নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম পূর্ব যুগে কণ্যারা কি পুত্রের সমান সম্পত্তি পেত ?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৫


কিছু দিন আগে উপরের হাদিসটি একজনে পোস্টে মন্তব্য হিসাবে পোস্ট করেন একজন ব্লগার , দাবি করেন ইসলামের আগের যুগে পৈত্রিক সম্পত্তি হতে পু্ত্র এবং কণ্যা সমান সম্পত্তি পেত কিন্তু ইসলাম এসে পু্ত্রকে কণ্যার দ্বিগুণ দেওয়ার বিধান করা হয় । এই হাদিসটার ভিত্তিতে ঐ দাবিটার সঠিক জবাব দিতে না পেরে -- দেওবন্দি অনুসারি ঐ ব্লগ লেখক অকথ্য ভাষায় ঐ ব্লগারকে গালাগালি করে এবং বিনা কারনে আমাকে গালাগালি করা হয় যদি ও আমি কোন মন্তব্য করিনি । পরে ঐ পোস্ট দাতা ঐ মন্তব্যটি ডিলিট করে দেয় ।
আমি এই হাদিসটির পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসা দাবির কোরান ভিত্তিক জবাব দিতে চাই। যদি ধরে নি ইসলাম পূর্ব সময়ে পুত্র কণ্যা সমান পৈত্রিক সম্পত্তি পেত --- তাহোলে কোরান কিন্তু একটি যুক্তি সংগত পরিস্থিতি ছাড়া পু্ত্র কণ্যাকে সমান সম্পত্তি দেয় । এই বিষয়ে আমি শরিয়া আইণ গবেষক জনাব হাসান মাহমুদের লিখা থেকে উল্লেখ করছি ।

ইসলামে নারী-অধিকার ও “সুস্পষ্ট নির্দেশ”
লিংকে দেওয়া হোল -- ঐ লিংকে গিয়ে -- এই চ্যাপ্টারটা খুলতে হবে --- ইসলামে নারী-অধিকার ও “সুস্পষ্ট নির্দেশ”
Click here
শারিয়াপন্থীরা সর্বদাই বলেন আয়াতের পটভূমি থেকে নির্দেশ নিতে। কথাটা ঠিক, কারণ কোরাণের কি কি নির্দেশ তখনকার জন্য আর কি কি নির্দেশ শাশ্বত তা পটভূমি থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁরা নারীর ওপরে অত্যাচার করার জন্য ঐ পটভূমিই লঙ্ঘন করেন। উত্তরাধিকারের বেলায়ও কথাটা সত্যি। সুরা নিসা আয়াত ১১ ও ১৭৬-তে নারীর অর্ধেক উত্তরাধিকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশ আছে। আয়াত ১৭৬- এর পটভূমি পাওয়া যায়নি, কেউ জানালে বাধিত হব। আয়াত ১১ নাজিল হয়েছিল এক বিশেষ পটভূমিতে। আউস বিন্ সাবেত নামে এক ধনী আনসারের মৃত্যু হলে তখনকার আর্থ-সামাজিক ঐতিহ্য অনুযায়ী আউসের চাচাতো ভাই এসে তার স্ত্রী, দুই বালেগ মেয়ে ও এক নাবালেগ ছেলেকে বঞ্চিত ক’রে সব সম্পত্তি গ্রাস ক’রে ফেলে (কোরাণের বাংলা অনুবাদ − মুহিউদ্দিন খান, পৃষ্ঠা ২৩৪, এবং ডঃ মুহাম্মদ হামিদুলাহ, − দ্য মুসলিম উইমেন)। কোরাণ সেই নাবালেগ পুত্রের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বালেগ বোনের দ্বিগুণ সম্পত্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ এই আয়াত শাশ্বত নয় বরং তাৎক্ষণিক বিশেষ পরিস্থিতির সমাধান। আজ যদি কোরাণ মেনে ঐ আয়াত প্রয়োগ করতে হয় তবে শুধুমাত্র নাবালেগ পুত্র এবং বালেগ বোনদের ক্ষেত্রেই সেটা প্রয়োগ করা যেতে পারে। সেই বিশেষ পরিস্থিতি না হলে ঐ সুরা নিসা আয়াত ১২ মোতাবেকই নর-নারীর সমান উত্তরাধিকার হতেই হবে। সেখানে মৃতের ভাই-বোনের সমান উত্তরাধিকারের যে নির্দেশ দেয়া আছে সেটা কোথায় গেল ? মৃতের ভাই-বোন সমান পেলে তার ছেলেমেয়েরা অবশ্যই সমান পাবে।
---------
কেবল মাত্র নাবালক সন্তান সাবালক সন্তানের দ্বিগুণ সম্পত্তি পাবে যদি পটভূমি সহ সুরা নিসার আয়াত ১১ এবং ১২ কে বিশ্লেষন করা হয় ।
তাই ইসলামের পূর্বে যদি পু্ত্র কণ্যাকে সম্পত্তির সমান অংশ দেওয়া হয়ে ও থাকে তাহোলে ইসলাম ও বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া পু্ত্র কণ্যাকে সমান অংশই প্রদান করে ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৫

সোবুজ বলেছেন: হাদিস থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়,ইসলাম পুর্বযোগে পিতার সম্পদ পুত্র কন্যা সমান সমান পেতো।ইসলাম এসে নারীকে সুমহান মর্যাদা দিয়ে সম্পত্তি পুত্রের থেকে অর্ধেক করে দিল।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি লিখাটা ভালোভাবে পড়ুন দয়া করে । ধন্যবাদ

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামের হিসাব নিকাস বাদ দেন। ইসলাম দিয়ে দুনিয়া চলে না। এমন কি আমাদের ছোট বাংলাদেশও চলে না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২০

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

সাসুম বলেছেন: না, ইসলামের আগে ও ছেলে সন্তান মেয়ে সন্তান এর সমান অধিকার ও সম্পত্তি পেত না। অন্তত আজকের আরব রিজিওনে এটার কোন প্রুফ নেই। সেখানে জোর যার মুল্লুক তার স্টাইল চলত। যে ভাইয়ের ক্ষমতা বেশি সে সব নিয়ে যাইত। মোট কথা কোন সিস্টেম ছিল না সামাজিক ভাবে।

( যদিও আরব অঞ্চলে প্রাক ইস্লামিক কোন প্রুফ খুজে পাওয়া অল্মোস্ট ইম্পসিবল কারন তাদের ইতিহাস লিখে রাখার প্রচলন ছিল না আর আজকের আরব রা অর্থাৎ ৫ শতকের পরের আরব ইতিহাস পুরাটাই বিজয়ী মানে ইস্লামিস্ট দের তৈরি করা সো তাদের ন্যারেটিভের ইতিহাস বাদে অন্য কোন ইতিহাস পাওয়া টাফ )

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই হাদিসটা কিন্তু সহি হাদিস , ওখানে উল্লেখ করা হয়েছে সন্তানরা পৈত্রিক সম্পত্তি পেত । ধন্যবাদ

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৪

জ্যাকেল বলেছেন: ওকে, বুঝা গেল এখানে কাহিনী আছে। মোল্লারা শাসকদের/প্রভাবশালীদের দরকারে ইচ্ছামত ম্যানিপুলেশন করেছে ওয়ারিশান সিস্টেমের ওপরেও।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:০৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই আপনি ঠিক কথা বলেছেন । এখানে এবং আরো অনেক বিষয়ে প্রচুর ম্যানিপুলেশন আছে ।ধন্যবাদ ।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:


ইসলামের আগে ও পরে ( ফরাসী বিপ্লব অবধি) সম্পত্তির মালিকানা মানুষের ছিলো না, সম্পত্তর মালিকানা ছিলো রাজা/বাদশাহদের; কেহ জানতো না, কখন কে কোন দেশ দখল করবে, কার প্রাণ থাকবে। লিখতে গিয়ে মুল বিষয়গুলো ঠিক রাখবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:১৫

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই কোন রাষ্ঠ্রের ভিতরের সকল জমি সম্পতির সার্বভৌমিক আধিকার ঐ রাষ্ঠ্রের। জনগণকে খাজনা দিতে হয় নিজের অধিকারের সম্পত্তির উপর । আইণগত ভাবে জনগণ এর অধিকারি হতে পারে রাষ্ট্রের শর্ত মেনে । ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.