নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউক্রনের ২০১৪ এবং বাংলাদেশের ২০২৪ পর্ব ২

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩

"২০১৪ সালে ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী সরকার হটানোর বিক্ষোভ হয়৷ সেই বিক্ষোভের নাম ইউরোমাইডান বা রেভুলোশন অব ডিগনিটি! গণঅভ্যুত্থানে রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। নিহত হয় ১০০ অধিক মানুষ। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো - এই গণঅভ্যুত্থানে তৃতীয় পক্ষের স্নাইফারের গুলিতে ছাত্র ও পুলিশ হত্যার মাধ্যমে বিপ্লবকে আরো বেশি প্রভাবিত করা হয়েছিল। মার্কিন ফিল্ম মেইকার জন বেক হফম্যান তাঁর শক্তিশালী ‘মায়দান ম্যাসাকার’ ডকুমেন্টারিতে প্রমাণসহ দেখান - সেই আন্দোলনের উদ্দেশ্য, স্নাইফার দ্বারা হত্যায় আন্দোলনকে কিভাবে প্রভাবিত করা হয়, পশ্চিমা সমর্থিত সরকার বসানোর পেছনের স্বার্থ কি ছিল ইত্যাদি।

মি. হফম্যানের ডকুমেন্টারি মায়দান ম্যাসাকারঃ
You Tube Link
২০২৪ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে শাসন থেকে হটানো হয়। সংবাদপত্র মতে এখানে নিহত এখন পর্যন্ত ৮৭৫ জন। কিন্তু, ডেইলি স্টারের সংবাদে জানা যায় - ৪'ই আগষ্ট পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১১৩ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যায় হেড স্যুট (৩৯), চেস্ট স্যুট (৩৫ জন)! গতকাল জানা যায় - আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ‘আসিফের মৃত্যু হয় স্নাইফারের গুলিতেই’!

তাহলে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে - পুলিশের হাতে স্নাইপার নেই, অথচ স্নাইপার এলো কোত্থেকে? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থেকে সরিয়ে ফেলা ব্রি. জে. (অব: ) সাখাওয়াত হোসেনও বলেছিলেন - ‘নিহতদের শরীরে যেই বুলেট পাওয়া গিয়েছে (৭.৬২ মি:মি: ), সেগুলো বাংলাদেশ পুলিশ ব্যবহার করেন না। নিষিদ্ধ অস্ত্র সিভিলিয়ানদের হাতে আসলো কিভাবে?’ এমনকি - তিনি এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাবার কথাও বলেছিলেন। অবশ্য পরে আর তাঁকে ঐ পদে রাখা হয়নি।

চট্রগ্রামে পুলিশের গুলিতে প্রথমে যে ছেলেটি মারা গেছে হ্রদয় তরু ,,, তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম মিঠুন ,তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মিঠুন তার বক্তব্যে বলে ,,, তারা মিছিল করে যাবার পরে যখন পুলিশের বাধার সন্মুখিন হয় ,,, তখন তাদের নজরে আসে মিছিলের আগে কয়েক জন লোকজনকে দেখে যাদের মুখ টি শার্ট দিয়ে ঢাকা ছিল ,, তারা মোটে ও ছাত্র নহে এবং পুলিশের আক্রমণকে ভয় না করে দাড়িয়ে আছে ,, এবং সবাইকে বলছে এগিয়ে আসতে.. এমন অবস্থায় হঠfৎ পুলিশ জোড়েসোরে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং সেই সাথে ব্যপক রবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে . এই পরিস্থিতিতে তার বন্ধু সবার আগে পিছন দিকে দোড়ান শুরু করে এবং তার পিছুপিছু শ খানিক ছাত্র দোড়ান শুরু করে ,, হঠাৎ পলায়ন রত মিছিলের ভিতরে থেকে একটা বিস্ফরন হয় শব্দ বোমার মত,, তারপরে দেখে তার বন্ধু পিঠে মেটাল বুলেট লেগে বুকের ভিতর দিয়ে বাহির হয়ে গেছে ,,,এরপর সে তার আহত বন্ধুকে অন্য কয়েক জনের সাহায্যে রিক্সায় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায় ,,, এবং সেই হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকাতে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় কিন্তু শেষে পর্যন্ত তার আহত বন্ধু হ্রদয় তরু মৃর্তু বরন করে।
ভিডিওতে সেই ছেলে বলছে ,,, পুলিশের গুলি তো তার গায়ে লাগার কথা না কারন হ্রদয় তরু অন্তত ২০০ মিটার দুরে ছিল এবং তার পিছে ছিল শ খানেক ছাত্র,, পুলিশের গুলি তার পিছের ছাত্রদের উপরে লাগার কথা এবং লেগেছে ও ,, এবং পুলিশ তো রাবার বুলেট মারছে ,,, তাহোলে তার বন্ধুর গায়ে মেটাল বুলেট কি ভাবে লাগলো ? তার মতামত নিশ্চয় মিছিলের ভিতর থেকে কেহ তাকে গুলি করেছে । এই বর্ণনা টুকু নীচের লিংকে শুনলে সবাই বিষয়টা বুঝতে পারবেন কিভাবে আন্দোলনকারিরা নিজেরা হত্যা করে সরকারের ্উপরে দায় চাপিয়ে আন্দোলন সফল করেছিল ।
Facebook Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

এভো বলেছেন: আবু সাঈদের মৃত্যুর ব্যপারে কি কিছু লিখবেন? অনেক কিছু ফিসি তার মৃত্যুর কাহিণী নিয়ে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: এই বিষয়ে লেখা আসবে কিছু দিনের মধ্যেই, ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.