "আমরাই বাংলাদেশ ৷" :)

০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

অনেক চিন্তা করে দেখলাম, ফেসবুক/ব্লগ/পেইজর মাধ্যমে মানব পাচার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে,

সাধারণ মানুষগুলোকে বুজিয়ে সুজিয়ে মালয়েশিয়া/ইন্দোনেশিয়া/থাইল্যান্ড নেওয়ার কথা বলে ওদের পাচার করে দেওয়া হয় ভারতে, এরপর নেপালে,

চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের মাধ্যমে জানতে পারলাম, ওখানে ওদের বন্দি করে কঠোর নির্যাতন করা হয় এবং পরিবারকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবী করা হয়,এভাবে চলে স্টিম রোলার,


মেয়েদেরকে বিভিন্ন অবৈধ কাজ করাতে বাধ্য করা হয়, পুরো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মানব পাচারকারীদের সিন্ডিকেট,


থাইল্যান্ডে যে গন কবর পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে তা জীবীকার খুজে ছুটে চলে প্রতারিত হওয়া কিছু সাধারণ মানুষের লাশ,


আমাদের উচিত আমাদের আশে পাশের সাধারণ মানুষদের সচেতন করা, কোন দালালের সন্ধান পাওয়া গেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করানো, এক্ষেত্রে ভর্চুয়াল জগতকে আমরা কাজে লাগাতে পারি,


বিনামূল্যে বিদেশ যাত্রা এমন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক চক্ররা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে, আপনার এলকায় খবর নিন, ব্যবস্থা গ্রহণ করুন,আজও দুজন র্যাবের হাতে ধরা পড়ল,


সমুদ্র পথে যারা বিদেশ ভ্রমণের অফার পাচ্ছেন তারা ভালো করে খুজ করে দেখুন, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সমুদ্র পথে প্রতারণার শিকার হয় বিদেশগামীরা, ম্যাক্সিমাম নৌকা দিয়ে পাড় করানো হয় অতপর নৌকাগুলো মাঝ পথে সাগরে ডুবে যায়, নিশ্চিত মৃত্যু ৷


থাইল্যান্ডে আরেকটি মানব পাচার
শিবিরের সন্ধানঃ http://m.bdnews24.com/bn/detail/world/964190


জেনে নিই মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনঃ Click This Link


মানব পাচারে সবচেয়ে বড় রুট হিসেবে
বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে
বঙ্গোপসাগর। এ পথে মালয়েশিয়া ও
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেয় হাজার
হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি,লিংকঃ Click This Link


বাংলাদেশে নারী ও শিশু পাচার সবচেয়ে
বিপদজনক এবং ঝুকির মধ্যে রয়েছে । বিশেষ
করে বাংলাদেশী মেয়েদের কোন ঝুকি
ছাড়াই কম খরচে পাচার করা অনেক সহজ ।
ভাসমান শিশু ও মহিলা, এতিম শিশু, বিধবা
বা তালাকপ্রাপ্তা নারী, শহরের বিভিন্ন
বস্তিতে বসবাসকারী নারী ও শিশু, দরিদ্র
পরিবারের শিশু ও মহিলা, ভেংগে যাওয়া
পরিবারের শিশু, বিভিন্ন কলকারখানায়,
গামের্র্ন্টস ও বাসাবাড়িতে কর্মরত শিশু
এবং মহিলারা পাচারের শিকার হন ।
পতিতালয়ে বিক্রির মাধ্যমে দেহ ব্যবসায়
নিয়োজিত করা, রক্ষিতা হতে বাধ্য করা,
উটের জকিতে নিয়োজিত করা, রক্ত, কিডনী,

চোখের কর্ণিয়া, যকৃত, কংকাল দেহ থেকে
আলাদা করে বিদেশে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা
নারি ও শিশু পাচারের মূল উদ্দেশ্য ।
সমাজসেবা অধিদফতর মাঠ পর্যায়ে দুস্থ,
অসহায় ও গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থ-
সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কর্মসূচি
বাস্তবায়নের পাশাপাশি মানব পাচার
রোধে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে । মানব
পাচার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি সমাজসেবা
অধিদফতরের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। বিশেষ করে
পাচারের জন্য ঝুকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে নারি ও
শিশু পাচারের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে
জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যে সকল
অস্বচ্ছল নারি ও শিশুদের পাচারের জন্য
সংগ্রহ করা হয় সে সকল অঞ্চলে
পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক
প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি কাযর্ক্রম
চলছে, সূত্রঃ Click This Link


চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না, এইভাবে মৃত্যু
হাতে নিয়ে, মানুষ পালিয়ে ভাগ্য ফেরাতে যাচ্ছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সাগরে ট্রলারে করে
পাড়ি জমাচ্ছে মালয়েশিয়ার পথে।
বাংলাদেশিদের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমরাও পাড়ি
জমাচ্ছে এই অনিশ্চিত মৃত্যুপথযাত্রায়।


গত ছয় বছরে
টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তসহ অন্যান্য কয়েকটি পথে
তিন লক্ষাধিক মানুষ মালয়েশিয়ায় অবৈধ পথে
পাড়ি জমিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায়
মামলার পাহাড় জমেছে। সূত্রঃ Click This Link


সুতরাং, সচেতনতা ছাড়া কোন বিকল্প নেই, আমরা সবাই যদি আমাদের আশেপাশের এসব মানুষকে বুজিয়ে, ফেসবুক/ব্লগে/পেইজে লিখে সচেতন করতে পারি তাহলে মানব পাচার রোধ সম্ভব হবে বলে মনে করছি ৷

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

কাবিল বলেছেন: আশেপাশের সবাইকে নিয়ে সচেতন হতে হবে।

০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: এটাই ফলপ্রসু পথ.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.