নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বয়ী ইন্দ্রিয়ানুভূতির ওপর বিশ্বাস না করলে কোন জ্ঞানই আয়ত্ত করা যায় না । ইন্দ্রিয় হয়তো অনেক ভুল করায় , কিন্তু বারংবার চর্চা দ্বারা তাকে সংশোধন করে উৎকর্ষ লাভ করা সম্ভব।
রাহুল সাংকৃত্যায়ন এর দর্শন-দিকদর্শন থেকে নেওয়া
দর্শনের সবচেয়ে পুরাতন শাখা হচ্ছে গ্রীক দর্শন বা আয়েনী সম্প্রদায়ের দর্শন ।
আয়েনীক দার্শনীকগন প্রধানত সৃষ্টির মূলতত্বকে জানার জন্য উৎসুক ছিলেন।
তাদরে দার্শনীক চিন্তার মূল উপজীব্যই ছিল বিশ্ব-সৃষ্টির উৎস কোথায় এই প্রশ্নের সুদত্তর আবিষ্কার করা।
আয়েনীক দার্শনীকগনরে একটি বৈশিষ্ট লক্ষনীয় যে ,তারা কেউ প্রশ্ন করেননি"বিশ্ব কে সৃষ্টি করছে",তাদের প্রশ্ন ছিল"কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে"।
আয়েনীক দার্শনীক থালেস(৬২৮-৫৪৭ খৃষ্টপূর্ব) এর মতে "জলই সৃষ্টির প্রথম উৎপাদন"।
হেরাক্লিটাস(৫৩৫-৪৭৫খৃষ্টপূর্ব)এর মতে
"জগৎ সৃষ্টি ও ধ্বংস আপনা-আপনিই হয়"।
"সংঘর্ষের দ্বারা জগৎ চালিত,সব কিছুরই জনক ও চালক হচ্ছে সংঘর্ষ।"
"জগৎতে কিছুই স্হায়ী নয়, স্হায়ীত্ব কেবল মায়া বা ভ্রম,যা পরিবর্তনের দ্রূততা তথা সদৃশ্য-উৎপত্তির কারন পরিবর্তনই জগৎ প্রান।"
জেনোফেনস(৫৭৬-৪৯০খৃষ্টপূর্ব)
"মাহান ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয় দৈহিক বা বৌদ্বিক কোনভাবেই মনুষ্য তুল্যনন"
"সবকিছু একের মধ্যে নিমজ্জিত এবং সেই এক হলেন ঈশ্বর।"
"ঈশ্বরই জগৎ,তিনি শুদ্ব আত্মা মাত্র নন ,বরং সমস্ত প্রানযুক্ত প্রকৃতি।"
পারমেনাইডিস(৫৪০-?খৃষ্টপূর্ব)
"সৎ কখও অসৎ হয়না,অসৎ থেকে সৎ সৃষ্টি হতে পারেনা।"
যথার্থবাদী সক্রেটিস(৪৬৯-৩৯৯খৃষ্টপূর্ব)
সঠিক বিচার বিশ্লেষন,তীক্ষ দৃষ্টি ও প্রযন্তের দ্বারাই খাঁটি জ্ঞান লাভ সম্ভব।
সঠিক কাজের জন্য সঠিক চিন্তনের প্রয়োজন।
যুক্তিবাদী প্লেটো(৮২৭-৩৪৭খৃষ্টপূর্ব)
"ঈশ্বর বা বিধাতা হলো উচ্ছতম ভাব, ঈশ্বর বর্হিজগৎ ও অন্তজগৎতের মিলন ঘটান।"
"বুদ্বির দ্বারা সত্য জ্ঞান লাভ সম্ভব, ইন্দ্রিয় জগৎ একটা নকল বাস্তব।"
"কোন দর্শনই শূন্য থেকে সৃষ্টি হয় না, যে পরিস্হিতি থেকে দর্শনের জন্ম, দর্শনে সেই পরিস্তিরই ছাপ পড়ে।"
বস্তুবাদী অ্যারিস্টটল(৩৮৪-৩২২খৃষ্টপূর্ব)
সমস্ত বস্তুর মতই ব্যক্তিও পরিবর্তনশীল,প্রত্যক্ষসাধ্য ও ক্ষয়িক্ষু,বস্তু বা ভাব উভয়ই কখনও নতুন করে সৃষ্টি না আবার চিরতরে লোপও পায় না।
এপিকিউরাস(৩১৪-২৭০খৃষ্টপূর্ব)
"স্বীয় ইন্দ্রিয়ানুভূতির ওপর বিশ্বাস না করলে কোন জ্ঞান লাভ করা যায় না।"
বিপদগ্রস্ত মানুষই ধর্ম ও কুসংস্কারকে অবলম্বন করে উদ্বার পেতে চায়।---স্টোয়িক দর্শন
দর্শনশাস্ত্র শস্যক্ষেত্রের তুল্য,শস্যক্ষেত্রকে রক্ষা করতে যেমন কাঁটাতারের বেড়া দিতে হয় তেমনি তর্কের বেড়া দিয়ে দর্শনক্ষেত্রকে রক্ষা করতে হয়।বস্তু তার মৃত্তিকা এবং নীতিশ্রাস্ত্র ফসল।----স্টোয়িক দর্শন
বস্তু ছাড়া শক্তি শক্তিহীন,শক্তি ছাড়া বস্তু বস্তুহীন।----স্টোয়িক দর্শন
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
আরািফন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সন তারিখে ভুল হয়েছে আপনার। এগুলো এডি হবে না বিসি হবে। তবে ভারতীয় দর্শন গ্রীক দর্শনের চেয়ে প্রাচীন।
Click This Link
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
আরািফন বলেছেন: দুঃখীত এডি ভুল ছিল,বিসি হবে। অবশ্যই ভারতীয় দর্শন গ্রীক দর্শনের চেয়ে প্রাচীন।তবে গ্রীক দর্শন মানব সভ্যতায় যে প্রভাব বিস্তার করেছে ভারতীয় দর্শন মনে হয় তা করেনি।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ''তবে গ্রীক দর্শন মানব সভ্যতায় যে প্রভাব বিস্তার করেছে ভারতীয় দর্শন মনে হয় তা করেনি।''
আপনার এ মতের সাথে আমি একমত পোষণ করি। পুরো ইউরোপ গ্রীক দর্শন চর্চা করছে। আরবরাও দর্শন চর্চায় গ্রীক দর্শনের অনুসরন করেছে। ফলে আরব বিশ্বেও গ্রীক দর্শনের প্রভাব পড়েছে।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা।
দার্শনিক এপিকিউরিয়াস কে নিয়ে শ্রদ্ধেয় ব্লগার ইমন জুবায়ের ভাইয়ার একটা পোস্ট আছে। আপনাকে সেটার লিঙ্ক দিতে গিয়ে দেখি আপনি ঐ পোস্টে কমেন্ট করেছেন।
ভালো থাকুন। আরো চমৎকার সব লেখা দিতে থাকুন আমাদের। শুভ কামনা রইল।
৫| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:২২
বিকারগ্রস্থ আগন্তুক বলেছেন: আয়েনীক দার্শনীকগনরে একটি বৈশিষ্ট লক্ষনীয় যে ,তারা কেউ প্রশ্ন করেননি"বিশ্ব কে সৃষ্টি করছে",তাদের প্রশ্ন ছিল"কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে"। [/sb
বিষয়টা খুবই বিস্মিত করেছে আমাকে....
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
ইমরান হক সজীব বলেছেন: আয়েনীক দার্শনীকগনরে একটি বৈশিষ্ট লক্ষনীয় যে ,তারা কেউ প্রশ্ন করেননি"বিশ্ব কে সৃষ্টি করছে",তাদের প্রশ্ন ছিল"কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে"।
দারুন!
ধন্যবাদ ভাই, ভালো একটা লেখা শেয়ার করলেন ।