নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের হুজুর কাম আলেম পন্থি মানুষ কাম ব্লগাররা দাবি করতেছে যে গত ২০ বৎসর আমেরিকা আফগান জনগণের উপর নাকি খুব অনাচার-অত্যাচার-নিপিড়ন করেছে , ঐ দেশের মানুষদের নাকি ১৪টা বাজিয়ে মানবিধিকারের সকল শর্তকে পদালিত করেছে ।
এই জন্য আল্লাহ তাদের মেরুদন্ড ভেংগে দিয়েছে , পরাজিত হয়ে মাথা নিচু করে তারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে ।
যখন এমন দাবি করা হবে আমেরিকা এই ধরনে অত্যাচার আফগানদের উপরে করেছে, তাহোলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসবে, নিশ্চয়ই আমেরিকানদের দখলের আগে আফগানিস্থানে স্বর্গীয় শান্তিময় অবস্থা বিরাজ কোরছিল । এখন ঐ শান্তিময় পরিবেশের কিছু উদাহরন তা না দিলে নহে ।
ঐ সময়ে নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল,
ঐ সময়ে নারীর চাকুরি করা নিষিদ্ধ ছিল,
ঐ সময়ে নারীদের পুরুষ মেহেরেম ছাড়া বাহির হওয়া ছিল নিষিদ্ধ,
ঐ সময়ে নারীদের বস্তা বন্দি হয়ে ঘর থেকে বের হোতে হোত,
ঐ সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল শরিয়া ভিত্তিক , বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে প্রায় কাওমী মাদ্রাসাতে পরিনত করা হয়েছিল ,
ঐ সময়ে খেলাধুলা করা ছিল নিষিদ্ধ এবং ওগুলো ছিল শাস্তি যোগ্য অপরাধ এবং স্টেডিয়াম গুলোকে বানানো হয়েছিল বোধ্যভূমি,
ঐ সময়ে মত প্রকাশের স্বাধীণতা ছিল না, পুরুষদের দাড়ি রাখা ছিল বাধ্যতামূলক,
ঐ সময়ে অমুসলিমদের সকল উপাসনালয় ধংস করা হয় যার অন্যতম ছিল বমিয়ান বুদ্ধ মুর্তি,
ঐ সময়ে আল কায়দা সহ সকল ঈমাণী জংগি সংগোঠনের হেড কোয়াটার ছিল আফগানিস্থান,
------------------
-----------------
এই ধরনের শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছিল আমেরিকার আফগানিস্থান দখলের আগে । এই ধরনের স্বর্গীয় পরিবেশকে কুলশিত করে আমেরিকা নারী অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিল , শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছিল , খেলাধুলা - আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিল , স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করেছিল । আমেরিকার নিপিড়নের কারনে অমুসলিমরা তাদের ধর্মীয় অধিকার পেয়েছিল, নাগরিক অধিকার পেয়েছিল । আমেরিকার নিপিড়নের কারনে সকল ঈমাণী জংগি সংগোঠন আত্মগোপন করতে বাধ্য হয় ।
এই সব অপকর্ম করার কারনে আল্লাহ তালা আমেরিকার মেরুদ্ন্ড ভংগে দিয়েছে এবং তারা আফগানিস্থান ত্যাগ করেছে ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:১৮
এ আর ১৫ বলেছেন: তাদের বুঝাতে হোলে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল সংস্কারের প্রয়োজন । শরিয়া আইণ মানব রচিত আইণ এবং এর অনেক আইণ আছে যা কোরান বিরুধী , এই জিনিস গুলো তাদের বোঝানো খুবই জরুরি ।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: তালেবানী শাসন আমলে পুরুষরা বেহেস্তে ছিলো নারীরা দোজখে আর আমেরিকানরা আসার পর নারীরা বেহেস্তে আর তালেবানরা দোজখে।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:১৮
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার মূল্যায়ন অনেকটা সঠিক ।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২
আমি নই বলেছেন: তালেবানি শাসনে আফগানীদের কোনো সমস্যা আছে বলেতো মনে হলোনা, সমস্যা মনে করলে ৬ জনে কিভাবে ৫০,০০০ মানুষের শহর দখল করে?? আফগানীদের সমস্যা না হলেও আপনাদের এত জ্বলতেছে কেন???
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২১
এ আর ১৫ বলেছেন: আমি তো লিখলাম তালেবানদের আগের আমলের বেহেস্তি শান্তি সুখের নমুনা যে গুলো আমেরিকার হস্তক্ষেপের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । সে পূর্বাবস্থা আবার যদি ফিরে আসে তাহোলে তো আপনারা নিশ্চয়ই ঐ দেশে চলে যাবেন বা বাংলাদেশকে তালেবানিস্থান বানাবার জেহাদে নামবেন ।
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আজ বা কাল তালেবানদের পতন হবেই।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৩
এ আর ১৫ বলেছেন: তাদের পতন হবে যদি আবার পূর্বের মত তথাকথিত ঈমাণী শাসন শুরু করে ।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৩
বিটপি বলেছেন: আফগানদেরকে শান্তির সুবাতাস দেয়ার জন্য আমেরিকানদেরকে দাওয়াত করে আনছিল কে? নাকি আমেরিকা নিজের গরজেই আফগানদের ভালো করার জন্য আসছিল? আসছিল যদি এখন তাদেরকে বিপদে রেখে ভাগতেছে কেন? কারণ তাদের পশ্চাদ্দেশের কাপড় এখন উম্মুক্ত হয়ে গেছে। লজ্জা ঢাকতেই তাদের এঈ পলায়ন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনারে অনেক আগে আশা করেছিলাম ! সত্য কথা বলতে কি অন্য পোস্টে আপনার মন্তব্য পড়ে আমি এই পোস্ট লিখেছি । আপনার বিভিন্ন পোস্টের মন্তব্যে দাবি করে এসেছিলেন বিগত ২০ বৎসর যাবত আমেরিকা নাকি আফগান জনগণের উপর অত্যাচার নিপিড়ন চালিয়েছে , তার মানে তারা আসার আগে অবশ্যই আফগানিস্থানে স্বর্গীয় পরিবেশ ছিল , তাই ঐ স্বর্গীয় পরিবেশের কিছু চিত্র তুলে ধরেছিলাম মাত্র ।
আমেরিকাকে কে দাওয়াত দিয়েছিল আপনি জানতে চান ----- তাদেরকে আলকায়দা ওসামা বিন লাদেন দাওয়াত দিয়েছিল । ওনারা যদি টুইনটাওয়ার না উড়িয়ে দিত তাহোলে আমেরিকা কোন দিন দাওয়াত খেতে আসতো না ।
বর্তমানে কোন পরা শক্তির পক্ষে কোন দেশ দীর্ঘ দিন দখলে রাখা সম্ভব নহে । এমন কি বাংলাদেশ বা নেপাল বা ভুটান বা মালদ্বীপের মত দেশ পৃথিবীর কোন পরা শক্তির পক্ষে বেশি দিন দখল রাখা সম্ভব নহে ।
যদি আফগানিস্থানের সম্পদ আমেরিকার জন্য লাভ বান হোত তাহোলে আরো ৫০ বৎসর তারা সেখানে থাকতো এবং সুদে আসলে নি:শেষ করে তারপর ছেড়ে দিত ।
আমেরিকার ২ হাজার বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে যদি এই খরচ উঠে আসার সম্ভবনা থাকতো তাহোলে তালেবানের বাপের ক্ষমতা ছিল না কিছু করার এবং তারা আফগানিস্থানকে এক উন্নত আধুনিক রাস্ঠ্র করে ফেলতো যেমন টি জাপানকে , পশ্চিম জার্মানিকে , দক্ষিণ করিয়াকে করেছিল ।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬
জাহিদ হাসান বলেছেন: বর্তমান আফগানিস্তানের একজন সাধারণ নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার -
নারীঃ আমাদেরকে এখন আর চাকরি কিংবা লেখাপড়া করতে হয় না। এগুলো করতে পারবো তাও ভাবি না। আমাদেরকে বাড়ির বাইরেও যেতে হয় না। যেতে পারবো, সেই কল্পনাও করি না!
পুরুষঃ আপনাদের দেশে পুরুষদের হয়তো অনেক লক্ষ্য থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের পুরুষদের একটাই লক্ষ্য। বউ-বাচ্চা নিয়ে বিমানের চাক্কা ধরে হলেও এই সন্ত্রাসের জনপদ থেকে বের হয়ে যাওয়া!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৭
এ আর ১৫ বলেছেন: সৌদি আরব ইরাণের প্রচুর পেট্রডলার আছে তাই তারা ঐ ভাবে মানুষকে রাখতে পেরেছিল কিন্তু আফগানদের সে অবস্থা নেই । সৌদি আরব বুঝতে পেরেছে পেট্রডলারের ভান্ডার আর বেশি দিন নেই , তাই তারা বের হয়ে আসছে ঐ নিয়ম কানুন থেকে ।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২২
পাঠক০০৭ বলেছেন: ইউ আর এ্যাবসুলেটলি ট্রু এট লিস্ট ইন দিস ফ্যাক্ট যে - আমেরিকার ২ হাজার বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে যদি এই খরচ উঠে আসার সম্ভবনা থাকতো তাহোলে তালেবানের বাপের ক্ষমতা ছিল না কিছু করার। ইন্টারন্যাশনাল পলেটিক্সের কনটেক্সটকে কনসিডার করলে, প্রাইমারি লেভেলের আইকিউ সম্পন্ন মানুষ এই বিষয়টি স্পষ্ট বুঝতে পারবে।
A class of morons is turning religion doubtful and stupid by labeling all of these political maneuverings as religious victories.
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯
এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৩
বিটপি বলেছেন: আমেরিকা মনে হয় আফগানদেরকে স্বর্গ ঘুরিয়ে এনেছে? বোমা ফেলে যে নিরীহ সিভিলিয়ানদের মারা হল - সেটা আপনার ভাষায় অত্যাচার নয়? ওসামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ার উড়িয়ে দিয়েছে - কোন প্রমাণের ভিত্তিতে আপনি এমন দাবি করছেন? এটা আমেরিকা বলছে, কিন্তু কোন প্রমাণ তো দেয়নি। আর সেই অপরাধে কেবল লাদেনকে শাস্তি দেয়া যেত - পুরো আফগানিস্তানকে নরক বানানোর যুক্তি কি?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
এ আর ১৫ বলেছেন: আমেরিকা মনে হয় আফগানদেরকে স্বর্গ ঘুরিয়ে এনেছে
এমন দাবি কেহ করে নি কিন্তু আপনার দাবি করছেন ,আমেরিকা আসার আগে স্বর্গীয় যুগ ছিল এবং আমেরিকা এসে সেই স্বর্গীয় যুগের অবসান ঘটিয়ে ছিল
বোমা ফেলে যে নিরীহ সিভিলিয়ানদের মারা হল - সেটা আপনার ভাষায় অত্যাচার নয়?
বোমা গুলো তালেবানদের উদ্দেশ্যে মারা হয়েছিল এবং এতে সিভিলিয়ন ও হতাহত হয় । তালেবানের হাতে আরো অনেক বেশি সিভিলিয়ন মারা গিয়েছিল স্বর্ণ যুগে ।
ওসামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ার উড়িয়ে দিয়েছে - কোন প্রমাণের ভিত্তিতে আপনি এমন দাবি করছেন?
ও বাবা আলকায়দা এর জন্য কি বাহাদুরি নেয় নি ।
এটা আমেরিকা বলছে, কিন্তু কোন প্রমাণ তো দেয়নি। আর সেই অপরাধে কেবল লাদেনকে শাস্তি দেয়া যেত - পুরো আফগানিস্তানকে নরক বানানোর যুক্তি কি?
ওসামা বিন লাদেনকে হ্যান্ড ওভার করতে বলেছিল কিন্তু তালেবানরা অস্বিকার করে তাই । ভেরি গুড আমেরিকা পুরো আফগানিস্থানকে নরক বানিয়েছিল কিন্তু তার আগে স্বর্গ ছিল , ঠিক বলেছেন ।
তালেবানদের সাথে স্থলে যুদ্ধ করেছিল আফগান মুজাহিদ এবং আমেরিকা করেছিল তালেবানের অবস্থানের উপর এয়ার স্ট্রাইক । ওরা তালেবানের অবস্থানকে নরক বানাইছিল এয়ার স্ট্রাইকের মাধ্যমে এবং তাদের বাকি মেচাকার করে ছিল মুজাহিদ বাহিণী । ঐ সব ধংস আবার আমেরিকার সহায়তায় মুজাহিদ সরকার পুন:স্থাপন করেছিল ।
৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
বিটপি বলেছেন: আমি কোথায় কবে দাবি করেছি যে আমেরিকা আসার আগে স্বর্ণযুগ ছিল? তবে হ্যাঁ, সামাজিক অপরাধের মাত্রা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল।
তাই নাকি? পরিসংখ্যান দিন তো, তালেবানের হাতে কত মারা গেছে? আর আমেরিকান ইনভেডারদের হাতে কত?
আল কায়দা এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। আমেরিকা জোর করে আল কায়েদার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তানে ম্যাসাকার করার জন্য।
ওসামাকে পরে হ্যান্ডওভার করতে চেয়েছিল তৃতীয় কোন দেশের কাছে। কিন্তু আমেরিকা তা প্রত্যাখ্যান করে এবং কোন সুযোগ না দিয়েই আফগানিস্তানে জানোয়ারের মত হামলা করে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
নতুন বলেছেন: ভাই যারা বড় হুজুরের কথায় নাচে তাদের এসব বলে কোন ফয়দা নাই।
এদের কাছে ধর্ম দিয়ে নারীদের নিয়ন্ত্রন একটা সহজ হাতিয়ার।
আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই নিজে ধর্ম মানেনা কিন্তু তারা চায় তাদের স্ত্রী ধর্ম মেনে চলুক এবং ঘরে স্বামীর বাধ্য হয়ে থাকুক।
আফগানরা যদি তালেবান নিয়ে খুশি থাকে সেটা তাদের ব্যাপার। আমাদের দেশে শরিয়া আইনের দরকার নাই। বর্তমানের বিশ্ব ব্যবস্থায় শরিয়া আইনে দেশ চালানো অসম্ভব সেটা এরা বোঝে না।