নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুর্তি আর ভাষ্কার্যের পার্থক্য নির্বাচনে ব্যর্থ মুখস্ত বিদ্যায় জ্ঞানী মুর্খরা জগতে আর কি কি হারাম ফতোয়া দিয়ে নিজেদের, মুসলমানের আর ইসলামের ইজ্জতের বারোটা বাজিয়েছিলেন, আসুন লিস্ট নিয়ে বসি:
১। এই উপমহাদেশে প্রথম রেল চালু হলে সেই সময়ের কাঠ মোল্লার দল রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, ফতোয়া জারি করেছিল! তাদের দাবী ছিল, মাটির উপর দিয়ে রেল চললে নাকি কবরে আজাব বেশি হবে! - (এখন ইনারা ধুমায়া চলে এইটায়, ফ্রি বেশী পাওয়া যায়।)
২। এর পর কাঠ মোল্লার দল ফতোয়া দিয়ে বলল, ইংরেজি পড়া হারাম! - ( ইহাও ইনারা এখন পড়েন বা সুযোগ পাইলে ইনারা বা ইনাদের আত্বীয়-স্বজনরা ভিসা নিয়া এইসব ইহুদি নাসারাদের দেশে যেম্বেই হোক যেয়ে ডলার-পাউন্ড কামান।)
৩। তারপর কাঠ মোল্লার দল, চিকিৎসা বিজ্ঞান, বিজ্ঞান সহ সকল আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধে চলে গেলো! নিজেরা শতভাগ মাদ্রাসায় ঢুকে গেল! - ( এনারা সমানে এখন আধুনিক চিকিৎসা নেন।)
৪। ওরা মাইকের বিরুদ্ধেও এক সময়ে ফতোয়া দিয়েছিল! - (এইটা নাইবা বললাম! এখন আমরা মাইককে হারাম বললে ইনারা উলটা আমাদেরকেই হারাম বলে ফতোয়া দিয়ে দিতে পারেন)
৫। এর পর ছবি তোলা শুরু হলে, ওরা বলল ছবি তোলা হারাম! (- সবাই চিল্লায়া বলেন 'ঠিক' কিনা!)
৬। কাঠ বলদের দল, সিনেমা, মুভি, নাটক, চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধেও ফতোয়া দিয়েছিল! এরা টিভিকে শয়তানের বাক্সো বলত! (- এইটাও চুপায়া চাপায়া দেখেন তারা, আর তাদের প্রচারের বেলায় এটাই সর্বোচ্চ ব্যবহার করেন, টেলিভিশনের চাহিদাও অনেক। ফেসবুকের কথা বাদই দিলাম।)
৭। মানুষ যখন চাঁদে যাওয়া শুরু করল তখন এই কাঠ মোল্লার দল বলা শুরু করল, এ সব মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব! কিছুদিন পর, এরাই বলল, নীল আর্মস্ট্রং নাকি চান্দে যেয়ে আজান শুনেছিল! এরা নাকি মরার আগে মুসলিমও হয়েছিল। (- এই ফেতনা এখনো চলে রে পাগলা।)
৮। এরা আধুনিক অর্থনীতি, শেয়ার বাজার সব কিছুর বিরুদ্ধেই ফতোয়া দিয়েছিল! (- এইটা নিয়া এখনো এদের মাথায় কিছুই নাই, তবে ভুত তাড়ানো, পানি পড়া, ঝাড়-ফুক, এইসব বিষয়ে ব্যাপক জ্ঞান, অনেকে মাইকেও ফু দেয়।)
৯। এরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজীবন ঘৃণা করে এসেছে! ( - দেওবন্দ, সৌদী আর মিশর অবশ্য ইনাদের পছন্দে আছে)
১০। এরা গণতন্ত্র হারাম, ভোট দেওয়া হারাম বলল! এরা বলল, ইসলামে গণতন্ত্র নিষিদ্ধ! এখন এরা ভোটে দাঁড়াতে চায়, মানুষের কাছে ভোট চায়, নির্বাচন করে! (-এখন আবার ভোটের ব্যাপারে চিল্লায় কিন্তু গলা ফাটায়ে!)
() এরা এখন ছবি তোলে, পোস্টারে ছবি দিয়ে ছয়লাব করে, মসজিদে মাইক বাজায়, মাইকে ওয়াজ করে, ভিডিও করে, নাটক বানায়, ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায়, মুভি দেখে (বলে ইসলামি মুভি), ট্রেনে চড়ে, বিমানে চড়ে, হেলিকপ্টারে চড়ে, রোগ হলে ঝাঁড় ফুঁ না দিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়!
এদের একটা অংশ নিজেরাও জানে ভাস্কর্য কি, মূর্তি কি, কিন্তু ইচ্ছা করেই ফেতনা আর হিংসা ছড়াবে! এরা ২০০ বছর আগেও যে তিমিরে ছিল এখনও সেই তিমিরেই আছে! এই তিমিরকেই এরা জ্ঞানের ভান্ডার বলে।
(এসবই আবার অন্যান্য ধর্মের জ্ঞানমুর্খ ধর্মান্ধদের বেলায়ও সত্য)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সমাজে হিংসা ছড়ানোদের বিরুদ্ধে বলেছেনঃ '- 'আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে পানাহ চাই, যখন সে হিংসা করে।' (সুরা ফালাক :৫)
বিপর্যয় সৃস্টিকারীদের বিরুদ্ধে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সূরা আল-কাসাস, আয়াত: ৭৭)
সংগ্রহীত।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১
এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভালো থাবেন ।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এদের জ্ঞান দাও প্রভু - এদের হেদায়েত করো- এই প্রার্থনা ছাড়া আমরা আর কি করতে পারি!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
এ আর ১৫ বলেছেন: না পারি না, তাদের জন্য দোয়া করা অত্যন্ত জরুরী , আল্লাহ তারা তাদের হেদায়েত করুক, আমিন ।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: কূপমুন্ডুকরা আছেই পেছনে টেনে ধরার জন্য। যখন টান ছেড়ে দেয় তখন দেখা যায় অন্যরা অনেক দূর চলে গেছে। এদের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে যুগ যুগ ধরে কবি-সাহিত্যিক-জ্ঞানীরা বলে আসছেন। যে লাউ সেই কদু। এসব প্রতিক্রিয়াশীলদের কী এসব বোঝার মতো মানসিকতা রয়েছে?
পাশের দেশে ধর্মান্ধ টিকিধারী, আর এখানে তার প্রতিক্রিয়ায় ধর্মান্ধ টুপিধারী। এগুলোকে রকেটের পেছনে বেঁধে মঙ্গল বা নেপচুনে পাঠাতে পারলে জাতি অন্তত: হিংসার অভিশাপ থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেত।
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকেরা দেশটাকে শেষ করে দিবে।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মেজর সিনহা পর আসলো ধর্ষণ এরপর ভাস্কর্য । তারপর কি
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এক 'ইংরেজি পড়া হারাম' বলে কাঠমোল্লারা মুসলিম সমাজকে শ্রমবাজারে এতটাই পিছিয়ে দিয়েছে যে দারিদ্রের দুষ্টচক্র থেকে বের হতে আরো অনেক প্রজন্ম আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: সকালেই বেদম হাসলাম । ২০০ নয় ২০০০ বছর আগে ব্যাক করেছে ।