নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই
নিজের ক্ষতির করে ফেলছেন অসংখ্য পুরুষ।
আসুন
জেনে নেয়া যাক পর্ণ আসক্তির কারণে যে ৭টি
ক্ষতি হতে পারে আপনার।
নারীরা ঘৃনার চোখে দেখে
পর্ণ আসক্ত পুরুষদেরকে সাধারণ রুচিশীল নারীরা
হীনমন্য ও চরিত্রহীন মনে করে। নারীরা যখন জানতে
পারে যে তার পরিচিত কোনো পুরুষ নিয়মিত পর্ণ
ছবি দেখে তখন তার সম্পর্কে খারাপ মনোভাব জন্ম
নেয় এবং তাঁকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। বিশেষ
করে আমাদের সমাজের নারীরা তো অবশ্যই।
রুচি বোধের অবনতি হয়
নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে পুরুষদের
রূচিবোধের অধঃপতন হয়। পর্ণ সিনেমার অনৈতিক ও
যৌনতা নির্ভর বিকৃত সম্পর্ক গুলোকেই তখন ভালো
লাগতে শুরু করে। ফলে যারা নিয়মিত পর্ণ সিনেমা
দেখে তাদের রুচি বিকৃত হয়ে যায়। জীবনের
স্বাভাবিক সম্পর্ক গুলোতেও নিজের অজান্তে
বিকৃতি খোঁজে তাদের চোখ।
ফ্যান্টাসির দুনিয়া
নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে বাস্তব জগৎ ছেড়ে
পুরুষরা ফ্যান্টাসি দুনিয়াতে চলে যায়। অর্থাৎ
বাস্তব জীবনেও তাঁরা পর্ণ সিনেমার মত সঙ্গী আশা
করে এবং তাঁরা স্বপ্ন দেখে তাদের যৌন জীবনটাও
পর্ণ সিনেমার মতই হবে। তাই ফ্যান্টাসি দুনিয়ার
স্বপ্নে বিভোর হয়ে তাঁরা বাস্তব জীবনের সুখ
শান্তি হারায়। সাধারণ নারীদেরকে তখন আর
তাদের যথেষ্ট মনে হয় না।
মূলত নিঃসঙ্গ/ অসুখী হয়ে পড়ে
অতিরিক্ত পর্ণ নেশার কারণে সাধারন নারীদের
প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে পর্ণ আসক্তদের। তাঁরা পর্ণ
সিনেমার নায়িকাদের মত আকর্ষনীয় দেহ ও
চেহারার নারী খোঁজে বাস্তব জীবনে। কিন্তু পর্ণ
সিনেমার নায়িকাদের সৌন্দর্য মূলত কৃত্রিম
সৌন্দর্য, তাদের আচরণও কৃত্রিম। মেকআপ, লাইট ও
ক্যামেরার কারসাজিতে তাদেরকে মোহনীয় ভাবে
দেখানো হয় যা বাস্তব জীবনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব
না। তাই পর্ণ আসক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই
নিঃসঙ্গ থেকে যায় অথবা সংসারে অসুখী হয়।
শারীরিক ক্ষতি
নিয়মিত পর্ণ ছবি যারা দেখে তাদের মধ্যে হস্ত
মৈথুনের অভ্যাসটাও বেশি থাকে। অতিরিক্ত হস্ত
মৈথুন করার ফলে তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ে এবং
যৌন জীবনে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ;(
ভয়াল নেশা
পর্ন সিনেমার নেশা মাদকের নেশার মতই ভয়ংকর।
মাদকাশক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেমন কষ্টসাধ্য,
পর্ণ আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়াও দূরহ ব্যাপার। পর্ণ
আসক্তির কারণে পরিবারের সাথে সম্পর্ক খারাপ
হয়, পড়াশোনায় ক্ষতি হয় এমনকি নিজের মধ্যেও
হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়।
সামাজিক ভাবে হেয় হতে হয়
পর্ণ আসক্তদের মোবাইলে, কম্পিউটারে, পেন
ড্রাইভে সব খানেই পর্ণ ছবি থাকে অধিকাংশ সময়।
অনেক সময় এসব অনৈতিক বিষয় গুলো পরিবারের
কাছে ধরা পড়ে যায়। ফলে পরিবারের কাছে হেয়
হতে হয় পর্ণ আসক্তদেরকে। এছাড়াও সমাজের
মানুষজন, বন্ধুবান্ধব বিষয়টি জেনে গেলে তাদের
কাছেও হেয় হতে হয় তাদেরকে।
পর্ণ আসক্তি থেকে মুক্তি উপায়ঃ
প্রথমেই মনস্থির করুন যে আপনি পর্ণ দেখা
পুরোপুরি ছাড়বেন। এটা অনেক জরুরী। নিজের
সাথে প্রমিজ করুন এবং চ্যালেঞ্জ তৈরি করুন
যে আর দেখবেন না। কেবল মাত্র মন কে স্থির
করতে পারলেই আপনি অর্ধেক এগিয়ে যাবেন
নিঃসন্দেহে।
মোবাইলের মেমরি কার্ড, পিসি/ল্যাপটপ/
ট্যাব থেকে যত পর্ণগ্রাফিক ছবি এবং
ভিডিও আছে, ডিলিট করুন। কারন পর্ণ না
দেখার ব্যাপারে মন স্থির করলেও হাতের
কাছে যখন এগুলো পাবেন, দেখতে ইচ্ছে
করবে। পিসি থেকে পর্ণ সাইট গুলো ব্লক করুন।
পর্ণ সাইট ব্লক করার জন্য K9 নামে অসাধারণ
একটি ফ্রি সফটওয়্যার আছে, ওটা ইন্সটল করে
দেখতে পারেন। সফটওয়্যার টি কিভাবে
ব্যবহার করবেন বুঝতে না পারলে How to use
K9 web protection লিখে ইউটিউবে সার্চ
দিলে প্রচুর টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।
পাশাপাশি বুকমার্ক এবং ব্রাউজারের
হিস্ট্রি গুলো ডিলিট করুন। কারন আপনি
কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছেন, কি কি সার্চ
করছেন তা গুগল মনে রাখে। ফলে পরবর্তীতে
সার্চ করার সময় গুগল গায়ে মানেনা আপনি
মোড়ল টাইপ মাতব্বরি করতে থাকে। গুগল
সার্চের Safe search অপশন টি এনাবল রাখুন।
ইউটিউবে বেশি সময় কাটাবেন না। যেই
ভিডিও টা দেখা প্রয়োজন সম্ভব হলে শুধু
সেটা দেখেই বেরিয়ে আসুন। কারন ইউটিউবে
পর্ন থাকেনা ঠিকই, তবে সফট পর্ন থাকে।
অনেক সময় কোনো ভিডিও দেখার সময় ডান
পাশের সাইডবারে অন্যান্য ভিডিও’র
থাম্বনেইলের সাথে এসব সফট পর্ণের ভিডিও
গুলোও চলে আসে। আর মানব মন যেহেতু
প্রকৃতিগতভাবেই কৌতূহলী, তাই
স্বাভাবিকভাবেই ওদিকে নজর বেশি যায়
এবং মাউসের পয়েন্টার ও মনের চাহিদা বুঝে
ওদিকে ঘুরে যায়। আরেকটি কাজ ও করতে
পারেন, ইউটিউবের Safe ফিল্টার টি অন করে
রাখতে পারেন। এতে এ্যাডাল্ট ভিডিও গুলো
দেখাবেনা।
যেহেতু পর্ণ দেখা ছাড়তে চাচ্ছেন, সো ঘরে
একা একা কম্পিউটার/ল্যাপটপ/ট্যাব বা
মোবাইলে সময় কাটানোর চেয়ে মন কে অন্য
দিকে ডাইভার্ট করার জন্য নতুন এক বা
একাধিক হবি তৈরি করুন এবং সে হবি নিয়ে
মেতে উঠুন। যখন ই পর্ণ দেখতে মন চাইবে,
সাথে সাথে উঠে পড়ুন এবং সেই হবি নিয়ে
ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। আমি জানি এটা কঠিন,
কিন্তু অসম্ভব নয়। প্রথম দিকে অনেক কঠিন
লাগলেও ধীরে ধীরে সহজ হয়ে আসবে। হবি
হতে পারে বডিবিল্ডিং এর জন্য জীমে জয়েন
করা, গিটার, কবিতা আবৃত্তি কিংবা গান
শেখা, ফটোগ্রাফি কিংবা পেইন্টিং, বই
পড়া, গাড়ি চালানো শেখা, খেলাধুলা
কিংবা সাতার শেখা, নতুন নতুন বন্ধু তৈরি
করা… মোট কথা, নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
পিসি বা ল্যাপটপ রুমের এমন একটা পজিশনে
রেখে ইউজ করুন, যেন সেটা রুমে ঢুকলে সবার
দৃষ্টিগোচর হয়। বাবা-মারা তাদের
সন্তানদের কম্পিউটার টেবিল ঘরে ঢুকলে
সহজেই চোখে পড়ে এবং মনিটর করা যায় এমন
অবস্থানে রাখুন। সম্ভব হলে ল্যাপটপ না
কিনে টিনএজ বয়সী সন্তান কে কম্পিউটার
কিনে দিন। কারন ল্যাপটপ কিনে দিলে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিছানাতে নিয়ে
কাজ করার সম্ভাবনা বেশি। ফলে সে আদৌ
কাজ করছে নাকি পর্ণ সাইট ব্রাউজ করছে
সেটা মনিটর করাটা আপনার জন্য অসম্ভব
হবে।
রুমের দরজা খোলা রেখে কম্পিউটার ব্যবহার
করুন। এটা বেশ জরুরী। রুমের দরজা বন্ধ করে
কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করার সময়
হঠাত করেই মনের মধ্যে পর্ণ ওয়েবসাইট
ব্রাউজের চিন্তা আসতে পারে, অথবা
কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজের সময় পর্ণ
এ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখেও ইচ্ছে করতে
পারে। রুমে প্রাইভেসি থাকলে সেটা
আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। সেজন্য সম্ভব
হলে রুমের দরজা খোলা রেখেই কম্পিউটার
ব্যবহার করুন। পর্ণের সংস্পর্শে যাওয়া টা
নিজের জন্য কঠিন করে তুলুন। কারন ইচ্ছে
হওয়া মাত্রই পর্ণ দেখার সুবিধা আপনার
থাকলে আপনি তা নিয়মিতই দেখবেন বলা
চলে। তাই পর্ণ দেখা টা যদি আপনার জন্য
কঠিন হয়, সেটা আপনার জন্য ভাল।
যদি মেডিটেশন পারেন, দিনের যেকোনো
একটা নির্দিষ্ট সময়ে মেডিটেশন করুন। না
পারলে শিখতে পারেন। মেডিটেশন শেখার
জন্য ইন্টারনেটে প্রচুর কনটেন্ট পাবেন, এবং
বাংলাতেই পাবেন। কোয়ান্টাম মেথডের
ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
নিয়মিত মেডিটেশন করলে আপনার মন শান্ত
থাকবে এবং মনের উপরে নিজের নিয়ন্ত্রণ
থাকবে। মন আপনাকে চালাবেনা, আপনিই
মন কে চালাবেন।
নামাজ পড়ার অভ্যাস থাকলে ভাল, নয়তো
নামাজে মন দিতে পারেন, এতেও মন শান্ত
এবং পরিশুদ্ধ থাকবে। আপনি যে ধর্মের
অনুসারীই হোন না কেন, নিজ নিজ ধর্মীয়
অনুশাসন এবং ধর্মীয় উপাসনাতে মনোযোগ
দিলে মনের পরিশুদ্ধি এবং পবিত্রতা ফিরে
আসবে। যারা সত্যিকার অর্থে ধর্মীয়
অনুশাসন মেনে চলে, তাদের জন্য পর্ণ
আসক্তি থেকে দূরে থাকা টা কোনো
ব্যাপার ই না।
পর্ণ দেখার প্রতি কোন কোন জিনিস গুলো
আপনার মনকে ট্রিগার করে, সেগুলো মার্ক
করুন। সেটা হতে পারে কোনো ভিডিও গান,
পিসিতে থাকা নাইলা নাইম সানি লিওন
কিংবা অন্য কোনো মডেলের ছবি যা দেখার
সাথে সাথে আপনার ভেতরে লাস্টি মুড
তৈরি করছে। মার্ক করার পর সেগুলো পিসি
থেকে ডিলিট করুন এবং এই টাইপ যতগুলো
জিনিস আছে যা আপনাকে পর্ণ দেখার প্রতি
ট্রিগার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো থেকে
দূরে থাকুন। আমি জানি পর্ণ থেকে দূরে
থাকার জন্য অনেকেই এই পোস্ট টি পড়বেন,
তারপর আবারো আগের জায়গাতে ফেরত
যাবেন। কারন এই ছোট ছোট ট্রিগার গুলো
থেকে দূরে না থাকতে পারা। হয়তো
ভাবছেন, আরে দূর! এসব ছোট খাটো ব্যাপার
নিয়ে ভাবলে চলে। কিন্তু আসল কথা হল, এসব
ছোট খাটো ব্যাপার থেকেই বড় বড়
ব্যাপারগুলোর সূত্রপাত হয়। তাই এই
ট্রিগারগুলো ফাইন্ডআউট করে সেগুলো থেকে
যদি দূরে থাকতে পারেন, সেটা আপনার জন্য
মঙ্গল বয়ে আনবে।
খেয়াল করুন, পর্ণ দেখার প্রতি আগ্রহ টা কখন
তৈরি হচ্ছে- যখন আপনি লোনলি ফিল
করছেন, যখন ক্ষিধে পাচ্ছে, যখন কারো কাছ
থেকে বা কোনো কারনে কষ্ট পাচ্ছেন, যখন
ক্লান্ত থাকছেন, যখন আপনি কোনো কিছুর
উপর রেগে থাকছেন, নাকি যখন সবকিছু
বোরিং লাগছে। পর্ণ দেখার প্রতি আগ্রহ বা
ইচ্ছে তৈরি হবার পেছনে এরকম কিছু কারন
থাকে। আপনার মূলত কোন কারনে পর্ণ দেখতে
ইচ্ছে হচ্ছে সেটা ফাইন্ডআউট করুন এবং সেই
কারন বা সমস্যা টাকে সলভ করতে চেষ্টা
করুন। কারন আপনি যখন বোর হচ্ছেন, লোনলি
ফিল করছেন, কোনো কারনে কষ্ট পাচ্ছেন…
এগুলো আপনার মনে এক ধরণের শূন্যতা তৈরি
করছে, ফলে মন সেই শূন্যতাকে পূরন করার জন্য
বিকল্প হিসাবে পর্ণ কে বেছে নিতে বলছে।
কম্পিউটার টেবিলের উপরে মনিটরের
আশেপাশে মা, বোন সহ ফ্যামিলি
এ্যালবামের ছবি রাখুন। ল্যাপটপে কাজ
করলে নিজ অবস্থান থেকে চোখে পড়ে এমন
জায়গা ওয়ালের এক সাইডে অথবা দুই
সাইডের ওয়ালে ফ্যামিলি বা ধর্মীয় ছবি
রাখুন। এটা মনের প্রতি এক ধরণের প্রেশার
ক্রিয়েট করবে। মনিটর বা চোখের সামনে
যখন এই ছবিগুলো থাকবেন, পর্ন দেখার সময়
এক ধরনের গিল্ট বা অনুশোচনা তৈরি হবে
মনের মধ্যে।
ঘরের থেকে বাইরে বেশি সময় কাটাতে
চেষ্টা করুন। কম্পিউটার এবং মোবাইলের
স্ক্রিনের সামনে সময় কমিয়ে আউটডোর
লাইফে সময় বেশি দিন। খেলাধুলা করুন এবং
বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিন। ব্যস্ত সময়
কাটাতে চেষ্টা করুন। আর যদি ঘরে সময়
কাটাতেই হয়, তবে একা একা সময় না
কাটিয়ে পরিবারের মানুষদের সাথে আড্ডা
দিন, গল্প করুন অথবা কাজের মধ্যে নিজেকে
ব্যস্ত রাখুন। অলস মস্তিস্ক শয়তানের
কারখানা। বেশিরভাগ মানুষ ই মূলত
বোরিংনেস কাটাতে পর্ণ দেখা শুরু করে
এবং এক পর্যায়ে সেটা আসক্তিতে রূপান্তর
লাভ করে।
এর পরের প্যারা টি কাপলদের জন্য। রিকশার
হুডি কিংবা পার্কের চিপা-চাপায় বসা
কাপল না, ম্যারিড কাপল দের কথা বলছি!
সো সিঙ্গল রা কিছুক্ষণের জন্য আপাতত
সাইড চাপেন!
অনেক বিবাহিত ভাই এবং আপুদের কাছ
থেকে তাদের ম্যারিড লাইফের নানা
সমস্যার কথা শুনি। পর্ণের কারনে তাদের
সেক্সুয়াল লাইফেও নানা ধরণের সমস্যা
তৈরি হয় যেটা পূর্বের পোস্টে আলোচনা
করেছি। অনেক কাপলের কথা শুনেছি, যারা
ইন্টারকোর্সের সময় বা ইন্টারকোর্সের আগে
পর্ণ দেখতে পছন্দ করে।
কারন হিসাবে অনেকেই বলেছে, বিয়ের বয়স
অনেকদিন হয়েছে তো-ওগুলো না দেখলে মুড
আসেনা! এগুলো মূলত পুরুষদের মধ্যেই আগে
সীমাবদ্ধ ছিলো। এখন অনেক বিবাহিত
মেয়েরাও ইন্টারকোর্সের আগে বা
ইন্টারকোর্স চলাকালীন সময় পর্ণ দেখতে
ভালবাসে। কারো কারো পর্ণ এর প্রতি
ভালোলাগা টা এ্যাডিকশনের পর্যায়ে চলে
গেছে।
তাদের অনেকেই একই লজিক দেখায়-না
দেখলে মুড আসেনা! শুধু তাই নয়, অনেকে
ইন্টারকোর্সের প্রথম ইনিংস শেষ হবার পর
সেকন্ড ইনিংসের মুড তৈরির ট্রিগার
হিসাবে পর্ণ দেখেন।
কিন্তু একটা জিনিস কি ভেবেছেন, চোখের
সামনে স্বামী বা স্ত্রীর নিরাবরণ দেহ
থাকা স্বত্তেও পর্ণের উপর ডিপেন্ডেন্সি
তৈরি হয়ে গেলে কয়েক বছর পর কি অবস্থা
দাড়াবে?
একটা সময় পর্ণ ছাড়া ইন্টারকোর্সের মত
মর্যাদাপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ তখন ওয়ানডে তেও
গড়াবেনা, টি-টুয়েন্টির মত কয়েক মূহুর্ত আনন্দ
দিয়েই শেষ হয়ে যাবে। এবং বলা বাহুল্য,
আনন্দ টা তখন একপাক্ষিক হবার সম্ভাবনাই
বেশি থাকবে! আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী
আপনাকে উত্তেজিত করতে পারছেনা, যেটা
পর্ণের মোহময়ী নারী বা পুরুষ পারছে। সে
আপনার জন্য যথেষ্ঠ না, কারন দুজনের একান্ত
মূহুর্তগুলোতেও তৃতীয় পক্ষ তথা পর্ণের হেল্প
নিতে হচ্ছে।
সঙ্গী বা সঙ্গিনী চোখের সামনে থাকা
স্বত্তেও যখন পর্ণ এর মাধ্যমে এ্যারাউজড
হতে হয়, সেটা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর জন্য কতটা
লজ্জ্বাদায়ক এবং অপমানজনক সেটা ভেবে
দেখেছেন?
তাই ইন্টারকোর্সের সময় বা পরে পর্ণ এর
দারস্থ না হয়ে, আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনীর
দিকে নজর দিন। তার সৌন্দর্য্য গুলো
এ্যাপ্রিসিয়েট করুন। তার সাথে খোশগল্প
করুন, জোকস বলুন, ফান করুন। এভাবে দুজনের
একান্ত মূহুর্ত গুলো আরো আনন্দময়, আরো
উপভোগ্য করে তুলুন।
মনে রাখুন, পর্ণ আসক্তি থেকে দূরে থাকা টা
কোনো জাদুর চেরাগের মত নয় যে ইচ্ছে
করলাম ব্যস হয়ে গেলো। এই পোস্ট পড়ার পর
আজ কম্পিউটার বা মোবাইলের মেমরি কার্ড
থেকে সব পর্ণ ডিলিট করলেন, গুগলের সেফ
সার্চ অন করলেন, পর্ণ ওয়েবসাইট ব্লকের জন্য
সফটওয়্যার ইন্সটল করলেন… ব্যস কাজ কিন্তু
এখানেই শেষ নয়! ডে বাই ডে আপনাকে এটার
জন্য স্ট্রাগল করতে হবে। নিজের সাথে ফাইট
করতে হবে। মাঝেমাঝে হয়তো ব্যর্থ হবেন,
কিন্তু প্লীজ দমে যাবেন না বা হাল ছাড়বেন
না। চলার পথে হোচট খাওয়া কে স্বাভাবিক
ভাবে দেখুন এবং আবার উঠে দাড়িয়ে নতুন
উদ্যমে নিজের লক্ষ্যের দিকে আগান।
আপনি নিজেকে হান্ড্রেড পার্সেন্ট
পারফেক্ট করার জন্য এটা করছেন না। করছেন
নিজের বর্তমান অবস্থা থেকে উন্নতির জন্য।
পরিশেষে আপনাকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ
নিজেকে চেঞ্জ করতে চাচ্ছেন সেজন্য।
ধন্যবাদ আপনার এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের
উপায় খুজছেন সেজন্য। নিজেকে চেঞ্জ করার
মাধ্যমে আপনি এই সমাজ এবং পৃথিবী টাকে
বেটার প্লেস হিসাবে তৈরি করছেন।
আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন ব্লগার স্বর্ণমৃগের লেখাটি http://i-onlinemedia.net/archives/6316
বাস্তবে দেখতে কেমন পর্ণ ছবির তারাকারা দেখতে এখানে ক্লিক করুন http://www.priyo.com/2014/12/28/125775.html
ভারতে এমন কি দেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে সাইটগুলো প্রমাণ এখানে
http://www.dainikpurbokone.net/14438
আইন করে নিষিদ্ধ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র Click This Link
শিক্ষিত যুব সমাজ কিভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে Click This Link
আসুন জেনে নিই, বিঞ্জানীরা কি বলে,
বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসকদের গবেষণায় দেখা
গেছে, যে সব পুরুষ নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখেন বা
সেক্সুয়াল ইমেজ নিয়ে নিয়মিত নাড়া চাড়া
করেন, তাদের ব্রেনের আকার পরিবর্তিত হয়ে
সাধারণ পুরুষের ব্রেনের চাইতে আকারে ছোট
হয়ে যায়।
জামা সাইকিয়াট্রি জার্নালে এক স্টাডির
রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়।
চিকিৎসকগণ তাদের গবেষণায় সাধারণ পুরুষদের
ব্রেনের সাথে পর্ণ ছবি দেখতে অব্যস্থ পুরুষদের
ব্রেনের তুলনা করে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন
বলে জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের গবেষণায় তারা
সেক্স্যুয়াল ইমেজ ও সেক্স্যুয়ালি যারা বেশী
জড়িত তাদের ক্ষেত্রে এমন রিপোর্ট তারা
পেয়েছেন তবে তারা এটাও বলছেন, পর্ণ ছবিই
দেখা কেবলমাত্র ব্রেনের সাইজ ছোট বা
পরিবর্তনের জন্য একমাত্র কারণ কিনা সে
সম্পর্কে তারা এখনো নিশ্চিত নন।
এইসব বিশেষজ্ঞদের মতে ষ্ট্রিয়াটোম নামের
একপ্রকারের সেনসিটিভ বিকল্প থিওরি যা
পর্ণগ্রাফিতে মানুষকে আসক্ত করে, সেইসকল
পুরুষদের ব্রেইন আকারে পরিবর্তন এনে থাকে বলে
তাদের ধারণা।
বার্লিনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনিষ্টিটিউটের ডঃ
সাইমন কোহন, যিনি এই পেপারের অথর ও লিড
গবেষক তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত গবেষণায়
এ সম্পর্কে তাদের কাছে একমাত্র কারণ হিসেবে
চিহ্নিত নয়, তাই এ ব্যাপারে এর বেশী কিছু
তারা বলতে পারছেননা।
ডঃ কোহন এবং তার অনুসারীরা জার্মানির
চারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল প্রায় ৬৪ জন
সুস্থ সুঠাম দেহের পুরুষ যাদের বয়স ২১ থেকে ৪৫ এর
মধ্যে, তাদের উপর গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে
প্রাথমিক তথ্যে উপনীত হয়েছেন, তারা দেখতে
পেয়েছেন, সুস্থ সুঠাম দেহের পুরুষদের ব্রেনের
তুলনায় যারা পর্ণ ছবিতে আসক্ত, তাদের ব্রেনের
আকার ছোট গয়ে আছে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ডঃ গ্রে টাও মনে
করেন, তাদের এই প্রাপ্ত তথ্য তেমন বিস্ময়কর নয়
এই কারণে যে, অধিকহারে পর্ণতে আসক্তি
পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত: এমন হতে পারে। তবে
নারীদের ক্ষেত্রে এমন কোন গবেষণার তেমন
কোন তথ্য উপাত্ত এখনো অনাবিষ্কৃত। তিনি
বলেন, ডঃ কোহন ও তার দল বলছেন, তাদের তথ্যে
তারা এখনো নিশ্চিত নন কেবল মাত্র পর্ণ
আসক্তিতেই ব্রেনের আকার ছোট হয় কিনা- এমন
তথ্য নিশ্চিত নন তারা।
ডঃ গ্রে টাও মনে করেন, অন্যান্য আনুষঙ্গিক
সাইকোলজিক্যাল কারণের সাথে অধিক হারে
পর্ণতে আসক্তির কারণে কিংবা উভয় কারণে
ব্রেনের আকার পরিবর্তন হতে পারে।
তবে ডঃ কোহন এবং তার দল পর্ণ আসক্তিতে
ব্রেনের উপর প্রভাব নিয়ে আরো বেশী গবেষণা
করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন, যা তারা ভবিষ্যতে
আরো বেশী হারে স্টাডি করার প্রয়োজনীয়তার
উপরও গুরুত্বারোপ করেছেন।
পর্ণ সামাজিক অবক্ষয়, বাবা কতৃক মেয়ে ছিঃ Click This Link
পর্ণো ইস্যুতে ব্লাগারদের জন্য গুগুলের সতর্কতা Click This Link
প্রতিদিন প্রায় ৫ লাখ পর্নোগ্রাফিক ছবি
পোস্ট হয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে।
আর এসকল ছবি দেখছে শিশুরাও। কিন্তু
ডেইলি মেইল জানয়েছে, টুইটার এসকল ছবি
মুছে ফেলতে আগ্রহী নয়।
টুইটারে একটি টুইটের মাধ্যমেই লাখ লাখ
অনুসারির কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়। আর
পর্ণ কন্টেন্ট বিষয়ে টুইটারে কোন
ক্লাসিফিকেশন না থাকায় খুব সহজেই এসব
ছবি চলে যাচ্ছে শিশুদের নাগালের মধ্যে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে
এই তত্য জানা গেছে। সাধারণত ফেসবুক
কিংবা ইউটিউবে অ্যাডাল্ট কন্টেন্টের
ব্যাপারে রিপোর্ট করা গেলেও টুইটারে সেই
সুযোগও নেই। কিন্তু এরপরও এসকল কন্টেন্ট
সরাতে আগ্রহী নয় টুইটার।
সূত্রঃঢাকা রিপোর্ট/১৫-ইএন
এই মহামারী ভাইরাস থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন ৷ আমীন ৷
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫০
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: Click This Link