নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাদিস বর্জন (শত বৎসর পরে লিখিত) করলে মুসলমানদের কি কি উপকার হতে পারে ?
প্রথমে বলতে সব হাদিস কি পরিত্যাগ যোগ্য ? অবশ্যই নহে ।প্রমাণীত এবং কোরানের সাথে সামন্জস্য মূলক হাদসি গুলো এবং কোরানের আয়াতের ব্যাখা সংক্রান্ত হাদিস গুলো ছাড় বাকি সব হাদিস ই গুলো বর্জনিয় ।
এর প্রধান কারন এগুলো সংশয় মুক্ত নহে এবং বেশির ভাগ অনেক পরে লিখা । প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে , শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে একজনের থেকে আরেক জনের মাধ্যমে প্রবাহিত কোন মেসেজ অথেনটিক হয় না । এই ধরনের হুইসপারে আরেকটা চায়নিজ হুইসপার-- এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অথেনটিক হয় না ।
মনে করুন শেখ মুজিব ১৯৫২ সালে কামাল উদ্দিন কে একটা কথা বলেছে , তারপর তা তিনি মোসলেউদ্দিনকে বল্লেন তারপর, তার থেকে তাজউদ্দিন, তাজউদ্দিন থেকে তোফায়েল, ........ এই ভাবে আমির হোসেন আমু - ইত্যাদি ----- এই ভাবে প্রাপ্ত কোন তথ্য গ্রহন যোগ্য নহে । সবচেয়ে অথেনটিক ১৯৫২ সালের কোন ডকুমেন্ট ।
হাদিস পন্থিদের সবেধন নীলমনি অবলম্বন-- হাদিস ছাড়া নামাজ পড়বেন কি করে বা মৃত মাছ কি করে খাবেন ইত্যাদি । এই সব বিষয় সংক্রান্ত হাদিস গুলো গ্রহন যোগ্য মূলত তাৎখনিক ভাবে সংরক্ষিত এবং নয়মিত আদায়কৃত যার জন্য এগুলো গ্রহন যোগ্য কিন্তু অন্য হাদিস গুলো নিয়মিত পালনের বিষয় নহে এবং শত বৎসর পরে সংরক্ষিত ।
এখন আমরা দেখি তাৎখনিক রক্ষিত ধারাবাহিক ভাবে পালিত প্রমাণীত হাদিস, কোরান সম্মত হাদিস এবং কোরানের আয়াতের ব্যাখা করা হাদিস গুলো ছাড়া বাকি হাদিস গুলো বাদ দিয়ে দিলে , মুসলমানদের কি ধরনের উপকার হতে পারে ।
১) শিক্ষা, বিজ্ঞান, জ্ঞান চর্চায় মুসলমানদের বাধা সরে যাবে, পিছিয়ে পড়া মুসলমানরা বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে।
২) নারী বিদ্বেষী প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে , নারীদের জাগরন বেড়ে যাবে , শিক্ষিত মুসলমান নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে । বন্দি দশা থেকে নারীদের মুক্তি ঘটবে ।
৩)হিন্দু, খৃষ্ঠান , বৌদ্ধ , ইহুদী সহ সকল অমুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে । সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি বৃদ্ধি পাবে । সবার সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিলে মিশে থাকা সম্ভব হবে ।
৪) সকল মত এবং পথের প্রতি সহনশীলতা শ্রদ্ধা বেড়ে যাবে । নাস্তিক , মুরতাদ , কাফের হত্যার মত জঘন্য হত্যাকান্ড বন্ধ হয়ে যাবে ।
৫) ইসলামের নামে সব রকমের সন্ত্রাস,জংগিবাদ বন্ধ হয়ে যাবে , গোটা বিশ্বে এই ধরনে সন্ত্রাসি কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাবে ।
৬) ওয়াজ মহফিলের নামে ধর্মীয় অপব্যাখার প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে ।
৭) শিল্প সংস্কৃতি বিদ্বেষি কর্মকান্ডের লোপ পাবে এবং শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় মুসলমানদের প্রতিবন্ধকতার দুর হবে ।
৮) কথায় কথা এইটা হারাম ঐটা হারাম চর্চা বন্ধ হয়ে যাবে ।
৯) কোরান ও ইসলামের উপদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে ।
১০) মুসলমানদের ভিতরের ফেতনা , ফেসাদ, দলবাজি , বিভক্তি দূর হয়ে যাবে । ওহাবি, দেওবন্দ, সালাফি সহ কয়েক শত বিভক্তি বিলিন হয়ে যাবে ।
২০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস গুলো মুসলমানদের কতটা ক্ষতি করেছে , সেটা বোঝার মত অবস্থা মুসলমানদের এখন হয় নি । মুসলমানদের বড় অংশ এখনো ২০০/৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস গুলোকে কোরানের চেয়ে ও বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে এবং যার কারনে কি ধরনের সর্বনাশ মুসলমানদের হয়েছে সেটা যেদিন তারা বুঝবে তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে ।
০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ,, পলিটিক্যাল ইসলামের উৎপত্তির পিছনে রয়েছে হাদিস। ২০০/৩০০ বৎসর পরে লিখিত হাদিস । এই ধরনের অপইসলামের বিলুপ্তি ঘটবে যদি -- ঐ সব সংশয় মূলক হাদিস গুলোকে বর্জন করা হয় ।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
অগ্নিবেশ বলেছেন: গুরুজী, জাল জইফ হাদিস অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
কোন গুলো জাল এবং জইফ তা অনেক আগেই মোহাদ্দিসরা ঠিক করে দিয়ে গেছেন।
সহী বুখারীতে জাল হাদিস কিভাবে থাকবে?
সহী হাদিস না মানলে কি আর ইমান থাকবে? মুর্তাদ হয়ে যাবেন।
আর হাদিস চর্চা বন্ধ করে দিলে সহি ইসলামকে বোঝার মত আর কিছুই থাকবে না।
০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০
এ আর ১৫ বলেছেন: সত্য বলে প্রমাণীত হাদিস, কোরানের সাথে সামজস্যপূর্ণ হাদিস অবশ্যই মানতে হবে । এর বাহিরের হাদিস গুলোকে পরিহার করলে মুসলমানরা মুক্ত হবে স্থবিরতা থেকে , ধন্যবাদ
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: সাসুম ভাই, নারী দমন, পেডোফাইল, বহু বিবাহ , গণিমতের নারী ভক্ষন, দাসী সহবত এবং নাস্তেক নাসারা দের কল্লা ফেলা
এগুলোই ইসলামের ভিত্তি, নবীর সুন্নত এবং মহান আল্লাহ তালার নির্দেশ। এগুলো এযুগের ইহুদী নাসারাদের মানবতাবাদের সাথে মিললে কি আর না মিললে কি? আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য, আল্লাহকে তাই প্রধান প্রায়োরিটি দিতে হবে, এখন আল্লাহর এই আদেশ না মেনে কেউ যদি মুর্তিপূজা করে, শিরকে লিপ্ত হয়, তার জন্য আর মায়া কান্না করে লাভ আছে?
তার জন্য ইহ জগত পরজগত উভয় যায়গাতেই শাস্তির বিধান আছে। সারা জাহানে ইসলাম কায়েম না হওয়া পর্যন্ত তাই জিহাদের আদেশ দেওয়া আছে। সারা জাহানে ইসলাম কায়েম না হওয়া পর্যন্ত কিসের শান্তি, কার শান্তি??
০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি যে অপবাদ গুলো দিলেন--- সে গুলোর পিছনে জড়িয়ে আছে -- সেই সব সংশয় যুক্ত হাদিস সমূহ ।এই সব হাদিস বাদ দিয়ে দেওয়া যদি সম্ভব হয় --তখন ইসলামের চেহারা আচরণ পাল্টিয়ে যাবে । ধন্যবাদ
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২২
কোনেরোসা বলেছেন: বালপুষ্ট
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫৫
এ আর ১৫ বলেছেন: ব্লগের এডমিন কেন এই ধরনের গালাগালিকে ডিলিট করলো না বুঝলাম না । অন্য সময় দেখি সাথে সাথে তারা মুঝে দেয় এবং মন্তব্যকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে ।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪
নিমো বলেছেন: হাদিস নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মাতামাতির দুটো উপকার-
১। নিজের বানোয়াট বক্তব্যও নবীর নামে চালিয়ে দেয়া যাবে। যেমন: সাম্প্রতিক হজ্জ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যা হয়েছে।
২। আমিই সুনিশ্চিত হিদায়াত প্রাপ্তর ভাব ধরব। সেই সূত্রে ভিন্ন মত হলেই তার মুসলমানিত্ব নিয়ে টানা-হেঁচড়ার অধিকার পাওয়া যাবে। আমিই বাস্তবে নানান আকাম-কুকাম করে সামাজিক মাধ্যমে ধর্মের আলাপ দিয়ে অন্যকে নাস্তিক, কাফির, মুরতাদ, মুনাফিক,তাগুত,মালাউন সহ যাবতীয় অভিধা দিয়ে নাজেহাল করার ক্ষমতা পাব।
০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ঠিক বলেছেন --- এখানে অনেক খারাপ উদ্দেশ্য নিহীত আছে । ধন্যবাদ
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০
কামাল৮০ বলেছেন: সৌদিরা মনে হয় এ পথেই হাটছে।তারা কোরান এবং হাদিসের অনেক কিছু বাদ দেয়ার পক্ষে।অথবা পালনে নিরুৎসাহীত করছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:৩৮
এ আর ১৫ বলেছেন: সে রকম কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে , বহু বৎসর শরিয়া অনুসরন করার পরে এমন উপলদ্ধি আসা অসম্ভব নহে । ধন্যবাদ
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৯
জ্যাকেল বলেছেন: আপনি তো (হাদিস ফিরকার) মুমিনদের জন্য ব্যাপক যন্ত্রণা সৃষ্টি করলেন। যেমন কোরআনে মিউজিক নিয়ে কোন বাধ্যবাদকতা নেই কিন্তু হাদীসে তো অনেক-ক বেশি নিষেধাজ্ঞা। এ ছাড়া কবিতা লেখার ব্যাপারে অনে-ক কড়াকড়ি আছে (মধ্যযুগে শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলার বড় উপায় ছিল কবিতা) তাই এর উপর হাদীসের সোহবত অনেক-ক বেশি।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:৪৩
এ আর ১৫ বলেছেন: সত্য কথা বলতে ইসলাম ধর্মে খুব ভুল ভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে -- এই সব কিতাব গুলো । সবচেয়ে বড় সর্বনাশ যেটা হয়েছে পৃথিবীর ৯৭% মুসলমান এই সব তরিকা অনুসরন করে , যার জন্য মুসলমানরা সব কিছুতে পিছিয়ে আছে, ধন্যবাদ
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:২৮
এভো বলেছেন: এই ব্লগের হাদিস পন্থি ভাইরা চুপচাপ কেন, বুঝতে পারলাম না? নতুন নকিব, সাড়ে চুয়াত্তর সাহেবদের মন্তব্য আশা করেছিলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৪৮
এ আর ১৫ বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি --- তারা আমাকে তাদের ব্লগে ব্যান করে রেখেছে , তাই কোন মন্তব্য করতে পারি না ,, তাদের ব্লগে । আমি তাদের ব্যান করিনি -- তারা ইচ্ছা করলে এখানে মন্তব্য করতে পারে ।
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: সব হাদিসই যে বর্জনীয় তা নয়। তবে যেগুলো কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক সেগুলো নিয়েই বিতর্ক তৈরী হচ্ছে। বেশ কিছু হাদিস দিয়ে আমাদের সমাজে ধর্মীয় কিছু গোড়ামি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে , যেগুলোর অস্তিতে কোরআনে নাই। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহিলাদের কাল বোরখা দিয়ে ঢাকা পর্দাপ্রথা। এই পোষাকের কথা কোরআনেে নাই। বোরখা মুলত মধ্য্যপ্রাচ্যে প্রাচীন আমলেে ইসলাম আসার বহু আগে থেকেই চালু একটি পোষাক। আবহাওয়া এবং কোন প্রকার আইন শৃখলা পদ্ধতি না থাকার কারনে খুব সম্ভবত মহিলারা এই ধরনের পোষাক সেই সময়ে পরিধান করত। কোরআনে শরীর ঢেকে শালীন পোশাকের কথা বলা আছে।
এরকম আরো অনেক ধর্মীয় গোড়ামি আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠা হয়েছে হাদিসের নাম দিয়ে। তবে এসব কথাবার্তা আমাদের লোক দেখিয়ে ধর্ম পালন করা মানুষেরা শুনবে না।কারন পুরুষতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা পোক্ত করার জন্যই প্রচুর হাদিস নবীজির মৃতূর বহু পরে তৈরী করা হয়েছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫২
এ আর ১৫ বলেছেন: তথাকথিত হাদিস দিয়ে যে অনেক গোড়ামী কোরান বিরুধী তকমা সৃষ্ঠি করা হয়েছে , এটা ও তারা মানতে চায় না । তারা কোরানের থেকে সিয়াসিত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেয় । তাদের মতলবি উদ্দেশ্য সফল করার জন্য , তারা এই ধরনের কাজ করে চলেছে । বস্তুত পক্ষে এরা ইসলামের ক্ষতি করছে এবং এরাই ইসলামের আসল শত্রু । ধন্যবাদ ।
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:১৯
বিটপি বলেছেন: জ্যাকেল, মিউজিক নিয়ে হাদীসে কি এমন বিধি নিষেধ এসেছে? একটা মাত্র হাদীস আছে, যেখানে রাসূল (স) বলেছেন, এক সময়ে মানুষ গানবাজনাকে হালাল মনে করবে। এটা যদি সহীহও হয়, তাতে অসুবিধা কি? গান বাজনাকে কাফেরেরা কীভাবে ব্যবহার করত, সেটা লক্ষ্য করলেই তো বুঝা যায় - কোন ধরণের কাজকে কি গানবাজনা বলেছেন! এ ধরণের হাদীস তো বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে টেকেনা। মিউজিক হচ্ছে একটা বিশেষ যন্ত্রের ভেতর দিয়ে বাতাস বইয়ে এক ধরণের সুর সৃষ্টি করা। সেই হিসেবে মানুষ যে কথা বলে - তাও এক ধরণের মিউজিক। আমাদের আশপাশে যত শব্দ হয়, সবই মিউজিক। এরকম প্রাকৃতিক একটা প্রক্রিয়া হাদীস দ্বারা নিষিদ্ধ হয় কি করে? হাদীসে যদি বলা হত মলমুত্র ত্যাগ করা হারাম - তাহলে কি মুসলিমেরা এই কাজ ছেড়ে দিত?
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪০
এ আর ১৫ বলেছেন: মিউজিক নিয়ে গানের পক্ষে এবং বিপক্ষে হাদিস আছে কিন্তু কোরানে এমন কিছু নেই ।কোরানে আমরা আরেকটা জিনিস পাই, যেটা হোল-- হযরত দাউদ আ: ছিল অসাধারণ গানের গলা । এটা হারাম হোল আ্ল্লাহ কোন নবীকে এই ধরনের গুণ দিতেন না , ধন্যবাদ ।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩০
মৌফড়িং বলেছেন: কোরানে নেই এবং কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক হাদীস মানার দরকার নেই।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি ঠিক কথা বলেছেন ভাই ।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৯
মোল্লা সাদরা বলেছেন: ওহে এ আর রাইফেল, হাদিস - কোরআন সব সাইজ করিয়া ফেলিতেছেন, আপোনি কি মুছলমান? হ্যাঁ - না এ জবাব দিন।
মুছলমানের সঙ্গে এই সব গুরুতর বিষয় লইয়া আলাপ করা যায়। যদি আপোনি মুছলমান না হইয়া থাকেন, এই আলাপ আপোনার সঙ্গে করার কোন অর্থ নাই।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৮
এ আর ১৫ বলেছেন: আমার মতে মুসলমান ২ প্রকার
১) আল্লাহ মানি, কোরান মানি, কোরান সম্মত হাদিস মানি -- অনুসারি মুসলমান
২) আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি --- মার্কা মুসলমান ।
আমি উপরের বর্ণীত ১ নাম্বার শ্রেণীর মুসলমান । ( আল্লাহ মানি, কোরান মানি, কোরান সম্মত হাদিস মানি -- অনুসারি মুসলমান)
আপনি কি ---- আল্লাহ মানি, কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি --- মার্কা মুসলমান--???-- হ্যা বা না তে জবাব দিবেন । ধন্যবাদ
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫০
মোল্লা সাদরা বলেছেন: ব্লগের সব বড় বড় অলিআল্লাহ আসিয়া দেখি এই পোস্টে একত্র হইয়াছে। সিহাহ সিত্তাহের আর কোন রক্ষা নাই আজিকে। এই পোস্টে এক মাত্র লাইক দেয়া ব্যক্তি হইতেছে সবচে বড় অলিআল্লাহ, মর্দে মুজাহিদ সোনাগাজি।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০২
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই আপনি যদি যুক্তি উপাত্ত দিয়ে কিছু তথ্য দেন , তাহোলে পাঠকদের অনেক উপকার হয় এবং সুস্থ একটা তথ্য আদান প্রদান হয় , যাতে আসল সত্য বেরিয়ে আছে । দয়া করে আপনার বিশ্লেষন মূলক তথ্য দিন । ধন্যবাদ ।
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৯
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আমি তো মোল্লা সাদরা। আমাকে চিনিবার জন্য আমার প্রথম পোস্টটা পড়িলেই হয়।
আর কে কোন আলাপ তুলিতেছে, কি উদ্দেশ্যে তুলিতেছে, কোথায় তুলিতেছে, কোন সময়ে তুলিতেছে - ইহা উহ্য রাখিয়া কোন আলাপে অংশ নেয়া সম্ভব নয়। যাহারা সিহাহ সিত্তাহ বিরোধী এই পোস্টে মন্তব্য করিতেছে সমর্থনজ্ঞাপন করিয়া, ইহারা সবাই কোন না কোন সময় এছলামকে, মুসলমানদের মারাত্মকভাবে আঘাত করিয়া নিজ নিজ এছলামবিদ্বেষের প্রমাণ দিয়াছিল।
মৌফড়িং (১০ ঘণ্টা নিকের বয়স) এর মতো আরও কি নতুন কিছু নিক খুলিবেন, আপোনার এই প্রোপ্যাগান্ডা পোস্ট সমর্থন করিবার জন্য?
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৪
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনাকে চিনবার জন্য আপনার প্রথম পোস্ট কেন পড়তে হবে ।
তবে যেটা বুঝতে পারছি , আপনি আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি - মার্কা মুসলমান ।
১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১০
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আপোনি কোরআন শিখিয়াছেন কীভাবে?
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৭
এ আর ১৫ বলেছেন: আমি কোন মাদ্রাসা গ্রেজুয়েট নহি এবং অন্যদের মত কোরান হাদিস সম্পর্কে জেনেছি । আপনি ক্রমাগত প্রশ্ন করে যাচ্ছেন , মনে করুন আমি কিছুই জানি না , দয়া করে মূল আলোচনার উপরে মন্তব্য করুন , অপ্রসংগিক প্রশ্ন না করে , ধন্যবাদ
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১১
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আপোনি হাদিস শিখিয়াছেন কীভাবে? আপোনার কোরআন হাদিস শিক্ষার সনদ কি?
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১২
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আপোনি কীভাবে সহি/কোরআন অনুবর্তী হাদিসের সঙ্গে "জাল" হাদিসের পার্থক্য করেন? কি প্রক্রিয়ায়?
নিজে করেন, নাকি কাউকে অনুসরন করেন?
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১২
মোল্লা সাদরা বলেছেন: সিহাহ সিত্তাহের কোন কোন হাদিস কোরআনের সঙ্গে সংঘর্ষ করে?
১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৫
মোল্লা সাদরা বলেছেন: সিহাহ সিত্তাহের যে সমস্ত হাদিস আপোনার কাছে কুরআনুল কারিমের সঙ্গে সাঙ্ঘরসিক বলিয়া মনে হয়, উহাদের লইয়া আপোনি কোন এলেমি ফোরাম, তথা যাহারা সিহাহ সিত্তাহ পড়ায় ইউনিভার্সিটি বা মাদারিসে - তাহাদের সঙ্গে সরাসরি কোন এলেমি বাহেসে গিয়াছেন? তাদের প্রশ্ন করিয়াছেন? নাকি এসব না করিয়াই চিৎকার করিতেছেন যে সিহাহ সিত্তাহে অনেক হাদিস আছে, যাহা কোরআনের সঙ্গে সাংঘরসিক?
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৩
এ আর ১৫ বলেছেন: আমার প্রফাইলে গেলে আপনি বেশ কিছু আর্টিকেল পাবেন --- যেখানে আমি দেখিয়ে দিয়েছি --- হাদিসের সাথে কোরানে বৈপরিত্ত । যেমন বিদ্রুপকারিদের ব্যপারের কোরানের উপদেশ বনাম হাদিসের উপদেশ, মুরতাদ হত্যার পক্ষে বিপক্ষে ইত্যাদি ।
একটা বিষয় -- আমি কিন্তু আপনার কাছে জানতে চাচ্ছিনা আপনি -- ইসলাম নিয়ে কতখানি পড়া শোনা করেছেন বা কি আপনার যোগ্যতা ।
২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৬
মৌফড়িং বলেছেন: মোল্লা সাদরা দশ ঘন্টা আগে নিক খুলিলে কি মন্তব্য করা যায় না?
২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৬
মোল্লা সাদরা বলেছেন: যদি কোন সিহাহ সিত্তাহ বিশারদের সঙ্গে পূর্বে কোন আলাপ না করিয়া থাকেন, এই সাধারন মানুষদের প্লাটফর্মে কেন বিভ্রান্তি ছড়াইতেছেন?
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৯
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি প্রমাণ করুন , আমার কথা ভুল এবং বিভ্রান্তিকর এবং সত্য বিষয়টা তুলে ধরুন , তাহোলে তোলেটা চুকে যায় । কাইন্ডলি মূল টপিক্সে মন্তব্য করুন , ধন্যবাদ ।
২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৮
মোল্লা সাদরা বলেছেন: মৌফড়িংঃ যায় বাছা, যায়। মন্তব্য করাটা তো বিষয় না। নতুন নিক খুলিয়া কোন পোষ্টে কি উদ্দেশ্যে মন্তব্য করা হইতেছে - সেই পেছনের উদ্দেশ্যখানা ধরা জরুরী।
২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২০
মোল্লা সাদরা বলেছেন: হে মহান এ আর ১৫ - অন্যদের মতো কোরআন শিখা মানে কি? নিজে নিজে দুই চারী পাতা তাফসির পড়িয়া সিহাহ সিত্তাহকে শোয়াইয়া দিতে আসিয়াছেন? যদি ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হন, তবে কেন ধর্মীয় যে সমস্ত বিষয় নিয়া বাড়াবাড়ি করিলে বড় ঝামেলা সৃষ্টি হইতে পারে, উহা নিয়া এভাবে খেলা করিতে আসিয়াছেন?
২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২২
মোল্লা সাদরা বলেছেন: হে মহান এ আর ১৫, মূল টপিক তো সেইটা যেই প্রশ্ন আমি উত্থাপন করিতেছি। পানি , থুক্কু জল, উহা তো আপোনি ঘোলা করিতেছেন। বলুন, বিশেষজ্ঞ না হইয়া বড় রকমের দাঙ্গা ফাসাদ বাধিয়া যাইতে পারে, এমন একটা সেনসিটিভ ধর্মীয় ইস্যু লইয়া খেলিতেছেন কেন আপোনি?
২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৯
মোল্লা সাদরা বলেছেন: হে মহান এ আর ১৫ - আপোনি আমার সহজ কথা বুঝিতে পারিতেছেন না।
আমি বলিতে চাহিতেছি, আপোনার পুরা ব্লগিং ক্যারিয়ার মুছলিমদের সর্বনাশ করিবার জন্যই ব্যয় করা হইয়াছে। আপনার ন্যুনতম যোগ্যতা নাই এছলাম নিয়া কোন এলমি তাহকিক করার, কিন্তু আপনি উহা করিয়া চলিতেছেন। এবং ঠিক আপোনার যুক্তিগুলি প্রয়োগ করিয়াই পৃথিবীর যে সমস্ত জায়গায় মুছলিমরা সংখ্যালঘু - উহাদের গলায় পাড়া দিয়া ধরা হয়।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪১
এ আর ১৫ বলেছেন: না ভাই আমার লিখা -- মুসলমানদের পক্ষে এবং প্রকৃত ইসলামের পক্ষে কিন্তু আল্লাহ মানি কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি -- মার্কা মুসলমানদের বিপক্ষে । আমি সব সময়ে ঘোড়ামি অন্ধ বিশ্বাষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি ।
এবার আপনি দয়া করে আপনার দাবির পক্ষে দলিল নিয়ে মন্তব্য পেশ করুন । অন্য কোন অপ্রাসংগিক বিষয় নিয়ে আসবেন না আশা করি , ধন্যবাদ ।
২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতঃ মুছলমানদের পক্ষে থাকিবার মিথ্যা দাবী করিয়া কি ফায়দা?
দলিল আমার না, দলিল আপোনার পেশ করিতে হইবে। আমি সিহাহ সিত্তাহের বিপরীতে দাঁড়াই নাই। আপোনি দাঁড়াইয়াছেন।
ফিতনা সৃষ্টি না করিয়া একটা তালিকা দিন - সিহাহ সিত্তাহের কোন কোন হাদিস কুরআন পরিপন্থী?
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি কিসের ভিত্তিতে এই ধরনের আচরন করছেন ----- আমি ১৯ নং কমেন্টের জবাবে হাদিস বনাম কোরানের বিষয়ে --- আমার ব্লগের লিখার কথা বলেছি , দয়া করে সেখানে গিয়ে দেখে আসুন ।
আপনি তো কোন দলিল দিচ্ছেন না । শুধু প্রশ্ন করে যাবেন , এটা কোন আলোচনা হতে পারে না । ধন্যবাদ
২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৭
মোল্লা সাদরা বলেছেন: আরে এ আর ১৫, আচরনের ভিত্তি আবার কি? ব্লগে পোস্ট করিয়াছেন, প্রশ্ন করা যাইতেই পারে। একটা প্রশ্ন যথেষ্ট না হইলে একহাজারটা প্রশ্ন করিব। ত্যানা না প্যাচাইয়া সিহাহ সিত্তাহের কোন কোন হাদিস জাল, তার একটা তালিকা এই পোস্টে যুক্ত করুন। নইলে স্বীকার করিয়া লউন যে আপোনার ভিন্ন মতলব আছে।
২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৬
মোল্লা সাদরা বলেছেন: সিহাহ সিত্তাহের চর্চা হয় দেশের সমস্ত মাদ্রাসায়। তাই বলিয়া বাংলাদেশে পলিটিকাল ইসলামের চর্চা হইতেছে? বঙ্গবন্ধু কন্যার রাজনীতিকে পলিটিকাল ইসলামপন্থী রাজনীতির চর্চা বলিবার মতো ধৃষ্টতা আপোনি কীভাবে দেখাইতেছেন?
২৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: মনে শান্তি পেয়েছেন? দিল ঠান্ডা হয়েছে? এর চেয়ে জোর গলায় দাবী করুন হাদিস কুরআন সব বন্ধ করে দেয়া হোক।
সেই দাবীতে ব্লগে হাওয়া দেয়া জন্য লোকের অভাব হবে না। পোস্ট সুপার হিট হবে।
চালিয়ে যান এই লাইনে, যতদিন বেঁচে আছেন। তবে নিজের কাছে হিসাব রাখেন এইসব কাজের।
৩০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আমার ব্লগে মন্তব্য করতে পারেন।
আপনি একটা চালাকি করেছেন। আপনার পোস্টের নাম প্রথমে ছিল 'হাদিস বর্জন করলে মুসলমানদের কি কি উপকার হবে'। অর্থাৎ সকল প্রকার হাদিস আপনি বর্জন করেন। পরে আবার সমর্থক বৃদ্ধির জন্য নাম সংশোধন করে লিখেছেন 'হাদিস বর্জন (শতবর্ষ পরে লিখিত) করলে মুসলমানদের কি কি উপকার হবে'। অর্থাৎ বলতে চাচ্ছেন কিছু হাদিস মানেন। এই ধরণের চালাকি থেকেই আপনার ধর্মীয় অবস্থান বোঝা যায়। একবার এই দল আরেক বার আরেক দল। ইসলামে এই ধরণের লোকদের একটা নাম আছে। আপনার জানার কথা এদেরকে কি বলে।
কোরআন পরিপন্থি কোন হাদিস হয় না। অনেক সময় কোরআনের ব্যাখ্যাকে আমরা ভুলে মনে করি কোরআনের পরিপন্থি। হাদিস বিশেষজ্ঞরা যে কোন হাদিসকে সহি বলার আগে অবশ্যই দেখেন সেটা কোরআন বা অন্য কোন হাদিসের পরিপন্থি কি না। আপনারা নিজেদের জ্ঞান প্রয়োগ করে সহিকেও মনে করে কোরআনের পরিপন্থি। এটাই সমস্যা।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৩
এ আর ১৫ বলেছেন: আমি সব সময়ে কয়েক শতক পরে লিখিত হাদিস গুলোকে বর্জনের কথা বলেছি।
আমি খুব অবাক হোলাম যে আপনি জানেন না যে,, কোন হাদিস বেত্তা কোরানকে হাদিসের সঠিকতা নিরুপনের মানদন্ড হিসাবে ব্যবহার করেন নি।
The five criteria are:
Adaalah (العدالة) – For each narrator of its chain to be upright in character.
Dhabt (الضبط) – For each narrator of its chain to be precise in transmitting its চন্তেন্ত
.Ittisaal (الاتصال) – For each narrator of the chain to be known.‘
Illah Qadiha (العلة القادحة) – For the hadith to be free from a significant, yet hidden defect within the chain or content of the hadith.
Shaath (الشاذ) – For the hadith to not be anomalous due its chain or content
ধন্যবাদ
৩১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি অনেকক্ষন ধরে ভাবছিলাম কিছু একটা লিখবো কিন্তু লিখবো লিখবো করে অনেক সময় পার করে ফেলেছি কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনি। তো যাই হোক। বিষয়বস্তু হলো হাদীস বর্জন করলে মুসলমানদের কি উপকার হতো? বিষয়টি আমার ভালো লাগলো। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি যা বলতে চাই।
লক্ষ্য করুন আল কোরানের একটি আয়াত- “ এবং সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং সত্যকে গোপনও করো না, যখন (প্রকৃত অবস্থা) তোমরা ভালোভাবে জান। সুরা বাকারা আয়াত ৪২ “ এই আয়াতটিতে আল কোরআনের সাথে কোন মিথ্যাকে মিশ্রিত করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সে যে কোন মিথ্যা হোক। আমি মনে করি এ আয়াতটি শুধুমাত্র হাসীস অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের অনুসরন কুত হাদীস গুলোর মিথ্যা বিষয়বস্তুুর কথা বলা হচ্ছে। যেমন আল কোরআনে আদমের সাথে হাওয়া শব্দের ব্যবহার হাদীসে আছে। কিন্তু হাওয়া শব্দ টি কোথা থেকে এলো? আল কোরাানে তো হাওয়া শব্দের স্থানে আদমের সঙ্গি বলা হচ্ছে। এমনকি স্ত্রি শব্দটিও ব্যবহার হয় নাই। সঙ্গী শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কারন হাওয়া বলে যাকে হাদীস অভিহিত করছে সে আদমের সাথে সাথেই সব সময় থাকতো তাওরাতের ঈভ শব্দটি পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হাওয়া নামকরন করা হয়েছে।
আবার আদম(আ) গন্দম গাছের ফল খেয়েছিলেন। কথাটি একেবারেই ভিত্তিহীন ও কুরআন কোথাও গন্ধম ফল শব্দটি নেই। আদম ও হাওয়া(আ) কে আল্লাহ তাআলা একটি বিশেষ বৃক্ষের নিকট গমন করতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে তাঁরা শয়তানের প্ররোচণায় এই বৃক্ষ হতে ভক্ষণ করেন। কুরআন ও হাদীসে বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়টি বলা হয়েছে। কিন্তু বৃক্ষ বা ফলের নাম কোথাও বর্ণিত হয়নি।
ইহুদীদের মধ্যে প্রচলিত ছিল যে, আদম(আ) গন্দম, অর্থাৎ গম গাছের ফল ভক্ষণ করেন! কিন্তু গন্ধম (ফার্সী শব্দ)গাছ সম্পর্কে আমরা জানলাম কি করে? এটা কি হাদীসের গল্প? অথচ আল কোরআন বলে-“ আমি বললাম হে আদম তুমি ও তোমার স্ত্রি জান্নাতে বসবাস কর। এবং যেথা ইচ্ছা আহার কর কিন্তু এই বৃক্ষের নিকটবর্তী হয়ো না। হলে তোমরা জালিমদের অর্ন্তভুক্ত হবে। সুরা বাকারাহ আয়াত ৩৫
নূহ আ.-এর প্লাবন ও তাঁর কিশতির বিষয় কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে, যা কমবেশি সকলেরই জানা আছে। কিন্তু এর সাথে সাথে এ বিষয়ে সমাজে বিভিন্ন কল্পকাহিনীও প্রচলিত আছে। এবিষয়ের একটি ঘটনা হল, আল্লাহ তাআলার আদেশে নূহ আ. যখন কিশতি বানালেন তখন তার কওম তা নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করতে লাগল। একপর্যায়ে তারা কিশতিতে মলত্যাগ করতে শুরু করল। একদিন এক কুষ্ঠরোগী তাতে মলত্যাগ করতে গিয়ে ময়লার মধ্যে পড়ে গেল এবং তার কুষ্ঠরোগ ভাল হয়ে গেল। এ ঘটনা যখন এলাকায় জানাজানি হয়ে গেল তখন লোকেরা এসে কিশতি থেকে ময়লা (মল) সংগ্রহ করে তাদের রুগিদের ভাল করতে লাগল, এমনকি তারা শেষপর্যায়ে গিয়ে কিশতি ধুয়ে ধুয়ে এর পানি সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে লাগল- এভাবে কিশতি পরিষ্কার হয়ে গেল। এই সব গল্প গুলো আমরা পেলাম কোথা হতে।
“অবশেষে যখন আমার আদেশ এল এবং ভূপৃষ্ঠ উথলে উঠল; আমি বললাম, এতে উঠিয়ে নাও প্রত্যেক শ্রেণীর যুগলের দুইটি, যাঁদের বিরুদ্ধে পূর্ব সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁরা ব্যতীত তোমার পরিবার-পরিজনকে। এবং যাঁরা ঈমান এনেছে তাঁদেরকে” [দ্রঃ সূরা হুদ- ৪০]।
কিন্তু হাদীসে বলা হচ্ছে -
ইমাম তিরমিজি (রহ.) বর্ণনা করেন, ‘নূহ (আ.)-এর প্লাবন শেষে শুধু তাঁর তিন ছেলে—সাম, হাম ও ইয়াফেসের বংশধররাই অবশিষ্ট ছিল। ’ (ইবনে কাসির)
এমন অনেক বিষয়বস্তু আছে যেগুলো আলকোরআানের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক। আলকোরআনের সুরা বাকারা আয়াত ৪২ এর আয়াতের মাধ্যমে আল্লা বলতে চাইছেন “তোমরা সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করোনা।” অথাৎ এই সকল হাদীসগুলো আসলে মিথ্যা বা জাল। হাদীসগুলো আসলে রাসুলের মৃত্যুর অনেক পরে সংগৃহিত হওয়ার কারনে এই জাতীয় ন্যাক্কারজনক মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে। আল কোরআনে ঠিক এরকম আরেকটি আয়াত লক্ষ্য করা যায়।“ সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত, নিশ্চয় মিথ্যা অপসৃয়মান।” (আল-কুরআন) এখানে দেখেন সত্য ও মিথ্যা বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। আল কোরআনের পূর্ববর্তী আসমানি কিতাব হলো ইঞ্জিল। ১৫০০ শতকের দিকে এই বাইবেল নিউ টেস্টামেন্ট (ইঞ্জিল) লেখা হয়। আমরা জানি ইঞ্জিল লেখক মার্ক, মথি, জোহন ও ইউহেন্না। এই ৪ জন লেখকের যৌথ ৪ টি খন্ড ইঞ্জিল হিসেবে প্রকাশিত। ইসা আঃ এর অনুপস্থিতির দীর্ঘদিন পর এই ৪ জন লেখক ইঞ্জিল লেখেন। ইসা আঃ এর অনুপস্থিতির অনেক দিন পর যেহেতু ইঞ্জিল লেখা হয় সেক্ষেত্রে সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রন ঘটার সম্ভাবনাই বেশি।
আবার হাদীসের ঘটনাটি ঠিক একই রাসুলের মৃত্যুর পর অনেক লেখক আলাদা আলাদা ভাবে রাসুলের কথা সংরক্ষন করেন। যার কারনে সত্যের সাথে মিথ্যা সংমিশ্রন ঘটা্টাই স্বাভাবিক।
পরিশেষে বলি হাদীসকে ঢালাও ভাবে বর্জন করা সম্ভব নয়। কারন কোরআনের ব্যাক্ষা হিসেবে যেহেতু কিছু কিছু স্কলার বলছে তাই ছাকনি হিসেবে আল কোরআনকেই ব্যবহার করা যেতে পারে। আল কোরআনের সাথে যে হাদীসগুলো মিলবে সেগুলোই গ্রহন করা যেতে পারে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:১৪
এ আর ১৫ বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামতের জন্য । আপনি সুন্দর ভাবে উদাহরন দিয়ে ব্যাখা করেছেন কিছু উদাহরন দিয়ে কোরানের সাথে হাদিসের বৈপরিত্ত দেখিয়ে । বর্তমানে সত্য কথা প্রকাশ্যে বলাটা খুবই বিপদ জনক । হাদিস পন্থিরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ এবং সকল প্রকার মিথ , মিথ্যা কাহিণী, অপব্যাখা শতাব্দির পর শতাব্দি অনুসরন করে আজ কেহ সত্য কথাটা গ্রহন করতে রাজি না ।
কোরানের আয়াত দ্বারা প্রমাণীত মুরতাদের কোন শাস্তি নেই কিন্তু হাদিসে তা বলা হয়েছে এবং হাদিসের নির্দেশ অনুসরন করা হচ্ছে । আমার প্রফাইলে এর বিবরন পাবেন -- মুরতাদ হত্যার পক্ষে বিপক্ষে --- লিখাটি ।
বিদ্রুপকারীদের বিষয়ে কোরানে কোন শাস্তির কথা নেই কিন্তু হাদিসে আছে । এই বিষয়ের উপর কোরান বনাম হাদিস নিয়ে আমার বেশ কয়েকটা পোস্ট আছে ।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ , সময় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লিখার জন্য ।
৩২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হাদীস ১।
আব্দুল্লাহ্ এবনে ওমর বর্ণনা করেন: রাছুল (সাঃ) মরা লাশগুলোর প্রতি উঁকি দিয়ে বলতে লাগলেন-। ঐ সময় হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আপনি মৃত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলছেন? যাদের কোনো শ্রবণশক্তি নেই। নবী উত্তর দিলেন, তারা তোমাদের মতোই শ্রবণ করে কিন্তু উত্তর দেওয়ার শক্তি নেই।
[হাদিছ সূত্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ প্রকাশ, আ. হক; পৃ: ৩৫১; হামিদিয়া লাইব্রেরী
কোরআন
সূরা নমল ২৭:৮০ আয়াত
إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاء إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ
অর্থঃ নিশ্চয়ই তুমি মৃতদেরকে শুনাতে পারবে না– অন্ধ, বধিরকেও নয়। সূরা রূম ৩০:৫২ আয়াতঃ
فَإِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاء إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ
অর্থঃ অতএব, আপনি মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না।
সতি সিত্তার এই হাদীস টি আল কোরআনের ৩টি আয়াতের সাথে মিলছে না।
ধরুন, যেমন একটি জাল বা দুর্বল হাদীস আছে, 'জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও'। কথাটির মূলভাবের সাথে কোরাআনের কোন সংঘর্ষ নেই। অথচ ধরেন এটি নবীজী (সাঃ ) বলেন নি তাহলে এটি যদি ওনার নামে চালানো হয় তা কি ঠিক হবে? এই ক্ষেত্রে ইসনাদের প্রয়োজনীয়তা আছে কি? যদি ইসনাদ অনুপযোগী হয়ে থাকে তবে বলুন, এই হাদীস্টি কি সঠিক বলা যাবে?
০৭ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:১৮
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই ৩০ নং কমেন্টে সাড়ে চুয়াত্তর সাহেব এবং এর আগে মোল্লা সাদরা দাবি করেছে -- হাদিস বেত্তা গণ নাকি কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক কোন হাদিসকে গ্রহন করে নি কিন্তু দু:খের বিষয় ওনারা জানেন না যে --- হাদিসের সত্য মিথ্যা নিরুপনের জন্য হাদিস বেত্তাগণ কোরান শরিফকে মান দন্ড হিসাবে ব্যবহার ই করেন নি ।
ধন্যবাদ
৩৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৪৫
ঈশ্বরকণা বলেছেন: লাবলু সাহেব,
এই মন্তব্য (#৩২) করার আগে যদি আপনার ইসলাম আর বিজ্ঞান নিয়ে লেখাগুলোর মতো একটু গবেষণা করে নিতেন তাহলেই কিন্তু সহজেই আপনি বুঝতে পারতেন আপনার মন্তব্যের সমস্যাটা কোথায় বা আপনার বুঝবার সমস্যা কোথায় হচ্ছে ! এ আর ১৫, আপনারওতো মনে হয় হাদিস সম্পর্কে বুঝবার সমস্যা হচ্ছে। নইলে এটা আপনার স্টান্ডার্ডেও ভালো পোস্ট হয়নি । এই লেখায় মন্তব্য করবো না ভেবেছিলাম কিন্তু বিজ্ঞানী লাবলু সাহেবের মন্তব্যটা দেখেই এইটুকু বলতে হলো । অশেষ ভালো থাকুন ।
০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:৪৮
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই ভাসা ভাসা কথা না লিখে, টু দা পয়েন্টে কথা বললে সবাই বুঝতে পারবে। আমি নিজে ও ওই মন্তব্যের কোন ভুল পাচ্ছি না। আপনি যদি ব্যাখ্যা করেন তাহলে আমরা ও অনেক কিছু জানতে পারি। আমরা যে কোন বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে খুটিনাটি সব জানতে চাই। এই ভাবে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। ধন্যবাদ।
৩৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ঈশ্বরকণা ভাই,
আপনার মন্তব্য আমি বুঝতে পেরেছি। আসলেই আমার হাদীস ভিত্তিক আরো জ্ঞান প্রয়োজন। কিন্তু কেনো জানি আমার হাদীস পড়তে ভয় হয়। এক অজানা শংকা। “ এবং সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং সত্যকে গোপনও করো না, যখন তোমরা ভালোভাবে জান। সুরা বাকারা আয়াত ৪২ “ এবং হাদীসে পাওয়া রাসুলের কিচু মন্তব্য "আমার কোনো-কথাই লিখো না। কেউ কুরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেল। তবে আমার কথা প্রচার কর(narrate from me)। এতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু মৌখিক বর্ণনায় যেন কোনো মিথ্যা বলো না। যে আমার সম্পর্কে কোনো মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার আশ্রয় গ্রহণ করে।" (সহি মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৪) আল কোরআনের এই আয়াত এবং রাসুলের হাদীস গুলো পড়ার পর থেকে হাদীস সংক্রান্ত ভিতীবোধ আমার চরম পর্যােয়ে। কিন্তু আপনার এই মন্তব্যর পর উপলদ্ধি করলাম এই সকল ভয় জড়তা কাটিয়ে অন্তত হাদীস নিয়ে আমার ব্যপক পড়াশোনা করার দরকার। সঠিক সত্যটা আমার জানা দরকার।
তবে একটি কথা আমি না বলে পারআম না। ধরেন আমি মেনে নিলাম হাদীসে ৯৯ % হাদীস সত্য কিন্তু ১% হাদীস মিথ্যা বা কেউ মিথ্যা রস রাঙায়ে হাদীসের নামে চালিয়ে দিয়েছে। তখন আমি কি করবো? আমরা মেডিকেল সাইন্সে লক্ষ্য করি হাতের বা পায়ের একটি অংশে যদি কোন অংশে একটু ইনফেকশনের কারনে অনেক সময় হাত কেটে ফেলতে হয়। তাহলে ঐ ১% মিথ্যা হাদীসের জন্য সমস্ত হাদীসকে কেনো জলাঞ্জলি দিবেন না? আল কোরাানকেই ছাকনি হিসেবে ভাবি না। কখনই আল কোরআনের মতো সত্য একটি বিষয়ের সাথে হাদীসকে মিশ্রিত করে নাস্তিকদের (অবিশ্বাসীদের) হাস্যরসের সম্পদ বানানো ঠিক হবে না।
তথাপিও হাদীসের উপর যথেষ্টে দখল থাকা দরকার। আপনার কথাটিই ঠিক। ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করুক। আল্লাহ্ ভরসা।
ভালো থাকুন।
৩৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস সংগ্রহ, সংরক্ষণ, জালিয়াতি ইত্যাদি বিষয়ের উপর একটা প্রথম শ্রেণীর বাংলা বই হোল
'হাদিসের নামে জালিয়াতীঃ প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা'
লেখকঃ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
পিএইচডি (রিয়াদ), এমএ(রিয়াদ), এম.এম(ঢাকা)
সহযোগী অধ্যাপক, আল হাদীস বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
হাদিসের নামে জালিয়াতীঃ প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা
কোন হাদিসকে পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে কোরআন এবং অন্যান্য হাদিসকে ব্যবহার করা হয় সেটা আপনি এই বইয়ে পাবেন। বইটিতে এই বিষয়ে বর্ণিত কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ আমি তুলে ধরছি। পুরোটা জানতে হলে আপনাকে পুরো বইটা পড়তে হবে। আমি সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে দিলাম।
"তাঁদের যুগে কোনো সাহাবী মিথ্যা বলতেন না এবং নির্ভুলভাবে হাদীস বলার চেষ্টায় কোনো ত্র“টি করতেন না। তবুও তাঁরা হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর কোনো ভুল হতে পারে সন্দেহ হলেই তাঁর বর্ণনাকে তুলনামূলক নিরীক্ষার (معارضة ومقابلة وموازنة) মাধ্যমে যাচাই করে তা গ্রহণ করতেন। তুলনামূলক নিরীক্ষার প্রক্রিয়া ছিল বিভিন্ন ধরনের:
১. বর্ণিত হাদীস অর্থাৎ বাণী, নির্দেশ বা বর্ণনাকে মূল নির্দেশদাতার নিকট পেশ করে তার যথার্থতা ও নির্ভুলতা নির্ণয় করা।
২. বর্ণিত বাণী, নির্দেশ বা বর্ণনা (হাদীস)-কে অন্য কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তির বর্ণনার সাথে মিলিয়ে তার যথার্থতা ও নির্ভুলতা নির্ণয় করা।
৩. বর্ণিত বাণী, নির্দেশ বা বর্ণনা (হাদীস) -কে বর্ণনাকারীর বিভিন্ন সময়ের বর্ণনার সাথে মিলিয়ে তার যথার্থতা ও নির্ভুলতা নির্ণয় করা।
৪. বর্ণিত হাদীস বিষয়ে বর্ণনাকারীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে বা শপথ করিয়ে বর্ণনাটির যথার্থতা বা নির্ভুলতা নির্ধারণ করা।
৫. বর্ণিত বাণী, নির্দেশ বা হাদীসটির অর্থ কুরআন ও হাদীসের প্রসিদ্ধ অর্থ ও নির্দেশের সাথে মিলিয়ে দেখা।
৪. ২. ৬. বর্ণনার অর্থ কুরআন ও হাদীসের প্রসিদ্ধ নির্দেশের সাথে মিলিয়ে দেখা
সাহাবীগণ পূর্বোল্লিখিত নিরীক্ষা পদ্ধতিসমূহের মাধ্যমে হাদীস বর্ণনাকারীর বক্ত্যব্যের নির্ভুলতা যাচাইয়ের সাথে সাথে তার অর্থও বিচার করতেন। যদি কারো বক্তব্য কুরআন কারীমের বা প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত হাদীস সমূহের স্পষ্ট নির্দেশনার বিপরীত হতো বা বাহ্যিক অর্থের সাথে অসঞ্জস হতো তাহলে তাঁরা তাঁর হাদীস গ্রহণ করতেন না। তাঁরা বর্ণনাকারীর সত্যবাদিতায় সন্দেহ করতেন না। তবে তিনি বক্তব্যটি সঠিক অর্থে বর্ণনা করতে পারেন নি বলেই ধরে নিতেন। ২/১ টি উদাহরণ দেখুন।
১. আবু হাস্সান আল-আ’রাজ নামক তাবিয়ী বলেন:
দুই ব্যক্তি আয়েশা (রা) -এর নিকট গমন করে বলেন: আবু হুরাইরা (রা) বলছেন যে, নাবীউল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: নারী, পশু বা বাহন ও বাড়িঘরের মধ্যে অযাত্রা ও অশুভত্ব আছে। একথা শুনে আয়েশা (রা) এত বেশি রাগন্বিত হন যে, মনে হলো তাঁর দেহ ক্রোধে ছিন্নভিন্ত হয়ে আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল। তিনি বলেন: যিনি আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যিনি কুরআন নাযিল করেছেন তাঁর কসম, তিনি এভাবে বলতেন না।
নাবীউল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন: “জাহিলিয়্যাতের যুগের মানুষেরা বলত: নারী, বাড়ি ও পশু বা বাহনে অশুভত্ব আছে। এরপর আয়েশা (রা) কুরআন কারীমের আয়াত তিলাওয়াত করেন(সূরা—৫৭: আল—হাদীস, আয়াত ২২।`)) “পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদিগের উপর যে বিপর্যয় আসে আমি তা সংঘটিত করবার পূর্বেই তা লিপিবদ্ধ থাকে।”((আহমদ, আল—মুসনাদ ৬/১৫০, ২৪৬।))
এখানে আয়েশা (রা) আবু হুরাইরা (রা) এর বর্ননা গ্রহণ করেন নি। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে যা শুনেছেন এবং কুরআনের যে আয়াত পাঠ করেছেন তার আলোকে এই বর্ণনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২. উমরাহ বিনতু আব্দুর রাহমান বলেন:
আয়েশা (রা) -এর নিকট উল্লেখ করা হয় যে, আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করছেন যে, ‘জীবিতর ক্রন্দনে মৃতব্যক্তি শাস্তি পায়।’ তখন আয়েশা (রা) বলেন: আল্লাহ ইবনু উমারকে ক্ষমা করুন। তিনি মিথ্যা বলেন নি। তবে তিনি বিস্মৃত হয়েছেন বা ভুল করেছেন (দ্বিতীয় বর্ণনায়: শুনতে অনেক সময় ভুল হয়)।
প্রকৃত কথা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ইহুদী মহিলার (কবরের) নিকট দিয়ে গমন করেন, যার জন্য তার পরিজনেরা ক্রন্দন করছিল। তিনি তখন বলেন: ‘এরা তার জন্য ক্রন্দন করছে এবং সে তার কবরে শাস্তি পাচ্ছে।’ আল্লাহ বলেছেন((সূরা ৬: আল—আন‘আম: ১৬৪; সূরা ১৭: আল—ইসরা: ১৫; সূরা ৩৫: ফাতির: ১৮, সূরা ৩৯: আয—যুমার: ৭, সূরা ৫৩: আন—নাজম: ৩৮।)): ‘এক আত্মা অন্য আত্মার পাপের বোঝা বহন করবে না।’((মুসলিম, আস—সহীহ ২/৬৪০—৬৪৩, তিরমিযী, আস—সুনান ৩/৩৩৭।))"
একটি হাদিসের সাথে অন্য হাদিসের সংঘর্ষ হলেও দুই হাদিসের মধ্যে সমন্বয়ের সুযোগ না থাকলে সেই ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হাদিস গ্রহণ বা বর্জন করা হত।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৯
এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য --
প্রথমে বলে রাখি ---- হাদিস সংকলনের সময়ে কোরানকে যে সত্য মিথ্যা নিরুপণের মানদন্ড হিসাবে গ্রহণ করা হয় ণি এর পক্ষে বহুত রেফরেন্স লিংক আমি দিতে পারি কিন্তু আপনাকে দেখাচ্ছি -- হাদিস বনাম কোরানের আয়াতের উদাহরন দিয়ে ।
কোরানের সাথে ম্যাচ করে কিন্তু সনদ মতন ঠিক নেই তাই বাতিল হাদিস --
১) বুড়ির নবী সা: এর পথে কাটা দেওয়ার কাহিণী
২) শিক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে চীনে যাও ।
সনদ মতন ঠিক আছে কিন্তু কোরানের সাথে ম্যাচ করে না বা বিপরীত --- কিন্তু গ্রহন করা হচ্ছে এবং অনুসরন পালন করা হচ্ছে-- এমন হাদিস ।
১ ) মুরতাদ হত্যার পক্ষে হাদিস এবং মুরতাদ হত্যার বিপক্ষে কোরনের আয়াত পাবেন এই লিংকে
Link is here
২) ব্যাভিচারির মৃর্তু দন্ডের পক্ষের হাদিস এবং ব্যাভিচারের জন্য শাস্তি কিন্তু মৃর্তু দন্ডের বিপক্ষের কোরানের আয়াত পাবেন এই লিংকে ---- Link is here
৩) বিদ্রুপকারিদের শাস্তি/হত্যার পক্ষে হাদিস এবং বিদ্রুপকারিদের শাস্তির বিপক্ষে কোরানের আয়াত পাবেন -- এই লিংকে -----
Link is here
সুতরাং দেখা যাচ্ছে --- হাদিসের সঠিকতা নিরুপণের জন্য মুলত সনদ মতন রাবি ইত্যাদির ৫ টা ক্রাইটারিয়ার মাধ্যমে হাদিসকে গ্রহন করা হয়েছে ----
কোরানের সাথে ম্যাচ করে কিন্তু সনদ মতন ঠিক নেই -- এই সব হাদিস বাতিল করা হয়েছে ।
কোরানের সাথে ম্যাচ করে না কিন্তু সনদ মতন ঠিক আছে --- এই সব হাদিস গ্রহন পালন বাস্তবায়ন করা হয়েছে ।
ধন্যবাদ
৩৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
ঈশ্বরকণা বলেছেন: প্রথমে বলে রাখি ---- হাদিস সংকলনের সময়ে কোরানকে যে সত্য মিথ্যা নিরুপণের মানদন্ড হিসাবে গ্রহণ করা হয় ণি এর পক্ষে বহুত রেফরেন্স লিংক আমি দিতে পারি কিন্তু আপনাকে দেখাচ্ছি -- হাদিস বনাম কোরানের আয়াতের উদাহরন দিয়ে ।
হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে সব সময়ই কুরআনেই সাথে সেটা সাংঘর্ষিক কিনা সেটা সবচেয়ে বেশি ফান্ডামেন্টাল বিষয় ছিল । এই ফান্ডামেন্টালটা হাদিস অথেন্টিক কিনা সেটা মাপার কোনো ক্রাইটেরিয়া নয় হাদিসের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে একটা একটা বিল্ডিং ব্লক যা কোনো ক্রাইটেরিয়ার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসের চেইন যতই শক্ত হোক তার ভাব কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হলেই সেই হাদিস অগ্রহণযোগ্য । এই আলোচনা শুরু হয়েছে বুখারী শরীফ সংকলনেরও আগে ইমাম শাফির অথোরেটেটিভে আলোচনা থেকে। এ নিয়ে সব সময়ই ইসলামিক স্কলারদেরমধ্যে ঐক্য ছিল ।আপনি এর আগেও মন্তব্যে বলেছেন কুরআন হাদিস সংকলনের ক্ষেত্রে কুরআন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি । যাক আপনার মন্তব্য যে সঠিক নয় সেটার রেফারেন্স এখনই দিচ্ছি না । আগে আপনার উপরের মন্তব্যটার পক্ষে (৩৫নং মন্তব্যের উত্তরে) যে লিংকগুলো আপনি দিতে চাচ্ছেন সেগুলো দিন প্লিজ । তারপর আমি না হয় আপনার বক্তব্য যে ভুল তার রেফারেন্স নিয়ে কথা বলি ।
তেমন ভাবে আপনার বলা "মুরতাদ হত্যার পক্ষে হাদিস এবং মুরতাদ হত্যার বিপক্ষে কোরনের আয়াত----" এর কনটেক্সট ও রাসূলের জীবনে এই সম্পর্কিত আরো ঘটনা থেকে নেয়া ডিসিশন থেকে আপনার দেয়া কোরানের আয়াতের বিরুদ্ধে হাদিসকে দেখাবার চেষ্টা থেকে আপনি যে সঠিকভাবে কুরআনের আয়াতটা বুঝতে পারেননি সেই আলোচনাও না হয় করা যাবে ।অন্য যে ইস্যুগুলো আপনি বলেছেন সেগুলো যে সঠিক নয় তা নিয়েও কথা বলাই যায় । কিন্তু আপনারা দীর্ঘ সময় ধরে কুরআনের কনটেক্সট বিবেচনা না করেই, শুধু বাংলা অনুবাদ দেখেই সে সমালোচনাগুলো করছেন ইসলামের বা হাদীসকে কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হিসেবে দেখতে চাইছেন সেটা বেশিরভাগ সময়ই কোনো কিউরিয়াস প্রশ্ন নয় ইচ্ছাকৃত ইসলাম বিরোধিতা মনে হয়েছে । তাতে আপনাদের পোস্টে মন্তব্য করার ইচ্ছেগুলোই ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে । যাক সত্যের ক্ষয় মিথ্যার জয় সব জায়গায় । ব্লগেই বা এর ব্যতিক্রম হবে কেন । সেজন্য এতসব পোস্ট মন্তব্যে কিছু না বলাই ভালো বলে রিটায়ার করার কথা ভাবছি ব্লগ থেকে । আপনাদের কুশল হোক ।
০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১১
এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে,, আপনি রেফারেন্স দেখতে চান, কয়টা দেখবেন?? একটু কষ্ঠ করে গুগল শার্চে গিয়ে Criteria of Shahi Hadith লিখে শার্চ দিন, পেয়ে যাবেন।
আপনি কোন কিছু ভালো ভাবে না পড়ে কি করে মন্তব্য করেন, লেখাটা ভালো করে পড়ুন, লিখা একজন শরিয়া আইন বিশেষজ্ঞ লিখেছেন, তার নাম নীচে দেওয়া হয়েছে।। মুরতাদ এবং রজম নীয়ে লিখা দুইটি ওনার লিখা।
৩৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৭
ঈশ্বরকণা বলেছেন: হাহাহা ----হাদিস নিয়ে আপনারতো গভীর জ্ঞান থাকার কথা কারণ যে হারে হাদিস নিয়ে লিখেছেন ! তাহলে আপনি এটাও জানেন যে হাদিসের অথেন্টিসিটির ক্ষেত্রে অন্য কিছু ক্রাইটেরিয়ার সাথে সাথে ইসনাদ, আর মাতন বলতে দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। আমিও আপনার লিঙ্কগুলোর কারিগর কারা (ইসনাদ অর্থে) আর তার মাতনই বা কেমন মানে লিঙ্কগুলোর বক্তব্যই বা কি সেটা দেখতে চেয়েছিলাম । আমি জানি গুগুল করলেই এ নিয়ে অনেক কিছুই দেখতে পাওয়া যাবে । আপনিতো দেখি আপনাদের কথা মতো কিছু গুগুল মোল্লার মতো গুগুল প্রগতিশীল হয়ে গেছেন ।
দেখুন ইসলামতো আর গুগুল করে করা যায় না । কুরআন আর হাদিসের অনেক বিষয়ই আক্ষরিক অর্থে নিতে গেলে ভাষাগত বহুমাত্রিক অর্থের কারণেই অনেক সমস্যা হয় । সেটা গুগুল করে সমাধান করা যায় না।তার জন্য যারা ইসলামিক আইন কানুন জানেন বা সে নিয়ে যাদের অনেক পড়াশুনা আছে, আরবি ভাষায় দখল আছে তাদের থেকেই বিষয়গুলো জানা দরকার । আপনি মনে হয় আপনার একটা পোস্টে অনেক দিন আগে 'ওলামায়ে সু' বিষয়ে লিখেছিলেন। আপনারা এই হাসান মাহমুদকেতো তেমন মনে হয় । আপনি সম্ভবত ধর্ম তেমন মানেন না আর আপনার লেখা থেকে ধারণা করি ইসলাম ধর্মাম্বলীও নন বা প্র্যাকটিসিং মুসলিমও নন । যদি আমার ধারণা ভুল হয়,আপনি ইসলাম ধর্মাম্বলী হন আর ইসলামের কিছু মাত্র আপনার ভেতর এখনো অবশিষ্ট থাকে তাহলে বিনা পয়সায় যে এডভাইসটা আমি আপনাকে করতে চাই সেটা হলো এই হাসান মাহমুদ থেকে দূরে থাকুন । এই লোক ইসলাম নিয়ে খুব বেশি জানেন সেটা বিশ্বাস করতে আমার আপত্তি আছে । ব্লগের গুরুত্বপূর্ণ একজনের থেকে এর সম্পর্কে হাই রেকমেন্ডেশন পেয়ে এর কিছু লেখা আমি পড়তে গিয়েছিলাম তার থেকে এই লোক যে ইসলাম নিয়ে খুবই কম জানেন আর ভুলভাল কথা বলেন সেটা আমি তার ইসলাম নিয়ে লেখা থেকে নিজেই জানি । আপনার দেয়া লিংকটাও, যার কথা আমি বলেছি আগের মন্তব্যে, পড়েছি । এই বিষয়ে আমেরিকান কনভার্ট, ইসলাম নিয়ে অনেকগুলো বিখ্যাত বইয়ের লেখক প্রফেসর জোনাথন ব্রাউনের একটা আর্টিকল আছে। আপনি জোনাথন ব্রাউনের তথ্যবহুল ব্রিলিয়ান্ট সেই আর্টিকেলটা পড়ে থাকলে বুঝবেন এই বিষয়ে আপনার পন্ডিত হাসান মাহমুদের লেখা কত কাঁচা আর নিম্নমানের।
শরিয়া বিশেষজ্ঞ হাসান মাহমুদের ইসলাম সম্পর্কে আনাড়িপনা জানতে চাইলে বলেবেন আমি এখানেই অল্প মন্তব্য করে সেটা বলার চেষ্টা করবো । এই লোকের পান্ডিত্য নিয়ে দুই এক লাইন লেখাও মুশকিল । আর এদের তাই গুরুত্ব দেবার কিছু নেই । এই ইসলাম সম্পর্কে বিশেষ অজ্ঞ লোকদের নিয়ে আমি খুব বেশি সময় নষ্ট করতে চাই না।এই লেখককে শরিয়া আইনের বিশেষজ্ঞ বলছেন দেখে আপনার ইসলামিক জ্ঞানের অবস্থা যে ভয়াবহ সেটা নির্দ্বিধায় বলা যায় । আপনার ইসলামিক জ্ঞানের চিচিংতো ফাঁক হয়ে গেলোতো মশাই ! হাসান মাহমুদকে গুরু মনে করে (মানে বিশেষজ্ঞ) তার লেখা আর এই গুগুল সার্চ দিয়ে ইসলাম, কুরআন আর হাদিস ভুল বলার আপনার প্রচেষ্টা তাই আরো হাস্যকর লাগছে। ইসলাম সম্পর্কে আপনাদের এই সম্মিলিত ভুলভাল বক্তব্যে ইসলামের খুব একটা আসে যাবে না। যাহোক, আপনার গুরুর কথা জেনে এই পোস্টে আমার আলোচনা শেষ করলাম। আপনারও আর কোনো লিংক দেবার দরকার নেই ।আমি বুঝতে পারছি আপনার পজিশন ।
১০ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪২
এ আর ১৫ বলেছেন:
সুরা নিসা আয়াত ১৩৭
যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন।
Sahih International: Indeed, those who have believed then disbelieved, then believed, then disbelieved, and then increased in disbelief - never will Allah forgive them, nor will He guide them to a way.
Pickthall: Lo! those who believe, then disbelieve and then (again) believe, then disbelieve, and then increase in disbelief, Allah will never pardon them, nor will He guide them unto a way.
Yusuf Ali: Those who believe, then reject faith, then believe (again) and (again) reject faith, and go on increasing in unbelief,- Allah will not forgive them nor guide them nor guide them on the way.
Shakir: Surely (as for) those who believe then disbelieve, again believe and again disbelieve, then increase in disbelief, Allah will not forgive them nor guide them in the (right) path.
Muhammad Sarwar: God will not forgive or guide to the right path those who first believe, then disbelieve, again believe and disbelieve, and then increase their disbelief.
Mohsin Khan: Verily, those who believe, then disbelieve, then believe (again), and (again) disbelieve, and go on increasing in disbelief; Allah will not forgive them, nor guide them on the (Right) Way.
Arberry: Those who believe, and then disbelieve, and then believe, and then disbelieve, and then increase in unbelief-God is not likely to forgive them, neither to guide them on any way.
উপরে আয়াত থেকে কি বুঝলেন বলেন তো । এটা বুঝতে কি রকেট সাইন্স জানতে হবে --- দেখি এই আয়াতের সিকোয়েন্স বিশ্লেষন করি --
১) একজন বিশ্বাষ স্থাপন করেছে মানি মুসলমান হয়েছে -- তার পর বিশ্বাষ ত্যাগ করেছে মানে মুরতাদ হয়ে গেছে ----
২) মুরতাদ হওয়ার পর আবার বিশ্বাষ গ্রহন করে মুসলমান হয়েছে ।
৩) আবার বিশ্বাষ ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে গেছে ---
এবার বলুন তো মুরতাদের শাস্তি মৃর্তুদন্ড যদি হয় তাহলে সে আবার কিভাবে মুসলমান হবে আবার এবং আবার মুরতাদ হবে কি করে ??? তারমানে মুরতাদের কোন শাস্তি নেই ,
এখন দেখুন হাদিসের সাথে মিলে কিনা --- আপন যে কোন তফসির নিয়ে আসুন না কেন সেখানে বলা হচ্ছে --- একজন প্রথমে মুসলমান হয়ে তারপর কাফের হয়েছে , আবার মুসলমান হয়েছে , আবার কাফের মুরতাদ হয়েছে ------
মুরতাদের শাস্তি মৃর্তু দন্ড হলে ষে আবার মুসলমান হবে কি করে এবং পুনরায় মুরতাদ হবে কি করে ।
--------------
সামান্য এই জিনিস যখন বোঝেন না --- ইসলামিক জ্ঞানের চিচিংতো ফাঁক হয়ে গেলো ।
৩৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০১
জ্যাকেল বলেছেন: একটি সত্য ধর্মের স্পষ্টতই কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত- (বিবেকের রেফারেন্স থেকে)
ধর্মে কোন শ্রেণিভেদ থাকবে না। সকল মানুষের সম পর্যায়ের সুযোগ থাকবে। (ইবাদাত করার জন্য)
মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
অর্থনৈতিক শ্রেণিবৈষম্য দূর করতে চেস্টা করবে।
সম্পদ বন্ঠনে ন্যায়মূলক আচরণ করবে।
পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করে এমন আচার/কৃষ্টি/উপাদান সমূহ দূরীভুত করবে।
জালেম/অন্যায়কারীর প্রতি বিরোধিতা ও তুচ্ছতা আরোপ করবে।
সামাজিক/পারিবারিক ক্ষেত্রে বিশৃংখলা/অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীতিমালা থাকবে।
, , ,
@ইশ্বরকণা
এখন হাদীস থেকে দেখুন। আপনি নবীজীর শানে কেউ গালি দিয়েছে বলে তাকে হত্যা করতে হুকুম দিলেন, ওয়াজ মাহফিলে শত শত লোকের রক্তে আগুন লাগিয়ে দিলেন। (ফাসাদ লাগিয়ে) নিজের মুখের ক্ষমতা দেখিয়ে দিলেন আর পুলিশ মুলিশ সকলেই ভয়ে নিজ রাস্তা মাপতে লাগল কারণ ফুঁসে ওঠা জনগণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস এক থানার পুলিশের নাই।
তালেবান টালেবান আইসিস সকলেই হাদীস ভিত্তিক ইসলাম চর্চার কূফল। শান্তির ধর্ম ইসলামকে অশান্তির ধর্মে পরিণত করেছে ম্যানিউপুলেটেড হাদীস কেন্দ্রিক ইসলাম। ইসলাম থেকে শান্তি সরে গিয়ে সেখানে সন্ত্রাস যুক্ত হয়েছে এই কারণেই।
আল্লাহর কোরআনই ইসলাম চর্চার জন্য যথেষ্ট, এই কথা না মানার কারণেই সারা বিশ্বে আজ মুসলমানের জাত ক্রমে নিপিড়িত হচ্ছে। এই বিভ্রান্তি থেকে যদি না বেরিয়ে আসেন তাহলে আপনার জন্য সমবেদনা বৈ কিছু নাই।
উপরের সত্য ধর্মের বৈশিষ্টগুলো আর থাকে না যদি আপনি হাদীস আগে কুরআন পরে নীতিতে আগান। হাদীস ভিত্তিক ইসলাম ফলো করতে গিয়ে মানুষকে কঠিন এক রাস্তায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ফলত সে হতাশ হয়ে আরো বেশি শয়তানের পথে চলে যাচ্ছে।
৩৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
ঈশ্বরকণা বলেছেন: হাহাহা ---সাধে কি আর বলছি আপনারা কুরআন সামগ্রিক ভাবে না পড়েই বা না বুঝেই যেই ভার্সটা আপনাদের স্বার্থের জন্য দরকার সেটাই শুধু বলেন ! আপনার শরিয়া বিশেষজ্ঞ সেই লোকও আপনার মতোই একই কাজ করেছে ।অনেক কিছু বলেছে তার লেখার যে লিংক আপনি দিয়েছেন কিন্তু কুরআনের যেই আয়াতে ধর্মত্যাগীদের কঠিন শাস্তির কথা প্রকাশ্য ভাবেই বলা হয়েছে সেই আয়াত আর বলতে পারেনি ইচ্ছে করেই হোক বা অজ্ঞানতার জন্যই হোক।
Simon Cottee-র চমৎকার একটা বই আছে ইসলামের ধর্মত্যাগীদের নিয়ে ইসলামের শাস্তির বিষয়ে "The Apostates: When Muslims Leave Islam" নামে । সেখানে Simon Cottee আপনারা যেই আয়াতটার (সূরা নিসা -১৩৭)কথা বলছেন সেই ধরণের আয়াতগুলো আর আমি যেই আয়াতটার কথা বলছি (পিনপয়েন্ট করলাম না আয়াতটা আপনারা কষ্ট করে একটু কুরআন পড়বেন সে জন্য) তার মধ্যে একটা তুলনামূলক আলোচনা করে বলেছেন "...what distinguishes apostates from those who simply leave is that apostates become active opponents of their previous identity, more renegades than mere dissenters....". বুঝতে পারছেনতো পার্থক্যটা ? রাসূলের (সাঃ) সময় কিছু মুসলিম ইসলামত্যাগ করেছিল । রাসূল (সাঃ) মুসলিমদের মধ্যে প্রথম যেই দলকে মক্কা ইথিওপিয়ায় (তখনকার আবিসিনিয়া) পাঠিয়েছিলেন নিরাপত্তার জন্য তাদের থেকেও ওবায়ুদুল্লাহ ইবনে জাহাশ ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিস্টান হয়ে গিয়েছিলেন। ইমাম শাফি তার রচনায় মদিনার কিছু মুসলিমের ইসলাম ত্যাগের কথা লিখেছেন। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই রাসূল (সাঃ) তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কিছু করেননি।
কিন্তু এটাতো গেলো ইসলাম ধর্মত্যাগের একটা দিক । কেউ ধর্ম ত্যাগ করলো কিন্তু আর কিছু করলো না । কিন্তু যারা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে শত্রুর সাথে ইসলামকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের ব্যাপারটাও কি একই রকম ? নিশ্চই নয় । তাদের ক্ষেত্রেও কি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা কুরআন বলেনি ? কি বলেন ? কিসের ভিতিত্তে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইসলাম ত্যাগকারী ঐহী লেখক Abdullah ibn Saad ibn Abi Sarh-কে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন ? যেখানে মদিনার ইসলামত্যাগকারী অন্যদের ব্যাপারে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাই নিলেন না ! Abdullah ibn Saad ibn Abi Sarh-কে হত্যার আদেশ দেয়াটাতো শুধু হাদিসের বক্তব্য না । এই হত্যার এদেশের কথা ও ঘটনা রাসূলের সিরাতেও আছে । এটা সত্যি বলেই স্বীকৃত । তাহলে রাসূল (সাঃ) কি কুরআনের আদেশ ভায়োলেট করেছেন (নাউযুবিল্লাহ) বা রিদ্দার যুদ্ধে হজরত আবুবকর (রাঃ), যিনি জান্নাতে যাবেন নবী রাসূলদের পরে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে, ইসলামত্যাগীদের হত্যার আদেশ দিয়ে? আপনার শরিয়া বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি হজরত আবুবকরকে (রাঃ) মনে হয় সেই অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন --বা বলেছেন হাদিসের সেই সব ঘটনা মিথ্যা কারণ সেগুলো কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক ! এর জন্যই বলছি উনি বিশেষজ্ঞ না বিশেষ ভাবে অজ্ঞ ব্যক্তি ইসলাম বিষয়ে । আপনিও তার তালে নাচ্ছেন। রাসূল (সাঃ) বা হজরত আবুবকর (রাঃ) কেউই কুরআনের আদেশ ভায়োলেট করেননি ।তারা কুরআন সঠিকভাবেই বুঝেছিলেন । রাসূলের (সাঃ) Abdullah ibn Saad ibn Abi Sarh-কে হত্যার আদেশ দেয়া থেকেই, যদিও পূর্ব ঘোষিত সাধাৰণ ক্ষমার আওতায় Abi Sarh বেঁচে গিয়েছিলো নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করে কিন্তু তার নতুন করে ইসলামে বাইয়াতের ব্যাপারেও রাসূল স্বীকৃতি দেননি প্রথমে যাতে সাহাবীদের কেউ রাসূলের চুপ থাকার সময়ে তাকে হত্যা করতে পারে সেজন্য, তাহলে বোঝা যাচ্ছে ইসলামের ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের সাথে যদি কোনো ধর্মত্যাগী যুক্ত হয়ে যায় তাহলে তাকে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টই দিতে হবে প্রশাসনের রাষ্ট্র যদি ইসলামিক আইনে পরিচালিত হয়। হাজার বছর ধরে ইসলামিক স্কলাররা যে ধর্ম ত্যাগের জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের কথা বলেছেন সেটা এর ভিত্তিতেই বলেছেন আর কুরআন অনুযায়ী সেটা সঠিকই আছে । ইসলামিক শাসকরা রাসূলের সময় থেকেই যারা ইসলাম ত্যাগ করেছে কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হয়নি বা বাধ্য হয়ে ইসলাম ত্যাগ করেছে এমন মানুষদের ক্ষেত্রে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেবার কথা বলেনি । স্কলাররা এসব ক্ষেত্রে ধর্ম ত্যাগীদের সময় দেবার কথাই বলেছেন যাতে তারা ইসলামে আবার ফিরে আসতে পারে সেজন্য, আপনি যেমন বললেন ।আপনার জিগ্ স পাজল প্রশ্নের "প্রথমে মুসলমান হয়ে তারপর কাফের হয়েছে , আবার মুসলমান হয়েছে , আবার কাফের মুরতাদ হয়েছে ---মুরতাদের শাস্তি মৃর্তু দন্ড হলে ষে আবার মুসলমান হবে কি করে এবং পুনরায় মুরতাদ হবে কি করে " উত্তর দেয়া গেলো কুরআন আর হাদিসের ভিতিত্তে ? সহীহ হাদিস আর কুরআন কোনো ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক না । এটা খুঁজে পাচ্ছে শুধু ইসলামকে কম জানা আপনার শরিয়া বিশেষজ্ঞ টাইপ কিছু মানুষ আর আমাদের ব্লগের আপনার সেই তথাকথিত শরিয়া বিশেষজ্ঞদের মতো গুগুল প্রগতিশীলরা ! এর পরেও আর কথা না বাড়িয়ে কুরআনের ধর্মত্যাগী আর দ্বীনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ভয়াবহ শাস্তির বিষয় নিয়ে একটু পড়াশুনা করুন।
মিস্টার জ্যাকেল, আমি ইসলামের কোনো বিশেষজ্ঞ না । ইসলাম জানার চেষ্টা করছি মাত্র । কিন্তু আপনারা ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে যা বলেন তা এতই আনাড়ি যে আমার মতো কম ইসলাম জানা মানুষের কাছেও সেটা সাথে সাথেই ধরা পরে । আমি সাধারণতো আপনার লেখায় মন্তব্য করি না, আসলে এখন পড়িও না কাৰণ আমার সব সময়ই মনে হয় আপনি অনর্থক ইসলামের আলোচনা করে ঝামেলার সৃষ্টি করতে চান । সারা পৃথিবীর মুসলিম জনসংখ্যার মাত্র ১০ পার্সেন্ট শিয়াদের বর্ণনা গাদীরে খুম যখন ঈদ হয়ে যায় আপনার বর্ণনায় তখন বোঝা শক্ত যে আপনি আসলেই ইসলাম নিয়ে কোনো গঠনমূলক আলোচনা করতে আগ্রহী কি না ।
যাক কুশলেই থাকুন আপনারা দুজন । আমার আলোচনার কোনোই উত্তর দিতে হবে না আপনাদের । কারণ আমি অনর্থক এ নিয়ে আর কথা বলতে চাই না । যা বলার সেটা অলরেডি বলেছি ।
১০ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
এ আর ১৫ বলেছেন: জী ঠিক বলেছেন --- যিনি মুরতাদ হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বা যুদ্ধে লিপ্তে হয়েছে --- তখন ঐ মুরতাদকে হত্যা করা যায় শুধু মাত্র যুদ্ধ ক্ষেত্রে , সে যদি কোন যুদ্ধ অপরাধ করে থাকে -- তার জন্য শাস্তি হতে পারে , তবে মুরতাদ হিসাবে নহে ইসলাম ধবংসকারি হিসাবে।
মুরতাদ হয়ে গেছে কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় নি । তাদের কোন শাস্তি নেই ।
যিনি ইসলামে আসেন নি এবং মুরতাদ নন --- এমন লোক যদি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বা ষড়যন্ত্র করে তখন তাদের যা শাস্তি, ষড়যন্ত্রকারী মুরতাদের একই শাস্তি । তাহোলে এটা পরিষ্কার ঐ মুরতাদের শাস্তি মুরতাদির জন্য নহে বরং ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ষড়যন্ত্র করার জন্য ।
তার মানে মুরতাদের শাস্তি ধর্ম ত্যাগ করার জন্য নহে ---- ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য । ইসলাম ধবংস কারির অমুসলিমের এবং মুরতাদের শাস্তি এক । এই ধরনের মুরতাদের শাস্তি ধর্ম ত্যাগের কারনে নয় --- ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য শাস্তি । ------ তাহোলে বলুন ঐ মুরতাদকে কি কারনে শাস্তি দেওয়া হলো ? মুরতাদির কারনে নাকি যুদ্ধ করার কারনে ?
যুদ্ধকারি কাফেরদের কেন শাস্তি দেওয়া হোল -- তারাতো মুরতাদ নহে ।
তার মানে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারি মুরতাদের শাস্তি হবে যুদ্ধ করার জন্য --- মুরতাদির জন্য নহে --- ঠিক একই শাস্তি ইসলমাের সাথে যুদ্ধকারী কাফেরের জন্য ।
তারমানি কি বুঝলেন --- "...what distinguishes apostates from those who simply leave is that apostates become active opponents of their previous identity, more renegades than mere dissenters....-- এই বাক্য থেকে ---- একটিভ অপনেন্টের শাস্তির কথা বলেছে -- ইনএকটিভদের ব্যপারে বলা হয় নি । তারমানে একটিভ ভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য তাদের শাস্তি --- এই শাস্তি ধর্ম ত্যাগের জন্য নহে ।
Abdullah ibn Saad ibn Abi Sarh-কে হত্যার আদেশ দেয়াটাতো শুধু হাদিসের বক্তব্য না । এই হত্যার এদেশের কথা ও ঘটনা রাসূলের সিরাতেও আছে ।
ইনি তো একটিভ অপনেন্ট ছিল , তাই মক্কা বিজয়ের পর তাকে হত্যা করার কথা শুনা যায় কিন্তু তাকে হত্যা করা হয় নি এবং পরবর্তিতে তিনি ইসলাম গ্রহন করে এবং তাকে পরবর্তিতে একটা এলাকার প্রশাসক নিযুক্ত করেন হযরত ওমর রা: ।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে ইসলামের ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের সাথে যদি কোনো ধর্মত্যাগী যুক্ত হয়ে যায় তাহলে তাকে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টই দিতে হবে প্রশাসনের রাষ্ট্র যদি ইসলামিক আইনে পরিচালিত হয়
-------------
এই তো এতক্ষণে স্বীকার করলেন আসল কথা --- কোন মুরতাদ যদি ইসলাম ধবংসের ষড়যন্ত্র যুক্ত থাকে তখন তাকে হত্যা করা যাবে --- ইসলাম ধবংসের যড়যন্ত্রে মুরতাদ কেন , অমুসলিম যে কেউ যদি জড়িত থাকে তখন তাকে হত্যা করা যেতে পারে । তারমানি মুরতাদ হোক বা না হোক --- যে কোন ইসলাম ধবংসকারীর শাস্তি এক । তারমানি মুরতাদের শাস্তি ধর্ম ত্যাগের কারনে নহে , তার শাস্তি ইসলাম ধবংসের যড়যন্ত্র করার জন্য ।
তার অর্থ হোল মুরতাদের কোন শাস্তি ইসলামে নেই । যদি এই ধর্ম ত্যাগকারি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে --- তখন মুরতাদ হিসাবে নহে -- যড়যন্ত্রকারি হিসাবে তার বিচার হবে এবং একই বিচার হবে যড়যন্ত্রকারি হিসাবে অমুসলিমদের ও ।
যিনি মুরতাদ কিন্তু যড়যন্ত্রকারি নন , ইসলাম ধবংসকারি নন-- তার শাস্তি কি ভাবে মৃর্তু দন্ড হয়?
কিন্তু হাদিসে যে কোন ধরনের মুরতাদকে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে যেটা পুরাপুরি কোরান লংঘণ ।
ধন্যবাদ ---- আমার পক্ষে যায় এমন সব দলিল দেওয়ার জন্য ।
৪০| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: হাদিস। কোরয়ান নিয়ে বিতর্ক আসলে বন্ধ হওয়া উচিত।
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত সেই ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান❞ (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত ১৩)
তাকওয়া হলো আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার ও পাপকাজ থেকে বিরত থাকা।
হাদিস, কোরয়ান নিয়ে বিতর্ক আসলে বন্ধ হওয়া উচিত। ভিন্ন মতের অনুসারী হয়েও যদি আমাদের তাকওয়া ঠিক থাকে তবেই আর কোন সমস্যা থাকে না। দিনশেষে ইসলাম ধর্মের তাৎপর্যই হচ্ছে আমরা মানুষ হিসেবে কেমন। লোক দেখিয়ে সকল ধর্মীয় রীতি পালন করে যদি কর্মে তার প্রতিফলন না থাকে তাহলে সেই ধর্ম পালনের কানা কড়ি মূল্য নাই।
১০ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬
এ আর ১৫ বলেছেন: একমত হতে পারলাম না ভাই ----- কোরান বিরুধী কোন হাদিস মানা যায় না । ধন্যবাদ
৪১| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২১
ঈশ্বরকণা বলেছেন: হাহাহা --আপনার প্রোপিকের ফটো ক্রিকেটের কিন্তু আমারতো মনে হয় আপনি ফুটবলও ভালো খেলতেন কারণ যেভাবে ডজ দিলেন আমার মন্তব্যের ! আমার মন্তব্যে এতকিছু বলার পরেও আপনার শুধু এটাই মনে হলো যে আমার কথাবার্তা সবই '(আপনার)আমার পক্ষে যায় এমন সব দলিল ---!" এই কথাটা একবারও মনে হলো না যে আপনারা মানে ইনক্লুডিং আপনার বস কুরআনের ভাষ্য নিয়ে অর্ধসত্য বলেছেন । ধর্মত্যাগীদের জন্য কঠিন শাস্তির কথা কুরআনেই আছে সেটা বলার কথা মনে হলো না? অথচ অর্ধ সত্য বলেই চেঁচাচ্ছেন হাদিস আর কুরআন সাংঘর্ষিক ! অর্ধ সত্য আর মিথ্যের মধ্যে যে পার্থক্য অনেক সময়ই খুবই কম থাকে না সেটাও বুঝতে পারলেন না! মারহাবা ! ও আচ্ছা খুঁজে পেয়েছেনতো আয়াতটা যেখানে ধর্মত্যাগীদেরকঠিন শাস্তি দেবার কথা আছে কুরআনে ?
হাজার বছর ধরেই সব ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে ঐক্য আছে সব সময় যে ধর্মত্যাগীদের বিষয়ে শাস্তির ডিসিশন দেবে রাষ্ট্র। এখানে ব্যক্তির মনোভাবটা কোনো ফ্যাক্টর নয় বা তার ভূমিকাও নেই ।রাষ্ট্র দেখবে কারো ধর্ম ত্যাগ ইসলামিক রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কিছু নাকি। রাষ্ট্রের মনোভাব বা ডিসিশনের সাথে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মনোভাবের পার্থক্য থাকতে পারে। আমেরিকায় এ' সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্পের বাড়িতে এফবিআইয়ের সার্চ করার ব্যাপারটাও এখানে দেখতে পারেন উদাহরণ হিসেবে ।এফবিআই আমেরিকান জাস্টিজ ডিপার্টমেন্ট আর ফেডারেল জাজের ডিসিশন নিয়েই অভিযান চালায় ট্রাম্পের বাড়িতে ক্ষমতা পালা বদলের সময় হোয়াইট হাউস থেকে রাষ্ট্রের সিক্রেট ফাইলপত্র তার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন অবৈধভাবে ভাবে এই অভিযোগে । কিন্তু দেখুন রিপাবলিকান পার্টি আর ট্রাম্প সমর্থকরা কেমন করে তার বিরোধিতা করছে ! এমন কি আজকে এফবিআইয়ের একটা ফিল্ড অফিসেও হামলা করার জন্য এক ট্রাম্প সমর্থক গিয়েছিল প্রতিবাদে ! ক্লিয়ারলি বোঝাই যাচ্ছে যে রাষ্ট্রের স্বার্থ আর সাধারণ নাগরিকদের স্বার্থ এক নাও হতে পারে কোনো বা অনেক বিষয়েই। তাতে রাষ্ট্রের শাস্তি দেবার ক্ষমতার হেরফের হচ্ছে না ।ষড়যন্ত্রে মধ্যে দিয়েও যেমন ইসলামিক রাষ্ট্রের ক্ষতি করা যায় তেমন আরো অনেক ভাবেই সেই ক্ষতি করা যায় ।Abdullah ibn Saad ibn Abi Sarh-র ইসলাম ত্যাগ আর তারপরের ভূমিকা আর রিদ্দার যুদ্ধে হজরত আবুবকর (রাঃ)ধর্মত্যাগী যাদের বিরুদ্ধে ইসলাম পুনরায় গ্রহণ বা তাদের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত যুদ্ধের পজিশন নিয়েছিলেন সেই দুটো ঘটনা একই রকম না।দুইভাবে সেই ঘটনাগুলো ইসলামিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি সৃষ্টি করেছিল ।তাই দুই ক্ষেত্রেই জড়িতদের বিরুদ্ধে মৃত্যুর মতো শাস্তি দেয়া হয়েছিল । যদিও Abi Sarh বেঁচে গিয়েছিলো কিন্তু সেটা অন্য কাহিনী। এখন রাষ্ট্র ঠিক করবে কোন ক্ষেত্রে এই হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে বা তার প্রতিক্রিয়াই বা কেমন হতে পারে।ইসলামিক রাষ্ট্রের জুডিশিয়ারি এমন অবস্থায় এসব ধর্মত্যাগীদের বিরুদ্ধে কুরআনের কঠিন শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে কিনা সেটা ঠিক করবে।এমন কি আপাত নিরীহ ধর্মত্যাগকারীদের একাধিকবার সময় দেয়ার পরেও যদি তারা ইসলাম গ্রহণ না করে আর তার জন্য রাষ্ট্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় বা দেবার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তখন তাদের বিরুদ্ধেও কঠিন শাস্তির বিধান দেবার ক্ষেত্রে কুরআন কোনো বাধা রাখেনি। ইসলামে ফিরে আসার সময় দিতে হবে সেটা ঠিক। কিন্তু সময় বা চান্স দেবার পরেও ধর্মত্যাগীরা ইসলামে ফিরে না আসলে আর সেক্ষেত্রে ইসলামিক রাষ্ট্রের সমস্যা হলে বা সমস্যার সম্ভাবনা থাকলে রাষ্ট্র যে কোনো শাস্তি দিতে পারবে পরিস্থিতির বিচার। এখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ল্যাটিচুডটা আপনাদের বুঝতে হবে। রাষ্ট্র ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর চেয়ে বড়। ব্যক্তির মনোভাব দিয়ে রাষ্ট্রের কাজকর্ম বিচার করলে হবে না। আধুনিক রাষ্ট্রেও সেটা হয় না। তাই হাদিস যে ধর্মত্যাগীদের কঠিন শাস্তি বা মৃত্যুদণ্ডের কথা বলেছে মোটা দাগে সেটার বিরোধিতা করার সুযোগ কম। তাছাড়া সূরা নিসার আয়াতে ধর্মত্যাগ আল্লাহর কাছে খুবই অপছন্দের,আল্লাহ এদের পথ দেখবেন না সে টুকুই বলা হয়েছে। তাই বলে তাদের শাস্তি দেয়া যাবে না সে সম্পর্কে কিন্তু কিছু বলেনি তাই না? কিন্তু অন্য আয়াতে সেই শাস্তির কথাও বলা হয়েছে শাস্তি প্রয়োগের একটা বড় ল্যাটিচিউড রেখেই। অনেক কিছুরই ব্যাখ্যা জানতে হবে আগে। শুধু কুরআনে রিডিং পরেই উচ্চস্বরে হদিস কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক চিৎকার শুরু করলেই হবে না । নইলে চিলে কান নিয়েছে বলে চিলের পেছনে দৌড়ানোই সার হবে কিন্তু কান খুঁজে পাওয়া যাবে না ।
১২ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
এ আর ১৫ বলেছেন: দেখুন -- আল্লাহ মানি কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি --- ফেতনার ইসলামিক স্কলারদের চিন্তা ভাবনায় কি থাকলো সেটা দিয়ে সত্য কে মিথ্যা করা যাবে না । মুরতাদকে ধর্ম ত্যাগের জন্য কোন শাস্তির বিধান কোরানে নেই কিন্তু হাদিসে আছে এবং সেই হাদিস __ আল্লাহ মানি কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি-- মার্কা স্কলাররা অনুসরন করে ।
এবার বলুন তো কোন মুরতাদ যদি কাউকে খুন করে এবং এই অপরাধে তার যদি ফাসি হয় । তাহোলে তার শাস্তি কি মুরতাদির জন্য হোল নাকি খুন করার জন্য হোল ।
কোন মুরতাদ যদি যুদ্ধ অপরাধ করে এবং এর জন্য তার শাস্তি হোল ---তখন কি এই শাস্তি মুরতাদির জন্য হোল না যুদ্ধ অপরাধের জন্য হোল ।
আপনি যা উদাহরন গুলো নিয়ে এসেছেন বা ইসলামের ইতিহাসে যে সব মুরতাদ শাস্তি পেয়েছিল -- তারা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল , ইসলামি রাষ্ঠ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল --- তাই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল । এটাকি মুরতাদির জন্য শাস্তি । মনে করুন কোন মুনাফেক মুসলমান যিনি মুরতাদ নন তিনি যদি ইসলামিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে-- তবে তার শাস্তি ও তো হবে ।
একজন মুরতাদ যদি ধর্ষন করে তাবে তার শাস্তি ধর্ষক হিসাবে হবে --- মুরতাদ হিসাবে নহে ।
তাই হাদিস যে ধর্মত্যাগীদের কঠিন শাস্তি বা মৃত্যুদণ্ডের কথা বলেছে মোটা দাগে সেটার বিরোধিতা করার সুযোগ কম। তাছাড়া সূরা নিসার আয়াতে ধর্মত্যাগ আল্লাহর কাছে খুবই অপছন্দের,আল্লাহ এদের পথ দেখবেন না সে টুকুই বলা হয়েছে। তাই বলে তাদের শাস্তি দেয়া যাবে না সে সম্পর্কে কিন্তু কিছু বলেনি তাই না? কিন্তু অন্য আয়াতে সেই শাস্তির কথাও বলা হয়েছে শাস্তি প্রয়োগের একটা বড় ল্যাটিচিউড রেখেই।
শুনুন একদম ফালতু কথা বলেন না । আপনার ঐ হাদিসের পটভুমি কি . নাকি হাদিসের অনুবাদ করে কথা বলছেন । ঐ হাদিসের আগের ঘটনা পরের ঘটনা কি ?
আমি চ্যালেন্জ দিলাম কোরানের কোন আয়াতে মুরতাদের শাস্তির জন্য কোন আয়াত নেই । বরং আমি আরো কয়েকটা আয়াত দেখাতে পারবো মুরতাদদের শাস্তির বিপক্ষে ।
আপনি যেহেতু বলেছেন --- এবার দেখান কোরানের আয়াত মুরতাদের শস্তির পক্ষে ।
তাছাড়া সূরা নিসার আয়াতে ধর্মত্যাগ আল্লাহর কাছে খুবই অপছন্দের,আল্লাহ এদের পথ দেখবেন না সে টুকুই বলা হয়েছে। তাই বলে তাদের শাস্তি দেয়া যাবে না সে সম্পর্কে কিন্তু কিছু বলেনি তাই না?
কোন ভাবেই শাস্তি দেওয়া যাবে না --- কারন এই আয়াতে সিকোয়েন্স করা হয়েছে --- কেউ মুসলমান হোল -- তারপর মুরতাদ হোল-- তার পর আবার মুসলমান হোল-- তারপর আবার মুরতাদ হোল ---------- তার যদি শাস্তি হয় তাহোলে কি করে সে আবার মুসলমান হবে এবং আবার মুরতাদ হবে ----- সুতরাং ইহলোকের তার ধর্ম ত্যাগের জন্য কোন শাস্তি নেই ।
আপনি কোরানের আয়াতের পটভুমি আগের আ্গের আয়াত পরের আয়াত নিয়ে খুব ক্যাচাল করছেন ---- আপনার হাদিসের পটভূমি কি ? আর আগের হাদিস পরের হাদিস কি ? নাকি শুধু অনুবাদ নিয়ে নাচানাচি ?
৪২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৭
এভো বলেছেন: হাদিস সত্যায়নের অবৈজ্ঞানিক, অবাস্তব, অসম্পূর্ন, এবং অনৈসলামিক পদ্ধতি
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩১
সাসুম বলেছেন: আমাদের এই দুনিয়ায় ইসলামের যে শাখা প্রশাখা এই মুহুর্তে প্রচলিত আছে তা হচ্ছে- ইসলামের পলিটিকাল এবং বিজনেস উইং। এখানে যতটা না ইসলামের মহত্ত্ব ভিত্তিক জীবন বিধান এর কথা লিখা তার চেয়ে বেশি হল- জাগতিক ক্ষমতা দখল, পলিটিকাল গেইন এবং বিজনেস এক্সপানশান ভিত্তিক ইসলাম। এবং এই গ্রিডি ইসলাম চর্চা কারীরা আবার দাসী সহবত করে, গণিমতের নারী ধর্ষন করে, ইহুদি নাস্তেক নাসার কতল করে, শিল্প সাহিত্য ধবংস করে, সারাজীবন চুরি ডাকাতি করে শেষ বয়সে হজ্ব করে জান্নাতের ৭২ ভার্জিন সেক্সি নারী প্রাপ্তির আশায় দিন কাটায়। এদের নেতা এবং আদর্শ মিশর ভিত্তিক টেরোরিস্ট সৈয়দ কুতুব আর হাসান আল বান্না আর এখন তাদের চোখ মুখ বুক ভেসে যায় তালেবান নামক জংগিদের জন্য। এরা স্বপন দেখে একদিন বাংলাদেশ কেও আফগান বানাবে।
এখন, কারা হাদিস নিয়ে জীবন - যৌবন , জান-প্রাণ দিয়ে দেয়? যারা ইস্লামের মহত্ত্ব ভিত্তিক বিধান কে আপন না করে পলিটিকাল ইসলাম কে আপন করে, তারাই
কারন- মহত্ত্ব ভিত্তিক ইসলাম মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল, মদীনায় হিজ্রতের পর আর নবীজির প্রয়াণের পর ইসলাম একমাত্র পলিটিকাল রুপ নেয় এবং সেটাকে পরবর্তী খলিফা থেকে শুরু করে হাদিস বর্ণনাকারী এবং সংরক্ষন কারীরা নিজেদের মত করে ন্যারেটিভ সাজিয়ে চলেন।
অনেক ইস্লামিস্ট পাওয়া যাবে আবার এই মর্মে বলে উঠে, ইসলাম একটা পরিপূর্ণ জীবন বিধান এটা কোন ধর্ম না। এই কূপমন্ডূক দের জ্ঞান ঐ পলিটিকাল হাদিসের মধ্যেই নিহিত, পুরো দুনিয়া সভ্যতার ব্যাপারে তাদের খোজ না রাখলেই চলে।
আপনার এই পোস্ট টা এক শ্রেণির পলিটিকাল ইস্লামিস্ট দের ট্রিগার করবে যাদের বেশির ভাগ এই হাদিস ইউজ করে নারী দমন, পেডোফাইল গিরী, বহু বিবাহ , গণিমতের নারী ভক্ষন, দাসী সহবত এবং নাস্তেক নাসারা দের কল্লা ফেলে ইসলাম কায়েম করতে চায়।
অন্যদিকে আরেক গ্রুপ কে আনন্দিত করবে যারা, ইসলামের মহত্ত্ব কেন্দ্রিক ইসলাম চর্চা করে, তারা ইসলাম কে ধর্ম হিসেবে মানে, কোরানে দেখানো পথে চলে, এবং হাজার বছর ধরে প্রচলিত আচার মেনেই ইসলাম চর্চা করে
আমরা যারা নাস্তেক নাসারা আমাদের জন্য এসব নতুন কিছুনা। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট এর জন্য , অনেক দিন আলোচনা করার মত পোস্ট পাওয়া গেল।