নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯) ৭।শহরনামা (উপন্যাস, মাওলা ব্রাদার্স, ২০২২), ৮। মুরাকামির শেহেরজাদ ও অন্যান্য গল্প (অনুবাদ, ২০২৩), ৯। নির্বাচিত দেবদূত(গল্পগ্রন্থ, ২০২৪), ১০। দেওয়ানেগির চল্লিশ কানুন/ফরটি রুলস অফ লাভ (অনুবাদ, ঐতিহ্য, ২০২৪)
আলেম ওলামাদের দোয়া আমাদের মতো সাধারন মানুষদের যতটুকু প্রয়োজন, ইদানিং মসজিদের ইমাম খতিবদের আলোচনা শুনলে আমার মনে হয়, আমাদের মত সাধারন মুসলিমদের দোয়া তাদের, তার চে' আরও বেশি প্রয়োজন।
.
খুঁজে খুঁজে মুহাক্কেক আলেমদের পেছনে নামাজ পড়া আমার ছোটবেলার অভ্যাস। একটা সময় পর্যন্ত তাদের চোখ বুজে অনুসরন করতাম। তারপর আমাকে "শয়তান ধরলো" , এখন তাদের অনেক কার্যক্রম বুঝি না। শয়তান মনের মধ্যে খালি প্রশ্ন তৈরি করে দেয় তাদের কথাবার্তা, কাজকর্ম সম্পর্কে।
.
আজ যে মসজিদে জুমা পড়লাম, তা কওমি ঘরানার। হুজুর খুতবার পূর্ববর্তী ওয়াজের ৯৫% সময় বাংলাদেশের আহলে হাদিস সম্প্রদায়কে গালি দিলেন। তার মতে মদিনায় গিয়ে আহলে হাদিস ফিরকার আলেমরা "দাঁড়ি চাঁছা ইউরোপীয়" শিক্ষকদের কাছে গিয়ে কোরআন হাদিস শেখে। আহলে হাদিস ফিরকার আলেমদের প্রধান একজনের নাম ধরে বললেন, ওনার কোরআন তিলাওয়াতই শুদ্ধ হয় না। আহলে হাদিসরা যে নামাজে দাঁড়িয়ে বুকের উপর হাত বাঁধে, এটা নারীদের নামাজের নিয়ম। যে সমস্ত পুরুষ নামাজে দাঁড়িয়ে এভাবে হাত বাঁধে, তারা আসলে জন্মের পর ঠিকঠাক বাবার সংস্পর্শ পায় নাই। মায়ের কাছ থেকে নামাজ শিখেছে বলেই এভাবে মহিলাদের মতো হাত বাঁধে। ঘোড়ার লেজ ঝাঁকি দেয়ার মতো করে নামাজে রফে ইয়াদায়িন (আল্লাহু আকবর বলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবার হাত তোলা) করে। আহলে হাদিস ফিরকা মূলত সিহাহ সিত্তাহকে অনুসরন করে বলে সিহাহ সিত্তাহ ব্যতিত অন্যান্য হাদিসের কিতাব (যার একটার নামও তিনি ঠিকভাবে বলতে পর্যন্ত পারলেন না) এর প্রশংসা করতে গিয়ে, আমার বিবেচনায় তিনি সিহাহ সিত্তাহকে অপমানও করে বসলেন, তার কথার টোনে।
.
এদিকে আমার পাশে যে লোকটা নামাজ পড়তে বসেছিল, সে, আর আমি দুজনেই আমাদের গ্রিন মডেল টাউনের তরফ থেকে বানানো মসজিদে ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়ি। কিন্তু জুমা পড়ি না। কারন জুমা পড়ান আমিন মোহাম্মদ লিমিটেডের এক কর্মচারী, যে সারসিনার পীরের মুরিদ, আলিয়া মাদ্রাসায় পড়েছেনও অতীত জীবনে, কিন্তু প্রাক্টিসিং আলেম না। আমিনে চাকরীর সুবাদে জোর করে জুমা পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। তার নামাজ পড়ানোর উদ্ভট কায়দাকানুন আছে। নামাজের শুরুর আগে যে একামত দেয়া হয়, সে সময় উনি মুসুল্লিদের দাঁড়াতে দেন না। হাদিসে নাকি আছে (সূত্র দেন না উনি কখনো, খালি বলেন হাদিসে আছে), একামতে 'হাইয়া আলাস সলাহ' উচ্চারন করার আগে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। এছাড়াও বাজারি ওয়ায়েজদের মতো কথায় কথায় "ঠিক কি না বলেন?" - এই প্রশ্ন করেন। জবাবে সবাইকে চিল্লায়ে বেশক বলতে হয়। জোরে জোরে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়, নইলে উনি অভিযোগ করেন মুসুল্লিদের ইমানি জোশ আর জজবা নিয়ে। প্রতি জুমায় মুসুল্লিদের বিবিধ বিষয়ে হাত তুলিয়ে প্রতিজ্ঞা করান, "হে ভাইয়েরা আপনারা হাত তুলেন, প্রতিজ্ঞা করেন আজকে বাড়িতে গিয়ে অমুক কাজটা শুরু করবেন ..."। আমি যে পরিবেশে দ্বীন শিখেছি, তার সঙ্গে সারসিনার পীরসাহেবের এই মুরিদের দ্বীন - ইসলাম মেলে না। ফলে তার পেছনে জুমা পড়ি না আমি। আমার মতো আমাদের মহল্লার অনেকেই তার পেছনে জুমা না পড়ে একটু দূরের মসজিদে গিয়ে জুমা পড়েন। আজকের জুমায় আমার পাশে বসা লোকটিও একই কারনে সম্ভবত পড়েন না এলাকার মসজিদে জুমা।
.
ওনার বয়স চল্লিশের কাছাকাছি, কিন্তু খুবই পাকা মুসুল্লি। হাত বাঁধেন বুকের ওপর, রফে ইয়াদায়িন করেন বোধয়। আমার এসব নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু যেই সারসিনার পীরের মুরিদ আমিনের কর্মচারীর পেছনে নামাজ না পড়ার ইচ্ছা নিয়ে তিনি এক কওমি আলেমের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালেন, সেই কওমি আলেম তো আজ তাকে রীতিমত অপদস্থ করে ছাড়লো!
.
খেয়াল করেছেন কি না জানি না, এই ঈদে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা যারা রাস্তাঘাটে ফুর্তি আনন্দ করে বেড়াচ্ছিল, তাদের প্রায় সবার হাতে ছিল খেলনা বন্দুক। আমাদের মুগদা, বাসাবো, খিলগাঁও এলাকা ছেয়ে গেছে এই খেলনা বন্দুক দিয়ে। রবারের গুলি বেরোয়। রাস্তার দুপাশে তারা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গোলাগুলি করে। আমরা রিকশা নিয়ে আল্লাখোদার নাম জপতে জপতে পার হই, রবারের গুলি গায়ে না লাগে যাতে।
.
এই বাচ্চাগুলি বড় হলে প্রথম সুযোগে অস্ত্র হাতে তুলে নেবে। ভায়লেন্সের চর্চা করবে।
.
বাংলাদেশের আলেম সমাজের এক বড় অংশের এই বাচ্চাগুলির, অথবা তাদের মসজিদগামী পারিবারিক মুরুব্বিদের চরিত্র সংশোধনমূলক বক্তব্য রাখার সক্ষমতা নেই। তাদের রাহবার হবার সক্ষমতা নাই। আছে কেবল নামাজে হাত কই বাঁধবে তা নিয়ে লড়াই ঝগড়া করার মুরোদ।
.
তাই বললাম, আমরা আলেমদের কাছে দোয়ার যতটুকু মোহতাজ, বাংলাদেশের আলেম সমাজ ইদানিং তার চে' বেশি মোহতাজ আমাদের কাছে। দোয়ার জন্যে। পয়সাকড়ির জন্যে তো বটেই।
০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:১১
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে এবং বইটার হদিস দেয়ার জন্যে। এই বইটার নাম শুনলেও পড়া হয় নি, পড়বো হয়তো ভবিষ্যতে। আমি আসলে ইতিহাস, আর দর্শনের বই বেশি পড়ি। ইসলামিক বইপত্র পড়ার ক্ষেত্রে তাফসিরের পর ঐ ইতিহাস বা দর্শনের বইই বেশি পড়া হয়। সমসাময়িক লেখকদের মধ্যে তালাল আসাদ, বা তারেক রামাদানের লেখা পড়ি সময় পেলে। শুভকামনা আপনার জন্যে।
২| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ইমামরা একটি সমাজের মূল নেতা। সমাজের আসল নেতারা কি ইমামকে সে ক্ষমতা দেন? দেন না। অধিকাংশ ইমাম নিজেদের মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলদের চাকুড়ে মনে করেন। অথচ ইমামের দায়িত্ব হলো হক কথা বলা।
অন্য বিষয় হলো মৌলভীবা সাহবরা ১০/১৫ তরিকায় বিভক্ত। গ্রুপিংয়ের অন্তর্ভুক্ত।নিজেরা মারামারি কাটা কাটি তে লিপ্ত। তারা অন্যের করা অশোভন কর্ম বন্দ করেন কিভাবে?
পোস্টে দেশের অধিকাংশ মসজিদের শুক্রবারের বাস্তব একটি চিত্র ফুটে উঠাতে পোস্টটি সময়োপযোগী হয়েছে। ব্লগে সমসাময়িক ভালো পোস্ট আসতে থাকুক।
৩| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪
জ্যাকেল বলেছেন: আমি মোটেও মনে করি না যে মোল্লারা ইসলামের ইজারাদার। ইহাদের হাত থেকে ইসলাম বাঁচানোই উচিত বলে আমি মনে করি। চরিত্রগত যেইসব সমস্যা আছে তা নাইবা বললাম, কোরআনে আল্লাহ যেই যেই বিষয়ে ফোকাস করতে বলেছেন সেইগুলাকে উহারা ব্লার করে হাদীসের নাম দিয়ে যত সব অনৈসলামি জিনিসের ওপর এরা আমল করে, করতে বলে। না আছে ইলম, না আছে আমল। এরা আলিম বলেই আমি স্বীকার করি না।
০৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভাই, এটা মোটের উপর জেনেরালাইজড একটা মন্তব্য করলেন। আমার এভাবে ঢালাও ভাবে সবার ব্যাপারে ইলম - আমল নাই, এরকম মন্তব্য করার সাহস নাই। তাদের কাছ থেকেই তো নামাজে দাঁড়ানো, কোরআন শরীফ পড়া থেকে নিয়ে দ্বীনের খুঁটিনাটি সব শিখেছি। যেটা বোধ করি, সময় যত এগোচ্ছে, সবকিছুর একটা অবনমন হচ্ছে। আলেম ওলামারাও এই অবনমন থেকে বিচ্ছিন্ন নন। তাদের ক্ষেত্রে এই অবনমন আলাদাভাবে চোখে লাগে, কারন তাদের অনুসরনকে তারা আমাদের পরকালে পরিত্রান লাভের মাধ্যম হিসেবে প্রচার করেন। শুভেচ্ছা, শুভকামনা।
৪| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫০
আশাবাদী অধম বলেছেন: এইসব বিভক্তি সৃষ্টি কারি আলেমদের ধরে ধরে বিজেপি আরএসএস- নেতাদের বক্তব্য এবং প্রোপাগান্ডা গুলো শোনানো উচিত।আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশেই গরু জবাই নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। আর এরা তো আছে জোরে আমীন আস্তে আমিন নিয় বাংলাদেশে ইসলামপন্থী ধারাগুলোর বেরেলভী ধারা একটু বেশি বেয়াড়া। এর বাইরে অন্যদের মধ্যে ঐকমত্য হওয়া সম্ভব। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা।
০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৮:২২
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভাই, আমি যেটা বুঝি, ইসলাম নিয়ে ৩৬০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল থেকে কারো কোন চিন্তা নাই। ধরেন আমি সাধারন একজন কর্মজীবী, ইসলাম আমার রুটি - রুজির মাধ্যম না। কিন্তু আলেমদের এই যে বিবিধ ঘরানা, ইসলাম তাদের বিক্রি করা লাগে। যাকাতের পয়সা থেকে নিয়ে সাধারন দান সদকা নিয়ে আন্তঃ গ্রুপ কলহ তো আছেই। আমি যেমন আকাবিরে দেওবন্দদের সম্মানের চোখে দেখি, কিন্তু সেই আকাবির, বা আকাবিরদের পরবর্তী প্রজন্মও এখন আর নাই। এখানে ওখানে দু'একজন আলেম টিম টিম করে প্রদীপের মতো আলো ছড়াচ্ছে। এনাদের ছাড়া কওমির সুবিশাল এক জনগোষ্ঠী স্রেফ ওয়েস্টেজ মনে হয়। বেরেলিদের নিয়ে আলাদা কিছু বলতে আগ্রহ হয় না, কারন, এই পন্থাটা মোটামুটি বংশ পরম্পরায় এগোয়। হুট করে একজনের পক্ষে বেরেলি হওয়া মুশকিল। আর, মৌলভি আহমদ রেজা খানের পর (সত্য মিথ্যা যাই হোক না কেন) বেরেলি ধারার লেখালিখির ধারাও প্রায় বন্ধ।
৫| ০৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগলো। মোহতাজ মানে বুঝিনি।
চিটাগাং রোডের সবগুলো মসজিদ কওমি ঘরানার। তাদের জুম্মার বয়ান শোনার পরামর্শ রইলো। সেই বয়ান / খুৎবা শুনে যা লিখবেন তা বেশ উপভোগ্য লেখা হবে মনেকরি।
০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৮:২৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মোহতাজ মানে মুখাপেক্ষী। আপনি কোন অর্থে চিটাগাং রোডের কওমি ঘরানার মসজিদে নামাজ পড়তে বললেন, ধরতে পারছি না। আমার জন্ম, বড় হওয়া পুরান ঢাকার ফরিদাবাদ, ঢালকানগর এলাকায়। দেশের সবচে পুরাতন এবং বড়, এবং প্রভাবশালি একটা কওমি মাদ্রাসা, ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ এখানে অবস্থিত। করাচির হাকিম মুহাম্মদ আখতার সাহেব রহঃ এর খলিফাদের অনেকেই এই এলাকায় থাকেন। আমার ওনাদের সংস্পর্শেই ইসলাম শেখা শৈশবে, কৈশোরে। এনারা মূলত আশরাফ আলী থানভি রহঃ এর অনুসারি। হুসাইন আহমদ মাদানি রহঃ এর খলিফা হাটহাজারি মাদ্রাসার মোহতামিম আহমদ শফি সাহেব, বা আরও অন্যান্য আলেমরা অন্যান্য কওমি মাদ্রাসার দায়িত্বে আছেন হয়তো। এই দুই সিলসিলাই গিয়ে মেলে হাজি এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কি রহঃ এর সঙ্গে, যিনি দেওবন্দি আন্দোলনের রুহানি গুরু। কিন্তু সবকিছুই শুকিয়ে গেছে টাকা পয়সা আর পার্থিব চাওয়া পাওয়ার কাছে।
এর বাইরে, আপনার চিতাগং রোডের আলেমরা আলাদা কি বক্তব্য রাখেন?
নাকি আপনি গায়রে মুকাল্লিদ বা বেরেলি ঘরানার?
৬| ০৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: @জ্যাকেল ভাই আমার মনের কথা বলেছেন।
৭| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৪৭
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: @লেখক ভাই, চিটাগাং রোডের মসজিদ গুলোতে আলাদা / নতুন / ভিন্নতর / অভূতর্পূব ধরনের বক্তব্য রাখেন।
আমার ধারণা, ওখানে প্রচুর মাদ্রাসা। জুম্মাবারে মাদ্রাসার ছাত্ররা, তাদের অভিভাবকেরা আসেন। তাই এই ইমামরা এক ধরনের মানসিক চাপে থাকেন নিজেকে প্রমাণ / প্রচার করার জন্য।
আগত মাদ্রাসা ছাত্র / অভিভাবকদের চেয়ে বেশী জানেন, বেশি যোগ্য - এটি জাহির করার তাগিদ থাকে।
আমি চকবাজারের। কার্যোদ্দেশ্যে প্রায়ই চিটাগাং রোড, সিদ্ধিরগঞ্জ, আদমজী যাওয়া পড়ে। এই পৌঢ় বয়স অব্দি যা শুনিনি এমন টপিকও ওখানে শুনি। যা র্নিদ্বিধায় হজম করা যায় না।
তাই বলছিলাম আপনি অনেক চিন্তার খোরাক পাবেন। আমরা পাবো এই ব্লগের মাধ্যমে আপনার চমৎকার লেখণী।
০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার কন্সারনটা বুঝতে পেরেছি এবার। শুভকামনা আপনার জন্য।
৮| ০৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
হাসান রাজু বলেছেন: ইসলাম চিবিয়ে খাবে ইমাম, হুজুররা।
ইদানীং দেখছি, মসজিদের কমিটিতে যাদের দেখা যায় তাদের একেকটা সমাজের ভয়াবহ সব জাঁদরেল। ইমাম সাহেব সব সময় মাথা নিচু করে তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকেন।
জুম্মার নামাজের একটা বড় সময় পার করেন মসজিদের উন্নয়নের টাকা উঠাতে। আজগুবি আজগুবি সব গল্প বানিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছেন ইমাম সাহেব। কেউ জিজ্ঞেস করার নেই উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হবে কবে? সবাই যেন মেনে নিয়েছে অনন্ত কাল পর্যন্ত চলবে সেটা।
০৮ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আমার এক ছাত্র এই পোস্টটা ফেসবুকে পড়ার পর, পারলে অনলাইনেই আমার কল্লা নামায়ে দেয়। ওর মতে, দাঁড়ি - টুপি - জোব্বা পড়ুয়া দরসে নিজামির পাঠ নেয়া যে কেউই ইসলামের সমার্থক। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যদি ধর্ম ব্যবসায়ি হয়, অথবা ইসলামের নামে কোঁদল করে বেরায়, তবুও তাদের বিরুদ্ধে একটা বাক্য লিখলেও তা ইসলাম অবমামনা। ইসলাম মানেই লেবাসধারী হুজুর - এই ইকুয়েশনটা জগদ্দল বোঝার মতো চেপে বসেছে আমাদের সমাজে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
সাজিদ! বলেছেন: প্রথম কয়েকলাইন পড়ে চোখ বন্ধ করে লাইক। বাকিটুকু পড়ছি আস্তে আস্তে। এইভাবে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করলে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে মাতামাতি করলে শুধু সন্তান উৎপাদন করেই বাকিদের পেছনে ফেলে দেওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। অথচ পশ্চিম থেকে লোকেরা একসময় আরবে আসতো বিজ্ঞান, জ্ঞান ও আবিষ্কারের খোঁজে। দ্যা প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইটা পড়েছেন ? যদিও আপনার জন্য এই ধরনের বই বিশাল কিছু না, আমার পড়ে বেশ লেগেছিল।