নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূর্তি (প্রতিমা) বনাম ভাষ্কর্য

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

পবিত্র কোরানে মুর্তি আর ভাস্কর্য্য নিয়ে কি বলা আছে? আসুন, জেনে নেই পবিত্র কোরানে আল্লাহ আমাদের কি বলেছেন;
---------------
প্রথমেই কয়েকটি সুরায় মুর্তি ও পূজা নিয়ে স্পষ্ট আয়াতগুলি পড়িঃ

-সূরা হজ্জ : ৩০

এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদের স্পষ্ট নির্দেশ-

فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِۙ۝۳۰
‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত (অর্থাৎ মূর্তিসমূহ) এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’

এই আয়াতে পরিস্কারভাবে মূর্তি পরিত্যাগ করার এবং মূর্তিকেন্দ্রিক কর্মকান্ড (পূজা বা শিরক) বর্জন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরো লক্ষণীয় বিষয় এই যে. উপরের আয়াতে মূর্তিকে ‘রিজস’ শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘রিজ্স’ অর্থ নোংরা ও অপবিত্র বস্ত্ত। বোঝা যাচ্ছে যে, মূর্তির সংশ্রব পরিহার করা পরিচ্ছন্ন ও পরিশীলিত রুচিবোধের পরিচায়ক।

(@@@) এখানে স্পষ্টত যে মুর্তিকে ইশ্বর বা দেবতা জ্ঞানে পূজা করা হয় তাকে নোংরা ও পরিত্যাজ্য ঘোষনা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় আয়াতঃ

-সূরা নূহ : ২৩

অন্য আয়াতে কাফের সম্প্রদায়ের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে এভাবে-

وَ قَالُوْا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمْ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۙ۬ وَّ لَا یَغُوْثَ وَ یَعُوْقَ وَ نَسْرًاۚ۝۲۳
‘এবং তারা বলেছিল, তোমরা কখনো পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদেরকে এবং কখনো পরিত্যাগ করো না।

@@@@এখানেও মুর্তি পূজা (উপাসনা) বা শিরককে পরিত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

>>>>>> অথচ পরিস্কারভাবে ভাস্কার্য্যে কোনো পূজা বা উপাসনা বা শিরক হয় না, কোনো ভাস্কার্যের কাছে তো কোনো মানুষ কিছু চায়ও না।

ঃঃঃঃঃঃ আরো আয়াত দেখি, পড়ি ও জানি, আসুনঃ
--------------------
[সূরা আনকাবুত, আয়াত ১৭]

মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা তো আল্লাহকে বাদ দিয়ে মূর্তির পূজা করছো আর মিথ্যা বানাচ্ছো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের উপাসনা করো, তারা তোমাদের জন্য রিযিক দানের কোন ক্ষমতা রাখে না। তাই আল্লাহর নিকট রিযিক তালাশ করো আর তাঁরই ইবাদাত করো এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।

@@@ এখানে আল্লাহ পরিস্কার বলছেন যে, তুমি মুর্তির কাছে রিযিক চাচ্ছো, যা পুরো শিরক।

>>>>>>> আর ভাস্কার্য্যে কে রিযিক চায়, কে এবাদত করে? এখানে স্পষ্টত মুর্তি থেকে ভাস্কর্য্য আলাদা। এখানে মুর্তির সাথে ভাস্কর্যকে এক করলে বঙ্গভবন বা হোয়াইট হাউজকেও এক কাতারে ফেলা যায়।

-------------------
[সূরা আনকাবুত, আয়াত ২৫]

মহান আল্লাহ বলেনঃ আর ইব্রাহিম বলল, দুনিয়ার জীবনে তোমাদের মধ্যে পরস্পরিক ভালোবাসার জন্যই তো তোমরা আল্লাহকে ছাড়া মূর্তিদেরকে গ্রহণ করেছো। তারপর কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে অস্বীকার করবে এবং পরস্পর পরস্পরকে অভিশাপ দিবে, আর তোমাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম আর তোমাদের জন্য থাকবে না কোন সাহায্যকারী।

@@@আল্লাহকে ছেড়ে মানে শিরক করে কেউ যদি মুর্তি পুজো করে, যে পূজা অন্য ধর্মের রীতি, সেটা যদি কোনো ব্যক্তি করে তাহলে সে কিয়ামতের দিন অভিশাপের শিকার হবে। শিরক এমন একটা অপরাধ যেটা আল্লাহ কখনোই ক্ষমা করেন না।

>>>>>>>> আর ভাস্কার্য্যে কে পূজা করে, কে এবাদত করে? এখানে স্পষ্টত মুর্তি থেকে ভাস্কর্য্য আলাদা। এখানে মুর্তির সাথে ভাস্কর্যকে এক করলে বঙ্গভবন বা হোয়াইট হাউজকেও এক কাতারে ফেলা যায়।

------------
[সূরা আহকাফ, আয়াত ৫-৬]

মহান আল্লাহ বলেনঃ সে ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দিবে না। আর তারা তাদের ডাক সম্বন্ধে অবহিতও নয়। যখন কিয়ামতের দিন মানুষকে একত্রিত করা হবে, তখন তারা তাদের শত্রু হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের উপাসনাকে অস্বীকার করবে।

@@@@ এখানে এমন কিছুকে ডাকে, যেমন কেউ যদি বলে, হে দেবী দুর্গা বা হে জিউস বা এমনকি কেউ যদি কোনো নবীর কাছেও বা পীরের কাছেও কিছু চায়, সেটা হারাম, কারন দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ।

>>>>>> আর রাস্তার মাঝখানে রোদে পোড়া ভাস্কার্য্যে কে কি চায়, কে এবাদত করে? কাক আর মাখি ছাড়া কেউ বসেও না, তেমন ছায়াও নেই। এখানেও স্পষ্টত মুর্তির সাথে ভাস্কর্য্য-এর বিন্দু মাত্র সম্পর্ক নেই। এখানে মুর্তির সাথে ভাস্কর্যকে এক করলে বঙ্গভবন বা হোয়াইট হাউজকেও এক কাতারে ফেলা যায়।

-------------
[সূরা আনআম, আয়াত ৭৪]

মহান আল্লাহ বলেনঃ আর যখন ইবরাহিম তার পিতা আযরকে বলেছিল, আপনি কি মূর্তিগুলোকে ইলাহ রূপে গ্রহণ করছেন? নিশ্চয়ই আমি আপনাকে ও আপনার জাতিকে স্পষ্টভাবে গোমরাহীতে নিমজ্জিত দেখছি।

@@@@ এখানে মুর্তি গুলাকে ইলাহ (সৃস্টিকর্তা) রূপে গ্রহন করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে যা একটি জাতিকে ধবংস করবে।

>>>>> আর রাস্তার মাঝখানে রোদে পোড়া ভাস্কার্য্যে কে কি চায়, কে এবাদত করে? এখানেও স্পষ্টত মুর্তির সাথে ভাস্কর্য্য-এর বিন্দু মাত্র সম্পর্ক নেই। এখানে মুর্তির সাথে ভাস্কর্যকে এক করলে বঙ্গভবন বা হোয়াইট হাউজকেও এক কাতারে ফেলা যায়।

------------
[সূরা শুআরা, আয়াত ৬৯-৭৭]

মহান আল্লাহ বলেনঃ আর তুমি তাদের নিকট ইবরাহিমের ঘটনা বর্ণনা কর, যখন সে তার পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, তোমরা কিসের ইবাদাত করো? তারা বলল, আমরা মূর্তির পূজা করি। অতঃপর আমরা নিষ্ঠার সাথে তাদের পূজায়রত থাকি। সে বলল, যখন তোমরা ডাকো তখন তারা কি তোমাদের সে ডাক শুনতে পায়? অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে? তারা বলল, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছি তারা এরূপই করতো। ইবরাহিম বলল, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছো তোমরা যাদের পূজা করো। তোমরা এবং তোমাদের অতীত পিতৃপুরুষেরা? সকল সৃষ্টির রব ছাড়া অবশ্যই তারা আমার শত্রু।

@@@এখানেও সেই মুর্তির কথা বলা আছে যে মুর্তিকে ভগবান বা দেবতা মেনে পূজা করা হয়। যা শিরক।

>>>>>> আর ভাস্কার্য্যে কে পূজা করে, কে এবাদত করে? এখানে স্পষ্টত মুর্তি থেকে ভাস্কর্য্য আলাদা করা হয়েছে।

-------------
[সূরা মায়িদা, আয়াত ৯০]

আল্লাহ বলেনঃ হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ ও জুয়া আর মূর্তি এবং ভাগ্য নির্ধারক তীর সমূহ অপবিত্র শয়তানের কাজ, তাই তোমরা তা পরিহার কর যেন তোমরা সফলকাম হতে পার।

@@@এখানেও স্পষ্টত মুর্তি পূজা, মদ, জুয়া, এমনকি ভাগ্য গননাকে শয়তানের কাজ বলে সতর্কতা করা হয়েছে।

>>>>> নিরীহ ভাস্কর্য্য এখানে কই বলা হলো?

--------------
আমার কথাঃ

))))) উপরক্ত একটা আয়াতেও ভাস্কার্য্য, ছবি বা বিল্ডিং নিয়ে কিছুই বলা নেই। তবে পরিস্কার করে বলা হয়েছে এমন সব বস্তুর কথা যাকে পূজা বা উপাসনা করা হয় দেবতা/ইশ্বর/ভগবান নামে, যা শিরক, যা মুসলমানদের পরিত্যাগ করতে হবে, এবং মুসলমান তা পরিত্যাগ করে। কোনো ভাস্কর্যে জীবনেও কেউ পুজো করে না, উপাসনাও না। এখন গভীর রাতের কেউ টয়লেট করতে আর কেউ চুরি করতে যায়, সেখানেতো রাতে বের হওয়া বন্ধ করা যাবে না, শুধু চুরি করারে নিষিদ্ধ করতে হবে। আল্লাহ মুর্তি নিয়ে তাই করেছেন, মুর্তি পুজো বা উপাসনা হারাম করেছেন। ভাস্কার্য্য এর মদ্ধেই পরে নাই।

))))) কিছু আলেম মুর্তির আরবি শব্দকে বাংলায় রূপান্তর করে একসাথে দুই শব্দ জুড়ে দেব, এটিকে মুর্তি ও ভাস্কার্য বলেন, এটি তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে করেন ও মাদ্রাসায় এভাবেই শিক্ষা দেন। এটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও এখানে এলাকায় মিছিল মিটিং করার একটা সুযোগ থাকে, যা এলাকায় প্রভাব বিস্তারে সহায়তা করে। আরবি এই শব্দকে মুর্তি ও ভাস্কর্য্য একই সাথে বলার সাথে যদি বঙ্গবভন বা হোয়াইট হাউজও এড করা যায়, তাহলে কিন্তু কেল্লা ফতে।

)))))) আমরা আম জনতা আরবি জানি না বলে আরবি লিখে বাংলা করে আমাদের বোঝানো হয়। পরে আসলটা জানতে পেরে কস্ট লাগে। এমনিতেই এক আলেম আরেক আলেমের বদনাম করে। আমরা উনাদের ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, কিন্তু ভরসা পাই কম। জাহান্নামে কিন্তু বহু আলেম উপস্থিত থাকবেন। অনেক আলেম বেহেশ্তের সুবাস পর্যন্ত পাবেন না।

)))))) আলেমদের কাজ ধর্মকে মানুষের কাছে নিয়া আসা, সহজ করা। কঠিন করলে মানুষ ধর্মচ্যুত হবে, সরে যাবে। অনেকটা বিধ্ববিদ্যালয়ের সেই অঙ্কের মতো, যে অংকটা আবিস্কারের জন্য দরকারী, কিন্তু সাধারন মানুষ বোঝে না বলে ভয়ে কাছেও যায় না। আলেমরা যদি আতেল হয়ে এমন সন ক্ষুদ্র জিনিস নিয়ে মিমাংসা না করে সমস্যা বাধায়, তাহলে সমাজ কই যাবে, ধর্ম কই যাবে?

??????? নাকি তারা আইসিসের কাছে যাবে? যে টেরোরিস্ট আইসিস পবিত্র কাবা শরীফকে 'বস্তু' জ্ঞান করে ভেঙ্গে ফেলতে চেয়েছিলো (নাউজুবিল্লাহ) এই বলে যে, এটাও পুজার সামিল, মুসলমান কেনো একটা বিল্ডিংএর সামনে মাথা নত করবে?

###### মুর্তি পুজো অন্য ধর্মের ব্যাপার। মুসলমান মানেই অন্য ধর্মের প্রতি চুরান্ত সহনশীল শুধু না, তারা যাতে নির্ভিগ্নে ধর্ম পালন করতে পারে না নিশ্চিত করা আমাদের জেহাদের অংশ, এটা মক্কা বিজয়ের পর নবী করীম (সঃ) আচরন, কর্ম ও চুক্তিতে চুরান্ত। যে এই আইনের বাইরে যাতে যে নবীজীর সরাসরি বিরোধিতা করে।

---
শেষ কথাঃ

আমাদের সামান্য পরিবারেও অনেকের মতো বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ডক্টর, শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তা আছেন, বেশ কয়েকজন ভালো আলেমও আছেন, সর্বোচ্চ শিক্ষিত ও সম্মানিত। সারা বিশ্বে একসময় ইসলামী লাইনের আলেম বা স্কলাররা জ্ঞান, বিজ্ঞান, সমাজনীতি, দর্শন ইত্যাদি নিয়ে নেতৃত্ব দিতেন, এমনকি আমাদের নবীজীকে খোদ আমেরিকায়ও সবচেয়ে বেশী আইন প্রনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ও সম্মান করা হয়। অথচ আমাদের দেশের আলেমরা বিবি তালাক, মুর্তি, কোন আলেম মুর্খ আর কে কাফের বা মুরতাদ, এইসব নিয়ে বিরাট জ্ঞান বিলাতে দেখা যায়। এসব কাজে তারা যত পারঙ্গম, নবীজীর সেই জ্ঞান আর আইনের ক্ষেত্রে তাঁদের পথচলা একদমই সীমিত।

তাদের কি আর বড় কোনো সমস্যা নেই সমাধান করার? কোনো যোগ্যতা নেই অন্য কোনো খাতে তাঁদের এতো বড় মেধাশক্তিকে কাজে লাগাবার?

আমরা প্রগতিশীল সত্যিকার জ্ঞাননির্ভর আলেম সমাজ চাই, চাই তারা সৎ, কর্মঠ, দান বিমুখ, ভবিষ্যতমুখী হয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে সব ধর্ম আর সব মানুষের জন্য সাম্য সমাজ গঠনে মুখ্য ভুমিকা রাখুন।

আল্লাহ আমাদের তোউফিক দান করুন।
COLLECTED FROM A PAGE

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের দেশ চলে শাসনতন্ত্র মেনে, সেটাতে আমাদের সংস্কৃতি বলতে যা বুঝায় সেটা নিয়ে লেখেন; আরবদের কল্প কাহিনী বাদ দেন।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দেশ শরিয়া আইনে চলে না, চলে সংবিধান অনুযায়ী।
আমেরিকা তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বলেই তো হোয়াইট হাউজে সবার সাঁথে কোরান ওতলোয়ার হাতে তার মুর্তি আছে।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমরা বেদুইন নই।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এইসব যুক্তি কাদেরকে দেখাচ্ছেন? এরা কারা? তাদেরকে এত যুক্তি দেখানোর কী আছে?

এ দেশে ভাস্কর্য যেমন থাকবে, মূর্তিও থাকবে। যার যাতে আগ্রহ,
কেউ তা নিয়ে উল্লসিত হবে, শ্রদ্ধা করবে, ভক্তরা ভক্তি দেখাবে।
এ দেশে এটা থাকতে পারবে না, ওটা করা যাবে না, সেটা বলা যাবে না - এই সিদ্ধান্তদাতা ঠিকাদারি নেয়া মাকালফল আব্দুল্লারা এরা কারা?

এদেশে ভাস্কর্য থাকবে এবং মূর্তিও থাকবে। দুটোই থাকবে দেশে। আগে যেভাবে ছিল। সারা পৃথিবীতে আছে, সৌদি তুর্ক সহ প্রতিটি মুসলিম দেশে আছে।
এই জাতির সূর্য সন্তানদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাসের পাঠ দেয়ার জন্য যেমন ভাস্কর্য থাকবে, তেমনি মূর্তি বা প্রতিমা যাদের ধর্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, তারাও থাকবে, মুর্তির কারিগররাও থাকবে তাদের মূর্তিও থাকবে।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এইসব যুক্তি কাদেরকে দেখাচ্ছেন? এরা কারা? তাদেরকে এত যুক্তি দেখানোর কী আছে?

এ দেশে ভাস্কর্য যেমন থাকবে, মূর্তিও থাকবে। যার যাতে আগ্রহ,
কেউ তা নিয়ে উল্লসিত হবে, শ্রদ্ধা করবে, ভক্তরা ভক্তি দেখাবে।
এ দেশে এটা থাকতে পারবে না, ওটা করা যাবে না, সেটা বলা যাবে না - এই সিদ্ধান্তদাতা ঠিকাদারি নেয়া মাকালফল আব্দুল্লারা এরা কারা?

এদেশে ভাস্কর্য থাকবে এবং মূর্তিও থাকবে। দুটোই থাকবে দেশে। আগে যেভাবে ছিল। সারা পৃথিবীতে আছে, সৌদি তুর্ক সহ প্রতিটি মুসলিম দেশে আছে।
এই জাতির সূর্য সন্তানদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাসের পাঠ দেয়ার জন্য যেমন ভাস্কর্য থাকবে, তেমনি মূর্তি বা প্রতিমা যাদের ধর্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, তারাও থাকবে, মুর্তির কারিগররাও থাকবে তাদের মূর্তিও থাকবে।


সাহসী মন্তব্য। সহমত পোষণ করছি।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

এমেরিকা বলেছেন: এই দেশে পূজা করার মূর্তিও থাকবে, পূজা না করার ভাস্কর্যও থাকবে - কুরআন হাদীসে যা খুশি বলা থাক, যত খুশী বিধিনিষেধ থাক , মোল্লারা যতই চিল্লাক - আমরা তোয়াক্কা করব না। রাস্তায় রাস্তায় ভাস্কর্য বানিয়ে ভরে ফেলব, আবার হিন্দুদের পূজা মন্ডপে গিয়ে পূজা না করি (লোকে কি বলবে) , হিন্দি গানের তালে তালে নাচা গানা করব, কার কি তাতে! সম্প্রীতি রক্ষা করাই বড় ঈমান।

কুরআন হাদীস না মানলে তার শাস্তি পরে হবে, কিন্তু মন্ডপে না গেলে হিন্দু বন্ধুরা যে মন খারাপ করবে, অনেকে মোল্লা ভাববে, কি করা যায়! স্রষ্টা যে আমাকে খাওয়ায় পরায় - সেটা তো প্রমাণিত নয়, কিন্তু বন্ধু যে প্রয়োজনে জান দিয়ে দেয়, সেটা তো চোখে দেখা!

তবে সৌদি আরবে মূর্তি আছে - এই কথাটা বোধ হয় সঠিক না। মক্কা বিজয়ের পর কাবা ঘরের ৩৬০ টি মূর্তি যখন গুহাবাসীরা ভেঙে ফেলেছিল, এরপর আরব দেশ অনেক আধুনিক হলেও মূর্তি/ভাস্কর্য বানানোর বা প্রদর্শনের সাহস করে উঠতে পারেনি।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:



আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আপনার প্রতিপালকের শপথ, তারা ততক্ষণ মুমিন হবে না,
যতক্ষণ না পারস্পরিক বিবাদে তারা আপনাকে মীমাংসাকারী হিসেবে মেনে নেয়।
অতঃপর আপনার মীমাংসায় তাদের মনে কোনো ধরনের সঙ্কোচ না আসে এবং তা
পূর্ণরূপে মেনে নেয়।
(সূরা নিসা : আয়াত ৬৫)। এ আয়াতে স্পষ্ট ঘোষণা আছে যে,
রাসূল সা. এর আদেশের আনুগত্য শুধু যে আবশ্যক তা নয়; বরং মুমিন হওয়ারও পূর্বশর্ত।
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, ‘কোনো মুমিন নারী-পুরুষের অবকাশ নেই যে, আল্লাহ ও তার
রাসূল সা. কোনো কাজের আদেশ দিলে সে কাজে প্রশ্ন করবে। আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলের
আদেশ অমান্য করে সে স্পষ্ট গোমরাহিতে নিপতিত হলো
’ (সূরা আহযাব : আয়াত ৩৬)।


৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

স্থিতধী বলেছেন: @ এমেরিকা, হ্যাঁ সেটাই সৌদি আরব শুধু পেরেছে বর্তমান বিশ্বেও দাস প্রথা কে বাঁচিয়ে রেখে ইসলামিক পন্থায় নিজ দেশে ইচ্ছায় বা জোড় পূর্বক দাসীদের সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে। ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগের একজন ধর্ম প্রাণ বিশ্বাসী এবং সৌদি ভ্রমণ করা ব্যাক্তি। তাঁর সৌদি আরব নিয়ে লেখা এই সিরিজ পড়ে আবার বইলেন না যে তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে বা গোমরাহিতে লিপ্ত!

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

এমেরিকা বলেছেন: আমি সৌদি আরবের খাইও না পড়িও না যে অকারণে তার প্রশংসা করতে যাব। কেবল ব্লগার কালবৈশাখির মন্তব্যে একটা ভুল ছিল - সেটা ধরিয়ে দিলাম। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত সৌদী আরবেও দাসপ্রথা চালু নেই। কাজেই দাসীদের সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হবার যে ধারণা - সেটাও সঠিক নয় বলে মনে করি। এদেশের বুয়ারা নিজেদের জায়গা জমি বিক্রি করে সৌদি আরবে যায় মাসে ৪০ হাজার টাকা কামাইয়ের লোভে গৃহপরিচারিকার চাকরি নিয়ে। সেদেশে তাদের সাথে যা করা হয়, তা ঐ দেশের আইন অনুযায়ীই অপরাধ। কিন্তু কেউ মামলা করার সাহস করেনা, আমাদের ধ্বজভঙ্গ এম্বেসীও কোন কাজ করেনা, তাই তাদেরকে এই অত্যাচার সহ্য করতে হয়।

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশ আমাদের সবার। সবার সমান অধিকার। ৭১ এ সব শ্রেনীর মানুষই যুদ্ধ করেছে।

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

স্থিতধী বলেছেন: @ এমেরিকা, ভালো কথা আপনি সৌদি আরবের খান না, আর তা হবেওবা কেন, বরং এমেরিকাই তো সৌদি আরবকে তাঁর স্বার্থে খাওয়ায় বলতে গেলে। যাই হোক, এটা বলেন বাংলাদেশে আমাদের কোন আইন চালু রাখা উচিৎ? মানব রচিত সংবিধান নাকি ঐশী হুকুম মোতাবেক ইসলামী শরিয়াহ?

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১১

মরুর ধুলি বলেছেন: দুষ্ট গরুর ‍উৎপাত ব্লগে খুব বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

মরুর ধুলি বলেছেন: https://www.alkawsar.com/bn/article/1472

মূর্তি ও ভাস্কর্যের প্রার্থক্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.