নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা টক শোতে যেখানে ড: এনায়েতুল্লাহ আববাসীর সাথে জনাব শাহরিয়ার কবিরের বাহাশ নিয়ে অনলাইনে কিছু উদ্দিপনা দেখা গেছে । এখানে জনাব শাহরিয়ার কবির ধর্ম তথা ইসলাম ধর্মকে রাজনীতির বাহিরে রাখার মত পোষন করেন এবং এর উত্তরে জনাব আব্বাসী কোরান হাদিস থেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন যে ইসলাম ধর্ম এবং রাজনীতি দুটোই এক সূত্রে গাথা । রাজনীতি ছাড়া ইসলাম ধর্ম হয় না অর্থাৎ ইসলাম একটা রাজনৈতিক দর্শন বটে ।
এখানে ইসলামি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভিতর স্ববিরুধী আচরন লক্ষ করা যায়, যার জন্য জনাব শাহরিয়ার কবির খুব কৌশলে কথা বলেছেন ডাইরেক্ট কথা বল্লে যে কি হতে পারে , সেটা তিনি জানেন , তাই তিনি ধরি মাছ না ছুয়ি পানি মার্কা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন ।
কোন দর্শন যদি রাজনৈতিক আদর্শ হয় , তাহোলে ঐ আদর্শকে অবশ্যই সমালোচনার সন্মুখিন হতে হয় । আওয়ামী লীগের আদর্শকে যে কেউ সমালোচনা করতে পারে , বিএনপির আদর্শকে যে কেউ সমালোচনা করতে পারে । পৃথিবীর যে কোন দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর সমালোচনা বিরুধীরা করতে পারে । এটাই হোল রাজনৈতিক কালচার এবং ব্যকারন ।
এখন যারা ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক দর্শন দাবি করেন , তারা কিন্তু এই দর্শনের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না । যেহেতু এটা রাজনৈতিক বিধান তাই যদি কেহ শরিয়া আইণ, চুরি করলে হাত কাটার আইণ , রজম সহ অন্যান বিধানকে সমালোচনা করে , তাহোলে এই সব হুজুররা তাদের গায়ে নাস্তিক মুরতাদ কাফের ইসলাম বিদ্বেষি ট্যাগ লাগিয়ে দেয় এবং তাদের অনুগত জংগি বাহিণীদের দিয়ে তাদের জবাই করে হত্যা করার হুংকার দেওয়া শুরু করে ।
এই সব কারনে জনাব শাহরিয়ার কবির ধরি মাছ না ছুয়ি পানি -- মার্কা ভুমিকা নিয়েছেন এবং কিছুই না জানার অভিনয় করেছেন , উনি যদি রাজনৈতিক দর্শন হিসাবে সমালোচনা করতেন , সাথে সাথে তার গায় নাস্তিক মুরতাদ ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হোত এবং তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হোত ।
জনাব কবির ইসলাম ধর্ম রক্ষা করার জন্য ধর্মকে রাজনীতির থেকে বাহিরে রাখতে বলেছেন কিন্তু আব্বাসী হুজুর কোরান হাদিস এনে প্রমাণ করতে চেয়েছেন ইসলাম মানেই রাজনীতি । যখন কোন দর্শন রাজনৈতিক দর্শন বলে বিবেচিত হয় তখন সেটাকে যে কেউ মানতে পারে এবং সমালোচনা করতে পারে ।
এনাদের দাবি ইসলাম মানে রাজনৈতিক দর্শন কিন্তু সব রাজনীতির সমালোচনা করা যাবে কিন্তু ইসলাম নামক রাজনীতির সমালোচনা করা যাবে না , কেউ যদি করে তাহোলে সে বা তারা মুরতাদ নাস্তিক কাফের ইসলাম বিদ্বেষি এবং ইহুদি নাসার দালাল , অতএব তাদের কতল করা আমাদের ঈমাণী দায়িত্ব ।
তাহোলে এটা স্পষ্ঠ যে জনাব কবির ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করার চেস্ঠা করছেন কিন্তু জনাব আববাসী ইসলামকে রাজনৈতিক আদর্শ হিসাবে দাবি করে , ইসলামকে বিতর্কিত করছেন ।
এই বিষয়ে একটা ভিডিও পেলাম সমুর একজন ব্লগারের মম্তব্যে। সেটা তে এই বিষয়ে আরো সুন্দর আলোচনা করা হয় । অবশ্যই নীচের লিংকে গিয়ে আলোচনাটা শুনুন --
ইসলাম যদি একটা রাজনৈতিক আদর্শ হয় ,তাহলে তার সমালোচনা করা যাবে না কেন ?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
এ আর ১৫ বলেছেন: ভিডিও লিংকটা কি দেখেছেন , ঐ ভিডিওটা দেখেই এই লিখার সূত্র পাত । এটা একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় --- এরা দাবি করে ইসলাম মানে রাজনীতি ।
ঠিক আছে মেনে নিলাম রাজনীতি , এটা যেহেতু রাজনীতি তাহোলে অবশ্যই এই দর্শনকে সমালোচনা করা যাবে , কারন এটা হোল রাজনীতি ।
কিন্তু এই রাজনীতিকে সমালোচনা করলে সমালোচনাকারি হয়ে যাবে মুরতাদ কাফের নাস্তিক ইহুদি নাসার দালাল , সুতরাং কতল করা ঈমাণী দায়িত্ব ।
সেই কারনে শাহরিয়ার কবিরের ভূমিকা ছিল ধরি মাছ না ছুয়ি পানি । তিনি যদি রাজনীতিতে সমালোচনা করতেন তাহোলে তার কপালে কি জুটতো সেটা তিনি জানেন ।
কোন কিছু রাজনীতি হোলে সেটা অবশ্যই সমালোচনার যোগ্য কিন্তু ইসলামকে রাজনৈতিক দর্শন দাবি দাররা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না । ধন্যবাদ
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
এমেরিকা বলেছেন: ইসলামী বিধি বিধানের সমালোচনা অবশ্যই করা যাবে। চুরি করলে হাত কাটা, খুন করলে শিরোচ্ছেদ করা, ধর্ষণ করলে পাথর ছুড়ে হত্যা - এ ধরণের বর্বর শাস্তি আধুনিক যুগে গ্রহণযোগ্য কিনা - এ নিয়ে ফ্রুটফুল ডিবেট হতেই পারে। কিন্তু আল্লাহ্ কিংবা তার রাসূল, সাহাবায়ে কেরাম বা নবী রাসূল দের সমালোচনা বা তাদের নিয়ে আজেবাজে কথা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।
ঐ টক শোতে শাহরিয়ার কবিরের স্ট্যান্ড খুবই ভালো লেগেছে। কিন্তু বয়েসের কারণে তার গলায় অত শক্তি ছিলনা। কিন্তু তিনি যেই কথা বলেছিলেন - ওয়াজ মাহফিলে অন্য ধর্মের অবমাননা করা হয় - এটা পুরোপুরি মিথ্যা এবং আব্বাসীর উচিত ছিল এর প্রমাণ দেখতে যাওয়া।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ওয়াজ মহফিলে অন্য ধর্মকে গালাগালি বিষয়ে আমার একটা পোস্টের ৮ নং মন্তব্যের উত্তরে কয়েকটা লিংক দেওয়া হয়েছে । কাইন্ডলি ঐ লিংকে গিয়ে ৮ নং মন্তব্যের উত্তরটা পড়ুন ।
Please click here
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ক্ষমা প্রার্থী। এ পোষ্টে আমি মন্তব্য করবো না।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১
অন্তু নীল বলেছেন: আমার কাছে ধর্ম নিয়ে আলোচনা নিরর্থক মনে হয়। এর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে আলোচনার জন্য
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: খাঁটি কথা কি বাংলাদেশ থেকে দেখা যায়।
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
হাবিব ইমরান বলেছেন:
ধর্মকে ব্যক্তি পর্যায়ে রাখাই যুক্তিযুক্ত। রাষ্ট্রের উচিত এ বিষয়ে গুরুত্ব না দেয়া।
রাষ্ট্রের উচিত সাধারণ মানুষদের মৌলিক অধিকারে নজর দেয়া, দেশের উন্নয়নে নজর দেয়া, আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে নজর দেয়া।
ধর্ম নিয়ে অনেক মানুষ আছে তারা ভাবতে পারবে, কিন্তু রাষ্ট্র নিয়ে সরকারকেই ভাবতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
রানার ব্লগ বলেছেন: আসলে এরা যানে কেবল এটাই, অন্যকে অপমান অপদাস্ত করা, এদের মাথায় সামান্য জ্ঞ্যান নাই যে কিভাবে সুন্দর কথা বলে সমালোচনার জবাব দেয়া যায়, একটু ভালো করে খেয়াল করবেন এরা যখন যুক্তিতে হেরে যাবে সাথে সাথে কাফের মুরতাদ ভারতের দালাল, ইহুদির দালাল, এবং এর সাথে ফ্রি বাব মা তুলে নোংড়া গালি। এরা স্বৈরাচারের থেকেও অধম।