নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্লাস টেনের ছাত্রদের সাথে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

ক্লাস টেনের ছাত্রদের সাথে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট।
=====
এটা বিজ্ঞানের ক্লাস, ধর্মের ক্লাস নয়। বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত। আর ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস।”
প্রায় ১৩ মিনিটের এই টেপটি ওই ক্লাসের ছাত্রদেরই রেকর্ড করা, যেটা পরে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। ছাত্র-শিক্ষকের এই আলাপটির বড় একটা অংশই মুন্সীগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় ছিলো, তাই ট্রান্সক্রিপশনের ক্ষেত্রে মুন্সীগঞ্জের লোকজনের সাহায্য নিয়ে প্রমিত বাংলায় এডিট করা হয়েছে।
[00:00]
স্যার: কেউ দেখেছে? কোন কিছুইতো কেউ দেখেনি। এটা তারা বিশ্বাসের উপর রেখেছে। তোমরা যখন বিজ্ঞান আরো পড়বে তখন দেখবে বিজ্ঞানে আরো কতকিছু আসছে। আসলে আমরা বুঝে উঠতে পারি না বা চাই না সত্য জানতে। দেখো উন্নত বিশ্ব ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে। আর আমরা ধর্মান্ধ হচ্ছি।
[00:35]
ছাত্র: বহু ধরনের কথা ও থিওরিতো ধর্ম থেকেই এসেছে। বিজ্ঞানীরা ধর্ম থেকে এসব আবিস্কার খুঁজে পেয়েছেন।
স্যার: কোন কথা ধর্ম থেকে নেয়া হয়নি। কোনভাবেই না। বরং বিজ্ঞান থেকে নিয়ে ধর্ম চলছে, ধর্ম বানানো হয়েছে।
[01:10]
ছাত্র: আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) বহু বিজ্ঞানের সকল উৎস দিয়ে গেছেন। সাড়ে চার হাজার বছর আগে আমাদের হযরত মোহাম্মদ (স:) এসব বিজ্ঞানের কথা বলে গেছেন।
স্যার: সাড়ে চার হাজার বছর আগে কীভাবে? হযরত মোহাম্মদ তো ছিলেন সাড়ে চৌদ্দশো বছর আগে। বিজ্ঞানীরা আবিস্কার শুরু করেছেন বহু আগে থেকে। মানে হযরত মোহাম্মদের আমল থেকেই বিজ্ঞান শুরু হয়েছে এমনটা তো নয়।
[01:30]
ছাত্র: হ্যাঁ স্যার, হযরত মোহাম্মদ (স:) এর পূর্বে যারা বলে গিয়েছেন তাদেরটায় কোন যুক্তি পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) যা বলে গেছেন তা সব যুক্তিপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছে৷
স্যার: হযরত মোহাম্মদ এমন কী বলে গেছেন যার প্রমাণ বিজ্ঞানীরা তার কাছ থেকেই পেয়েছেন? এমন কোন আবিস্কার ছিলো যা বিজ্ঞানীরা আগে করতে পারেননি?
এটা বিজ্ঞানের ক্লাস, ধর্মের ক্লাস নয়। বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত। আর ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস।
[02:00]
ছাত্র: স্যার আছে, অনেক প্রমাণ আছে যে ধর্মই বিজ্ঞানসম্মত।
স্যার: ধর্মের কোন প্রমাণ নেই। শেষমেশ ধর্মের ব্যখ্যা কোথায় যায় জানো? শেষমেশ ওই ঈশ্বর দেখে, ঈশ্বর সমাধান দেবেন, পরকালে বিচার হবে। এসব বিশ্বাসের বিষয়। কোন প্রমাণ নেই৷
[02:15]
ছাত্র: একটি বই আছে, পড়বেন। নাম হচ্ছে ‘থিওরি অব এভরিথিং’। পাবেন ডিমের ভেতর কুসুম কীভাবে আছে তা আল্লাহ আগেই বলে দিয়েছে৷
স্যার: আমি সব পড়েছি। না পড়লে কি বিজ্ঞান পড়ানোর শিক্ষক এমনিই হয়েছি? এগুলো সব গোঁজামিল দাবী। ওই বইয়ে এমন কিছুই লেখা নেই। বস্তুত ধর্ম মানুষের লেখা৷ সব ধর্ম মানুষের লেখা।
[02:45]
ছাত্র: স্যার বিজ্ঞানও তো মানুষের লেখা৷
স্যার: হ্যাঁ বিজ্ঞান অবশ্যই মানুষের লেখা।
[02:55]
ছাত্র: স্যার, ধর্মের প্রমাণ আছে।
স্যার: ধর্মের কী প্রমাণ আছে আমাকে দেখাও।
[02:04]
ছাত্র: কী যে বলেন স্যার! সারা বিশ্বে মুসলিমদের নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সবাই দেখে ইসলামই সত্য। এটাই সত্য ধর্ম আর বাকি সব মিথ্যা। এটা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছে।
স্যার: কোরআন যদি বিজ্ঞানের উৎস হয়ে থাকে তবে দেখাও কোরআন পড়ে কতজন বিজ্ঞানী হয়েছেন? পৃথিবীর ৯০% বিজ্ঞানী খ্রিষ্টান বা খ্রিষ্টান পরিবার থেকে আসা।
[03:24]
ছাত্র: স্যার আমরা যেটাকে ধর্ম বলছি, এটাকে যদি আমরা [বিজ্ঞানের] দিকে নিয়ে যাই তবে সেটাই বিজ্ঞান। আর যদি বিজ্ঞানকে ধর্মের দিকে নিয়ে যাই তবে ওটাই বিজ্ঞান। মূল কথা হচ্ছে দুটোই এক জিনিস।
স্যার: এই যে খ্রিষ্টানরা এতোকিছু আবিস্কার করে, তাদের ধর্মের নিয়ম সেভাবে কেউই মানে না। তারা কি ধর্ম ব্যবসা করতে পারে না? অবশ্যই পারে। তারা ধর্ম ব্যবসা করছে কি? তারা ধর্মের ধারেকাছেও নেই। তারা আছে আবিস্কার নিয়ে৷ এই মুসলমানরা এগিয়ে যেতে হলে জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকতে হবে৷ ধর্মান্ধতা বাড়লে সেটা সম্ভব নয়৷ এই চৌদ্দ শত বছর আগে ইসলাম এসেছে। বিজ্ঞান উন্নত হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ বছরে৷ তাহলে এতোদিন হুজুররা কী করেছেন? কী আবিস্কার করেছেন তারা?
[04:40]
ছাত্র: শুরু থেকেই হুজুররা যা বলতেন তাই বিজ্ঞান হিসেবে মেনে নেয়া হতো।
স্যার: তোমাদের হুজুররা বিজ্ঞানের কী পড়েছেন? কী জানেন? তারাতো বিজ্ঞান পড়েইনি সে অর্থে। এই যে ডারউইনের কথা বললাম, ডারউইন কি ধর্ম পড়ে বিজ্ঞানী হয়েছেন?
[05:08]
ছাত্র: স্যার, ডারউইন যে ধর্ম পুস্তক পড়েনি তার প্রমাণ কী স্যার?
স্যার: আরেহ ধর্ম পুস্তক পড়েই না ওরা বেশিরভাগ।
[05:10]
ছাত্র: স্যার, নাস্তিক ঠিক আছে। কিন্তু ওরা ধর্মের পুস্তক পড়েই এসব আবিস্কার করেছে। ধর্মের প্রমাণ পেয়েছে ওরা।
স্যার: আরেহ আবিস্কারগুলো ধর্ম পুস্তক থেকে আসেইনি। কোন সুরা কোন হাদিসে আছে আবিস্কারের কথা? আবিস্কারের সূত্র? ধর্মটাতো কাল্পনিক বিশ্বাস। বাস্তবতার সাথে ওর সম্পর্ক কী? হ্যাঁ স্রষ্টা আছেই। স্রষ্টা না থাকলে গাছপালা কোথা থেকে এলো? এই গাছপালাগুলো তো মানুষ সৃষ্টি করেনি। মাটি মানুষ তৈরি করতে পারে না। মায়ের পেটে বাচ্চা মানুষ তৈরি করতে পারে না, ডিম থেকে বাচ্চা হওয়া। পাওয়ারতো থাকতে পারে। পাওয়ার থাকলে সেটা কার? সেটাই আল্লাহ, সেটাই ঈশ্বর। এই যে হযরত মোহাম্মদ। এরা কী? এরা হইলো মহাপুরুষ। এরা কেউ ঈশ্বর নন।
[06:15]
ছাত্র: এরা আমাদের জ্ঞান দিয়েছেন।
স্যার: নৈতিক জ্ঞান হয়ত। ধর্ম মানুষকে জীবনযাপন এর কিছু নিয়ম বলে দেয়। মানুষ সেটা পালন করে। এর বাহিরে কি কিছু নেই? অবশ্যই ধর্ম পুস্তকের বাহিরে অনেক কিছুই আছে৷ ধর্ম এসেছেই মানুষকে শৃঙ্খলায় রাখার জন্য। আর কোন কিছুর জন্য নয়।
এই যে স্রষ্টা আছে বলা হয়, আমরাতো দেখিনি। যে জিনিস দেখিনি সে জিনিস নিয়ে মারামারি কাটাকাটির কোন মানে আছে? তোমার বিশ্বাস তোমার বিশ্বাসের জায়গাতেই রাখো। বিজ্ঞান হচ্ছে প্রমাণ সাপেক্ষ। বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়৷ আর ধর্মে অন্ধ হলে যা হয়, এই গরমে জোব্বা পরে থাকে। এটাতো বিজ্ঞানসম্মত নয়৷
এই যে তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাস হয়ে বাতি জ্বলে এটা বিজ্ঞান। এই যে A+B হোলস্কয়ারের সূত্র, এগুলো হিসেব করে মেলানো। এটাই বিজ্ঞান যা প্রমাণ সাপেক্ষ। এগুলো কি ধর্মগ্রন্থে আছে? আমরা অনেক সময় বিজ্ঞানকে ধর্মের সাথে মিলাই যা ঠিক নয়। হ্যাঁ ধর্ম মানুষকে সুশৃঙ্খল রাখে। বিজ্ঞান আলাদা কথা। বিজ্ঞান বিজ্ঞানই।
[08:27]
ছাত্র: ‘প্যারাডক্সিকাল সাজিদ’ বইটা পইড়েন স্যার। গুগল প্লে স্টোরে পাবেন।
স্যার: আমি পড়েছি। প্রতিনিয়ত আমি বিজ্ঞানের বই পড়ি। এসব গোঁজামিলের বইও আমার পড়া আছে। ওই বই থেকে বিজ্ঞান শিখতে হবেনা আমার৷ এই যে মুসলমানরা মুসলমানের মত ধর্ম প্রচার করে, হিন্দুরা হিন্দুদের মত আর খ্রিষ্টানরা তাদের মত করেই ধর্মের ব্যখ্যা করে। এই জাত আর ধর্ম নিয়েই দ্বন্দ্ব।
[09:00]
ছাত্র: আমরা যদি বলি, ধর্মের বিভিন্ন জিনিস যুক্ত করে বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের ক্রেডিট নিচ্ছে?
স্যার: আরেহ বিজ্ঞান তো প্রমাণ দিয়েই আসছে। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক কী? নেয়া দেয়ার প্রয়োজন কেন আসবে? বিজ্ঞান তো কোন বিশ্বাস নয়।
[09:12]
ছাত্র: আমরা যদি ১৪০০ বছর পেছনে যেতে পারতাম তবে তো আমরা দেখতেই পেতাম আমদের সামনে সব প্রমাণ চলে আসতো।
স্যার: ধর্ম পুস্তক ১৪০০ বছর আগের লেখা৷ তার আগে কোথায় ছিলো? এর আগে মানুষ ছিল না? সভ্যতা ছিল না? তবে?
[09:26]
ছাত্র: কোরানের আগেও ৩ টি বই ছিলো।
স্যার: যবুর ছিলো, ইঞ্জিল তো ২৫০০ বছর আগের। আর বৌদ্ধদের ছিলো। আমাদের হিন্দু ধর্মের বেদ ছিলো বড়জোর সাত হাজার বছর আগের। তাতে লাভ কী ? মানুষ লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীতে। তখন এসব পুস্তক কোথায় ছিলো? তাহলে? এখন আমরা যতটুকু পাই সেটুকু নিয়েই ধর্মের কথা বলি৷ আমরা এখন ধর্ম নিয়ে গ্যাঞ্জাম করি! কেন করি? আমরা গ্যাঞ্জাম করব না। শিখব, জানব। কোনপ্রকার ঝামেলা করব না ধর্ম নিয়ে। অর্থাৎ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোন মানে নেই। জিনিসটা হচ্ছে তোমরা বুঝে কাজ করবে৷ ধর্ম একটা কথা বললেই ঝাঁপিয়ে পড়বে না। ধর্ম বলল কান নিয়েছে চিলে আর চিলের পেছনে দৌড়াতে হবে ব্যপারটা এমন নয়।
হনুমান নাকি সূর্যটাকে কানের ভেতর রেখেছে। আমাদের হিন্দু ধর্মের যারা বয়স্ক তারা খুব বিশ্বাস করে যে এই হনুমানের কানের মধ্যে সূর্য থাকে, এখন প্রশ্ন হচ্ছে হনুমান যদি কানের ভেতর সূর্য রাখে তবে পৃথিবীর ১৩ লক্ষ গুন বড় হচ্ছে সূর্য। এই পৃথিবী সূর্যের ১৩ লক্ষ গুন ছোট! এই ছোট পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে হনুমান কিভাবে তার কানের ভেতর সূর্য রাখে?
এই রকম গাঁজাখুরি গল্প যারা করে তাদের গল্প বিশ্বাস করতেই হবে? কেন আমরা এসব বিশ্বাস করব? কমবেশি সব ধর্মের মধ্যেই এরকম গাঁজাখুরি গল্প আছে। আমরা সচেতন থাকবো। এসব বলতে গেলেই বিতর্ক। যাক তোমাদের পড়ানো শুরু করি। এসব বিতর্কে যেয়ে লাভ নেই।
ধর্মের ভালো দিকও আছে খারাপ দিকও আছে। ভালো না থাকলে খারাপ এলো কোথা থেকে? এই যে দিন দেখতে পাচ্ছো, এই দিন কীভাবে এলো? রাত আছে বলেই তো আমরা দিন বলতে পারি।
এই যে কালো ব্যাগ, এটা কালো তুমি বুঝলে কীভাবে? এই যে লাল ব্যাগ, তোমরা সবাই কেন লাল দেখতে পাচ্ছো?
এই যে বিজ্ঞান, বিজ্ঞান এরকমই স্পষ্ট বিষয়। বিজ্ঞান হচ্ছে বাস্তবতা।
এই গাঁজাখুরি গল্প করে, এসব কারা করে? খারাপ মানুষেরা করে।
এই গাঁজাখুরি গল্প খারাপ মানুষগুলো করে তাদের ব্যবসা টেকানোর জন্য।
এই যে হনুমানের গল্প, হিন্দুদের মধ্যে যারা পড়াশোনা করে তারা কিন্তু এসব বিশ্বাস করে না। যারা মূর্খ লোক আছে তারাই এসব বিশ্বাস করে। কিছু লোক আছে ঘুরেফিরে খায়। সারাদিন কাজ করে না। এরে ওরে এটা সেটা বলে বাটপারি করে অন্ন যোগায়। ওরাই এই মূর্খদের শিষ্য বানায়। এরপর বসে বসে খায়। তারাই বলে হনুমানের কানে সূর্য আছে আর এসব শুনে মূর্খ লোকেরা তাদের টাকাপয়সা দেয়।
এই যে তোমরা লেখাপড়া শিখেছো, তোমরা ধর্মের পুস্তক পড়বে। অন্যের কথা শুনে লাফাবে কেন? তোমরা তো মূর্খ নও।
[12:50]
ছাত্র: স্যার আমরা তো কোরআন পড়েই এসব পাচ্ছি। তাছাড়া ওয়াজ শুনি, ওয়াজ শুনেও অনেক কিছুই শিখছি।
স্যার: ওয়াজ যে শোন, ওয়াজে কত ধরনের কথাই বকে, ভেবে দেখেছো? মানুষকে হত্যা করতে বলে, বাজে কথা বলে। হিংসা ছড়ানো হয় খেয়াল করেছো? শুনে ধর্ম মানতে হবে কেন? নিজে পড়েই ধর্ম মানো।
(Collected)

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: নিজের সম্পর্কে জানতে আপনি বিভিন্ন আত্নউন্নয়নমূলক বই, মনোবিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন বই এবং দর্শন বিষয়ক বিভিন্ন বই পড়তে পারেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার উপদেশের জন্য , আসলে আমি নিজের সম্পর্কে ভুল জানি ।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১২

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: এই কথোপকথন অবশ্যই কাল্পনিক না হলে কথা এতদূর এগোতো না, একে হিন্দু শিক্ষক তার মধ্যে আবার ধর্ম নিয়ে তর্ক! কথোপকথনের ৩/৪ মিনিটেই শিক্ষকের অবস্থা কাহিল করে ছাড়ত।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: এই কথোপকথন থেকে আমরা বাস্তবতার চিত্র খুজে পাই । ছাত্র গুলো কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্র নহে অতচ মাদ্রাসার ছাত্রদের মতই তাদের কথাবার্তা ।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৪

জ্যাকেল বলেছেন: আসলে ছাত্রের জ্ঞানের স্বল্পতা আছে। ধর্ম ও বিজ্ঞান দু জিনিস। ধর্মের কাজ মানুষকে মানুষ হইতে সাহায্য করা আর বিজ্ঞানের কাজ মানুষকে জাগতিক বিষয়ে এগিয়ে দেওয়া। একটা আরেকটাকে ওভারল্যাপ করালেই সমস্যা।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৩

এ আর ১৫ বলেছেন: এটা ভয়াবহ বিষয় হোল , জেনারেল এডুকেশনের ছাত্ররা কিভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে ধর্মীয় অপপ্রচার দ্বারা ।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

পুকু বলেছেন: বাংলাদেশে এমন শিক্ষক জীবিত আছে।এখনো।বিস্বাস হয় না।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: তার অবস্থা এখন জীবিত মৃত । কেহ তার পাশে এসে দাড়ায়নি ।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

সাসুম বলেছেন: এখানে ছাত্রের কোন দোষ নেই, আসল দোষ মাস্টারের। ছাত্রদের কথামত- প্যারাডগিস্টাইল মজিদ পড়লেই মাস্টার সাহেব আলোর পথে চলে আসত এবং সব মেনে নিতো।

আসল দোষ মাস্টারের, সে কেন প্যারাডগিস্টাইল মজিদ পড়ে নাই।

আর ৯৮% ধার্মিক এর দেশে কিসের বিজ্ঞান শিক্ষা?? সব তো ঐ বইতেই আছে, যেমন করে প্যারামজিদ বলে আসছে।

এই মাস্টার কে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মত সকল মাস্টার কে গ্রেফতার করা হোক এবং ইন ফিউচারে দেশের সকল বিজ্ঞান শিক্ষা বন্ধ করে দিয়ে শুধু প্যারামজিদ পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হোক।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আমাদের ভবিষৎ কি আরেক তালেবানি আফগানিস্তান ?

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৫

সোবুজ বলেছেন: গুরুমারা ছাত্র।শিক্ষকের থেকে চাত্রের জ্ঞান বেশি।এই জ্ঞান সে পেয়েছে তার বাপ মার কাছ থেকে।তারা এক একজন মহা জ্ঞানী।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৭

এ আর ১৫ বলেছেন: কারন ছাত্ররা শিক্ষা লাভ করে ওয়াজ মহফিল থেকে ।

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছাত্র-শিক্ষক উভয়ই মূর্খ; তা না হলে এই ক্যাচাল হতোনা। আপনিও ক্যাচাল সৃষ্টিকারী লোক, আপনার সব পোস্টেই অতিসূক্ষ্ণভাবে ক্যাচাল সৃষ্টি করার প্রয়াশ আছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার মত জ্ঞানী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে ।

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩০

সেজুতি_শিপু বলেছেন: কি দরকার ছাই, উলুবনে মুক্তো ছড়ানোর ? বিজ্ঞান পড়ানো বন্ধ করে সেখানে ধর্মবিজ্ঞান সাবজেক্ট যোগ করলেই ল্যাঠা চুকে যায়।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: সেটার দিকে দেশ যাচ্ছে এর পর কোন জ্ঞান থাকবে না শুধু হুজুরের জ্ঞান থাকবে ।

৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের জায়গায় ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রাখাই উত্তম। একত্র করে কেন অশান্তি সৃষ্টি করা?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: সেটা কি হুজুররা মান বে । শুধু ধর্ম থাকবে অন্য কিছু নহে ।

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কোথায়? ৯ জন মানুষ মন্তব্য করেছেন। তাদের মন্তব্যের উত্তর দিবেন না?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: অবশ্যই দিবো , ধন্যবাদ !

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৯

সাসুম বলেছেন: বিঃদ্রঃ

এই ভিডিওর অনুবাদ টি প্রথমে করেছেন ফেসবুকে তাসনীম খলিল এবং ময়মনসিঙ্গের লোকাল ভাষা অনুবাদ করার জন্য উনাকে হেল্প করেছেন আসাদ নূর।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যটা দেওয়ার জন্য ।

১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৬

নিমচাঁদ বলেছেন: "ধর্ম নিয়া কথাবার্তা কইলেই যে ধর্মের ক্ষতি হয়"

এই মহান আবিষ্কারের জনক কোন নিউটন?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক নিউটন আছে , যেমন -- জাকির নায়েক নিউটন, মুফতি ইব্রাহীম নিউটন , মুফতি রাজ্জাক নিউটন ইত্যাদি । আরো আছে মুফতি মিজানুর রহমান আজহারি আইনস্টাইন বৃন্দ । ধন্যবাদ

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৩৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: এ আর ১৫,
এই পোস্টটাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অরাজক অবস্থাটা তুলে ধরার জন্য আপনি একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন ।

দেখেন, এটাই এখন বাস্তবতা যে আমাদের দেশের উন্নয়নের সব জায়গাতেই পচন ধরেছে বা আমরা ইচ্ছে করে সেই পচন ধরিয়েছি । এই যে কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্টটা আপনি দিলেন এর জন্য "এটা ভয়াবহ বিষয় হোল , জেনারেল এডুকেশনের ছাত্ররা কিভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে ধর্মীয় অপপ্রচার দ্বারা ..(আপনি একটা মন্তব্যে বলেছেন)" বলে গা বাঁচাবার চেষ্টা করলেতো হবে না। এটাতো শুধু ধর্মীয় অপ্রচারের ব্যাপার না, এটা আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (স্কুলগুলো পুরোই এদের নিয়ন্ত্রণে ।ইউনিভারিস্টরগুলোর অটো স্বায়ত্ত শাসিত না) অন্য কথায় সরকারের একটা চূড়ান্ত ব্যর্থতা যে তারা বিজ্ঞান শিক্ষাটা (ইনফ্যাক্ট পুরো শিক্ষাটাই )স্কুল পর্যায়ে ঠিক মতো দিতে পারছে না। সরকারের সব রিসোর্সই আছে, আইন আছে, ধর্মের কথা বেশি বললে লাঠি পেটের করার র্পুলিশ আছে তাহলে ধর্মীয় অপপ্রচারের কারণে স্কুলের ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞান ঠিকমতো শিখতে পারছে না এই দাবি করা কিন্তু অযৌক্তিক। সাধারণ প্রশ্নটা হলো সরকার ফেইল করছে কেন সুষ্ঠু শিক্ষার একটা নীতিমালা করতে আর সেই অনুযায়ী শিক্ষা দিতে। এর একটা কারণ আমার মনে হয় দলীয়বাজ লোকগুলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আর সবগুলো বীরশিক্ষা বোর্ডের উঁচু পর্যায়ে বসিয়ে দেয়াতে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রাগমেটিক নীতিগুলো আর নেয়াও যাচ্ছে না আর যেটুকু নেয়া যাচ্ছে সেগুলো ইমপ্লিমেন্ট করা যাচ্ছে না। এটা কিন্তু সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখতে হবে, এখানে 'ধর্মীয় অপপ্রচারের' জূজূ দেখলে হবে না।

আর একটা কথা মুন্সিগঞ্জের কোনো হাইস্কুলের ছেলের কাছ থেকে নিউটন আইনস্টাইনের স্ট্যান্ডার্ড বিজ্ঞানের কথা শোনার আশাকরি না । কিন্তু হাইস্কুল পর্যায়ে একজন বিজ্ঞানের শিক্ষকের থেকে আরো উঁচুমাত্রার বিজ্ঞান সচেতনতা আশাকরি । এই বিজ্ঞান শিক্ষকের কথাবার্তায় কিন্তু সেটা দেখা গেলোনা ! এই লোক বলছে, "যবুর ছিলো, ইঞ্জিল তো ২৫০০ বছর আগের। আর বৌদ্ধদের ছিলো। আমাদের হিন্দু ধর্মের বেদ ছিলো বড়জোর সাত হাজার বছর আগের। তাতে লাভ কী ? মানুষ লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীতে। তখন এসব পুস্তক কোথায় ছিলো? তাহলে?..." । ইঞ্জিল ২০০০ বছরের পুরোনো ২৫০০ বছর নয় ।এটা বৌদ্ধদেরও নয় । মানুষ লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীতে ছিল সেটাতো সত্যি না । ইভুলেশন অনুযায়ী এপদের গাছ থেকে মাটিতে নেমে আসার থেকে আধুনিক মানুষ হবার প্রসেসটা লক্ষ বছরের । হোমোসেপিয়েন্স ঠিক কবে থেকে এসেছে সেটা নিয়েও কিন্তু এখনো একমত না ইভুলেশনিস্টরা ।আর মানুষ লেখা শুরু করেছে মাত্র ৬-৭ হাজার বছর আগে থেকে । তাই আগের সময়ের মানুষরা ঠিক কতটা হোমোসেপিয়েন্সের সংজ্ঞায় পড়বে সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। তাছাড়া লিখন পূর্ববর্তী মানুষের জন্য ধর্ম প্রচারের ব্যবস্থা অন্য কিছু থাকতেই পারে। এখন পাওয়া যায় যেই সব ধর্মীয় তার ভিতিত্তে সেগুলোর আগে ধর্ম ছিল না সেটা বলা যায় না যৌক্তিক ভাবে। যস্মিন দেশ যদাচার । যেমন শিক্ষক ছাত্রও তেমনই হবে।

আসল ব্যাপারটা হলো সরকারের এই ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েই শিক্ষা ব্যবস্থা আর বিজ্ঞান শিক্ষার অবস্থাটা ঠিক হবে ।নইলে নয় । শুধু শুধু সব কিছুতেই 'ধর্মীয় অপপ্রচারের' জূজূ দেখলে কোনো কিছুতেই সাফল্য পাওয়া হবে না যতই ডিজিটাল উন্নয়নের ঢাক এবং ঢোল পেটানো হোক । যাহোক, আমার মনে হলো আপনার লেখার থেকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অরাজক অবস্থা নিয়ে যে একটা চমৎকার আলোচনা ব্লগে শুরু হতে পারতো সেটা পুরোই নষ্ট হয়েছে ব্লগে আপনার বিশেষ একটা ইমেজের কারণে আর আপনার পোস্টার হিডেন এম্ফিসিসের কারণে । আর মাশাল্লাহ আমাদের কৃতি ব্লগারদের দেশোদ্ধারের চেতনায় ঝাঁপিয়ে পড়ার উৎসাহে মূল ইস্যুটাকে না দেখার কারণেও এই লেখা থেকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চমৎকার কিছু ব্লগ ভাবনার ইতি হয়েছে। যাক সেটা নিয়ে দুঃখ করছি না । কিন্তু একটা কথা, আপনার ট্রান্সক্রিপ্টটাকে ম্যানুফাকচার্ড আর উদ্দেশ্য প্রনোদিত মনে হয়েছে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মন্ডল বাবুর অতি সেক্যুলার মনোভাব আর অসামঞ্জস্যকর কথাবার্তার কারণেও। চাউ ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য । বিষয়টা নিয়ে আপনি ও চিন্তিত সেটা দেখে ভালো লাগলো । এই ধরনের অপপ্রচার ধর্মকে আরো বিব্রত করে এবং যারা আসল সত্যটা বুঝতে পারবে তারা ধর্ম বিমূখ হয়ে যেতে পারে । ধর্ম যেটা দাবি করে নি সেই সেই দাবি করার পরিনাম যে ভালো নহে, সেটা সবার বোঝা উচিৎ। ধন্যবাদ

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৯

এভো বলেছেন: বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে ফাঁসিয়েছে যারা

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বিজ্ঞানের সাথে ধর্ম ও তার উপাসক দের বিরোধ সেই হাজার বছর থেকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.