নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনীষীদের কৌতুকঃ
_______________________
শিবনাথ শাস্ত্রী
পন্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী ছাত্রদের পড়াচ্ছেন। স্কুলে ড্রাম ভর্তি রসগোল্লা এসেছে। তখন শাস্ত্রী সাহেব বললেন, ”এই ড্রামের সব রসগোল্লা তোমাদের মধ্যে কে সাবাড় করতে পারবে?” তখন সবাই একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। হঠাৎ একজন শিক্ষার্থী চিৎকার করে বলল, ” স্যার, আমি পারব।” পরমুহূর্তেই চাপাস্বরে বলল, “তবে একদিনে নয়।” সেদিনের সেই ছাত্রটির নাম ছড়াকার সুকুমার রায়।
_______________________
রবিঠাকুর
শান্তিনিকেতনে রবিঠাকুর ছাত্র পড়াচ্ছেন। ক্লাসের বাইরে একটা ছাত্র হাতে 'নিমের ডাল' নিয়ে আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তখন কবি তাকে ‘নিমাই’ সম্বোধনে ডাকলেন। এই কথা ক্লাসের উপস্থিত ছাত্ররা শুনলো। একজন শিক্ষার্থী উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ” গুরুদেব, কাল থেকে আমি যদি 'জাম গাছের' ডাল নিয়ে ক্লাসের বাইরে ঘুরে বেড়াই আমাকে কি বলে ডাকবেন?” তখন রবিঠাকুর তাকে বললেন, ”তখন তোমাকে আর ডাকা চলবে না বাপু”। সেদিনের সেই প্রত্যুৎপন্নমতি ছাত্রটিই প্রমথনাথ বিশী।
_______________________
বিদ্যাসাগর
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যখন দারুণ অর্থকষ্টে ভুগছিলেন তখন বিদ্যাসাগর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। একদিন এক মাতাল বিদ্যাসাগরের কাছে এসে সাহায্য প্রার্থনা করলেন। বিদ্যাসাগরের সাফ সাফ জওয়াব তিনি কোন মাতালকে সাহায্য করবে রাজি নন। তখন ঐ মাতাল জানালো যে বিদ্যাসাগর তো মধুসূদনকে সাহায্য করেন ! কিন্তু মধুসূদনও তো মদ খান । তখন বিদ্যাসাগরের জবাব ছিল এমন, ”তুমি ওর মতো ‘মেঘনাদবধ’ কাব্য লিখে আনো। তোমাকেও সাহায্য করব।”
_______________________
স্বামী বিবেকানন্দ
গোরক্ষিণী সভার সভাপতি গিরধারী লালের সাথে একবার স্বামী বিবেকানন্দের দেখা হলে স্বামীজী কৌতূহলী হয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করেন,” আপনাদের সভার উদ্দেশ্য কী?” তিনি জানালেন গো- মাতাদের রক্ষা করাই তাদের ধর্ম। তখন স্বামীজি বললেন, ” আর মানুষ অনাহারে মরে গেলে তার মুখে অন্ন তুলে দেওয়া বুঝি আপনাদের ধর্ম নয়?”। তখন সভাপতি গিরধারী বললেন, ”কিন্তু শাস্ত্রে আছে গাভী তো আমাদের মাতা।” তখন বিবেকানন্দ ধমকের সুরে বললেন, ”গাভী যে আপনাদের মাতা তা বেশ বুঝতে পারছি। তা না হলে এমন সব ছেলে জন্মাবে কেন?”
_______________________
বঙ্কিমচন্দ্র
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরির জন্য বঙ্কিমচন্দ্রকে ভাইভা দিতে হল। তাঁকেও যথারীতি বাংলার উপরে পরীক্ষা দিতে হল তবে সেখানে পরীক্ষক একজন জাত ইংরেজ। প্রথমেই তিনি বঙ্কিমকে প্রশ্ন করলেন, “ওয়েল! বলতে পারো, হোয়াট দ্য ডিফারেন্স বিটুইন বিপড অ্যান্ড আপড?” বঙ্কিম বাবু হেসে বলেছিলেন,” অবশ্যই, একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলছি। পদ্মায় একবার স্টিমারে করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ শুরু হল ঝড়। সেটা হল বিপদ। আর এই যে আজ আমাকে একজন বাঙালি হয়ে তোমার মত ইংরেজের কাছে বাংলা ভাষার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে- এটা আপদ।”
_______________________
শরৎচন্দ্র
শরৎবাবুর কাছে দুজন ব্যক্তি এসেছেন। তারা শরৎচন্দ্রের লেখার ভূয়সী প্রশংসা করলেন আর রবীন্দ্রনাথের লেখার সমালোচনা করলেন কারণ তা নাকি দুর্বোধ্য। তখন শরৎ বাবু বললেন, “আমি লিখি আপনাদের জন্য। আর রবিবাবু লেখেন আমাদের জন্য।"
_______________________
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছে ধর্মসভায় হেরে গিয়ে এক সাধু রাগ করে বললেন, ” আমি ত্রিশ বছর সাধনা করে এখন হেঁটে নদী পার হতে পারি। আপনি কী পারেন?” তখন রামকৃষ্ণ একটু হেসে বললেন, ” যেখানে এক পয়সা দিলেই মাঝি আমাকে নদী পার করে দেয় সেখানে এর জন্য ত্রিশ বছর নষ্ট করার পক্ষপাতী আমি নই।”
(সংগৃহীত)
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৩৪
এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনীষীদের কৌতুকগুলো পড়ে ব্যাপক আনন্দ পেলাম। কিছু কিছু আগেও জানা ছিল।
বঙ্কিমচন্দ্রেরটাই সেরা উত্তর ছিল।
পোস্টে প্লাস। + +
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৩৮
এ আর ১৫ বলেছেন: বিখ্যাতরা যে আমাদের মতই হাসি তামাশা করে, সেটা হয়ত অনেকে জানে না। তারা আমাদের মত বলেই, আমাদের মত করে সৃজনশীল কর্ম সৃষ্টি করতে পেরেছিল।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু জানতাম কিছু নতুন করে জানলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৩৮
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সুরুচিসম্পন্ন চমৎকার কৌতুক সম্ভার! এর ধারাবাহিক পোষ্টের আবদার জানাই।
শুভেচ্ছা।
২৭ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৪০
এ আর ১৫ বলেছেন: অবশ্যই চেষ্টা করবো, আর কিছু লেখার, ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
আপনঘর বলেছেন: ভাল লেগেছে
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যারা জ্ঞানী গুনী সর্বক্ষেত্রেই তারা কিছু না কিছু তার ছাড় রেখে যান।
৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সরি, *ছাপ রেখে যান* হবে
৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৭
জ্যাকেল বলেছেন: বংকিমের উত্তর যেকোন বাঙালিকেই চরম আনন্দ দিবে সন্দেহ নাই।
৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো লেগেছে।
১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
"যেখানে এক পয়সা দিলেই মাঝি আমাকে নদী পার করে দেয় সেখানে এর জন্য ত্রিশ বছর নষ্ট করার পক্ষপাতী আমি নই।”
So true
সবগুলো পড়ে আনন্দ পেয়েছি । এরকম ফানপোষ্ট আরও চাই ।
১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চমৎকার।
১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব ভালো সংগ্রহ।
শরৎচন্দ্রের গল্পটা অবশ্য আমি অন্যভাবে জানতাম, যেখানে উক্ত কথাটা রবিঠাকুর বলেছেন বলে লেখা ছিল। সেটা পড়ে রবিকাকার উপর খুব রাগই হয়েছিল এটা ভেবে যে, তিনি এত দাম্ভিকতাপূর্ণ কথা কীভাবে বলতে পারলেন! যাই হোক, শরৎচন্দ্র তার এই কমেন্টের মধ্য দিয়ে শুধু রবীন্দ্রনাথের বিরাটত্বকে স্বীকৃতিই দেন নি, তিনিও যে শুধু মহান লেখকই নন, মহৎ মনেরও অধিকারী, তারও প্রমাণ দিয়েছেন।
--
আর কয়েকটা নিন
---
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ ‘সঞ্চয়িতা’ ছাপা হচ্ছে। তখনই ধরা পড়ল মারাত্মক একটি ভুল। প্রেস থেকে একজন কর্মী হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন। বললেন—সর্বনাশ হয়ে গেছে, কবিগুরু! সঞ্চয়িতা ভুল শব্দ, শুদ্ধ হবে সঞ্চিতা। সব শুনে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ২৫ ফর্মা ছাপা হইয়া গিয়াছে। এখন সঞ্চয়িতাই শুদ্ধ! তবে একই ‘ভুল’ কাজী নজরুল ইসলাম করেননি। তিনি কাব্যগ্রন্থের নামকরণ করেছেন সঞ্চিতা।
একটি বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্টে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন—‘সুলেখা কালি। যে কালি কলঙ্কের চেয়ে কালো।’
একদিন হুমায়ুন আজাদের পিছু নিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তারই এক ছাত্র। ছাত্র মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলল, ‘স্যার, আপনি খুব জ্ঞানী!’ হুমায়ুন আজাদ জবাব দিলেন, ‘তুমি দেখছি আস্ত গবেট!’
হুমায়ূন আহমেদ সম্বন্ধে হুমায়ুন আজাদ (সম্ভবত) খেদ প্রকাশ করে একটি লেখায় বলেছিলেন—ও যে কেন দীর্ঘ উকার দিয়ে নাম (হুমায়ূন) লেখে বুঝি না!
--
এখানেও কিছু আছে বটে
১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৯
জটিল ভাই বলেছেন:
বেশ কয়েকটা জানা। তবুও নতুন করে পড়ে ভালো লাগলো
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৩
কামাল৮০ বলেছেন: গুণী জনের গুনসম্মত উত্তর।পড়ে আনন্দ পেলাম।