নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত গুলো ধর্ম অবমাননার নামে সংখ্যা লঘুদের উপর নিপিড়ন চালানো হয়েছে , সেগুলোর প্যাটার্ন গুলো পর্যবেক্ষণ করলে একটা পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের চেহারা ফুটে উঠে ।
এ পর্যন্ত যত গুলো ধর্ম অবমাননার অভিযোগ হিন্দু বা সংখ্যা লঘুদের উপর করা হয়েছে , সব গুলো ভূয়া প্রমাণীত হয়েছে । একটা বিশেষ চক্র কৌশলে এগুলো করে চলেছে, কিন্তু সরকার কিছুই করতে পারছে না ।
এই চক্র যদি কোন এলাকাকে টার্গেট করে , তখন প্রথমে ঐ এলাকা কোন হিন্দু বা সংখ্যা লঘুর নামে ফেসবুক বা অন্য কোন উপায়ে ধর্ম অবমাননার প্রচার শুরু করে , ঐ এলাকাতে ।
তাদের প্রথম পদক্ষেপ হোল ঐ এলাকার লোকদের উত্তেজিত করে প্রতিবাদ মিছিল বা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কথা বলে স্থানিয় লোকদের জড় করার চেষ্ঠা -- এতে স্থানিয়া অংশ গ্রহন করে এবং অনেক সময়ে করে না । এই প্রতিবাদ শোভা যাত্রায় অনেক সময়ে স্থানিয় আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতা কর্মিরাও অংশ গ্রহন করে কারন ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ সবাই করে থাকে, যেমন রামুতে, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়াতে অনেক আওয়ামী লীগ বিএনপির লোকজনদের দেখা গেছে ।
যখন সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় এটা গুজব মোটেও সত্য নহে তখন তারা চুপ হয়ে যায় ।
কিন্তু এর পরে ঘটে আসল ঘটনা । হঠাৎ মিছিলা বা জমায়েত হতে এক দল লোক হিন্দুদের বা সংখ্যা লঘুদের বাড়ী ঘর আক্রমণ করে , জালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয় ।
এর পর পরিস্থিতি শান্ত হোল , স্থানিয় লোক জন বলতে থাকে -- যারা আক্রমণ করেছে , তাদের তারা চিনে না এবং এই এলাকার লোক তারা নহে ।
ব্যপারটা হোল ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ মিছিলে যে কোন মুসলমান মাত্রই অংশ গ্রহন করতে পারে , তাই তারা হাজার হাজার মানুষের ভিতরে সবাইকে তারা চিনে না ।
এই মিছিল গুলোতে ৫০ বা ১০০ জন বহিরা গত মানুষ মিশে যায় এবং এই বহিরা গতরাই মূলত যাবতিয় ধবংস লিলা করে ঐ এলাকা থেকে সঠকে পড়ে ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কুমিল্লার ঘটনায় একই ভাবে দেখা যায় কয়েক শত লোক স্থানিয় কিছু টোকাই বাহিণী নিয়ে বিভিন্ন পুজা মন্ডপে আক্রমণ শুরু করে , তাদের স্থানিয় হিন্দুরা বা মুসলমানরা ও চিনে না ।
শেষের দিকে স্থানিয় হিন্দু এবং মুসলমান মিলে ঐ বহিরা গত বাহিণীকে মোকাবেলা করে , এই ভাবে বেশ কয়েকটা মন্ডপকে রক্ষা করা হয় ।
স্থানিয় হিন্দু বা মুসলমানরা তাদের সাক্ষাত কারে সবাই একটা কথাই বারবার বোলছে -- এই সব আক্রমণ কারিদের তারা চিনে না এবং বহিরাগত ।
একই কৌশলে গত কাল রংপুরে একটা হিন্দু এলাকাকে ধবংস করা হয় ।
এখন সব বড় প্রশ্ন এই সাম্প্রদায়িক চক্রটার ভিতরে কারা আছে।
কাদের ঈশারায় প্রথমে গুজব রটানো হয় ?
ঐ বহিরাগতদের কারা ফিনান্স করে ?
এদেরকে কারা পে করে নিয়ে আসে এবং নিরাপদে চলে যেতে দেয় ।
সরকার কেন বার বার এদের মোকাবেলা করতে ব্যর্থ ?
সরকারে গোয়েন্দা বাহিণী কেন কিছুই বুঝতে পারে না ?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
এ আর ১৫ বলেছেন: প্রশাসন তো সব সময়ে অন্ধকারে । যে মেকানিজমে বহিরাগতদের ব্যবহার করে গুজব রটানোর মাধ্যমে স্থানিয় লোকদের উত্তেজিত করে একই কাজ গুলো করা হচ্ছে , সেটার মূল রহস্যকি গোয়ান্দারা বের করতে পরেছে ?
গত রাতে রংপুরের যে এলাকার কিশোর ছেলেটার নামে গুজব রটানো হয় , ঐ এলাকাতে আক্রমণ করতে পারেনি বহিরাগতদের সমন্নয়ে স্থানিয় লোকজন , এখানে ব্যর্থ হয়ে বহিরাগতরা অন্য এলাকাতে হামলা করে ।
এই চক্রকে নির্মূল করা স্থানিয় পুলিশ প্রসাশনের কাজ নহে । সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ব্যবহার করে -- এর পিছনের মূল চক্রটাকে নির্মূল না করলে , এটা চলতে থাকবে ।
বারবার একই কৌশল এই ঘটনা ঘটে চলেছে ।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথা সেটাই!
যে সরকারের করিৎকর্মা পুলিশ বিএনিপর একটা মিছিল দাড়াতে দেয় না!
সাতহাত মাটি খুড়ে গ্রেফতার করে, তারা কেন এই সব ক্ষেত্রে েসইরকম তৎপর থাকে না।
অথচ প্রিতবারই যেখানে আগে থেকে প্রচুর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে সেখানে একই প্যাটার্নে বারবার ঘটনা ঘটা সন্দেজনক বৈকি।
সরকার নিজের অপরিহার্যতা বোঝাতেই কি মোদি ডকট্রিন চাল দিচ্ছে???
কারণ এই দেশের ইতিহাস বলে হাজার বছর হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির সমৃদ্ধতার কথা।
পাশাপাশি ঘরে উলুধ্বনি আর নামাজে কোন বিঘ্ন ঘটে না।
অথচ বারবার তাদের মূখোমূখির চেষ্টায় তৃতীয় পক্ষ নিয়ে ভাবাও জরুরী। নয় কি?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১২
এ আর ১৫ বলেছেন: সরকার কেন বুঝতে ব্যর্থ যে এটা একটা চক্রের পরিকল্পিত চাল । এক জায়গা টার্গেট করে -- গুজব রটিয়ে , স্থানিয়দের উত্তেজিত করে ---- বহিরাগতদের দিয়ে ধবংস লিলা চালানো ।
স্থানিয় লোকজন মোটেও সংখ্যা লঘুদের ঘর বাড়ীতে আক্রমণ করতে আগ্রহী নহে । মিছিলের ভিতর থেকে বহিরা গত গ্রুপটা ঘটনা ঘটিয়ে সটকে পড়ছে ।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: সরকারের প্রতিপক্ষকে সাইজ করার জন্যই সুপরিকল্পিত ভাবে এমনটি বারবার করা হচ্ছে। যেখানে বিএনপি জামাতের এক/দুইজন কর্মী সমর্থক কোথাও একত্রিত হতে পারেনা-সেখানে প্রায় দশ হাজার বিএনিপি নেতা কর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৬
এ আর ১৫ বলেছেন: স্থানিয় লোকদের আসামী করা হচ্ছে তারা শুধু বিএনপি জামাত নহে - আওয়ামী লীগের লোক ও আছে --- তারা বলছে তারা প্রতিবাদ মিছিলে ছিল কিন্তু যারা আক্রমণ করেছে -- তাদের তারা চিনে না এবং বহিরাগত ।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
মরুর ধুলি বলেছেন: যে সরকারের করিৎকর্মা পুলিশ বিএনিপর একটা মিছিল দাড়াতে দেয় না!
সাতহাত মাটি খুড়ে গ্রেফতার করে, তারা কেন এই সব ক্ষেত্রে েসইরকম তৎপর থাকে না।
অথচ প্রিতবারই যেখানে আগে থেকে প্রচুর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে সেখানে একই প্যাটার্নে বারবার ঘটনা ঘটা সন্দেজনক বৈকি।
সরকার নিজের অপরিহার্যতা বোঝাতেই কি মোদি ডকট্রিন চাল দিচ্ছে???
কারণ এই দেশের ইতিহাস বলে হাজার বছর হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির সমৃদ্ধতার কথা।
পাশাপাশি ঘরে উলুধ্বনি আর নামাজে কোন বিঘ্ন ঘটে না।
অথচ বারবার তাদের মূখোমূখির চেষ্টায় তৃতীয় পক্ষ নিয়ে ভাবাও জরুরী। নয় কি -
অত্যন্ত দূরদর্শী পর্যালোচনা- আপনাকে ধন্যবাদ বিদ্রোহী।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমাদের বাহাত্তর টিভি সব সময় এর ওর কল রেকর্ড ফাঁস করে; এইসব ক্ষেত্রে বাহাত্তরও কোন কুলকিনারা পায় না!
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনার লেখায় আর একটা পয়েন্ট যোগ করতে পারেন।
যখনই এমন ঘটনার সুত্রপাত হয়; কোন ভুয়া নিউজ ছড়ায়, তখন ব্লগাররা আঁচ করতে পারেন যে সমস্যা আসছে; সাংবাদিকরা আঁচ করতে পারেন সমস্যা আসছে। কিন্তু কেউ কোন শব্দ করে না। বৈশাখী ঝড়ের আগে যেমন সব নিস্তব্ধ হয়ে যায়, ব্লগ ও সংবাদপত্রও তেমন নিরব হয়ে যায়। সবাই কাগজ কলম আর কিবোর্ড নিয়ে অপেক্ষা করে গ্যাঞ্জাম বাধার। গ্যাঞ্জাম বাধার সাথে সাথেই ব্লগে "অনলাইনে আছেন ৮জন" থেকে অনলাইনে আছে ৮০ জন হয়ে যায়। পত্রিকা গুলির হোম পেজে একসাথে একই টপিক নিয়ে ১০+ পোষ্ট দেখা যায়।
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: গভীর রাজনীতি আছে সাম্প্রদায়িক এসব হামলার মধ্যে।
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গত ৩দিন যারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ঘৃনা ছড়াচ্ছিল উষ্কানি দিচ্ছিল, আফটার ফায়ার তারা শুশীল হয়ে গেল।
এখন কথিত র এর দিকে আংগুল তুলে আত্নতুষ্টির চেষ্টা।
জেনেশুনে মিথ্যা বলা যেহাদের অংশ?
মিথ্যা বিভ্রান্তি তৈরি করা যেহাদের অংশ?
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল জামাতি উকিল লাগিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে উৎকোচ দিয়ে
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০ আসামির রিমান্ড আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোতোয়ালি থানা-পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, এটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং এর পেছনে কারা জড়িত বের করতে আসামিদের জরুরি জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।
ম্যাজিস্ট্রেট নামঞ্জুর করলেন। অযুহাত ধৃতদের হাতে লাঠিশোটা ছিল না।, লাঠি থাকবে কি করে, পুলিশের ধাওয়ায় আগেই ফেলে দিছে ...
১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩০
আল ইফরান বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী কেন কিছুই বুঝতে পারে না?
উত্তরঃ
১। এনএসআই এর ফিল্ড লেভেলে মেধাহীন ছাত্রলীগের কর্মীদের গণহারে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সংগতকারনেই নাম বলছি না, এক জেলার এনএসআই অফিসে দেখি তাদের দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌকিতে অফিসের পিক আওয়ারে গা এলিয়ে শুয়ে আছেন। আমার পরিচিত যেসকল বন্ধুরা এই গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করে তাদের কর্মদক্ষতা নিয়ে আমার সন্দিহান হওয়ার অনেক কারন আছে যা পাবলিক ফোরামে না বলাই শ্রেয়।
২। এসবি যেসকল প্রাসঙ্গিক রিপোর্ট দেয় সেইগুলার কয়টা কেবিনেট অথবা প্রাইম মিনিস্টার অফিস পর্যন্ত যাওয়ার সৌভাগ্য হয় তা গবেষণার বিষয়। আর যদি না যায়, সেইটা জানার অধিকারও আমাদের আছে।
৩। ডিজিএফআই এর অধীনস্থ বিষয় না এত প্রান্তিক পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা।
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের দূর্বৃত্তায়ননের একটা ফলাফল কেবল আমরা দেখলাম, আর দেখতে চাই না। শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য শাসনব্যবস্থা দেখতে চাই।
১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০২
আমি নই বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী সব জানে, এনাকে ধরলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
রানার ব্লগ বলেছেন: বাং প্র একটাই পারে অসহায়দের ছলে বলে কৌশলে ফাদে ফেলতে !!
১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই চক্র কোনো দিন বন্ধ হবে না। চলতেই থাকবে। দেখবেন আগামী পূজাতেও এরকম দাঙ্গা হবে। আগুন দিবে ঘর বাড়ি আর মন্দিরে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ১। রংপুরের DIG দেব দাস ভট্টাচার্য,
২। রংপুরের SP বিপ্লব কুমার সরকার,
৩। পিরগন্জের UNO বিরোধা রানি রায়, ও
৪। পিরগন্জ থানার OC শুরেশ চন্দ্
(সরকার গতকাল এসপি'কে সরিয়ে দিয়েছে)
প্রশ্ন: সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হলো কিভাবে?