নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বয়ী ইন্দ্রিয়ানুভূতির ওপর বিশ্বাস না করলে কোন জ্ঞানই আয়ত্ত করা যায় না । ইন্দ্রিয় হয়তো অনেক ভুল করায় , কিন্তু বারংবার চর্চা দ্বারা তাকে সংশোধন করে উৎকর্ষ লাভ করা সম্ভব।
এই করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হবার পরে বোঝা যাবে যে "ঔষধ মানুষের জীবন বাঁচায়" অথবা "ঔষধ পুজিপতির পকেট ভারী করে"- এ দুই বচনের মধ্যে কোনটা সত্য ! আর বিজ্ঞানবাদীরা আশা করে বসে আছেন যে করোনার ঔষধ আবিষ্কার করে তাদের সাধের বিজ্ঞান বুঝি সামন্তীয় নানান কুসংস্কারে আঘাত হেনে সিস্টেমকে উদার করবে। দাসপ্রথাকে ছূড়ে ফেলে একেশ্বরবাদ এসেছিল সেভাবে বুঝি যুক্তি আর বিজ্ঞানের যাদুর ছোয়ায় মানুষ হকিং নাম জপে জপে ফ্রি ফ্রি ঔষধ খাবে তারা তালতলায় ড্রোনের ডেলিভারি আসা কফির কাপে চুমুক দেবে । সত্যিকার অর্থে বিজ্ঞান আশানুরুপভাবে বিকাশ করতে পারেনাই। বরং চারটা শিল্পবিপ্লবের মূল চালিকাশক্তিতো ঐ বিজ্ঞানই, জন্ম থেকেই পুজির দাসরুপে কাদছে। এ নিয়ে তাদের কোন কথা নাই কেন। সার্স, মার্সের মত এরকম একটা ভাইরাস হানা দিবে তা-কি ঐ বিজ্ঞানীরা জানতো না? অবশ্যই জানত তবুও ভ্যাক্সিন তারা বানায় নাই, তারা এই দশ বছর কোম্পানির ফর্মুলায় কি বানাইছে? ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম, ডিলডো, সেক্স ডল, উন্নত মিসাইল, আর নিখুত নিশানার রাইফেল-বন্দুক, তাইনা? বিজ্ঞানবাদ বলে বলে এর অনুসারীরা এখন পর্যন্ত যা দেখাইছে তা হইল যেকোন দুর্যোগে কিভাবে ধর্ম পালনকারী মানুষ বিজ্ঞানীদের কাছে কারিগরী জ্ঞানে পরাজিত হবে এইসব অসুস্থ কল্পনা করে করে। এই বিজ্ঞানবাদের তো মেনিফেস্টো আছে বলে জানিনা। তাদের কাছে হয়ত ম্যানুয়াল থাকার কথা, অনেক আশাবাদের ম্যানুয়াল। নাকি বিজ্ঞান শুধু প্রোডাকশ বাড়ানোর ম্যানুয়াল। বিজ্ঞান নিয়া আমারো ছিল আশাটাশা এককালে। এখন নাই। অনেক বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ফার্মাসিস্টদেরকেই তো ধর্মপালন করতে দেখি, তার সত উপায়ে অর্থপ্রাপ্তিতে খুশি হয়ে বিজ্ঞানী অবিজ্ঞানী সবাই প্রার্থনাও করবে এটাই স্বাভাবিক। এমনকি ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানের চারিদিক জয় করার এ আশাবাদী কার্টুনটাও আসলে চিত্রিত প্রার্থনা ছাড়া আর বিশেষ কিছুই মনে হয়নাই।
পুজির করতলে যে যা করার কথা না সে তো তাই করছে, বিজ্ঞানী বানায় বোমা, চিত্রকর হয় দোকানদার, গিটারিস্ট হইতেছে ব্যাংকার। সাধ করে না রে ভাই পুজির তীব্র যাতাকলে পড়েই করতেছে। ্ঠিক একইভাবে অবিশ্বাসী,অজ্ঞেয়বাদী, বিশ্বাসী সকলেই চাক্রীবাক্রীর চোদনে একই ভাবে যার যা করার কথা না তাই করতেছে। ফলে বিরোধ আসলে বিশ্বাস-অবিশ্বাসে না। বিরোধ আসলে আরো গভীরে -শ্রেণীতে নিহিত। এটা আমার বন্ধুরা যত আগে বুঝবে ততই ভাল।
প্রিয় বিজ্ঞান তার বিজ্ঞানবাদী ধর্ম তথা পুজির শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাক, সামাজিক মালিকানা বৈজ্ঞানিক দৃস্টিধারীদের চোখে অগ্রগণ্য হোক-তাহলেই সভ্যতা সত্যিকার অর্থে এগিয়ে যাবে। আর আমরাও এই অসাধারণদের সাথে সাধারণ/বিশ্বাসীদের বিরক্তিকর কোপাকুপি,যুদ্ধ থেকে মুক্তি পাই।
-বিজ্ঞান ও তিন ধর্মের কাল্পনিক বিরোধ সাজিয়ে একটা বিরক্তিকর কার্টুন দেখে।
লেখা- Muiz Mahfuz