নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ইসলামে নিষিদ্ধ
এই শিরণামে আমাদের একজন সিনিয়র ব্লগার পোস্ট করেছিলেন, তিনি এই বিষয়ে কয়েকটা হাদিসের রেফারেন্স দিয়েছিলেন, সে হাদিসের সাথে সংঘর্সিক বেশ কয়েকটা আয়াত কোরানে আছে, সেই বিষয়ে আমার একটা লিখার লিংক নীচে দিলাম এবং খুব তাড়াতাড়ি বিদ্রুপ বিষয়ক হাদিসের বাণী এবং কোরানের বাণী নিয়ে একটা তুলনা মূলক লিখা লিখবো ।
বিদ্রুপকারীদের হত্যার পক্ষে ও বিপক্ষে !!!!
ওনার শিরণাম দেখে মনে হচ্ছে ইসলামে শুধু মাত্র ব্যঙ্গচিত্র নিষিদ্ধ তবে অব্যঙ্গচিত্র নিষিদ্ধ নহে।
বস্তুত ইসলামে ব্যঙ্গ অব্যঙ্গ যে কোন চিত্র গ্রহণ যোগ্য নহে অথবা নিষিদ্ধ মুসলমানদের জন্য কিন্তু ঐ ভদ্রলোকের দাবি এটা অমুসলমানরা ও মানতে বাধ্য এবং অমুসলমানরা এই নিয়ম মানতে বাধ্য । এই বিষয়টা নিয়ে আজকের লিখা। (সংগ্রহকৃত)
যুক্তিবিদ্যায় স্পেশাল প্লিইডিং হচ্ছে একটি লজিক্যাল ফ্যালাসি। একে বাঙলায় বলা যেতে পারে, স্ববিশেষ মিনতি কুযুক্তি। এই কুযুক্তি কখন হয়, সেটি ব্যাখ্যা করছি।
যখন কেউ কোন প্রস্তাব বা নিয়ম দেয়, কিন্তু তার প্রদত্ত নিয়মটি সে নিজেই নিজের বেলাতে ভঙ্গ করে, এবং সেই নিয়ম ভঙ্গ করাকে তিনি শুধুমাত্র তার নির্বাচিত কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ করা যাবে বলে দাবী করে, অন্য কেউ এই প্রস্তাব বা নিয়ম ভঙ্গ করতে পারবে না বলে দাবী করে, তার নিজের ক্ষেত্রে এই সুবিধাটিকে আমরা স্ববিশেষ মিনতি কুযুক্তি বা স্পেশাল প্লিইডিং ফ্যালাসি বলতে পারি।
প্রস্তাবঃ
১. ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, মুহাম্মদ (সাঃ) একজন ঈশ্বর প্রেরিত সম্মানিত বার্তাবাহক।
২. ইসলামের বিশ্বাস অনুসারে, নবী মুহাম্মদের (সাঃ)কোন ছবি আঁকা যাবে না।
৩. নবী মুহাম্মদের (সাঃ) ছবি আঁকা সকলের জন্য অন্যায়। সকল ধর্মের মানুষের মুহাম্মদকে (সাঃ) সম্মান করতে হবে।
এই প্রস্তাব যিনি দিচ্ছেন, তাকে এবারে এই প্রস্তাবগুলো দেয়া যাকঃ
১. হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, গরু হচ্ছে তাদের দেবতা এবং মাতা।
২. হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, গো হত্যা মহাপাপ এবং ভয়ংকর অন্যায়।
৩. গরু হত্যা বা গরু খাওয়া সকলের জন্য নিষিদ্ধ। গরুকে সকল ধর্মের মানুষের সম্মান করতে হবে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি গরু খাওয়া বিরোধী নই। যুক্তির খাতিরে ঐ মুসলিম প্রস্তাবকারীকে এই প্রস্তাবগুলো দেয়া হলে, উনি যা বলবেন তা বলে দিচ্ছিঃ
- "গরু খাওয়া তো ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। অন্য ধর্মের নিয়ম বা আইন একজন মুসলিম কেন পালন করবে? হিন্দু ধর্মের বিধান অনুসরণ করার দায় একজন মুসলিমের নেই। একজন মুসলিম যদি নিজের টাকায় গরু কেনে এবং খায়, কোরবানীর ছবি প্রচার করে, মাংসের রেসিপি প্রচার করে, সেটি তার অধিকার। একজন হিন্দু যদি না খেতে চায়, খাবে না। কিন্তু মুসলিমকে গরু খেতে তো সে বাঁধা দিতে পারে না।"
প্রায়শই দেখা যায়, ইসলামে বিশ্বাসী মানুষ কোরবানীর সময় গরুর কাটা মাথা, জবাই করার ছবি, রক্তারক্তি এগুলো ফেইসবুকে পোস্ট করেন। এতে কিন্তু হিন্দুদের অনুভূতিতেও আঘাত লাগতে পারে। তাদের গোমাতানুভূতি আহত হতে পারে। তারপরেও, উনার এই যুক্তি মেনে নিলাম। এবারে, ঠিক একই যুক্তি নবী মুহাম্মদের (সা: ) ছবি আঁকার বিষয়ে কাজে লাগাই। যদি হিন্দুরা বা অন্য ধর্মের মানুষরা বলে ,
- "মুহাম্মদের ছবি আঁকা তো অন্য কোন ধর্মে নিষিদ্ধ নয়। ইসলাম ধর্মের নিয়ম বা আইন একজন অমুসলিম কেন পালন করবে? একজন অমুসলিম যদি নিজের টাকায় রঙ পেন্সিল, কাগজ, ছবি আঁকার সরঞ্জাম ইত্যাদি কেনে এবং মুহাম্মদের ছবি আঁকে, সেই ছবি প্রচার করে, সেটি তার অধিকার। ইসলামের বিধান শুধু মুসলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অমুসলিমের জন্য মুহাম্মদের ছবি আঁকা তো অপরাধ নয়। তাহলে এই বিধান কেন একজন অমুসলিম মানতে যাবে? একজন মুসলিম যদি তা না দেখতে চায়, দেখবে না। কিন্তু একজন অমুসলিমকে মুহাম্মদের ছবি আঁকতে তো সে বাঁধা দিতে পারে না। মুহাম্মদ একজন ঐতিহাসিক চরিত্র। ইতিহাসের যেকোন পাঠক বা ছাত্র তার সম্পর্কে জানবে, তার সম্পর্কে কথা বলবে, আলোচনা সমালোচনা করবে। মুহাম্মদ তো কোন ধর্মের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ঠিক যেমনটি সত্য বুদ্ধ, যীশু, হিটলার বা স্ট্যালিনের ক্ষেত্রে৷ স্ট্যালিন বা হিটলারের কিছু অনুসারী যদি দাবী করে, স্ট্যালিন বা হিটলার যেহেতু তাদের কাছে সম্মানিত, তাই তাদের সমালোচনা অন্য কেউ করতে পারবে না, তাহলে অন্যদের কী দায়বদ্ধতা আছে এই দাবী মনে নেয়ার? তাই অমুসলিম কেউ মুহাম্মদের ছবি আঁকবে কিনা, তাকে সম্মান দিবে কিনা, সেটি যার যার ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছার বিষয়। মুসলিমরা না চাইলে আঁকবে না। কিন্তু অন্যরা আঁকবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত তারা কীভাবে দেয়?“
এই কথাগুলো বললেই, আপনি সেই মমিন মুসলিমের মুখে একটি স্পেশাল প্লিইডিং ফ্যালাসি শুনতে পাবেন। সেটি হচ্ছে, মুসলিমদের গরু খাওয়ার অধিকার আছে। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতি তাতে আহত হলেও তারা মুসলিমের গরু খাওয়ার অধিকার হরণ করতে পারে না। তবে মুসলিম অমুসলিম সকলের নবী মুহাম্মদকে শ্রদ্ধা করতে হবে। কারণ ইসলামের নিয়ম হচ্ছে, কেউই মুহাম্মদের ছবি আঁকতে পারবে না। এই বিধান মানতে সকলেই বাধ্য! কারণ তাতে মুসলিমদের অনুভূতি আহত হয়! তবে অন্যের অনুভূতি আহত হলো কিনা, সেটা দেখার সময় বা ইচ্ছা কোনটাই মুসলিমের নেই!
স্পেশাল প্লিইডিং ফ্যালাসির এটি একটি পারফেক্ট উদাহরণ।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
আমার একটা প্রস্ন ছিলো। আগেই বলে দিচ্ছি রাগ করবেন না। জানলে উত্তর দিবেন।
কোন স্ত্রীকে সফরে সাথে নিবেন সেজন্য রাসূল (স) লটারী করতেন। যেভাবে আম্পায়ার বা রেফারীগণ লটারী করে থাকেন।/sb]
ইহা কি সত্যি?
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৬
রানার ব্লগ বলেছেন: প্রথমত হিন্দু ধর্মে গো হত্যা মহাপাপ বা গো মাংস খাওয়া পাপা এমন কিছুই নাই, ইহা মুসলমানদের মত হিন্দুদের সন্যাসিরা এর আবিস্কারক। যদি গো হত্যা পাপ হত রামের বিয়েতে ১১০০০ গরু ভক্ষনের উদ্দ্যেশে হত্যা করা হতো না এবং হিন্দুরা গরু খায় এটা প্রমানিত, আপনি যদি ভারোতের দক্ষিনে যান দেখবেন ওখাঙ্কার হিন্দুরা গরু খায়। আরো আছে হিন্দু পুরানে আপনি অনেক শ্লকে দেখবেন ওখানে বলা আছে সন্যাসী তার সকালের নাস্তা গো মাংস সহযোগে করেছেন, পাপ হলে নিশ্চই এমন করতেন না।
দুই রাসুলের চিত্র ও ব্যাঙ্গচিত্র কোনটাই আকা বা প্রদর্শন করা যাবে না। এখন প্রশ্ন হোল নবী তার জীবনকাল সমাপ্ত করেছেন ১৪০০ বছর আগে , এখনকার কে জানে নবীর চেহারা কেমন, ব্যাঙ্গ বলেন আর চিত্র বলেন কোন কিছুই নবির মত না, খালি খালি মাঠ গরম করার তরিকা আর কি।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: এই জিনিসটা দেশের ১/৪ মানুষ বুঝলেও এত লাফালাফি দেখা লাগত না।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম ধর্মের বিধানে যাদের চুলকানি তারা
নিজেদের নাস্তিক ঘোষণা দিয়ে দিলেই পারে।
নিজের মূত্রে নিজে গাত্র দাহন করুক ক্ষতি নাই
তবে তা অন্যের গায়ে ছিটানোর অধিকার কারো নাই।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলামে নিষিদ্ধ এটা সবাই জানে,কিন্তু অন্য ধর্মে নিষিদ্ধ না।অন্য ধর্মে যেটা নিষিদ্ধ না সেটা যদি তারা করে তবে কি তাদের হত্যা করতে হবে, এটা কি ইসলামে অনুমোদিত?
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
@নুরুল ইসলাম ভাই
রাসূলের অবমাননা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নবী (সা.)কে অবজ্ঞা করা, তুচ্ছ জ্ঞান করা, তার শানে বেয়াদবি করা অর্থাৎ তার প্রতি অবমাননাকর কোনো উক্তি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ প্রসঙ্গে প্রসিদ্ধ আলেম কাজী ইয়ায (রহ.) বলেন, ‘উম্মতের ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, রাসুল (সা.) কে গালি দেওয়া বা তাকে অসম্মান করার শাস্তি হচ্ছে হত্যা করা। এ ব্যাপারে সকলের ইজমা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি রাসুল (সা.) কে গালি দিবে বা তার অসম্মান করবে সে কাফের হয়ে যাবে এবং তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।’ (আস-সারিমুল মাসলূল :১/৯)
ইবনে খাতাল রাসূলের প্রতি কটূক্তি করেছিল, সেজন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে, হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মক্কা বিজয়ের দিন মক্কায় প্রবেশ করে মাত্র মাথায় যে হেলমেট পরা ছিল তা খুললেন, এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বললো, ইবনে খাতাল (বাঁচার জন্য) কাবার গিলাফ ধরে ঝুলে আছে। রাসুল (সা.) বললেন, (ঐ অবস্থায়ই) তাকে হত্যা করো।’ (বুখারী ১৮৪৬, মুসলিম ৩৩৭৪)
রাসুল (সা.) কে নিয়ে কটাক্ষ ও বিদ্রূপ করার মত জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর নিশ্চুপ থাকার কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে একজন ঈমানদার বান্দাহ হিসেবে প্রত্যেকরই যোগ্যতা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে হবে।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)কে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখে, তবে সে যেন তা নিজের হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। আর যদি সে সক্ষম না হয়, তাহলে সে যেন মুখ দ্বারা প্রতিহত করে। আর যদি সে এতেও সক্ষম না হয়, তাহলে সে যেন অন্তর দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। আর এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচয়।’ (মুসলিম: ১৮২)
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালোই বলেছেন।
আপনার আলোচনা উপভোগ্য।