নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউক্রেনের ২০১৪ এবং বাংলাদেশের ২০২৪

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৯

ইউক্রেনের ২০১৪ সালের অভুণ্থানের কথা অনেকেই জানেন না, সেটার সাথে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের আন্দোলনের যোগ সূত্র খুবই স্পষ্ঠ । তখন ইউক্রেনে ছিল রাশান পন্থি সরকার , তাদের উচ্ছেদ করার জন্য আমেরিকা এক মহাপরিকল্পনা করেন ২০০৪ সালে -- বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের মত সরকার বিরুধীদের নিয়ে মুভমেন্ট শুরু হয় ২০০৪ সালে এবং ২০১৪ সালে এসে এটার চুড়ান্ত রুপ ধারন করে এবং ১০০ জনের মৃর্তু হয় এবং রাশান পন্থি সরকারের পতন হয় । পরে তদন্তে বেড়িয়ে আসে ঐ সময় পুলিশের হাতে মারা যায় মাত্র ৭ জন এবং বাকি সবাই মারা যায় স্নাইপারের গুলিতে এবং স্নাইপার দিয়ে এই হত্যাকান্ড আন্দোলনকারিরাই করে ।
এই গণঅভ্যুত্থানে তৃতীয় পক্ষের স্নাইফারের গুলিতে ছাত্র ও পুলিশ হত্যার মাধ্যমে বিপ্লবকে আরো বেশি প্রভাবিত করা হয়েছিল। মার্কিন ফিল্ম মেইকার জন বেক হফম্যান তাঁর শক্তিশালী ‘মায়দান ম্যাসাকার’ ডকুমেন্টারিতে প্রমাণসহ দেখান - সেই আন্দোলনের উদ্দেশ্য, স্নাইফার দ্বারা হত্যায় আন্দোলনকে কিভাবে প্রভাবিত করা হয়, পশ্চিমা সমর্থিত সরকার বসানোর পেছনের স্বার্থ কি ছিল ইত্যাদি।

মি. হফম্যানের ডকুমেন্টারি মায়দান ম্যাসাকারঃ
Maidan Massacre
২০২৪ সালে বাংলাদেশের আন্দোলনে আমরা ঠিক একই দৃশ্য দেখতে পাই । বেড়িয়ে আসে ৭.৫৪ বুলেটের কাহিণী । এই বিষয় নিয়ে ধারা বাহিক ভাবে তথ্য উপাত্ত দিয়ে লিখা নিয়ে আসবো । আজকে আমি আলোচনা করবো মুগ্ধের হত্যাকান্ড নিয়ে ।

মুগ্ধের মাথায় গুলি লাগলো কি করে , সে ছিল মিছিলের মাঝখানে ?
গুলি বিদ্ধ ১৮ ই জুলাই ২০২৪,
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ পুলিশ ছিল পিছনে
তাহোলে পুলিশের গুলি মাথার পিছনে লাগার কথা এবং বুলেট ছিল রাবারের এবং পিছনের অনেকের গায়ে রাবারের বুলেট লেগেছিল ।
মুগ্ধ যখন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তখন তার কাছাকাছি ছিলেন বন্ধু জাকিরুল ইসলাম।

মুগ্ধ’র কপালে গুলি লাগার দৃশ্যকে তিনি বিবিসি বাংলা’র কাছে এভাবে বর্ণনা করেন, “গুলি লাগছিলো কপালে, মেয়েরা যেখানে টিপ পরে…ডান কানের পাশ দিয়ে গুলিটা বের হয়ে গেছে।”
মুগ্ধ’র বন্ধু জাকির শুক্রবার সকালে বিবিসিকে বলেন, “গুলি লাগার পর ওর মাথার ঘিলু বের হয়ে গেছিলো। ঘটনাস্থলেই, আমাদের চোখের সামনেই ও মারা গেল।”
এখন প্রশ্ন পুলিশের গুলি মাথার পিছনে লাগার কথা এবং মিছিলের মাঝের মানুষকে হিট করার কথা নহে এবং পুলিশ ১৮ই জুলাই ২০২৪ রাবারের গুলি ব্যবহার করছিল ।

পুলিশ যেহেতু গ্রাাউন্ড লেভেল থেকে গুলি করছে , তাই যারা গুলি খেয়েছে রাবারের বুলেটের সেগুলোর ছেদন ট্রেন্ড ছিল সমান্তরাল কিন্তু মুগ্ধের গুলি লাগার ছেদনের ট্রেন্ড ইনক্লাইড কপালে লেগে কানের পাশ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে এবং তার পজিশন মিছিলের মাঝামাঝি । গুলি ছেদনের এংগেল বলছে ৩/৪ তালা কোন উচ্চতা থেকে ২০০/৩০০ মিটার দুরত্ব থেকে এই গুলি করেছে কোন স্নাইপার এবং এর দায় পড়ে সরকারের উপরে ।
আমি নীচে বিবিসি বাংলার খবরের লিংকটা দিচ্ছি বিস্তারিত বর্ণনা পড়ার জন্য ।
BBC DOT COM NEWS LINK

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:১০

আমি সাজিদ বলেছেন: এইসব লিখে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি, করাপশন ও অপশাসনকে জাস্টফাই করতে পারবেন?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: না কোন দিন ঐ সব অপকর্মকে জাস্টিফাই করা যাবে না এবং এটা ও কি বলা যাবে যে, যেহেতু আওয়ামী লীগ এই সব অপকর্ম করেছে তাই , তৃতীয় পক্ষের স্নাাইপার কাম সুটার দিয়ে হত্যা কান্ডের দায় সরকারের। উপদেষ্ঠা সাখাওয়াত সাহেব সত্য কথা বলাতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: পোষ্টমর্টেম রিপোর্টে দেখাযায়, সায়ীদ গুলিতেই মরেনাই মরেছে ঘাড়ে আঘাত পেয়ে।কে করলো ঘাড়ে আঘাত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: সেই বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক লেখা পোস্ট করবো খুব তাড়াতাড়ি। ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

প্রহররাজা বলেছেন: আওয়ামী লীগ উচ্ছেদ না, নিজেদের স্বার্থে ছাত্র দের লেলিয়ে দেয়া হয় সরকারের বিরুদ্ধে। ১৫ হাজার পংগু এখন শুয়ে শুয়ে

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: সেটা সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া শুরু করেছে , ধন্যবাদ

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯

আমি নই বলেছেন: ইউক্রেনের সেই সরকারের কি কোনো ছাত্র-যুব উইং ছিল যারা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি গুলি ছুরেছিল?

ইউক্রেনে কি পুলিশের এপিসির ছাদে কোনো গুলিবিদ্ধ মৃতপ্রায় ছাত্রকে নিয়ো ঘোরানো হয়েছিল, তারপর ফেলে দিয়ে তাকে লক্ষ করে কাদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের মত বর্বর ঘটনা ঘটেছিল? বা বাড়ীর ভিতরে গিয়ে গুলি করেছিল, অথবা হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছিল? অথবা ধরে এনে পয়েন্ট ব্লান্ক থেকে গুলি করে হত্যা করেছিল?

আচ্ছা ইউক্রেনের পুলিশকি তাদের মন্ত্রীকে রিপোর্ট করেছিল "মরে একটা, একটাই যায় ছার, বাকিগুলো যায় না" বা রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যার পর উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল এবিপিএন এর মতো কোনো বাহিনিকে?...............

ভিডিও ফুটেজ আছে শুধু এমন ঘটনাগুলো লিখতে থাকলে হাজার হাজার লাইন লাগবে। আর আপনি আসছেন এমন বিষয় নিয়ে যার কোনো প্রমান নেই। যারা প্রকাশ্যে এরকম শত শত হত্যা করতে পারল, হেলিকপটার পর্যন্ত ব্যবহার করল গুলি করার জন্য তারা আন্দোলনকারীদের দমানোর জন্য গোপন স্থান থেকে স্নাইপার ব্যাবহার করে নাই এটাও বিশ্বাস করা লাগবে??

মুগ্ধ কেমনে মরল সেই গবেষনার আগে যেগুলো সরাসরি দেখা যাচ্ছে পারলে সেগুলো কেন ঘটানো হল সেটা বোঝেন তাইলে বাকিটাও বুঝতে পারবেন। বলেন ইয়ামিনকে গুলি করে কেন এপিসির ছাদে করে ঘোরানো হল, এক বন্ধু গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে আর এক বন্ধু যখন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করতেছিল কেন তাকে আবারো গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হল। এরকম হাজারো ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন??

তবে আপনার কাছে প্রমান থাকলে প্রকাশ করেন। আমরা সাধারন মানুষ সকল হত্যার বিচার চাই। কিন্তু প্রমান না থাকলে আজাইরা যদি, কিন্তু, সম্ভবত ব্যাবহার করে নিজেকে ছোট না করাই শ্রেয়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

এ আর ১৫ বলেছেন: শুনুন পুলিশের হাতে কিছু মারা গেছে সেটা সংখ্যায় বেশি নহে , উপদেষ্ঠা সাখাওয়াত সাহেব সেটা বলেছেন । পুলিশের রিপো্র্ট একটা মারলে পরে কিন্তু বাকিটা নড়ে না , সেটা রাবার বুলেটের আঘাতের প্রেক্ষিতে , রাবার বুলেটকে ভয় কম পায় তাই অন্য জন নড়ে না।
আন্দোলন দমন করার জন্য সব সরকারই যত কম হতাহত হয় সেটাই করে । সরকার স্নাইপার দিয়ে হত্যা করে কি নিজেরা দায় নিবে ?
হেলিকাপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রনেড মারা হয়েছিল , ৬ তালায় যে শিশু গুলি খেয়ে মারা যায় সেই গুলি ৬/৭ তালা উচ্চতা থেকে কোন স্নাইপার মেরেছিল কারন গুলির ট্রেন্ড ছিল সমান্তরাল । মাটি বা হেলিকাপ্টার থেকে গুলি হোলে গুলির ট্রেন্ড কৌনিক হোত । পুলিশের পোষাক পড়ে আন্দোলনকারিরা অত্যাচার করছিল হিন্দীতে কথা বলে ।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব নিয়ে এখন কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না আওয়ামী লীগ ছাড়া। সবাই বন্যা মোকাবেলায় বিজি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: তাই নাকি , তাহোলে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি কেন ?

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

আজব লিংকন বলেছেন: ইউক্রেনের ২০১৪ টু বাংলাদেশ ২০২৪
কোথায় আগরতলা কোথায় চৌকির তলা।
ইন্টারন্যাশনাল বাদ দেন দেশী কাহিনীতে আসেন।
ব্রো ইনভেস্টিগেশন করে একটা ভিডিও বানান।
সত্য কি আমরা সাধারণ জনগন জানতে চাই।
এখন কারো বিশ্বাস নাই।
ইদানিং অনেক আন্ডার কভার মুখশ খুলছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: আমি ভিডিও বানাই না , আমি লিখি , ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.