নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে চার বিয়ে জায়েজ নাকি নাজায়েজ

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

চার বিবাহকে জাস্টিফাই করার জন্য, একজন ব্লগার, খন্ডিত ভাবে উদ্দেশ্যমূলক মানুসিকতায় সুরা নিসার ৩ নং আয়াত উত্থাপন করেছেন। সেখানে স্পস্ঠভাবে প্রথমে এতিম মেয়েদের কথা বলা হয়েছে কিন্তু তিনি প্রথম লাইনটা বাদ দিয়ে আয়াতটা পোস্ট করেছেন , যেটা একটা অসততা এবং দু:খজনক বিষয়। এটার প্রতিবাদ করায় তিনি আমার মন্তব্যটাকে ডিলিট করে দেন এবং আমার মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে অন্য একজন ব্লগারের মন্তব্যে করেন এবং তিনি গোজামিল দিয়ে একটা উত্তর দেন, যেটা ৪ বিবাহ পন্থিদের বিখ্যাত ফতুয়া। সেই গোজামিলের উত্তর পরে দেওয়া হবে।


এটা সত্য চার বিবাহকে জায়েজ করার জন্য বহু আলেম সুরা নিসার ৩ নং আয়াতকে নিয়ে বিভিন্ন খেলা করেছেন এবং অনেক অনুবাদে ব্রাকেটের (অন্য নারী) বা ইংরেজিতে (Others) শব্দটি বসিয়েছে , সেটা কোরানের অংশ নহে ,নিজের মতামত। তারা শুধু এতিম মেয়ে নহে বরং সব নারীকে বুঝিয়েছে বলে দাবি করে ওনারা, এই দাবি আমরা খন্ডন করবো এখনি। এবার দেখি (৪ --৩) আয়াতের অনুবাদ

আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা

এই আয়াতে শুধু এতিম মেয়েদের ৪টা বিবাহের কথা বলা হয়েছে এবং শেষের অংশে একটা গুরুত্বপূর্ণ আদেশ বা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,, আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা

এখন কেউ যদি দাবি করে আমি সবাইকে সমান ভাবে ট্রিট করতে পারবো, সবাইকে আলাদা ঘর বা বাড়ী, সমান অর্থ, সমান সুযোগ সুবিধা, সমান ভালোবাসা দিয়ে রাখতে পারবো কারন আমার এই এই সম্পদ ও প্রতিপত্তি আছে, আমি ভালো মানুষ ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাহোলে এই দাবি আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য হবে কি? না কারন আল্লাহ সুরা নিসার ১২৯ তম আয়াতে বলে দিয়েছেন,,

তোমরা কখনও নারীদেরকে সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।

সুতরাং সুরা নিসার আয়াত ১২৯ নাজিল হওয়ার সাথে সাথে ৪ বিবাহের নির্দেশ বাতিল হয়ে গেছে বা মানসুখ হয়ে গেছে কারন এটা আল্লাহ ই বলেছেন তোমরা সব নারীকে সমান রাখতে পারবা না ।

এবার দেখি কাটমোল্লাদের ব্যাখা যে কোন নারীকে ৪ বিয়ের পক্ষে, যেটা ঐ ব্লগার দিয়েছে কাটমোল্লা ডকট্রিন থেকে,,,

এক শ্রেণীর লোভী মানুষ এতিম কন্যাদেরকে লালন পালনের নামে নিজেদের ঘরে নিয়ে
আসতো এবং কিছুকাল পর ওইসব কন্যাদেরকে বিয়ে করে তাদের সম্পত্তি দখল করতো।
তাদেরকে বিয়ের মোহরানাও প্রচলিত রীতির তুলনায় অত্যন্ত কম দেয়া হতো। এ অবস্থায়
এতিম কন্যাদের ওপর যে কোন অবিচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এই আয়াতসহ সূরা নিসার
১২৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। বহু পুরুষ তাদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় অথবা চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে
এতিম কন্যাদেরকে বিয়ে করতো। আল্লাহ তাদের মর্যাদা রক্ষার জন্য এ সব পুরুষদের উদ্দেশ্যে
বলেছেন, যদি নতুন বিয়ের ইচ্ছে থাকে তাহলে কেন শুধু এতিম কন্যাদের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছ?
অন্যান্য মেয়েদেরকেও বিয়ের প্রস্তাব দাও অথবা অন্তত তোমাদের অধিকারভুক্ত
দাসীদেরকেই বিয়ে কর।


একই সাথে চার জন স্ত্রী রাখা ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত। কিন্তু কোন কোন পুরুষ যদি এ আইনের
অপব্যবহার করে,তাহলে এ আইনটি ভালো নয় এমন বলা যাবে না। বরং এটা সমাজের বিশেষ
প্রয়োজন বা চাহিদা মেটানোর প্রতি ইসলাম ধর্মের উদার নীতির প্রকাশ।


এখানে দেখা যাচ্ছে এতিম মেয়েদের ঠকানোর জন্য কিছু মানুষ ( তারা অবশ্যই মুসলমান কারন এই নির্দেশ তো শুধু মুসলমানদের উদ্দেশ্যে) এই কাজ করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে কারন বাক্যের ভাব তাই বলে। তাহোলে সেই সাহাবিদের নাম কি? এই কাজ সাহাবিদের পক্ষে করা কি সম্ভব নাকি চার বিবাহ জায়েজ করার আষাঢ়ে গল্প। এটা যে ভুয়া কাহিণী সেটা অতি সহজে বোঝা যায়।
সুরা নিসা কোরানের ৪ নং সুরা হোলেও এটা নাজিলের ক্রম অনুযায়ি ৯২ তম সুরা এবং মদিনাতে হিজরত করার পর নাজিলকৃত ৬ নং সুরা , তার মানে মদিনাতে হিজরত করার কিছু দিন পর এই সুরা নাজিল হয় , যখন মক্কাতে স্বয়সম্পত্তি রেখে মদিনাতে হিজরত করা মুসলমানের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০০/৪০০, এরা সবাই মদিনাতে রিফুজি, থাকা খাওয়ার কোন গ্যারেন্টেড নিশ্চয়তা নেই এবং সেখানে কেউ মক্কা থেকে তাদের সম্পত্তি নিয়ে আসেনি বা আসতে পারেনি --- ঠিক এমন একটা সময়ে , এই সুরা নাজিল হয় । এই অবস্থায় সাহাবাদের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, এতিম মেয়েদের সম্পত্তি দখল নিয়ে এই ধরনের খেলায় মেতে উঠবে এবং তার চেয়ে বড় কথা মক্কা থেকে হিজরত কোন এতিম সন্তান করেছিল কি ? যেই সাহাবাদের নিজের পায়ের নীচে মাটি নেই তারা এতিম বিবাহের নামে সম্পত্তি দখল করবে অতচ তাদের সব সম্পত্তি মক্কায়। এই ধরনে অসৎ কাজ কি সাহাবের পক্ষে করা সম্ভব ?
সাহাবারা এই ধরনের মানুষ ছিল, এটা চিন্তা করা কি গ্রহন যোগ্য ?

মুল সত্য হোল যুদ্ধ বিগ্রহে অনেক সাহাবা মারা গেলে তাদের সন্তানরা এতিম হয়ে যায়, ঐ এতিম মেয়েদের সেলটার দেওয়ার জন্য মেক্সিমাম ৪ টা এতিম মেয়েকে বিবাহ করার উপদেশ দেওয়া হয়।

এবার যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম শুধু এতিম নহে অন্য মেয়েদেরকেও এই আয়াতে বলা হয়েছে, তাহোল ৪ টা বিবাহ করা যাবে কি? উত্তর,,, না, কারন
সুরা নিসার ১২৯ তম আয়াত নাজিল হওয়ার সাথে সাথে চার বিবাহের নির্দেশ বাতিল হয়ে যায়, যেটা অলরেডি উপরে ব্যাখা করা হয়েছে ।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সুন্দর যুক্তিখন্ডন ও উপস্থাপনা !

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: খুব সুন্দর কইরা লেখসেন। সহমত জানাইয়া গেলাম। পোস্টে পেলাচ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথায় অকাট্য যুক্তি আছে। যে মানবে মানল- না মানলে না মানল, এইটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার!

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকবেন

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৩

লরুজন বলেছেন: আফনে অনেক বড় দামি পোস্ট দিছন
আফনার এমন পোস্ট নারী জাতি নিয়া খারাপ কতাবারতা কলঙ্ক দুর করব না
কিন্তুক নারী জাতি নিয়া যারা খারাপ কতাবারতা কইছে তারার মুখ চপেটাঘাত দিব

তার মাতাত রিক্সার সিট আছে
কোরআনের অপব্যাখ্যার জন্য কাল কিয়ামতের দিন তার চামড়া
টাইন্না ছিড়া লবন দিব
আর জ্বলন্ত আগুনের লাভাতে তাকে ডুবায়া ডুবায়া গোসল দিব

নারী জাতির যারা অবমাননা করছে
তারা এ সব কতাবারতা পাবলিকের সামনে কইত পারব
অসভ্য ছোটলোকের কতাবারতা
এ সব কতাবারতা বর্বর ইতর কতাবারতা

নারী জাতি কি আর ফুরুষ জাতি কি
জাতির অবমাননা কইরা কতাবারতা
এ সব লম্পট বদমাইশর কতাবারতা
নারী নিয়া এত খারাপ কতাবারতা যারা কইছে তারারে বয়কট করত হব

এমন কতাবারতা যারা কইছে তারারে সমাজে রাখা যাব না
তারা নারীদের প্রতি কুদৃষ্টি প্রদানকারী লম্পট ফুরুস

এরা দুশ্চরিত্র
এরা চরিত্রহীন
এরা সমাজ বিনষ্টকারী
এরা বদমাইশ
এরা লম্পট
এরা ধর্ষক

সাপধান নারী নিয়া এমন কতাবারতা বলা যাব না
নারী জাত মায়ের জাত

মা হাওয়া না থাকলে মানব জনম হত না
মা ফাতেমা মা আয়েশা মা খাদিজা মা আমেনা

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি , ধন্যবাদ

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪২

লরুজন বলেছেন: সাপধান নারী জাতি নিয়া খারাপ কতাবারতা কইবা না, নারী জাত মায়ের জাত

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগে এসে লোকজন কোরআন হাদীস থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন: এটা খুবই দু:খজনক

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক মূল্যবান পোস্ট---অনেক ধোয়াসা ধারণা দূর হয়ে গেল --- আমি কি এই পোস্টটি কপি করে নীচে আপনার নাম দিয়ে শেয়ার করতে পারি, কারণ এটা জানা সকলের দরকার------- আমার ফেবু ওয়াল Laila Arjuman , শিউলী ফুলের ছবি দেয়া আছে --। আপনার মতামত আশা করছি -------
লেখাটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৩

এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক অনেক ধনবাদ আপনাকে

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন আমি কোরআনকে ব্যাখ্যা করেছি বিশদ ভাবে তা বিস্তীর্ণ ও বিস্তৃত।
কোরআন সাতটি ভাষায় সংকলন হয়েছে, কোরআনের ব্যাকরন এত কঠিন যে মানুষ তা না বুঝে অপব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হয়।
এবং নানা দেশে সাতটি ভাষার ব্যাকরণে যার যার দেশে সুবিধামতো ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামকে সংকটাপন্ন করে ফেলেছে।
(হাদিস মানুষের জন্য হাদিসের জন্য মানুষ নয়)

কোরআনে সুদখোর ঘুষখোর ধর্ষণ খুন ও অনেক
অন্যায়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাকি মুসলিম দেশে
মানা হয়? শুধুমাত্র বিবাহের ক্ষেত্রে সুবিধা বেছে নিয়ে
পুরুষ জাতি স্বার্থ হাসিল করে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০২

এ আর ১৫ বলেছেন: কাইন্ডলিং নীচের পেজটা একটু ঘুরে আসেন , ধন্যবাদ

Please click the link please

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন দেশের আইন ও সংবিধানের নিয়ম মেনে হতে হবে: আমাদের আইন এক বিয়ের পক্ষে; সুতরাং, এটা আইন, ইসলাম এখন ৪ বিয়ের কথা বলে সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যার সৃষ্ী করছে; আইন ভেংগে ইসলাম মানা যাবে না; বাংলাদেশে, ইসলামের এসব বিষয় রদবদলের দরকার।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলামে ও কিন্তু একটা বেশি অনুমুতি দেয় না , তিউনিশিয়া এবং তুরস্কে একের বেশি বিবাহ নিশিদ্ধ করেছে অনেক আগে । ধন্যবাদ

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাহাবীরা একাধিক বিয়ে করেছিলেন কোন বিধানে একটু বলেন দেখি।

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

কানিজ রিনা বলেছেন: এইযে সাড়ে চুয়াত্তর, অন্তত চারজন খলিফা বা সাহাবীর জীবন বৃত্তান্ত পড়ে দেখেন সহি হাদিস থেকে।

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কানিজ রিনা - সহি হাদিস রসূলের (সাঃ) জীবনের ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়। হাদিস থেকে সাহাবীদের জীবন বৃত্তান্ত জানার কোনও সুযোগ নাই। হাদিস থেকে রসূলের ( সাঃ) জীবন সম্পর্কে জানা যায়।

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খুবই পরিতাপের বিষয় এই যে,ইসালাম ধর্মে একাধিক বিয়ে
(চার এর অধিক নয়) এমন এক সুন্নাহ যা মুসলমানরাও ঘৃনা করে।
তবে ধর্মের আমসরা বিষয়ে যখন কথা বলি তখন আমাদের প্রত্যেকের
অন্তর ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ, আমরা ‘কী’ বলছি ‘কেন’ বলছি।
যদি আল্লাহর কোনো আইনের প্রতি আমার অবচেতন মনেও সামান্যতম কোনো
অপছন্দ কিংবা বিদ্বেষ থাকে তাহলে কিন্তু বিষয়টা গিয়ে সরাসরি ঈমান থাকা না
থাকার প্রশ্ন জন্ম দিবে।
সা‘ঈদ বিন জুবাইর রহঃ বলেন, ইবনে আব্বাস (রা.) আমাকে জিজ্ঞেস করেন,
‘তুমি কি বিয়ে করেছো? আমি বলি ‘না’। তখন তিনি বলেন, বিয়ে করে ফেলো,
এই উম্মতের সর্বোত্তম লোকদের অধিক সংখ্যক স্ত্রী ছিলো।
(সহীহ আল বুখারী, হাদিস নং ৫০৬৯)
শায়খুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব রহঃ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে
যাওয়ার প্রধানতম যে দশটি কারণ উল্লেখ করেছেন তার চার নাম্বারে তিনি বলেছেন,
ইসলামের কোনো বিধি বিধানের প্রতি যদি কারও সামান্যতম ঘৃণা বিদ্বেষ থাকে তাহলে
সে ব্যক্তি ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়; এমনকি সে নিজে যদি তা পালন করে তবুও।

সুতরাং আমার উপর বিষোদগার করলেও যা সত্য জানি তা বলতে দ্বিধা করিনা।

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৬

কানিজ রিনা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর তাহলে আপনি কি করে জানলেন সাহাবীরা অনেক অনেক বিয়ে-শাদী করেছেন।
এখন আমি বলছি হিন্দু ধর্মের কথা রাম ও কৃষ্ণর হাজার হাজার স্ত্রী ছিল তবুও তারা পূজনীয় কেন?
ইসলামের আগে আরবে পৈত্তলিকরা অগণিত স্ত্রী দাসী রাখত, সে সময় কোন লিখিত আইন ছিল না পুরোহিতরা যা বলতো তাই করা হতো। এবং ইসলাম আসার পর তা আস্তে আস্তে আল্লাহ কুরআনের মাধ্যমে পরিবর্তন করেছেন।
সাহাবারা কেন একাধিক বিবাহ করেছিলেন লেখক এর নিচের দুই প্যারা পড়ুন।

১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ কানিজ রিনা এবং অন্যান্য;
সূরা নিসার তিন নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ذَلِكَ أَدْنَى أَلَّا تَعُولُوا (3)

"যদি তোমরা এতিম কন্যাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না বলে আশঙ্কা কর,তাহলে তাদেরকে বিয়ে কর না এবং পবিত্র ও পছন্দনীয় নারীদের মধ্য থেকে দু'জন, তিনজন বা চারজনকে বিয়ে কর। কিন্তু যদি আশঙ্কা কর ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে একটি মাত্র বিয়ে করবে,অথবা তাও যদি না পার, তবে তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসীদেরকে বিয়ে করবে, এতে অবিচার না হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।" (৪:৩)
সুরা নিসা আয়াত ৪- parstoday.com

“And if you fear that you shall not be able to deal justly with the orphan girls then marry women of your choice, two or three, or four; but if you fear that you shall not be able to deal justly, then only one or that your right hands possess. That is nearer to prevent you from doing injustice”
[al-Nisa’ 4:3]
islamqa- the ruling on plural marriage

উপরের প্রথম লিংক বাংলায়। দেখে নিতে পারেন বিস্তারিত। দ্বিতীয়টি একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ইসলামি ফতয়ার সাইট ইংরেজি ভাষায় 'islamqa'। এটি আন্তর্জাতিকভাবে বহুল পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত। পৃথিবীর প্রখ্যাত আলেমরা এখানে ফতওয়া দিয়ে থাকেন। যাদের কাঠ মোল্লা বলছেন তারা এখানে লেখেন না।

কাজেই এই আয়াতে এতিম মেয়েদের বিয়ে করার কথা বলা হয়নি। কোরআনের এই আয়াতই একাধিক বিয়ের পক্ষে আল্লাহর বাণী। কোরানের বানীর উপরে কারও কথা বলা উচিত না।

সূরা আন নিসার ১২৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-

وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا أَنْ تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلَا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ وَإِنْ تُصْلِحُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا (129)

"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না। অতএব,সাধ্যমতো চেষ্টা করো যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মতো। জেনে রেখো, যদি সংশোধনের পথ এবং খোদাভীরুতার পথ অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, করুণাময়।"(৪:১২৯)

এই আয়াতের দ্বিতীয় বাক্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে একাধিক বিবাহ অনুমোদিত। কারণ এখানে বলা হয়েছে যে ' অতএব, সাধ্যমত চেষ্টা কর যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মত।'

একাধিক বিয়ে চালু থাকলেই এই ঝুঁকে পড়া বা না পড়ার প্রশ্ন আসছে। একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেলে এই ঝুঁকে পড়া বা আরেকজনকে দায়িত্বহীনের মত ফেলে রাখার প্রশ্ন আসে না। তাই এই আয়াত দিয়ে একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেছে এই ধারণা ভুল।
"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না"। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় উপরে উল্লেখিত 'islamqa' লিঙ্কে বলা হয়েছে;
With regard to justice or fairness in terms of love, he is not held accountable for that, and that is not required of him because he has no control over that. This is what is meant by the verse,

“You will never be able to do perfect justice between wives even if it is your ardent desire”

[al-Nisa’ 4:129 – interpretation of the meaning].

এর সারাংশ হোল স্ত্রীকে ভালবাসার ক্ষেত্রে সমতা পুরুষরা কখনও রাখতে পারবে না কারণ সেটার উপর তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই তাকে এর জন্য দোষারোপ করা হবে না। সমতার ব্যাপারটা খরচ ও অন্যান্য বৈষয়িক ব্যাপারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার দেওয়া সুরা নিসার ৩ নাম্বার আয়াতের অনুবাদ ভুল এবং এতিম মেয়েদের বিবাহের কথা বলা হয়েছে।

DR. GHALIAnd, in case you fear that you will not act equitably towards the orphans, then marry such women as is good to you, two, three, four, (Literally: in twos and threes and fours) then, in case you fear that you will not do justice, then one (only), or what your right hands possess. That (way) is likelier you will not be in want (Or: you will have too many dependents).

PICKTHALLAnd if ye fear that ye will not deal fairly by the orphans, marry of the women, who seem good to you, two or three or four; and if ye fear that ye cannot do justice (to so many) then one (only) or (the captives) that your right hands possess. Thus it is more likely that ye will not do injustice.

SAHIH INTERNATIONALAnd if you fear that you will not deal justly with the orphan girls, then marry those that please you of [other] women, two or three or four. But if you fear that you will not be just, then [marry only] one or those your right hand possesses. That is more suitable that you may not incline [to injustice].

ব্রাকেটের ভিতররে শব্দ অনুবাদকের নিজের মতামত, ওটা কোরান্রর অংশ নহে।
যদি মনে করি আপনার দাবি এতিম মেয়ে নয় অন্য মেয়ে, তাহোলে ও একটার বেশি বিয়ে করতে পারেন না।
কারন ৪ --- ৩ আয়াতের শেষ অংশে বলা হয়েছে যদি আংশকা কর নারীদের সাথে জাস্টিফাই করতে পারবে না, তাহোলে একটা বিয়ে।
এখন প্রশ্ন ন্যায় সংগত আচরন বা জাস্টিফাই করতে পারবে কি পারবে না?
----- পারবে না কারন আয়াত ১২৯ শে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে, তাই একটা বিয়ে।
চার বিয়ে ভেলিড ছিল সুরা নিসার আয়াত ১২৯ নাজিল হওয়ার আগে পর্যন্ত, সম্ভবত এই আয়াত অনেক পরে নাজিল হয়। যারা অলরেডি একাধিক বিয়ে করে ফেলেছে তাদের জন্য দিক নির্দেশনা ঐ আয়াতের শেষ অংশে। ধন্যবাদ

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
@ সাড়ে চুয়াত্তর এরা ধর্মের নিয়মে আসবে না । কারণ এরা ধর্মকে
ব্যবহার করে নিজেদের সার্থে। এরা ফতোয়া দিয়ে দিয়েছেনঃ ইসলাম
ধর্মের একাধিক বিয়ে নাকি নাযায়েজ। নাউজুবিল্লাহ।
এরা ফতোয়া
দেবার কে?

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার অবস্থা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৫

সত্যপীরবাবা বলেছেন: চার বিয়ের পক্ষে যারা ওকালতি করেন (জাকির নায়েক থেকে শুরু করে ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু এবং সাড়ে চুয়াত্তর সহ) তারা অবিবাহিত নারীদের পরিনতি বিষয়ে সব সময়ই একটা সিদ্ধান্তেই উপনিত হন --- "বিয়ে না করলে নারীরা পতিতা হয়ে যাবে"। কি চমৎকার সিদ্ধান্ত!!!!

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরানের ভিতর শত শত স্ববিরোধী কথা বার্তা ,এটা নিয়ে আলোচনা করা মানে সময় নষ্ট।

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: একাধিক বিয়ে করা অনাধুনিক কিন্ত অগণিত নারীর সাথে গোপনে লুচ্চামি করা খুব ভালো -দেশ বিদেশের সব বড় ব্যবসায়ী, নেতা, অভিনেতা,গায়ক,কবি-সাহিত্যিকের এই নীতি পছন্দ !!!!!
কারণ হুমায়নের বহুব্রীহি সেই সংলাপ- ভিক্ষা করা লজ্জার কারণ তাহলে তো সবাই দেখবো, কিন্ত চুরি করলে তো দেখবে না!!!!
হুমায়ন নিজেই বহুবিবাহ করেনি ,বিপরীতটাই করেছে !!!!

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনারা সবাই এনার পুরো প্রোফাইল ঘেটে দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন এনার উদ্দেশ্য কী? এনার কাজই হচ্ছে ইসলামকে ছোট করার জন্য নানা ভাবে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেয়া।

অনেকেই এনাকে বাহবা দিয়ে যাচ্ছেন; কিন্তু আপনারা কি কোরআন পড়েছে বা পড়েন? কোরআনের ব্যাখ্যা পড়েছেন? আরবী গ্রামার জানেন? আরবী স্থানীয় ভাষা সম্পর্কে আপনার সম্যক ধারণা আছে? যদি না থাকে তাহলে এনাকে বাহবা দিচ্ছেন কেন? এনার প্রোফাইলে খুবই সূক্ষ্ম ও চাতুরতার সংগে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে লেখা ও বিভিন্ন অপব্যাখ্যা দিয়ে ভরা। সুতরাং সাধু সাবধান এনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন ---- পড়ুন এনার অভিমত

Please click the link please

২১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি কোরআনের আইন পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন? সাহাবারা কি সব এতিম মেয়ে বিয়ে করেছে? না জেনে উল্টাপাল্টা বকবেন না।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৬

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার জন্য একটা উপহার
Please click the link please

২২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আয়াতের ইংরেজি তরজমা আমি করিনি। এটা islamqa সাইটের আলেমরা করেছেন। ওনারা বিশ্বের প্রখ্যাত আলেম হিসাবে স্বীকৃত।

আপনার প্রথম ইংরেজি উদ্ধৃতিতে বলা আছে ..... then marry such women as is good to you, ...... এটার বাংলা করলে হয় 'এমন মহিলাদের বিয়ে কর যাদের তোমার ভালো লাগে'। দরকার হলে ব্লগে যারা ইংরেজি ভালো জানেন তাদের জিজ্ঞেস করেন এই লাইনের অর্থ কি। খেয়াল করেন এতিমদের ক্ষেত্রে women বলা হয়নি বলা হয়েছে এতিম মেয়ে। আর অন্য মহিলাদের ক্ষেত্রে women ব্যবহার করা হয়েছে।

আপনার দ্বিতীয় ইংরেজি অনুবাদ বলা হয়েছে will not deal fairly by the orphans, marry of the women, who seem good to you...... । এখানেও এতিমদের ক্ষেত্রে orphans শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে আর অন্য মহিলাদের ক্ষেত্রে women বলা হয়েছে। marry of the women, who seem good to you এর বাংলা করলে হয় ' তোমার পছন্দের মহিলাদের মধ্যে থেকে বিয়ে কর'। কাজেই এতিমদের বিয়ে করার কথা বলা হয়নি।

তৃতীয় অনুবাদ আছে ....... then marry those that please you of women...... । এই অংশের বাংলা করলে হয় ' মহিলাদের মধ্য থেকে তাদেরকে বিয়ে কর যাদের তোমার পছন্দ হয়' । এই অনুবাদের এতিমের জন্য orphan girl শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে আর অন্য মহিলাদের জন্য women ব্যবহার করা হয়েছে। কাজেই আপনার কথা ভুল।

সূরা আন নিসার ১২৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-

وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا أَنْ تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلَا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ وَإِنْ تُصْلِحُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا (129)

"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না। অতএব,সাধ্যমতো চেষ্টা করো যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মতো। জেনে রেখো, যদি সংশোধনের পথ এবং খোদাভীরুতার পথ অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, করুণাময়।"(৪:১২৯)

এই আয়াতের দ্বিতীয় বাক্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে একাধিক বিবাহ অনুমোদিত। কারণ এখানে বলা হয়েছে যে ' অতএব, সাধ্যমত চেষ্টা কর যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মত।'

একাধিক বিয়ে চালু থাকলেই এই ঝুঁকে পড়া বা না পড়ার প্রশ্ন আসছে। একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেলে এই ঝুঁকে পড়া বা আরেকজনকে দায়িত্বহীনের মত ফেলে রাখার প্রশ্ন আসে না। তাই এই আয়াত দিয়ে একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেছে এই ধারণা ভুল।
আপনি আয়াতের আংশিক বলেছেন। পুরোটা পড়লে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায়। আই আয়াতের সারমর্ম হোল তোমরা টাকা পয়সা ও অন্যান্য বৈষয়িক ব্যাপারে সমতা রাখতে পারলেও ভালবাসার ক্ষেত্রে স্ত্রিদের মধ্যে সমতা রাখতে পারবে না। কারণ এটা তোমাদের সাধ্যের বাইরে। যেহেতু সাধ্যের বাইরে তাই এটার জন্য তোমাদের দোষ ধরা হবে না। আমাদের রসূল (সাঃ) হজরত আয়েশা (রাঃ) কে বেশী ভালবাসতেন বলে হাদিসে এসেছে। কাজেই এই আয়াত দিয়ে একাধিক বিয়ে বন্ধ হয়ে যায় নি।

আপনার নিক 'এ আর ১৫' মানে সম্ভবত 'আশেকে রসূল ১৫' - অর্থাৎ আপনি দেওয়ানবাগের অনুসারী। এই ব্যক্তি পথভ্রষ্ট। কাজেই যদি ওনার অনুসরণ করে থাকেন তবে আপনি বিপথে আছেন। আপনাকে সঠিক পথে আসার আহবান জানাচ্ছি।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি তো দেখছি নুর সাহেবের মত আয়াতের খন্ডিত অংশ নিয়ে মেতে আছেন , উনি ৪--৩ এর প্রথম লাইনটা চেপে গেছেন এবং আপনি ঐ আয়াতে শেষের দুটি লাইনকে ইগনোর করছেন --
আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
আপনি কি জানেন না উপরে লাইন দুটি একাধিক বিবাহের অন্যতম প্রধান শর্ত ? এখানে ন্যায় সঙ্গত আচরনে, পক্ষপাত হীন ব্যবহার বহু বিবাহের অন্যতম প্রধান শর্ত , সেটা পালন করতে না পারলে একটার বেশি বিবাহ নহে ।
এই আয়াত নাজিল হওয়ার পরে , অনেকে মনে করছে ন্যায় সঙ্গত ভাবে সবাইকে ট্রিট করতে পারবে, তাই বহু বিবাহ করেছে ।

জী সেই বহু বিবাহিত ব্যক্তি যাদের একাধিক স্ত্রী আছে তাদের উদ্দেশ্যে আয়াত ৪--১২৯ অনেক পরে নাজিল হয়েছে --

তোমরা কখনও নারীদেরকে সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।


এই সমস্ত ব্যক্তি ৪--৩ এর পক্ষপাত হীন ন্যায় সঙ্গত আচরনের শর্ত পালন করতে পারেনি এবং এইটা আল্লাহর স্ট্যাটমেন্ট তোমরা কোন দিন সেটা পারবা না । এই কারনে আল্লাহ তাদের ৩ জনকে তালাক দিয়ে দিতে বোলবেন কি ? না তিনি বলেন নি , তিনি পরের লাইনে দিক নির্দেশনা তাদের দিয়েছেন কিভাবে ব্যালেন্স করে চলতে হবে ।

৪--১২৯ আয়াত থেকে একটা মেসেজ পেলাম যে কোন পুরুষের পক্ষে নারীদের সাথে ন্যায় সঙ্গতভাবে ট্রিট করা সম্ভব নহে ।

এবং ৪--৩ এর বহু বিবাহ করার অন্যতম প্রধান শর্ত অবশ্যই পক্ষপাত হীন হতে হবে এবং ন্যায় সঙ্গত আচরন করতে হবে ----এই শর্ত পালন করা কোন পুরুষের পক্ষে সম্ভব নহে যেটা আল্লাহ ৪--১২৯ তে কনফার্ম করেছেন ।

সুতরাং ৪--১২৯ নাজিল হওয়ার পর বহু বিবাহ বাতিল ।

এবার আসি এতিম মেয়ে নাকি সাধারণ নারী ---- আপনার দাবি অনুযায়ি সাধারণ নারী হোলেও ১টার বেশি বিবাহ সম্ভব নহে যদি আয়াত ৪--৩ এবং ৪--১২৯ কে এক সাথে বিশ্লেষণ করা হয় ।

এটা আপনার দেওয়া আয়াতের অনুবাদ থেকে ---- যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য হতে নিজেদের পছন্দমত দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার জনকে বিয়ে কর,


এখানে নারী বলতে কি এতিম নারী নাকি সাধারণ নারীদের বুঝিয়েছে ? আপনার যদি ভাষা বোঝাজনিত সমস্যা থাকে তাহোলে সেটার দায় কি আমার ?
যে সব ভীক্ষুক ক্ষুদার্থ, সেই সব মানুষ থেকে চার জন মানুষকে খাবার দাও

এবার বলুন তো এই বাক্য দিয়ে চার জন মানুষ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? তারা কি সাধারন মানুষ ? নাকি অক্ষুদার্থ ভীক্ষুক ? নাকি ক্ষুদার্থ ভীক্ষুক ? আপনার কথা অনুযায়ি সাধারন মানুষকে বোঝানো হয়েছে ?
ধন্য আপনার বোধ শক্তি ।
এখন অলটিমেটলি এটা যদি আপনার দাবি অনুযায়ি সাধারন নারী হয় , তাহোলে ও তো ৪ বিবাহ করতে পারেন না ।

পরিশেষে বোলতে চাই আমি যদি আশেকি রসুল ১৫ মাত্রার হই তাহোলে আপনার আশেকি রসুল মাত্রা আমার থেকে ৫ গুণ বেশি মানে ৭৫ থেকে মাত্র .৫ কম কারন আপনি ৪--৩ এর শেষের দুই লাইনে যে বহু বিবাহের জন্য ন্যায় সঙ্গত আচরনের যে শর্ত আছে সেটারে বার বার ওভার লুক করছেন । ধন্যবাদ

২৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'ইমাম বুখারি রহ. দ্বারা সংকলিত বুখারী শরীফে হাদিসে সুরা নিসা এর ৩ নং আয়াতটিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উরওয়াহ (রহ.) আমাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি ‘আয়িশাহ -কে আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ ‘‘যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য হতে নিজেদের পছন্দমত দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার জনকে বিয়ে কর, কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, তোমরা সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে কিংবা তোমাদের অধীনস্থ দাসীকে; এটাই হবে অবিচার না করার কাছাকাছি।’’(সূরাহঃ আন-নিসাঃ ৩) হযরত আয়িশাহ বলেন, হে ভাগ্নে! এক ইয়াতীম বালিকা এমন একজন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে ছিল, যে তার সম্পদ ও রূপের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। সে তাকে যথোচিতের চেয়ে কম মাহর দিয়ে বিয়েকরার ইচ্ছা করে। তখন লোকদেরকে নিষেধ করা হলো ঐসব ইয়াতীমদের বিয়ে করার ব্যাপারে। তবে যদি তারা সুবিচার করে ও পূর্ণ মাহর আদায় করে (তাহলে বিয়ে করতে পারবে)। (অন্যথায়) তাদের বাদ দিয়ে অন্য নারীদের বিয়ে করার আদেশ করা হলো।

— ইমাম বুখারী কর্তৃক সংগৃহীত, পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন/গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)/অধ্যায়ঃ ৬৭/বিয়ে (كتاب النكاح), হাদিস নং ৫০৬৪'


কাজেই সহি হাদিস দ্বারাও বহু এই আয়াতের ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে যেখানে বহু বিবাহ অনুমোদনের কথা বলা হয়েছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার জন্য একটা উপহার
Please click the link please

২৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা খুবই দু:খজনক

কোরআন হাদীস আকড়ে থাকলে আজ মানুষের এত কঠিন সময় আসতো না।

২৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সবাই ভুল বলে আর আপনি ঠিক ?
একাধিক বিয়েকে নাজায়েজ ফতোয়া দেন !!
আপনি সঠিক কারণ আপনি ছাগলের এক নম্বর বাচ্চ!
যা জানেন না, যা বোঝেন না, তা নিয়ে তর্ক করা বোকামী।
ভালো কোন মোহাদ্দেছের কাছে দীক্ষা নিন। মানুষকে
অহেতুক গোমরাহ করবেন না। আমার লেখা আপনার মগজে
ঢুকবেনা। আমার লেখার সারমর্ম ছিলো ইসলামে শর্তসাপেক্ষে
সর্বাধিক চার বিয়ের অনুমতি আছে তবে এক ন্ত্রী উত্তম। কোন
কোন কারেন একাধিক বিয়ে যায়েজ তা আমি বর্ণনা করেছি।
আর আপনি ওই বিয়েকে নাজােয়েজ বললেন!! ওহি পেয়েছেন ?
বিয়ের অনু

২৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:


আপনার কোনো একটি মেইল আইডি পেলে বহুবিবাহ সম্পর্কে কিছু লেখা পাঠাতে চেষ্টা করতাম- যাতে সময় সুযোগ হলে এ বিষয়ে আপনি পোস্ট দিতে পারেন।

২৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! ২৬ নং মন্তব্যটি ডিলিট করে দিলে খুশি হব।

২৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: পপকর্ন শেষ হইয়া গেলো, কমেন্ট পড়া শেষ হইলো না। একটা কুস্তাকুস্তির আয়োজন করি বরং - পক্ষ-বিপক্ষ। চাঁটগার বলী খেলার মতন!

২৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অর্থ আর খ্যাতি একজন প্রকৃত মুমিন মুসলিমকে কখনো
তার আদর্শ এবং বিশ্বাস থেকে সরিয়ে রাখতে পারেনা।

৩০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: Click This Link

৩১| ১২ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

এভো বলেছেন: সুরা নিসা আয়াত ২০
(৪--২০)
যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর ধন-সম্পদ প্রদান করে থাক, তবে তা থেকে কিছুই ফেরত গ্রহণ করো না। তোমরা কি তা অন্যায়ভাবে ও প্রকাশ্য গোনাহর মাধ্যমে গ্রহণ করবে

--- এই আয়াতে এক স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহন করার কথা বলা হয়েছে , এক সাথে ২ বা তথাধিক স্ত্রী রাখার কথা বলা হয় নি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.