নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিভাইনে বিংগ ব্যাং থিওরি

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬



যে ধারায় ব্যাখ্যা করে কুরআনে,বাইবেলে, তোরাহতে, গীতাতে মিরাকল, মোজেজা, বিজ্ঞান বা বিগ ব্যাং থিওরি খুঁজে পাওয়া যায়, সেই একই ধারায় ক্লাস ওয়ানের বাংলা বইয়ের কবিতায়ও বিগ ব্যাং থিওরির বর্ণনা পাওয়া যায় ।
যেমন:

"আম পাতা জোড়া জোড়া,
মারবো চাবুক চড়বো ঘোড়া।
উরে বুবু সরে দাঁড়া,
আসছে আমার পাগলা ঘোড়া।
পাগলা ঘোড়া খেপেছে,
চাবুক ছুড়ে মেরেছে।


১)আম পাতা জোড়া জোড়া:
মহাবিশ্বের যত কিছুর অস্তিত্ব আছে সবকিছুর ক্রিয়া বিক্রিয়া আছে অর্থাৎ জোড়া জোড়া।
এর অন্য আরেকটি ব্যাখ্যা হচ্ছে জোড়া জোড়া মানে বিগ ব্যাং এর আগে সবকিছু একসাথে জড়ানো ছিল !

২)মারবো চাবুক চড়বো ঘোড়া:
অর্থাৎ ভগবান জড়ানো এনার্জির উপর চাবুক মারার পর (বিগব্যাং) এনার্জি গুলি ঘোড়ার মতো চরে বেড়াচ্ছে, অর্থাৎ ইউনিভার্স, গ্যালাক্সি, গ্রহ, নক্ষত্র, হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

৩)ওরে বুবু সরে দাঁড়া:
চাবুক মারার পরে (বিগ ব্যাং) বিস্ফোরিত হয়েছে এই জন্য জিন ফেরেশতাদের বা দেবদূতদের বা এন্জেলদের যেন কোনো ক্ষতি না হয় তাই
জিন,এন্জেল, দেবদূত, ফেরেশতাদেরকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

৪)আসছে আমার পাগলা ঘোড়া:
অর্থাৎ বিগ ব্যাং এর ফলে যে এনারজি লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে সেটা ইঙ্গিত করা হয়েছে।

৫)পাগলা ঘোড়া খেপেছে: অতএব সেই এনারজি গুলি যখন ক্ষেপে যাবে অর্থাৎ অবসান ঘটবে অথবা নেতিবাচক বিক্রিয়া ঘটবে।

৬)চাবুক ছুড়ে মেরেছে:
তখনই পুনরায় আবার সবকিছু একসাথে গুটিয়ে নেওয়া হবে, অর্থাৎ চাবুক ছুরে দেয়া হবে (কেয়ামত)

তবুও কি তোমরা কুরআনে,বাইবেলে, তোরাতে,গীতাতে মিরাকল বা বিজ্ঞান খুঁজবে?

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৯

ঈশ্বরকণা বলেছেন: একমুঠো ইসলামফোবিয়া, একমুঠো অপপ্রচার, একমুঠো অপব্যাখ্যা একসাথে ঘুটা দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী ভালোই স্যাটানিক পোস্ট লিখেছেন তো দেখছি (অন্য ধর্মের কথাও আছে যদিও কিন্তু তাতে ঠাকুর ঘরে কে রে বলার পরে আমি কলা খাইনা উত্তরটা আটকিয়ে রাখা যায়নি !!)। কারো একটা লেখায় মনে হয় আপনি বলেছেন ধর্ম নিয়ে ব্লগের বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় পারস্পরিক শ্রদ্ধার জায়গাটা হারিয়ে যায় আসিফের (মহিউদ্দিন সম্ভবত) মতো নাস্তিকের কারণে । আপনার কি কখনো মনে হয়েছে আপনার অবস্থানটাকেও কেউ সেই একই অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারে ? আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে আপনি কিন্তু ব্লগে এখন আসিফ মহিউদ্দিনের জায়গাটা সিকিউর করে ফেলেছেন অলরেডি। আমি ক্রিস্টোফার ডকিন্সের লেখাও পড়ি নিউট্রাল ভাবনা নিয়ে । তার সাথে থিওলজিকালি একমত হওয়া যায় না কখনোই । কিন্তু তার লেখাকে নোংরামি বলার কারণ আমি দেখিনা বা সেগুলোকে ধর্মীয় ব্যাপারগুলোর অপব্যাখ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না। কিন্তু আপনাদের (ব্লগের এখনকার ধর্ম বিদ্বেষী পোস্ট দাতাদের ) কারু লেখাকেই কিন্তু সেরকম বলা যাবে না কখনোই । আপনাদের লেখায় বুদ্বিদীপ্ত বিতর্কের সুযোগগুলো থাকে না । ধর্মীয় ইস্যুগুলোর অপব্যাখ্যার কারণে আপনাদের লেখাগুলো সব সময়ই হয়ে যায় ভয়াবহ রকমের ধর্ম (বিশেষ করে ইসলাম) বিদ্বেষী। আপনি এইসব না লিখে খেলাধুলা নিয়ে লিখুন । আর গ্যালাপিং মেজরের ডেপুটিকে নিয়ে যে লিখতে রিকোয়েস্ট করলাম সেদিন সেটার কি হলো? আলোকিত হোন ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আমার লিখাতে কোন দিন দাবি করা হয়েছে যে সৃষ্ঠিকর্তা বলে কিছু নেই ? এই লিখাতে কোথায় এমন দাবি করা হয়েছে ? তাহোলে মুর্খ কাওয়ামী মাদ্রাসার গ্রেজুয়েটদের মত - নাস্তিক নাস্তিক করেন কেন ? আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে নাস্তিকতার সংঘাই আপনি জানেন না কাওয়ামীদের মত ।
এই পোস্টে সব প্রতিষ্ঠিত ধর্মকে নিয়ে একশ্রেণীর মুর্খরা যে দাবি করে থাকে , সেটা যে কত হাস্যকর সেটার নমুনা দেখানো হয়েছে এবং তাতে ঠাকুর ঘর থেকে আপনার কলা না খাওয়ার আওয়াজ শুরু হয়েছে । আরে সাহেব কত গুলো মুর্খের সমালোচনা করার জন্য আপনার আতে লাগে কেন ? আপনে কলা খাইছেন না খান নি কেউ কি জানতে চেয়েছে ।
আপনি তো ঐ কাওয়ামীদের মত , সেই কথাটাই প্রমাণ হোল ।
আরে ভাই আমি তো বলিনি সৃষ্ঠিকর্তার ধারনা ভুল এবং সব ধর্মের মুর্খ গুলোকে ট্রল করেছি, তাতে আপনার আতে ঘা লাগলো কেন এবং নাস্তিক ইসু আসলো কেন ?

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৮

নাহল তরকারি বলেছেন: বিগ বেন এর পর ফেরেস্তা জন্ম গ্রহন করেছেন। বিগ বেন এর আগে না। জ্বীন ও বিগ বেন এর আগে জন্মগ্রহন করেছেন।
এমনকি সময় পযর্ন্ত বিগ বেন এর পরে জন্ম গ্রহন করেছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: হতে পারে , এই ব্যপারে মুফতি ইব্রাহিম সবচেয়ে ভালো বোলতে পারবে , সাইন্স নিয়ে তার গবেষনা সবচেয়ে বেশি ।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: বিগব্যাং !!! এর আগে কি ছিলো ?

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: এর উত্তর একমাত্র মুফতি ইব্রাহিম দিতে পারে ।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অসাধারন ব্যাখ্যা ভাই, তার জন্য আপনাকে হৃদয় থেকে উষ্ণ অভিনন্দন ।

এভাবে চিন্তা করা যায় ভেবেই দেখিনি কখনো ।
আর এভাবে ছোট ও নিরীহ দাগ (কবিতা ) থেকেও যদি এত কিছু শিখা যায় তাহলে ;) দাগই ভাল - কি বলেন ভাইজান ?

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:২০

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন শত বৎসর আগে----- বিশ্বটাকে দেখবো আমি হাতের মুঠোয় ভরে ।
সেটা আজ সত্য প্রমাণীত হয়েছে । এখন আপনি এনরয়েড স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে গোটা দুনিয়ার সব কিছুই দেখতে পারেন । এই ফোনের কথা শত বৎসর আগে কাজী নজরুল ইসলাম বলে গেছেন ।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: বিগব্যাং এর আগে ছিলো ব্যাং।শেটা ফুলতে ফুলতে বিগ হয়ে তবে বিস্ফোরিত হয়।ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে বিজ্ঞান এভাবেই বেরিয়ে আসে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:২২

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি কি মুফতি ইব্রাহিম থেকে বেশি জানেন ?

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৮

কানিজ রিনা বলেছেন: বোঝার চেষ্টা করুন আমি (খবিশ মগা উদ্দিন) কার নাম রেখেছি আন্তর্জাতিকভাবে সবাই জানে আসিফ মহিউদ্দিনকে আমি খবিশ মগা উদ্দিন বলি একটা অশিক্ষিত নাস্তিক যে কিনা প্রতিটা লাইভে মুসলিম ভাইদের কে অপমান করা হচ্ছে ওর মেইন পেশা।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:১৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি আর ঈশ্বরকণা কি এক ব্যক্তি ?
এই পোস্টের সাথে আসিফ মহিউদ্দিনের কি সম্পর্ক ?

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: চুপ করে পড়ে গেলাম। কোনো মন্তব্য করবো না। আর যদি মন্তব্য করতাম তাহলে আমার মন্তব্যটি এডমিন হয়তো মুছে দিত।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:২৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ও মানুষ তোমার দুইটা চোখ আর দুইটা কান ---- শুধু দেখবা আর শুনবা ।

একটা মুখ তো ----- তাই কথা কম কবা ।

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: একবার আমার এক পোস্টে লিখেছিলাম কোরআন, বাইবেল, গীতা থেকে যেমন বিগ ব্যাং কিংবা বিজ্ঞানের অনেক সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় ঠিক একইভাবে নজরুলের কবিতা, গল্প, গান রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি থেকে এসব খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তখন কয়েকজনই আমার পোস্টটিকে হাস্যকর বলেছে।

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

নিমো বলেছেন: ভেঙে মোর ঘরের চাবি গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাসওয়ার্ডের কথা বলেছেন। উনাকে ভুল কারণে নোবেল দেয়া হয়েছে।

১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

নগরবালক বলেছেন: অন্তরদৃস্টি খুলে গেল , আমি তো এখন বাচ্চাদের সকল ছড়াতেই ঐশ্বরিক বাণী খুজে পাচ্ছি।

গোল করোনা গোল করোনা
খোকন ঘুমায় খাটে
সেই ঘুমকে কিনতে হবে
নবাব বাড়ির হাটে।
সোনা নয় রূপা নয়
দিলাম মতির মালা
তাইতে খোকন ঘুমিয়ে আছে
ঘর করে উজালা।

এই কবিতায় করোনার কথা বলা হয়েছে।
করোনা দেখতে গোল
খোকনের করোনা হয়েছে তাই খোকন খাটে ঘুমায়
এই ঘুম রূপি করোনা চায়না থেকে এসেছে, এখানে চায়নাকে রূপক অর্থে নবাববাড়ির হাট বলা হয়েছে
সোনা = ফাইযার, রূপা = এস্ট্রাজেনেকা
মোতির মালা = সিনোফার্মের টিকা

সিনোফার্মের টিকা কাজ করে নাই তাই খোকন চীর ঘুমে তলিয়ে গেছে :||

সুফিয়া কামাল সম্ভবত কোন পয়গম্বর ছিলেন

ভাই আমার গ্যান চক্ষু খুলে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৪০

ঈশ্বরকণা বলেছেন: সিরিয়াসলি, এটা আমার মন্তব্যের জবাব !

আমি কোথায় নাস্তিকতার কথা বললাম ? নাস্তিকতার 'সংঘাই' বা আমার জানতে হবে কেন এখন ?একবার মাত্র 'নাস্তিক' কথাটা যে বলেছি মন্তব্যে সেটাতো আমার কথা না, আপনার একটা মন্তব্যের কথাই। সেটাওতো বললাম । আমি যা বলেছি মন্তব্যে সেটা হলো অকারণে ধর্মের ইস্যুগুলোকে বিতর্কিত করার ব্যাপারে । এই কাজটা আপনি সব লেখাতেই করেন । আমার মনে হয়েছে এই লেখাতেও সেটাই আপনার উদ্যেশ্য । সুইট সারপ্রাইজ হিসেবে আপনি যদিও বলেছেন "আমার লিখাতে কোন দিন দাবি করা হয়েছে যে সৃষ্ঠিকর্তা বলে কিছু নেই ?" কিন্তু আপনার লেখায় মাত্রাতিরিক্ত ধর্ম বিদ্বেষের কারণেই ব্লগে আপনার ধর্ম বিদ্বেষী হিসেবে একটা পরিচিতি হয়ে গেছে বলে আমার ধারণা ।আপনার ব্যাপারে সেই ধারণা পরিবর্তনের সুযোগ খুব কম আর কঠিনও। এই লেখার কোথাও কি আপনি বলেছেন এটা কওমীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন ? আপনি ধর্ম গ্রন্থগুলোর (বিশেষ করে মনোথিস্ট ধর্মগ্রন্থগুলোর)সৃষ্টির বর্ণনা নিয়ে নিয়ে যে ব্যঙ্গ করেছেন সেটা ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর কথাকেই করেছেন । সেটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগতো নেই।আর সেজন্যই ধর্ম বিদ্বেষের কথাটা আমি বলেছি।

আর সৃষ্টির যে ব্যাপারটা নিয়ে আপনি আমার মন্তব্যের উত্তরে কওমি না কি জানি বললেন সেটা শুধু কওমিদের কথা হবে কেন ? উপমহাদেশের কওমি মাদ্রাসা শুরুর অনেক আগে থেকেই ইসলামিক স্কলাররাও সৃষিটর ব্যাপারে কুরআনের ভাষ্যের ভিতিত্তে যে বর্ণনা করেছেন তার সাথে বিগব্যাং থিওরির সাদৃশ্য অবশ্যই লক্ষ্যণীয়। বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক ইবনে খালদুন জন্মেছিলেন এখন থেকে প্রায় হাজার বছর আগে । সৃষ্টি সম্পর্কে তার কুরআনিক ব্যাখ্যার কিছু কথা হুবুহু তুলে দিলাম অনুবাদের ঝামেলা না করেই " It should be known that we — May God guide you and us — notice that this world with all the created things in it has a certain order and a solid construction. It shows nexuses between causes and things caused, combinations of some parts of creation with others, and transformations of some existent things into others, in a pattern that is both remarkable and endless. ...Each one of the elements is prepared. ..." । ইবনে খালদুনের এই বক্তব্য যদি সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতের সাথে, যেখানে বলা হয়েছে, "Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder?----" (আমি শিওর যে সৃষ্টি সংক্রান্ত কুরআনের বর্ণনার ব্যাপারে আপনি এই আয়াতের কথাই মিন করেছেন), মিলিয়ে পড়েন তাহলে আপনার এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক হবে যে বিগব্যাঙের একটা সিঙগুগ্যালারিটি থেকেই সৃষ্টির শুরুর কথাই বলছে কুরআন আর তার পর চেইন রিএকশনের সাথে মানে কজ আর রিএকশনের মধ্যে দিয়েই বিশ্বব্রমান্ডের সৃষ্টি। আপনি ইবনে খালদুনের বক্তব্যও অস্বীকার করতে পারেন কোনো সমস্যা নেই । কিন্তু বিজ্ঞানের প্রসারের সাথে সাথে মানুষের এখন যে জ্ঞানের সুযোগ হয়েছে তাতে সৃষ্টি সম্পর্কিত কুরআনিক ভার্সগুলোর থেকে বিগব্যাং থেকেই সকল সৃষ্টির উৎস ইসলাম যে ধারণা দেয় তা বলা যে খুব অস্বাভাবিক হবে না সেটাও বলতে হবে। সেটা সহজেই বাতিল করে করে দেবার মতো কোনো বক্তব্য না সেটা হয়তো বুঝতে পারছেন ইবনে খালদুনের কথা থেকেই । সেজন্যই ইসলামিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনায় একটা মধ্য পথ দরকার নিজস্ব মন্তব্যের ক্ষেত্রে। কিন্তু আপনার লেখায় আমি সাধারণত সেটা দেখি না।

ইসলামের নিয়ম নীতি বা আইনগুলো যা সরাসরি কুরআন থেকে নির্দেশিত ইস্যুগুলো নিয়েও আপনি খুবই আক্রমণাত্মক সব সময় । সেজন্য আপনার লেখাগুলো ঠিক যৌক্তিক থাকে না বেশিরভাগ সময়ই (মেসির গোল নিয়ে লেখাটা ঠিক আছে ।আমি একমত ওটা সম্পর্কে ) আপনার এই লেখাটা পড়ে মনে হলো অনর্থক আর অপ্রয়োজনীয় ভাবে আপনি ধর্ম নিয়ে তির্যক মন্তব্য না করলেই বেশি ভালো হতো (তবুও কি তোমরা কুরআনে,বাইবেলে, তোরাতে,গীতাতে মিরাকল বা বিজ্ঞান খুঁজবে?)। আমার মন্তব্যের আপনার উত্তর দেখে মনে হয়েছে আপনি মেজাজ হারিয়েছেন । আমার আতে ঘা লাগার ব্যাপার আসছে কেন ? আমি বরং অবাক হয়েছি কুরআনের যে ভার্স থেকে সৃষ্টি সম্পর্কে বিগব্যাঙের একটা সম্পর্কের কথা ইসলামিক স্কলাররা ভেবেছেন অনেক আগে আর এই সময়ে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের কারণে যে সম্পর্কটা ভাবার সুযোগ আরো অনেক বেশি স্বাভাবিক ভাবেই সেটা নিয়ে আপনার ব্যাঙ্গের কারণে। তবে আপনার মেজাজ হারানো মন্তব্যে খুব একটা অবাক হইনি। এটা ব্লগে ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করে যারা লিখেছেন বা এখন লেখেন তাদের সবারই একটা সিগনেচার বৈশিষ্ঠ্য । যাহোক. আপনার মেজাজ হারানো মন্তব্য পরে এই ননসেন্স রাইমটা কেন যেন মনে পড়লো ---
মারি নাইকো ধরি নাইকো বলি নাইকো দূর
সবেমাত্র বলেছি গোপাল, চরাও গে বাছুর ----

আর সেটুকুতেই এতো বেসামাল উত্তর দিলেতো মুশকিল । চাউ ।

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৫:১৪

জিকোব্লগ বলেছেন:



ঈশ্বরকণা যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন।
ঈশ্বরকণাকে অনেক ধন্যবাদ।
চুজ!

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:১০

এভো বলেছেন: ঈশ্বরকণা ---
সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩০
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder? We made from water every living thing. Will they not then believe?


------ আপনি বিরাট বড় বিগ ব্যাংগের নমুনা দেখিয়েছেন এই আয়াত থেকে । এই আয়াত অনুযায়ি পৃথিবী এবং আকাশ একত্রে ছিল এবং মুখ খুলে দেওয়া হয়েছে । তাহোলে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা , তাহোলে ৪ বিলিয়ন বয়স হোল কি করে । পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলি যদি একত্রে আগেই তৈরী করা থাকে তাহোলে পৃথিবীর বয়স তো ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা ?
আল্লাহ পৃথিবী, গাছপালা প্রাণিজগত আগে সৃষ্টি করেছেন, এরপরে সপ্ত আকাশ বা মহাকাশ (যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ ) ।

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২

তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.