নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বিগত ১৪০০ বৎসরে বেশ কয়েকবার হ্জ্জ বন্দ হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন কারনে । ইতিহাস ঘাটলে আরো দেখা যায়,মক্কায় যখন হজ্জ হতো, তখন মদিনা বা আসে পাশে পশু জবাই করে কোরবানি হোত না ।
আমাদের উপমহাদেশে সৌদি আরবে হজ্জ পালনের পর, কোরবানি ঈদের নামাজ পড়া হয় এবং এরপর পশু কোরবানি করা হয়, এটা শরিয়ত সংগত বলে বিবেচিত এবং সেই কারনে পালন করা হয়।
কোরবানি ঈদ পালন এবং পশু কোরবানি করা হয় , হাজীদের হজ্জ সম্পন্ন করার পর ।
এখন এটা একটা বড় প্রশ্ন, যদি এ বৎসর হজ্জ পালন না হয় , তাহোলে কোরবানি ঈদ পালন করা যাবে কি ? যেখানে হজ্জই হচ্ছে না , সেখানে কোরবানি ঈদ পালন করা যাবে কি ?
হজ্জ আমাদের জন্য ফরজ , কিন্তু কোরবানি ঈদ ওয়াজিব । যেখানে ফরজ পালন হচ্ছে না সেখানে ওয়াজিব পালন করা যাবে কি ?
০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
এ আর ১৫ বলেছেন: যেখানে ফরজ হজ্জটাই হচ্ছে না , সেখানে ওয়াজিব পালন করা যাবে কি ?
২| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: হজ ফরজ এইটা আপনি কই পাইলেন ???
০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২০
এ আর ১৫ বলেছেন: সুরা হজ্জ আয়াত ৩৪ ( ২২--৩৪)
আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও;
To every people did We appoint rites (of sacrifice), that they might celebrate the name of Allah over the sustenance He gave them from animals (fit for food). But your Allah is One Allah. submit then your wills to Him (in Islam): and give thou the good news to those who humble themselves
ইসলামের পাচঁ স্তম্ভ যেগুলা ফরজ
ঈমাণ , নামাজ , রোজা, হজ্জ এবং জাকাত
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মে কোন লজিক্যাল ভাবনা নেই, ইহা আগের দিনের একটা ট্রেডিশন।
০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
এ আর ১৫ বলেছেন: তাই নাকি ?
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
ডার্ক ম্যান বলেছেন: হজ ওয়াজিব , টাকা থাকলে ফরজ ।
অনেক মানুষ কোরবানি দেয় কিন্তু হজে যেতে পারে না
০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
এ আর ১৫ বলেছেন: হজ্জের নিয়মকানুন
এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ্
হজ্জের ফরজ ৩টি
১। ইহরাম বাধা ২। উ’কুফে আ’রাফা (আরাফাতের ময়দানে অবস্থান) ৩। তাওয়াফুয্ যিয়ারাত
হজ্জের ওয়াজিব ৬টি
(১) ‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড় দ্বয়ের মাঝে ৭ বার সায়ী করা।
(২) অকুফে মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ্জ) অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সুর্যদয় পর্যন্ত একমুহুর্তের জন্য
হলেও অবস্থান করা।
(৩) মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিপে করা।
(৪) ‘হজ্জে তামাত্তু’ ও ‘কি্বরান’ কারীগণ ‘হজ্জ’ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
(৫) এহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল মুন্ডানো বা ছাটা।
(৬) মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালীন তাওয়াফ করা।
এছাড়া আর যে সমস্ত আমল রয়েছে সব সুন্নাত অথবা মুস্তাহাব।
ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব
দুইটি ফরজ: (১) ইহরাম পরিধান করা (২) তাওয়াফ
দুইটি ওয়াজিব: (১) সাফা ও মারওয়া মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সায়ী করা (২) মাথার চুল
মুন্ডানো বা ছাটা।
তালবিয়া
”লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈক, লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারীকালাক।”
অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার।
আপনার কোন অংশীদার নেই।
ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ
(১) সেলাইযুক্ত যে কোন কাপড় বা জুতা ব্যবহার, এক্ষেত্রে স্পঞ্জ সেন্ডেলের ব্যবহার করা।
(২) মস্তক ও মুখমন্ডল (ইহরামের কাপড়সহ যে কোন কাপড় দ্বারা) ঢাকা
Please click here
০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
এ আর ১৫ বলেছেন: এখানে হজ্জ ফরজ না ওয়াজিব সেটা মুল প্রশ্ন নহে , মুল প্রশ্ন হোল -- মক্কায় যদি হজ্জ পালন না করা হয় , তখন কোরবানি ঈদ পালন করা যাবে কি ?
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কোরবানি অবশই যাবে । হজ্জ তো সীমিত পরিসরে হবে
০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
এ আর ১৫ বলেছেন: কে বলেছে আপনাকে সীমিত পরিসরে হবে ? যদি সীমিত পরিসরে হজ্জ হয় তাহোলে কি সীমিত পরিসরে কোরবানি হবে ?
৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
হজ তো হবে এ বছর। তবে সীমিতাকারে। হজ না হলে আপনি খুশি হবেন?
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
এ আর ১৫ বলেছেন: আমার খুশি হওয়াটাতো এখানে বিষয় নহে , আপনি তো খুশি হবেন , ব্যপকভাবে হজ্জ হোক , কোরবানি হোক , তাই নয় কি ?
৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ১. হজ্বের সাথে কুরবানীর কোন সম্পর্ক নাই। যাদের সামর্থ্য আছে, সে হজ্বে যাবে। যার কুরবানীর সামর্থ্য আছে সে কুরবানী করবে। হজ্বের পরদিন কুরবানী হবে এমন কোন কথা নয়।
২. এ বছর হজ্ব বাতিল হচ্ছে কে বললো? হজ্ব হবে, তবে ব্যাপক পরিসরে নয়।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫১
এ আর ১৫ বলেছেন: . হজ্বের সাথে কুরবানীর কোন সম্পর্ক নাই
---- তাই নাকি ? হজ্জ পালন যে দিন হয় , তার পরের দিন তাহোলে কোরবানি ঈদ হয় না ?
এ বছর হজ্ব বাতিল হচ্ছে কে বললো? হজ্ব হবে, তবে ব্যাপক পরিসরে নয়।
---- ব্যপক পরিসরে যে কারনে হজ্জ হচ্ছে না , সেই একই কারনে ব্যপক পরিসরে কি কোরবানি ঈদ হওয়া উচিৎ ?
৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ডার্ক ম্যান ভাই,
হজ অন্যতম ফরজ একটি বিধান। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবানদের জন্যই এই বিধান। কোন ব্যক্তির মধ্যে নিচের শর্তগুলো পাওয়া গেলে তার উপর হজ্ব ফরজ হবে; আর পাওয়া না গেলে হজ্ব ফরজ হবে না। হজ ফরজ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ইসলাম, আকল (বুদ্ধিমত্তা), বালেগ হওয়া, স্বাধীন হওয়া, সামর্থ্য থাকা।
১. ইসলাম: এটি যে কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে শর্ত। যেহেতু কাফের তথা অবিশ্বাসী ব্যক্তির কোন ইবাদত শুদ্ধ নয়। দলিল হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বাণী: “তাদের অর্থ ব্যয় কবুল না হওয়ার এছাড়া আর কোন কারণ নেই যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি অবিশ্বাসী।” [সূরা তওবা, আয়াত: ৫৪]
রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মুআয (রাঃ) কে ইয়েমেনে পাঠানো সংক্রান্ত হাদিসে এসেছে- “তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছ। তাদেরকে তুমি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এই কালেমাতে সাক্ষ্য দেয়া এবং আমি যে আল্লাহর রাসূল এই সাক্ষ্য দেয়ার প্রতি আহ্বান জানাবে। যদি তারা তা মেনে নেয় তখন তাদেরকে জানাবে আল্লাহ তাদের উপরে দিবানিশি পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করেছেন। যদি তারা তা মেনে নেয় তবে তাদেরকে জানাবে আল্লাহ তাআলা তাদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন। তাদের মধ্যে যারা ধনী তাদের থেকে যাকাত আদায় করা হবে এবং গরীবদের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে।” [সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম] অতএব, অবিশ্বাসীদেরকে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করার দাওয়াত দেওয়া হবে। ইসলাম গ্রহণ করার পর আমরা তাকে নামায, যাকাত, রোজা, হজ্ব ও ইসলামের অন্যান্য বিধিবিধান আদায় করার নির্দেশ দিব।
২ ও ৩. আকলবান ও বালেগ হওয়া: দলিল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “তিন শ্রেণীর লোকের উপর থেকে (শরয়ি দায়িত্বের) কলম তুলে নেয়া হয়েছে। ঘুমন্ত ব্যক্তি; সজাগ না হওয়া পর্যন্ত। শিশু; তার স্বপ্নদোষ না হওয়া পর্যন্ত। পাগল; তার হুঁশ ফিরে আসা পর্যন্ত।” [সুনানে আবু দাউদ (৪৪০৩), শাইখ আলবানী সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
অতএব, শিশুর উপরে হজ্ব নেই। তবে শিশুর অভিভাবক যদি তাকে নিয়ে হজ্ব আদায় করে তাহলে তার হজ্ব শুদ্ধ হবে। সে শিশু যেমন সওয়াব পাবে তেমনি তার অভিভাবকও সওয়াব পাবে। হাদিসে এসেছে- এক মহিলা একটি শিশুকে উপরে তুলে ধরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন: এর জন্য কি হজ্ব আছে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হ্যাঁ। আপনিও প্রতিদান পাবেন।”[সহিহ মুসলিম]
৪. স্বাধীন হওয়া: অতএব, ক্রীতদাসের উপর হজ্ব নেই। যেহেতু ক্রীতদাস তার মনিবের অধিকার আদায়ে ব্যস্ত।
৫. সামর্থ্য থাকা: আল্লাহ তাআলা বলেন: “এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭]
আয়াতে কারীমাতে উল্লেখিত সামর্থ্য শারীরিক সামর্থ্য ও আর্থিক সামর্থ্য উভয়টাকে অন্তর্ভুক্ত করে। শারীরিক সামর্থ্য বলতে বুঝায় শরীর সুস্থ হওয়া এবং বায়তুল্লাহ পর্যন্ত সফরের কষ্ট সইতে সক্ষম হওয়া। আর আর্থিক সামর্থ্য বলতে বুঝায় বায়তুল্লাহতে আসা-যাওয়া করার মত অর্থের মালিক হওয়া। স্থায়ী কমিটি বলেন (১১/৩০)
হজ্বের সামর্থ্য হলো- ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া এবং বায়তুল্লাহতে পৌঁছার মত যানবাহন যেমন- বিমান, গাড়ী, সওয়ারী ইত্যাদির মালিক হওয়া অথবা এগুলোতে চড়ার মত ভাড়ারঅধিকারী হওয়া এবং যাদের ভরণপোষণ দেয়া ফরজ তাদের খরচ পুষিয়ে হজ্বে আসা-যাওয়া করার মত সম্পত্তির মালিক হওয়া। নারীর ক্ষেত্রে হজ্ব বা উমরার সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মোহরেম কেউ থাকা। এর সাথে আরো যে শর্তটি যোগ করা যায় সেটা হচ্ছে- বায়তুল্লাহ শরিফে পৌঁছার ব্যয় তার আবশ্যকীয় খরচ, শরয়ি আইনানুগ খরচ, ঋণ ইত্যাদির অতিরিক্ত হওয়া। ঋণ বলতে বুঝাবে আল্লাহ তাআলার প্রাপ্য অধিকার যেমন- কাফফারাসমূহ অথবা মানুষের পাওনা। যে ব্যক্তির ঋণ রয়েছে। যদি তার সম্পত্তি ঋণ পরিশোধ ও হজ্ব আদায় উভয় কাজের জন্য যথেষ্ট না হয় তাহলে সে ব্যক্তি প্রথমে ঋণ আদায় করবে; তার উপর হজ্ব ফরজ হবে না। কিছু লোকের ধারণা হলো- হজ্ব ফরজ না হওয়ার কারণ হচ্ছেঋণদাতা অনুমতি নাদেয়া। ঋণদাতার কাছে অনুমতি চাইলে তিনিযদি হজ্ব করার অনুমতি দেন তাহলে হজ্ব করতে কোন দোষ নেই। এই ধারণা নিতান্তঅমূলক। বরং হজ্ব ফরজ না হওয়ার কারণ হচ্ছে- ব্যক্তির দায়িত্বে এ ঋণ থেকে যাওয়া। এ কথা সুবিদিত যে, ঋণদাতা যদি ঋণগ্রহীতাকে হজ্ব করার অনুমতি দেয় তদুপরি ঋণের দায়িত্ব তো ঋণগ্রহীতার উপর থেকে যাবে। এই অনুমতির মাধ্যমে তো ঋণের দায়িত্ব মুক্ত হবে না। এ কারণে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে বলা হবে- তুমি আগে ঋণ পরিশোধ কর। এরপর তোমার কাছে হজ্ব আদায় করার মত সম্পদ অবশিষ্ট থাকলে হজ্ব করবে; নচেৎ তোমার উপর হজ্ব ফরজ নয়। যে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ঋণ আদায় করতে গিয়ে হজ্ব আদায় করতে পারেনি, সে যদি মারা যায় তদুপরি সে আল্লাহর সাথে পরিপূর্ণ দ্বীনদারি নিয়ে সাক্ষাত করতে পারবে; কসুরকারী বা অবহেলাকারী হিসেবে নয়। কেননা হজ্ব তো তার উপর ফরজ-ই হয়নি। অস্বচ্ছল ব্যক্তির উপর যাকাত যেমন ফরজ নয় তেমনি হজ্বও ফরজ নয়। আর যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ঋণ আদায়ের আগে হজ্ব আদায় করে এবং ঋণ আদায়ের আগে সে ব্যক্তি মারা যায় তাহলে সে ব্যক্তি বিপদ-সঙ্কুল অবস্থার মধ্যে থাকবে। কারণ শহিদের সকল গুনাহ মাফ করা হলেও ঋণ মাফ করা হয় না;অতএব শহিদ ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে ঋণের (শাস্তি) কেমন হতে পারে!!
শরয়ি আইনানুগ খরচ হচ্ছে- ইসলামি শরিয়া কর্তৃক অনুমোদিত খরচাদি। যেমন ইসরাফ (সাধারণ অপচয়) ও তাবযির (হারাম কাজে ব্যয়) ব্যতীত নিজের খরচাদি, নিজ পরিবারের খরচাদি। যদি কোন ব্যক্তি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ হয়, কিন্তু অন্যদের কাছে নিজের ধনাঢ্যতা জাহির করার জন্য ও ধনীদের সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য দামী গাড়ী কিনে এবং তার কাছে হজ্ব করার মত সামর্থ্য না থাকে তার উপর দামী গাড়ীটি বিক্রি করে এর মূল্য দিয়ে হজ্ব করা ফরজ হবে এবং সে তার সামর্থ্যের সাথে সামঞ্জস্যশীল মূল্যের অন্য একটি গাড়ী কিনে নিবে। কারণ এই দামী গাড়ী শরয়ি আইনানুগ খরচের মধ্যে পড়বে না। বরঞ্চ এটি ইসরাফ (সাধারণ অপচয়) এর পর্যায়ে পড়বে যা ইসলামী শরিয়তে নিষিদ্ধ। খরচের ক্ষেত্রে ধর্তব্য হলো- হজ্ব থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত তার নিজের ও পরিবার-পরিজনের খরচ পোষানোর মত সামর্থ্য থাকা এবং ফিরে আসার পর তার নিজের ও নিজ পরিবারের খরচ চালানোর মত সামর্থ্য থাকা যেমন- বাসা ভাড়া, বেতন বা ব্যবসা ইত্যাদি ঠিক থাকা। তাই যে ব্যবসার লাভ থেকে ব্যক্তি নিজের ও তার পরিবারের খরচ চালায় সে ব্যবসার মূলধন ভেঙ্গে হজ্ব করা ফরজ নয়; যদি ব্যবসার মূলধন কমে গেলে যে লাভ পাওয়া যাবে সে লাভ তার নিজের খরচ ও পরিবারের খরচের জন্য যথেষ্ট না হয়।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই প্রথমবার আমার পক্ষ নিয়ে উত্তর দিবার জন্য ।
৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: হজ্জ যাদের উপর ফরজ তাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব। কিন্তু যারা শুধু কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য রাখে হজ্জ করার নয়, তাদের কোরবানিই ওয়াজিব।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ঠিক বলেছেন কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিল হজ্জ যদি না হয় , তাহোলে কোরবানি ঈদ পালন করা যাবে কি যাবে না , এটা নিয়ে ।
১০| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হজ্জ হবে না তাতো না!!!
হ্জ্জ হবে, শুধু মক্কার লোকেরাই হয়তো হজ্জে অংশ নিবে।
আমরাতো হজ্জে প্রতি বছর যাই না, কোরবানী দিই!!
হজ্জে না গেলে কোরবানী দেয়া যাবেনা এমন কিছুতো নেই।
১১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজ্জ এবারও হবে তবে সীমিত পরিসরে। আর হজ্জ আর কুরবানি দুইটা ভিন্ন এবাদত।
হজের সময় যে পশু জবাই করা হয় এটাকে বলা হয় হাদি বা দমে শুকুর। এটা কুরবানি নয়। কুরবানি ওয়াজিব বা অনেক আলেমের মতে সুন্নতে মুয়াক্কাদা আর হাদি ওয়াজিব। তামাত্তু ( প্রথমে ওমরা করে পরে ইহরাম ত্যাগ করে ও হজের সময় পুনরায় ইহরাম করে) ও কিরান ( একই ইহরামে ওমরা ও হজ্জ করে) হাজী যদি মক্কার অধিবাসী হয় তবে এই হাদি তাদের করতে হয় না। যারা ইফরাদ হজ্জ (ওমরা ছাড়া শুধু হজ্জ) করবেন তাদের জন্যও এই পশু জবাই ওয়াজিব নয়। হাদির বদলে সামর্থ্য না থাকলে ১০ টা রোজা রাখা যায়। কোরবানির বদলে এরকম রোজা রাখা যায় না।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৩
এ আর ১৫ বলেছেন: হজ্জ এবং কোরবানি দুটো ভিন্ন ইবাদত ?
----
পশু জবাই করে কোরবানি ঈদ পালন করার কালচার আমাদের উপমহাদেশে ব্যপক প্রচলিত । আমি মালোয়েশিয়াতে দেখেছি কোরবানির ঈদের নামাজ পড়া হয় কিন্তু শুধু মসজিদে কয়েকটা পশু কোরবানি হয় এবং ঐ এলাকাতে বিতরন হয় । তাদের ফতুয়া মতে , ব্যক্তিগত ভাবে পশু কোরবানি শুধু মাত্র নিজেদের হজ্জের সময়।
১২| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অহেতুক দলে দলে পশু জবাই করার দরকার কী?
১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আগে তো মানূষের বাচতে হবে। এ বছর না হোক আগামী বছর হজ্ব করবে। আগে বেঁচে থাকুক
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই ।
১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এ বছর আমাদের পরিবার থেকে কোরবানি দেয়া হচ্ছে না। তবে বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গ্রামে আমার বাবার কবরস্থানের পাশেই একটা এতিমখানা আছে যেখানে ৪০-৫০ জন বাচ্চা থাকে হয়তো। ওদের সবাইকে কাপড় কিনে জামা বানিয়ে দেবো। বে'শ কবার গ্রামে বাবার কবর জিয়ারাত করতে গিয়ে ওদের দেখে খুব খারাপ লেগেছে। পড়নের কাপড়গুলো সব সময়ই পুরোনো দেখেছি। বাবা হারানোর পর নিয়ম অনুযায়ী আমরাও এখন এতিম, তবুও ওদের দেখলে বরাবরই বেশী খারাপ লাগে। বাকিটা রাব্বুল আলামিনের হাতে। উনি আমাদের এই কাজটা সফল আর সুন্দরভাবে করার তৈফিক দিন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৪
এ আর ১৫ বলেছেন: খুব ভালো একটা সিদ্ধান্ত ভাই , ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ ।
১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:২০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: হজ্ব হবে না কোথায় পেলেন। হজ্ব হবে কোরবানিও হবে
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
এ আর ১৫ বলেছেন: পত্র পত্রিকায় পেয়েছি হজ্জ নাও হোতে পারে ।
১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হজ্জ হবে না!
নামকওয়াস্তে হ্জ্জ হবে, শুধু মক্কার কিছু লোক হজ্জে অংশ নিবে।
এরা মুলত হারেম শরিফের ভেতরের ও আসেপাসে থাকা কর্মচারি, মোয়াল্লেম, হজ এজেন্ট, পরিচ্ছন্নতা কর্মি, ইলেক্ট্রিশিয়ান।
বয়ষ্ক ওয়ার্কাররা হজে অংশ নিতে পারবে না।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৭
এ আর ১৫ বলেছেন: নামকওয়াস্তে হ্জ্জ হবে, শুধু মক্কার কিছু লোক হজ্জে অংশ নিবে।
------ নামকাওয়াস্তে কি এই দেশের মানুষ কোরবানি ঈদ পালন করবে ?
১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই প্রথমবার আমার পক্ষ নিয়ে উত্তর দিবার জন্য ।
-ভাইরে, আপনাকে নিয়ে আছি বিপদে! এখানেও আপনার পক্ষ নিয়েছি- বিষয়টি এমন নয়। মূল ব্যাপার হচ্ছে, সত্য কথা আমাদের তো বলতে হবে এবং সঠিক বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। তা কারও পক্ষে যাক অথবা বিপক্ষে।
ভালো থাকবেন।
১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩০
আহলান বলেছেন: হজ্জ যারা করতে যায় না, তাদের কি তবে এতকাল কোরবানি দেওয়া লাগে নাই? হজ্জ (যদিও এবার লোকাল বিদেশিদের দ্বারা হজ্জ আদায় হবে ইনশাল্লাহ) না হলে কোরবানীও হবে না, এরকম কোন হাদিস বা মাসলা কোথাও কি আছে? হজ / কোরবানী সামর্থ অনুযায়ী ব্যক্তিগত এবাদত। যার সামর্থ্য আছে তাকে পালন করতে হবে।
১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হানাফি মাজহাব ছাড়া বাকি ৩ মাজহাবে কোরবানি সুন্নতে মুয়াক্কাদা। সুন্নতে মুয়াক্কাদার এবাদতগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তম ইবাদত। তবে কেউ প্রতি বছর না করলেও গুনাহগার হবে না। অন্তত মাঝে মাঝে করা উচিত।
কোরবানি আর হজ্জের সময় পশু জবেহ করা (হাদি বলে বা দমে শুকুর বলে) এক জিনিস না। কোরবানির বদলে রোজা রাখা যায় না। দমে শুকুরের বদলে ১০ টা রোজা রাখা যায় (সামর্থ্য না থাকলে)। দমে শুকুর ওয়াজিব। কোরবানি ওয়াজিব অথবা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। সব ধরণের হজ্জে পশু জবেহ করা লাগে না। যারা মক্কা এলাকার লোক তাদের পশু জবেহ করা লাগে না। যারা ইফরাদ হজ্জ করবে তাদেরও পশু জবেহ করা লাগে না। কাজেই সব ক্ষেত্রে পশু জবেহ হজ্জের জন্য অপরিহার্য নয়। আমি আমার আগের মন্তব্যে বিস্তারিত বলেছি। আপনি নীচের লিঙ্ক দুইটা দেখতে পারেন। দমে শুকুর ১ দমে শুকুর ২। কাজেই হজ্জ এর সাথে কোরবানিকে যুক্ত করা যাবে না। হজ্জে যেটা করে সেটা কোরবানি না।
২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ........... আগের কমেন্টের জবাবের উত্তর!
না ভাই, হজ্ব যেদিন হয় তার পরদিন কুরবানী হয় না। কুরবানীর ঈদ বা কুরবানী নির্ভর করে জিলহজ্ব মাসের চাঁদের উপরে। যদি কোন দেশ সৌদী আরবের আগের দিন চাঁদ দেখে, তাহলে তাদের কুরবানী হজ্বের দিনের আগের দিনেই হয়ে যাবে। আবার যদি কেউ সৌদী আরব যেদিন চাঁদ দেখেছে সেদিনই চাঁদ দেখে, তাদের কুরবানী হজ্বের দিনে একই সাথে হবে। আর যদি কেউ সৌদী আরবের পরের দিন দেখে তো পরের দিন হবে।
ব্যপক পরিসরে কুরবানীঃ
আমার সওয়াব অর্জনের জন্য আমি তো বেশীই করতে চাইবো। যেহেতু এর সাথে হজ্বের কোন সম্পর্ক নাই; তাই এটা এটার গতিতেই চলবে।
আপনি আসলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না; এবং কেউ বললেও শুনছেন না। এটা ভয়ঙ্কর বিষয়! জ্ঞান অর্জনের পথের সব থেকে বড় বাধা গুলির মধ্যে এটি একটা যে নিজের জ্ঞানটাকেই সঠিক মনে করা।
আপনি কমেন্ট গুলির কোথাও কোথাও লিখেছেন যে হজ্ব হবে না, আবার লিখেছেন শুধু মক্কার কিছু লোক হজ্ব করতে পারবে! এই তথ্যই বা কোথায় পেলেন সেটাও বুঝলাম না। পুরা সৌদী আরবে বসবাস করা লোকজনের মধ্যে থেকে হজ্বের জন্য দরখাস্ত নেওয়া হবে, সেখান থেকে লোক নেওয়া হবে। এমনটা প্রতি বছরই হয়। এ বছর শুধু একটু সংখ্যায় কম।
২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১১
বিজন রয় বলেছেন: ধর্মেরও একটি ধর্ম আছে।
২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আসুন আমরা সবাই আল্লাহকে বলি- হে আল্লাহ আমাদের বাচিয়ে রাখো। করোনা থেকে আমাদের মুক্তি দাও।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ছোট পরিসরে হলেও করা উচিত কোরবানি । অভাবী মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে