নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা মাঝে মাঝে অবাক হই , যখন দেখি এক শ্রেণীর মমিন যারা এতই ঈমাণদার কিন্তু সব সময়ে মুসলমান কর্তৃক যে কোন অপকর্মকে আড়াল করে , কোন নিন্দা বা প্রতিবাদ করে না কিন্তু অমুসলিম কেহ যদি কিছু একটা অপকর্ম করে ফেলে তখন তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ করে । আমরা কখনো দেখিনি নীচের ইসু নিয়ে এইসব মমিনরা কোন টু শব্দ করেছে । যেমন -
১) তালেবানদের অপকর্মকে তারা নিন্দা করে না বরং আড়াল করে
২) আই এস আই এর অপকর্মকে তারা নিন্দা করে না বরং আড়াল করে
৩) ইয়েমেনে সৌদি হামলার বিরুদ্ধে এরা নিশ্চুপ
৪) মাদ্রাসায় সংগঠিত যৌন ক্যালেংকারির ব্যপারে তারা নিরব ।
আমি অনুসন্ধানে বের হলাম কেন এই ধরনের আচরন আমাদের তথা কথিত আলেম মমিনদের । তখন পেয়ে গেলাম নীচের হাদিস গুলোকে, যাহা সহি হাদিস এবং ঈমাণদার মুসলমানদের পালন করা ঈমাণী দায়িত্ব ।
(১) মুসলিম শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে বান্দা অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ পার্থিব জীবনে গোপন রাখবে, আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। ’(১/২৪৫। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘দুনিয়াতে কোনো মমিন বান্দার দোষ যে গোপন রাখে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।’’ (মুসলিম [1])
(২) বুখারি ও মুসলিমের অন্য জায়গায় অন্য একটি হাদিস এসেছে। হাদিসটি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘আমার সব উম্মতের গুনাহ মাফ হবে। কিন্তু দোষ-ত্রুটি প্রকাশকারীর গুনাহ মাফ হবে না। দোষ-ত্রুটি এভাবে প্রকাশ করা হয় : কোনো ব্যক্তি রাতের বেলা কোনো কাজ করবে। অতঃপর সকাল হবে মহান আল্লাহ তার এ কাজ গোপন রাখবেন। সে (সকালবেলা) বলবে, হে অমুক! আমি গত রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে রাতযাপন করেছিল এমন অবস্থায় যে মহান আল্লাহ তার কাজগুলো গোপন রেখেছিলেন আর সকালবেলা আল্লাহর এই আড়ালকে সে সরিয়ে দিল। ’
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এবার আমরা দেখবো এই বিষয়ে পবিত্র কোরান কি বলে ।
সুরা আল বারাক আয়াত ৪২ ( ২-৪২)
তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না।
তাহোলে দেখা যাচ্ছে ঐ হাদিস গুলো কোরানের আয়াতের সাথে মিলে না । ২-৪২ এই আয়াত কি মানসুক হয়ে গেছে , যদি হয় কোরানের কোন আয়াত দিয়ে এই আয়াত মানসুক হয়েছে ? উপরের হাদিস গুলো দিয়েতো কোরানের আয়াত মানসুক হয় না , বরং ২-৪২ আয়াতটাই ঐ হাদিস গুলোকে মানসুক করে ভুল প্রমাণ করে ।
তাহোলে আমাদের আলেমগণ কোন পথে হাটছেন , কেউ কি জানাবেন ।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২০
এ আর ১৫ বলেছেন: যারা সমাজে ঈমাণদার মমিন হিসাবে পরিচিত , তাদের বেশির ভাগ মমিনের দোষ ত্রুটি আড়াল করার পক্ষপাতি , তারা হাদিস অনুসরন করেন ,
২| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮
সুপারডুপার বলেছেন: ইস্যুগুলোওতো তারা কোরআন -হাদিসের কথা বলেই করে।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২২
এ আর ১৫ বলেছেন: মানতে পারলাম না ভাই , তারা শুধু হাদিস পালন করে এবং কোরানকে উপেক্ষা করে ।
৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
সত্যপীরবাবা বলেছেন: মোমেন বান্দারা এই বিষয়ে কোরানের চাইতে হাদিস বেশি মানে।
এই আবু হুরায়রা চরিত্রটি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হ্য়, সাহাবী হিসেবে নয়, হাদিস বর্ণনাকারী হিসেবে। যার যেরকম সুবিধা, "আবু হুরায়রা (স: ) হতে বর্ণিত" বলে চালায় দিয়েছে।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৯
এ আর ১৫ বলেছেন: ঠিক বলেছেন --- মমিন বান্দার চরিত্র হোল-- আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি ।
৪| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বেও সত্যকে তোমরা গোপন করো না। -(সূরা বাকারাহ, আয়াত: ৪২)
সুরা বাকারার ৪২ নম্বর এই আয়াতটি কোন পরিস্থিতিতে নাজিল হয়েছে সেটা দেখতে হবে।
উপরোক্ত আয়াতে ইহুদীদেরকে তাদের বদ অভ্যাসের জন্য তিরস্কার করা হয়েছে। কারণ তারা জানা সত্ত্বেও কখনো সত্য ও মিথ্যাকে মিশ্রিত করতো, আবার কখনো সত্যকে গোপন করতো এবং মিথ্যাকে প্রকাশ করতো। তাই তাদেরকে এ কুঅভ্যাস ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে এবং উপদেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা যেন সত্যকে প্রকাশ করে ও স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে।
তাফসীরে মা'আরিফুল কুরআনে বর্ণিত আছে, এ আয়াত (সূরা বাকারার ৪২ নং আয়াত) দ্বারা প্রমাণিত হয় যে শ্রোতা ও সম্বোধিত ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করে উপস্থাপন করা সম্পূর্ণ নাজায়েজ।
মমিন বান্দার দোষ ত্রুটি গোপনের সাথে এই আয়াতের সম্পর্ক নেই। এটি বলা হয়েছে ইহুদিদের যারা সত্য ও মিথ্যা মিশ্রিত করে কথা বলত এবং অনেক সত্য গোপন করত।
পক্ষান্তরে যে হাদিস গুলির কথা বলেছেন সেগুলি হোল মুমিন বান্দার ব্যক্তিগত দোষ ত্রুটি সংক্রান্ত।
কারো পাপ যদি গোপন থাকে এবং এই পাপ দ্বারা অন্য কেউ জুলুমের শিকার না হয়, তবে এটা ঢেকে রাখতে হবে। কারণ মানুষ ভুল করতে পারে। ভুলের পরে সে তওবাও করতে পারে। তাই আল্লাহ্ তাকে তওবা করার সুযোগ দিতে চান।
নিজের গোপন পাপও বড়াই করে বলা যাবে না।
আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘আমার সকল উম্মত মাফ পাবে, তবে পাপ-প্রকাশকারী ব্যতীত। আর এক প্রকার প্রকাশ এই যে, কোনো ব্যক্তি রাতে কোনো পাপকাজ করে, যা আল্লাহ গোপন রাখেন। কিন্তু সকাল হলে সে বলে বেড়ায়, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি।’ অথচ সে এমন অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করেছিল যে, আল্লাহ তার পাপ গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু সে সকালে উঠে তার উপর আল্লাহর আবৃত পর্দা খুলে ফেলে।’ [বুখারি : ৬০৬৯, মুসলিম : ২৯৯০]
কোরআনের আয়াত অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রয়োগ করতে গেলে এ ধরণের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আয়াত কেন ও কি উদ্দেশ্যে নাজিল হয়েছে এটা জানতে হবে। তাই উপরের হাদিস ও আয়াতের মধ্যে কোনও সংঘর্ষ নাই। আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামের সহি বুঝ দান করুন।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৭
এ আর ১৫ বলেছেন: তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বেও সত্যকে তোমরা গোপন করো না। -(সূরা বাকারাহ, আয়াত: ৪২)
-------- এই তোমরাটা কারা ভাই ? আল্লাহ তারা বাণী কি ইহুদি নাসাদের জন্য পাঠিয়েছিলেন । এখানে তোমরা হোল মুসলমানরা ।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৫
এ আর ১৫ বলেছেন: এই আয়াতে যে নির্দেশ পালন করার কথা বলা হয়েছে - সেই নির্দেশ পালন কি ইহুদী নাসারা পালন করবে নাকি মুসলমানরা এই নির্দেশ পালন করবে ?
সুতরাং আপনার ব্যাখাটা ধোপে টিকে না , ধন্যবাদ
৫| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহর কোরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য প্রেরিত হয়েছে ( মুসলমান ও অমুসলমান)। এই বাণী যেমন ইহুদির উদ্দেশ্যে একই ভাবে মুমিনদেরও উদ্দেশ্যে। ইহুদি হোক মুসলমান হোক সত্য আর মিথ্যা মিশিয়ে কিছু বলা যাবে না, সত্য গোপন করা যাবে না ও মিথ্যা তথ্য দেয়া যাবে না। সত্য গোপন মানে কোনও তথ্য যেটা সত্যি জেনেও গোপন রাখা কোনও স্বার্থের কারণে। এই সত্য গোপন মানে অন্যের কোনও গোপন পাপকে বুঝায় না। এই সত্য গোপনের উদাহরণ হোল যেমন আদালতে সাক্ষী যখন বলে আমি যা বলব সত্যি বলব, মিথ্যা বলব না ও কোনও কিছু গোপন করব না। কারণ তথ্য গোপন করলে প্রকৃত তথ্য সঠিকভাবে জানা যায় না। মুসলমান যখন কোনও কিছু কাউকে বলবে বা প্রচার করবে তখন কিছু গোপন করে বলবে না।এতে সত্য ঢাকা পরে যায়। সত্য গোপন মানে সত্য তথ্য গোপন। কারও গোপন কোনও পাপের ক্ষেত্রে যদি কেউ ক্ষতি গ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে সুবিচারের কারণে সেই গোপন পাপও প্রকাশ করতে হবে। গোপন পাপ গোপন রাখতে হবে যখন এটার দ্বারা কারও ক্ষতির শম্ভবনা না থাকে। এটা তখন আল্লাহ্ আর বান্দার মধ্যকার একান্ত ব্যাপার বলে গণ্য হয়। কাজেই হাদিস আর কোরআনের মধ্যে কোনও সংঘর্ষ নাই।
৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
এ আর ১৫ বলেছেন: এই বাণী যেমন ইহুদির উদ্দেশ্যে একই ভাবে মুমিনদেরও উদ্দেশ্যে
ইহুদীরা কোরানের নির্দেশ পালন করবে - এমন কথা কি মানা যায় , যদি তারা ইসলাম গ্রহন করে তখন মানা যায় ।
ইহুদি হোক মুসলমান হোক সত্য আর মিথ্যা মিশিয়ে কিছু বলা যাবে না, সত্য গোপন করা যাবে না ও মিথ্যা তথ্য দেয়া যাবে না।
ঠিক বলেছেন কিন্তু মমিন বান্দারা তো এই আদেশ মানে না , তারা সব সময়ে মমিনবান্দার দোষ ত্রুটি , অপরাধ গুণাহ সহ সব অপকর্মকে আড়াল করে , প্রতিবাদ করে না , নিরব থাকে কারন হাদিসে সেই কথা বলা হয়েছে । এই সব মমিন বান্দার চরিত্র হোল-- আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি ।
কাজেই হাদিস আর কোরআনের মধ্যে কোনও সংঘর্ষ নাই।
হাদিস বলতেছে গোপন কর আর কোরান বলছে গোপন কোর না।ঠিক বলেছেন একই কথা উভয় বোলছে এবং এর মধ্যে কোন সাংঘর্সিকতা নেই
৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইহুদিসহ সারা দুনিয়ার মানুষ কোরআনের নির্দেশ পালন করুক এটাই আল্লাহ্ চান। নবী, পয়গম্বর এই জন্যই পাঠানো হয়েছে।
যে অপরাধ/ পাপ অন্যের ক্ষতি করে সেটাকে অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে কারণ এটা অপরাধ ( Crime)। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য এই অপরাধকে প্রকাশ করতে হবে। সব পাপ Crime না। রোজা রাখলেন না। এটা পাপ কিন্তু এর জন্য কোনও শাসক আপনাকে শাস্তি দিতে পারবে না। একজন নামাজ পড়ে না। এটা আপনি সবার কাছে প্রচার করে বেড়াতে পারবেন না। কারণ এরকম প্রচার হোল গীবত যেটা একটা গুনার কাজ। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। হাদিসে এসেছে যে অন্যায় দেখলে তা হাত দিয়ে থামাতে হবে অর্থাৎ বল খাটিয়ে থামাতে হবে। তার সামর্থ্য না থাকলে মুখে প্রতিবাদ করতে হবে। সেটার সামর্থ্যও যদি না থাকে তাহলে অন্তত মন থেকে ঘৃণা করতে হবে। তাই অন্যায়ের প্রতিবাদ অবশ্যই করতে হবে।
গোপন করার কথা বলা হয়েছে যেটা গোপন পাপ সেটা কে। কারণ আল্লাহ্ বান্দাকে তওবার সুযোগ দিতে চান। আর গোপন করা যাবে না সেটা যেটা অপরাধ। সুবিচারের স্বার্থে এই ধরণের অপরাধমূলক পাপ গোপন রাখা যাবে না। সব পাপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় পক্ষান্তরে সব শাস্তিযোগ্য অপরাধ পাপ। কোরআনে বলা হয়েছে শাস্তিযোগ্য অপরাধের কথা আর হাদিসে বলা হয়েছে গোপন পাপের কথা যেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় বরং আল্লাহ্ আর বান্দার মধ্যকার একান্ত ব্যাপার সেটাকে প্রচার করার দরকার নাই। আশা করি ব্যাপারটা আপনি বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ্ আপনার হেদায়েত করুন।
৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
এ আর ১৫ বলেছেন: শুনুন মমিন বান্দারা,,
তালেবান আই এস আই এর অপকর্মকে তার৷ মানে হত্যা ধংস ধর্ষন ইত্যাদিকে আড়াল করে, নিরব থাকে, যদি কখনো বাধ্য হয়ব৷ তখন বলে এই সব ইহুদী নাসার ষড়যন্ত্র।
ওয়াজ মহফিলে মোল্লাদের অপব্যাখা, নারী বিদ্দেষী কথা, সমাজ দেশ বিরুধী কথা বার্তাকে আড়াল করে।
সৌদী আরব যখন ইয়েমেন ধংস করে তখন চুপ থাকে।
কুর্দি মুসলমানদের যখন ইরাণ ইরাক এবং তুরস্কের মুসলমান মারে তখন তারা চুপ কিন্তু রহিংগাদের বেলায় ভোকাল,
মাদ্রাসার হুজুরদের ধর্ষনের ব্যপারে নিরব কিন্তু অন্য সব ধর্ষনের সময় প্রতিবাদকারি।
কারন তারা হাদিস পালন করে অর্থাৎ দোষ ত্রুটি অপরাধ গোপন করে, আড়াল করে।
তাদের চরিত্র,,, আল্লাহ মানি, কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি
৭| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তালেবান, আই এস এরা ইসলামকে কলঙ্কিত করছে। আমাদের দেশে ওয়াজে অনেক তথাকথিত আলেম ধর্মকে ছোট করছেন। সউদি রাজ বংশ হোল জালেম। মাদ্রাসার কোনও হুজুর খারাপ কিছু করলে তার বিচার প্রয়োজন। হাদিস কোরআনের অপব্যাখ্যাকারী তথাকথিত হুজুররা ধর্মের ক্ষতি করছে। মুসলমানের সমালোচনা ঠিক আছে। কিন্তু না বুঝে আল্লাহর গ্রন্থকে ভুল বলা যায় না। অনেক মুসলমানের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। আমরাও চাই ধর্মের নামে এসব অনাচার বন্ধ হোক। আপনার জ্ঞান আহরনের প্রয়াসের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি অচিরেই আপনি প্রকৃত ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে উপযুক্ত জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। আল্লাহ্ আপনাকে হেদায়েত দান করুন।
৮| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
সুপারডুপার বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মানতে পারলাম না ভাই , তারা শুধু হাদিস পালন করে এবং কোরানকে উপেক্ষা করে ।
-
আল কোরআন
২:১৯১
আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।
৯:৫
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৯: ১২৩
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।
৮:৬৫
হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।
আরো অনেক বলা যাবে
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৯
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই আয়াত গুলোতে সত্যকে গোপন করা না করা বিষয়ে কিছু আছে কি
৯| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব কথা শুনুন, এযুগের লোকজন কোরআন হাদীস জানে। কিন্তু তা মেনে চলে না। কারো মনে ভয় ডর নেই। তাই পাপ আর পাপ করেই যাচ্ছে।
১০| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মমিনরা সেটাই মানে যেটা তাদের পক্ষে যায়।সেটা কোরানই হোক আর হাদিসই হোক।
১১| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩
জাদিদ বলেছেন:
@সাড়ে চুয়াত্তরঃ আপনাকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি, আপনি প্রতিটি আয়াতের ব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অন্তত আমার কাছে তা সঠিক বলে মনে হয়েছে। এখন কেউ যদি এই যুক্তি মানতে না চায় তাহলে তাঁকে অবশ্যই আরো শক্ত কোন যুক্তি প্রদান করতে হবে। এখানে যে সকল যুক্তি দেখলাম - সত্যি বলতে সেই গুলো হচ্ছে পাছা দিয়ে পাহাড় ঠেলার মত।
অনেক আগে থেকেই লক্ষ্য করেছি, আস্তিক বা নাস্তিক কিংবা ধরুন ধর্ম নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলে তাদের অনেকেই একটা ইগো সমস্যায় ভুগেন, কেউ পরাজয় স্বীকার করতে রাজি নন। এটা অবশ্য ভাইসভার্সা। পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকলে এই ব্যাপারে সমস্যা হয় না। সমস্যা হয় যখন যৌক্তিক তর্ক কেউ মানতে চান না। নিজের যুক্তিই সেরা মানলে তো বিপদ।
আমাদের দেশে কিছু হুজুর কোরানের খন্ডিতাংশ বা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কোন আয়াতকে ইচ্ছেমত ব্যবহার করেন, আবার যারা ধর্ম নিয়ে অবিশ্বাস করেন, তারাও নিজ স্বার্থে অনেক আয়াতকে ইচ্ছেমত ব্যবহার করেন।
যাইহোক, আল্লাহপাক বলেছেন “নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়”।
(সূরা কাহাফঃ ৫৪ আয়াত)
সুতরাং যৌক্তিক তর্ক বিতর্ক আলোচনা চলুন।
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৩
এ আর ১৫ বলেছেন: এখানে আয়াত গুলো কোথায় পেলেন? একটা মাত্র আয়াতের আলোচনা করা হয়েছে, ৪ নংং কমেন্টে ঊনি বলেছেন, এই আয়াত নাকি ইহুদীদের জন্য সেটার জবাব দেওয়ার পর উনি মেনে নিলেন ৫ নংং কমেন্টে যে এটা ইহুদী হোক মুসলমান হোক সবার জন্য। শপনি ঠিক মত না পড়ে তারপক্ষ নিয়ে নিয়েছেন এবং নোংরা ভাষা প্রয়োগ করেছেন,,, পাছা দিয়ে পাহাড় ঠেলা,,,, এটা কি ধরনের ভাষা,,,
আমাদের তথাকথিত মমিনরা কেন মুসলমানদের অপকর্ম গুলো আড়াল করে এবং এই কাজে তারা ঐ হাদিস গুলো ব্যবহার করে সেগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা হচ্ছে, পাছা দিয়ে ঠেলাঠেলির বিষয় এই ব্লগ নহে।
এখানে আয়াত দেওয়া হয়েছে ১টা,, ২---৪২, সেখানে আয়াত গুলো কোথায় পেলেন এবং ৫ নাম্বার কমেন্টে উনি মেনে নিলেন এই নির্দেশের আওতায় মুসলমানরা ও আছে।
একটু পড়ে ভদ্র ভাষার ব্লগিং করতে শিখুন, ধন্যবাদ
০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১০
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি লিখেছেন প্রতিটি আয়াত তার মানে আপনি হাদিস গুলোকে ও কোরানের আয়াত মনে করেছেন, ,, তাহোলে তো ভাই আপনি, আগে দয়া করে জেনে নিন, কোন টা কোরানের আয়াত এবং কোনটা হাদিস এবং আবারো বলছি ভাষাটা সংযত করুন, ধন্যবাদ
১২| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সুপার ডুপার
আপনার দেয়া কোরানের আয়াতের ব্যাখ্যা ধাপে ধাপে দিচ্ছি। প্রথম আয়াতটা ছিলও
তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই.....। ২:১৯১
এর আগের আয়াতটা অর্থাৎ ১৯০ নং আয়াত দেখেন। আগের আয়াতে আছে - আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। ২:১৯০
এরপর ১৯১ নং আয়াতটি পুর্নাংগভাবে এসেছে "আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।" ২ – ১৯১। এরও পরের আয়াতে অর্থাৎ ১৯২ নং আয়াতে আরো আছে, "আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু।২:১৯২
কাজেই ১৯০, ১৯২ ও ১৯২ নং আয়াত একত্রে পড়লে বোঝা যাচ্ছে যে যারা মুসলমানদের সাথে লড়াই করে তাদের জন্য এই বিধান। আবার মুসলমানদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছে কারণ আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। আরও বলা হয়েছে তারা (কাফের) যদি বিরত থাকে তাহলে এগুনো যাবে না।
এবার নিশ্চয়ই বিষয়টা আপনার কাছে পরিষ্কার। পরের আয়াত গুলির ব্যাখ্যাও একে একে দিব ইনশাল্লাহ। এগুলির জন্য আমাকে বই পত্র ঘাটতে হচ্ছে। আল্লাহ আপনাকে ইসলাম বোঝার তৌফিক দান করুন।
১৩| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৩
জাদিদ বলেছেন:
আমি যার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছি - তিনি সেখানে যে আয়াতগুলো বলেছেন, আমি সেই সম্পর্কে বলেছি।
সরি, বাক্যটি সঠিক ভাবে বলছি - পশ্চাৎদেশ দিয়ে পাহাড় ঠেলার মত।
আমি তো ভাই শিখতে আসছি, তাই ভাষা এখন আপাতত খারাপই থাকবে। আপনাদের মত শিখে গেলে তখন ভাষা উন্নত হবে। তাই আপনি দৃষ্টান্ত তৈরী করুন।
১৪| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ জাদিদঃ
ভাই আমি ধৈর্যের সাথে ওনাদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করছি। এটা কঠিন কাজ। এটাকে আমি এবাদত হিসাবে নিচ্ছি ও ঠাণ্ডা মাথায় থাকব ইনশাল্লাহ। আপনার সমর্থন আমাকে অনুপ্রাণিত করবে। আপনার লেখার শেষে উল্লেখিত কোরানের আয়াত এখানে সবার পড়া ও বোঝার চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহর বাণীতে চিন্তাশীল মানুষের জন্য চিন্তার খোরাক আছে।
১৫| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৩
সুপারডুপার বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ভাই আয়াত গুলোতে সত্যকে গোপন করা না করা বিষয়ে কিছু আছে কি
- কোরআনের কথা বলেই তো তালেবান , আই এস আই- রা অপকর্ম করছে। তাতে নিন্দা করার কি আছে।
১৬| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০২
সুপারডুপার বলেছেন:
আরো কিছু কোরআনের আয়াত :
৯:২৯
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
২:১৯৩
আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।
৫:৫১
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
৯:২৩
হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী।
৩:২৮
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।
২:২১৬
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।
৪৭:৪
অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।
৮:১২
যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
৯:৭৩
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।
৯:১১১
আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।
আয়াতের আগে পরে ও রূপক অর্থ যে ভাবেই বলা হোক , কোরআন উদ্বুদ্ধ করে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মোমিন মুসলিমদের অমুসলিম ও অবিশ্বাসীদের(কাফের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করতে। আর তালেবান ও আই এস আই- রা এই কাজটাই করছে বা প্রকৃত ইসলাম মেনে চলছে । মমিনরা কেন কোন টু শব্দ করবে বলেন, যখন কোরআন -ই বলছে তা করতে।
০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই আপনার এই আয়াতগুলো আই এস আই বা তালেবানদের ক্ষেত্রে প্রোজয্য নহে কারন তারা যুদ্ধ করছে যাদের সাথে তারাও মুসলমান। এই আয়াত গুলো মুসলমান বনাম কাফের, মুশরিক, ইহুদী, নাসা ইত্যাদি। আমাদের মমিনরা এই নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে কারন মমিনের দোষ আড়াল করা তাদের ঈমাণী দায়িত্ত।
১৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৩৩
সুপারডুপার বলেছেন:
@সাড়ে চুয়াত্তর ,
ব্লগে রেডিমেড -ই উত্তর আছে :
১) ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদ-১!
২) আইএসআইএস কি সহিভাবে জিহাদ করছে? জঙ্গিদের সহী ইসলামী জিহাদ নিয়ে একটু অনুসন্ধানী পোস্ট পর্ব ১
১৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৩৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ১) তালেবান দের অপকর্মকে তারা নিন্দা করেনা বরং আড়াল করেঃ
- আপনি মুমিন সম্বোধন করেছেন । মুমিন কাকে বলে বা মুমিন কে প্রকৃত মুমিন কারা আপনি কী জানেন? মুসলিম আর মুমিন কী এক? মুমিন মানে হলো আল্লাহর বন্ধু। আপনার জানা উচিৎ সকল মুমিন মুসলিম কিন্তু সকল মুমিন মুসলিম নয়। মুমিন কখনো এমন কিছু করবেনা যা কোরানে নিষেধ আছে।
২) আই এস এর অপকর্মকে তারা নিন্দা করেনা বরং আড়াল করে।
- কুকুর কে শায়েস্তা করতে কিছু কুকুরের দরকার আছে। ফিলিস্তিন ১ মিনিট বয়সী শিশুটিকে যারা বোমা মেরে হত্যা করে আই এস এর জন্ম তাদের কারণে হয়েছে। আর এক নাম্বার পয়েন্টের উত্তর এখানেও প্রযোজ্য।
৩) ইয়েমেনে সৌদি হামলার বিরুদ্ধে এরা নিশ্চুপ।
- আপনি ভুল জানেন। বর্তমান সৌদি শাষকদের পৃথিবীর ৩ ভাগের দুই ভাগ মানুষ অপছন্দ করে।
৪) মাদ্রাসার যৌণ কেলেংকারী,
- আমি একজন মুসলিম । এই নিয়ে আমি অন্তত ফেসবুকে ৪ টা পোস্ট দিয়ে নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করছি। এরকম লক্ষ কোটি মুসলিম নিন্দা ও লজ্জা জ্ঞাপন করছে। আর মুমিনরা তো রীতিমতো মাদ্রাসাকে জালিম মুক্ত করার জন্য রীতিমতো আল্লাহর কাছে দোয়া করছে।
ভুলভাল কথা বলবেন না ।
তাহাজ্জুদের সময় হয়ে গেসে। আপনার পোস্টের বাকি পয়েন্ট গুলো কাল মন্তব্য করবো ইন শা আল্লাহ।
১৯| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৪০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর
অসংখ্য ধন্যবাদ।
২০| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: : ১) তালেবান দের অপকর্মকে তারা নিন্দা করেনা বরং আড়াল করেঃ
- আপনি মুমিন সম্বোধন করেছেন । মুমিন কাকে বলে বা মুমিন কে প্রকৃত মুমিন কারা আপনি কী জানেন? মুসলিম আর মুমিন কী এক? মুমিন মানে হলো আল্লাহর বন্ধু। আপনার জানা উচিৎ সকল মুমিন মুসলিম কিন্তু সকলুসলিম মুমিন নয়। মুমিন কখনো এমন কিছু করবেনা যা কোরানে নিষেধ আছে।
২) আই এস এর অপকর্মকে তারা নিন্দা করেনা বরং আড়াল করে।
- কুকুর কে শায়েস্তা করতে কিছু কুকুরের দরকার আছে। ফিলিস্তিন ১ মিনিট বয়সী শিশুটিকে যারা বোমা মেরে হত্যা করে আই এস এর জন্ম তাদের কারণে হয়েছে। আর এক নাম্বার পয়েন্টের উত্তর এখানেও প্রযোজ্য।
৩) ইয়েমেনে সৌদি হামলার বিরুদ্ধে এরা নিশ্চুপ।
- আপনি ভুল জানেন। বর্তমান সৌদি শাষকদের পৃথিবীর ৩ ভাগের দুই ভাগ মানুষ অপছন্দ করে।
৪) মাদ্রাসার যৌণ কেলেংকারী,
- আমি একজন মুসলিম । এই নিয়ে ২০১৯ সালে ও ২০২০ সালে আমি অন্তত ফেসবুকে ৪ টা পোস্ট দিয়ে নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করছি। এরকম লক্ষ কোটি মুসলিম নিন্দা ও লজ্জা জ্ঞাপন করছে। আর মুমিনরা তো রীতিমতো মাদ্রাসাকে জালিম মুক্ত করার জন্য রীতিমতো আল্লাহর কাছে দোয়া করছে।
ভুলভাল কথা বলবেন না ।
তাহাজ্জুদের সময় হয়ে গেসে। আপনার পোস্টের বাকি পয়েন্ট গুলো কাল মন্তব্য করবো ইন শা আল্লাহ।
১৮ নং মন্তব্যটি মুছে দিন।
০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি তাহোলে মমিনদের কাতারে পরেন না কারন আপনি তাদের দোষ আড়াল না করে নিন্দা করেছেন, ঠিক আপনার মত আমি ও করেছি, এদের অপকর্মের নিন্দা জানিয়ে আমার আরো পোস্ট আছে। ধন্যবাদ
২১| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:২০
সোহানাজোহা বলেছেন:
জাদিদ/সুপারডুপার/সাড়ে চুয়াত্তর
এ আর ১৫ এর এ আর অর্থ = আশেকে রাসুল ওরফে দেওয়ানবাগ পীর ওরফে আরামবাগ ওরফে পেট্টা দেওয়ানবাগী। কথিত আছে এ আর আশেকে রাসুল দেওয়ানবাগ ওরফে আওয়ানবাগ সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলে (নাউজুবিল্লাহ) ।
এখন এ আর ১৫ আমাদের জানাবেন এই ১৫ এর অর্থ কি?
২২| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের বিশ্বাসের মৌলিক কিছু জায়গায় ভ্রান্তি থেকেই আমরা বহুধা বিভক্ত হয়ে
পরষ্পরে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে মূল্যবান সময়, মেধা এবং শ্রমকে নষ্ট করি।
যেমন প্রচলিত ধারনা মুসলমান এবং মুমিন।
অনেকেই বলেন আগে মুমিন পরে মুসলমান
আবার অনেকে বলেন- মুসলমানই মুমিন! বা এজাতীয় উনিশ বিশ!
কোরআনে কি পাই?
বিষয়টির বিভ্রম দূর করতে গিয়ে দেখি - আল্লাহ প্রথম মানব জাতিকে সম্বোধন করছেন - ইনসান হিসেবে
এরপর যারা বিশ্বাস কে ধারন করেছে তাদের ডাকছেন - বিশ্বাসী বা ঈমানদার হিসেনে
এই বিশ্বাসকে দৃঢ় করে যারা আত্মসমপর্ণ করেছেন - তার হলেন মুসলিম
নূন্যতম ক্যাটাগরি যা অর্জন করতেই হবে- যার ইশারা পাই এই নির্দেশে-" তোমরা মরার আগে মরো এবং মুসলমান না হয়ে মরো না।"
মুসলমানদের মধ্য থেকে ইবাদাত, আমলে সালিহ, এবং অন্যান্য সকল আমল এবং রিয়াজতের মাধ্যমে সে মুমিনের স্তরে উন্নিত হয়। মধ্যবর্তী আরো স্তর আছে বিশদ হয়ে যাবার শংকায় সংক্ষেপে আলোচিত হল।
এভাবে উর্ধক্রমে আরো ১৫ টি স্তর আছে, যা অর্জন সাপেক্ষ। অলি আউলিয়া, গাউস, কুতুব, আবদাল, আওতাদ . . উর্ধক্রমে যে যত বেশী আমল, আখলাম এবং সাধনা রিয়াজত করে সে তত উচ্চ স্তর লাভ করেন।
তাই প্রথম কথাই হলো - সমাজেতো ভাই মুসলমানই পাই না।
আর যারা মুমিন স্তরে উন্নীত হয়েছেন, তারা এসব থেকে মুক্তই বটে।
আপনার মূল পয়েন্ট ঠিকাছে- সুবিধাবাদী নামধারী মুসলিম বা আলেম গং নিজের পছন্দমতো বিষয়ে কোরআনকে ইগনোর করে হাদীসে চড়ে বসে। যা খুবই সাধারন দুবৃল ইমানেরই প্রকাশ। লোভি এবং স্বার্থবাদী মানবীয় মন্দ স্বভাব।
যার গোড়ায় রয়েছে - সউদ গংয়ের ক্ষমতায় টিকে থাকার জণ্য তৈরীকৃত সো কলড আলেম শ্রেণী। যারা বিশ্বাসের বা ঈমানের মৌলিক বিষয়েই বহু আগে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে, লেবাসী বা ইয়াজিদি ইসলামের পেছনে ছুটছে।
প্রকৃত ঈমানদার কোরআনকেই আকড়ে ধরবে। এবং অতপর আহলে বায়াতের গভীর প্রেমে রাসূল সা: আলার প্রেমে বিভোর থাকবে। কিন্তু ইয়াজিদি দু:শাসনের পর হাজারে হাজারে কোরআনে হাফেজ এবং হাদীস বিশারদদের শহাদাতের পর এক বিশাল শুন্যতার সৃষ্টি হয়। আলে রাসুল প্রেমিকগণ জীবন বাঁচাতে মাইগ্রেট করেন বা নিরবতায় লুকিয়ে যান। আর সেই শূন্যতার সো কলড পোষাকি নামধারী আলেম গং জায়গা দখল করে নেয়। এবং রাজাদেশের অনুকুলে ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা হাজির করতে থাকে। কালক্রমে যা অন্ধ অনুসরনে বিধানে পরিণত হয়।
আপনার মূল আয়াতের কথা নিয়ে সাড়ে চুয়াত্তর ভায়ার ব্যাখ্যা ঠিকাছে। কোরআনে বহু বহু আয়াহ ইহুদী তথা বনি ইসরাইলিদের/ নাসারাদে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। কারণ, তারাই তখন আহলে কিতাবের পূর্ববর্তী অনুসারী। তাদের কাছে ছিল কিতাব। এবং সত্য। তারা জানতো, কিন্তু মানতো না কেবলই াহংকারে বা ক্ষমতাচুৎ হবার ভয়ে।
তাই তাদেরকে বারবার সতর্ক করেছেন - তোমরা জেনে শুনে সত্য গোপন করোনা, সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না।
আর সবশেষে আয়াতগুলো এতটাই সার্বজণীন, ইউনিক; অবশ্যই এখনো তা আমাদের জন্য কার্যকর, অনুসরনীয়। ঐ সময়ে তা যেমন তাদের জন্য এবং আমাদের তথা মুসলিমদের জন্য এখনো তাই।
আর রইল বাকী আই এস, তালেবান, ইয়েমেন, মাদ্রাসা ইস্যু
তারা প্রতিবাদ করবে কেন? তাদের গুরুরাইতো করছে এসব। শয়তান সউদ গং বা ইসলাম বিদ্বেষী ইহুদী নাসারা গং
তাদের মুসলিম বিদ্বেষি কাজের অংশ হিসেবেই তারা করছে। আর আমাদের নামধারী লেবাসী পোষাকী গং তাদের ধামা ধরছে।
তাদের কাছে প্রতিবাদ আশা করাই বোকামী। তাদের না আছে ঈমান, না আছে জ্ঞান।
এক্ষনে আপনার ঈমান দৃঢ়। আপনি বোঝেন সত্য আর মিথ্যা। কিন্তু আপনি ছাপোষা নাগিরক। দেশে বা বিদেশে!
আপনি কি করতে পারবেন? নিজের ভেতরে যন্ত্রনা পাওয়া ছাড়া!
আরেকটা পারবেন- আপনার জ্ঞান এবং বিশ্বাসকে সুন্দর ভাবে পরবর্তী প্রজন্মের জণ্য রেখে যাওয়া।
কিংবা তাকে সামাজিক ভাবে প্রযোজ্য পথে উপস্থাপনের চেষ্টা।
কারণ খোদ আরবে যখন অনৈস্লামিক সরকার ক্ষমতায়, সেখানে আমি আপনি বাইরে থেকে আফসোস ছাড়া কি করতে পারি।
আল্লাহর বিশেষ রহমত ছাড়া - আরবের খোদ আরব ভুমে ঈমানী জাগরণ ছাড়া বাইরে থেকে কি করা যাবে?
০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , আপনার অনেক সময় নিয়ে বিশদ আলোচনা এবং বিশ্লেষন। ২-৪২ আয়াতে যে নির্দেশনা আছে সেটা মুসলানদের জন্য পালন ফরজ , ইহুদী নাসা বা অন্য ধর্মের ডিভাইনে একই ধরনের সত্য মিথ্যা কে না মেশানো বা সত্যকে গোপন না করার নির্দেশ আছে । তারা তাদের গ্রন্থের নির্দেশ পালন করবে ।
ইহুদী নাসারা সত্য মিথ্যা নিয়ে যে খেলা কোরতো সেটাকে কাউন্টার দিতে গিয়ে মুসলমানরা একই খেলা কোরতো ,তখন মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এই আয়াত ২-৪২ নাজিল হয় ।
যারা আসল ইসলাম বোঝে তারা সংখ্যায় খুব কম এবং প্রভাব হীন । ইসলাম ধর্মকে বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে - আল্লাহ মানি ,কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি গ্যাং এরা আবার বিভিন্ন মাজাহাব গোত্রে বিভক্ত , কেহ সালাফি , কেহ দেওবন্দ , কেহ ওহাবি, কে আলহে হাদিস ইত্যাদি কিন্তু এক বিষয়ে সবার মিল তাদের বেশির ভাগ - আল্লাহ মানি , কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি নীতি অনুসারি ।
মাদ্রাসা হুজুরদের কর্তৃক ছাত্র/ ছাত্রীদের উপর যৌন নিপিড়ন -- এটা বহু দিনের কালচার যেটা সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে । যারা ভুক্ত ভুগি তারা নালিশ করলে বোঝান হোত --- মমিনের দোষ ত্রুটি গোপন রাখা মমিনের ঈমাণী দায়িত্ব ।
ধন্যবাদ
২৩| ০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১১
সুপারডুপার বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ভাই আপনার এই আয়াতগুলো আই এস আই বা তালেবানদের ক্ষেত্রে প্রোজয্য নহে কারন তারা যুদ্ধ করছে যাদের সাথে তারাও মুসলমান। এই আয়াত গুলো মুসলমান বনাম কাফের, মুশরিক, ইহুদী, নাসা ইত্যাদি। আমাদের মমিনরা এই নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে কারন মমিনের দোষ আড়াল করা তাদের ঈমাণী দায়িত্ত।
- বলেন কী ! ২০১৬ সালে আজকের তারিখ বা ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজান হামলায় যারা কুরআন থেকে আয়াত বলতে পেরেছিল তারা রক্ষা পেয়েছিল।(Click This Link)
আর নিহত : (Click This Link)
ক্রিস্তিয়ান রসসি (ইতালীয়)
মার্কো তোন্ডাত (ইতালীয়)
নাদিয়া বেনেদেত্তি (ইতালীয়)
আদেলে পুলিসি (ইতালীয়)
সিমোনা মন্তি (ইতালীয়)
ক্লাউদিয়া মারিয়া ড'আন্তোনা (ইতালীয়)
ভিনসেনজো ড'আল্লেস্ত্রো (ইতালীয়)
মারিয়া রিভোলি (ইতালীয়)
ক্লাউডিও কাপ্পেল্লি (ইতালীয়)
হিদেকি হাশিমোতো (জাপানি)
নোবুহিরো কুরোসাকি (জাপানি)
কয়ো অগাসাওয়ারা (জাপানি)
মকোতো ওকামুরা (জাপানি)
ইউকো সাকি (জাপানি)
রুই শিমোদাইরা (জাপানি)
হিরোশি তানাকা (জাপানি)
তরিশি জৈন (ভারতীয়)
ফারাজ আইয়াজ হোসেন (বাংলাদেশী)
ইশরাত আখন্দ (বাংলাদেশী)
রবীউল করিম (বাংলাদেশী)
সালাউদ্দিন খান (বাংলাদেশী)
সাইফুল ইসলাম চৌকিদার (বাংলাদেশী)
জাকির হোসেন শাওন (বাংলাদেশী)
আবিনতা কবির (বাংলাদেশী)
সবাই তাহলে কী তাহলে মুসলমান ছিল !!!
০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬
এ আর ১৫ বলেছেন: এই ধরনের সাধারন মানুষের উপর হামলা প্রকৃত ইসলামিক দলিলে সমর্থন করে না এবং আপনি যে আয়াত গুলো দিয়েছেন সেগুলো ও সমর্থন করে না । ধন্যবাদ
২৪| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কোরআন-হাদীসের অপব্যাখ্যা হতে বিরত থাকা উচিত। সবিনয়ে জানতে চাই আপনি কোন দলের?
০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি কি মুল পোস্টা পড়েছেন এবং কি লিখা হয়েছে বুঝতে পেরেছেন ? এখানে মমিনদের দোষ ত্রুটি গোপন করার পক্ষে হাদিস দেওয়া হয়েছে এবং সেই সাথে এই বিষয়টার বিপরীতে কোরানের আয়াত ২-৪২ দেওয়া হয়েছে ।
এবার বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেন কোনটা অপব্যাখা ---
আপনি কি দোষ ত্রুটি গোপন করার পক্ষের লোক ?
আমি আয়াত (২-৪২) মেনে চলার দলের লোক ।
২৫| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: প্রথমেই বুঝতে হবে মুুমিনদের দোষ-ত্রুটি গোপন করা বলতে কি বুঝায়, দোষ-ত্রুটির স্বরুপ কি বা কেমন হলে তা গোপন রাখবেন বা প্রকাশ করবে। আপনি জ্ঞানী মানুষ-পড়াশোনা ভালই করেন মনে হচ্ছে। আপনাকে কোরআন হাদীস লিখে আমি বুঝাতে পারবো বলে মনে হয় না-যেহেতু আমি খুব বেশী করিনি বা করিওনা। ২টি উদাহরন দিই, আশা করি আপনি বুঝতে সক্ষম হবেন। আর না হলে সেটা হবে আমার ব্যর্থতা।
উদা : ১- আপনার বাবা ঘুমের মধ্যে আছে। তার লুঙ্গি কোমড়ের উপর উঠে গেছে, এখন আপনি তার লুঙ্গি নিচের দিকে নামিয়ে দিয়ে লজ্জাস্থান ঢেকে দিলেন। এটা এক ধরণের ত্রুটি গোপন করা। এই ত্রুটি ব্যক্তিগত। আপনার উচিত এই ত্রুটি গোপন করে তাকে বুঝিযে বলা-সমাজে প্রচার করা নয়।
উদা: ২- আপনি বউকে খুব মারধর করেন, অযথা-অকারণে, প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে, আপনি মাদকাসক্ত লোক। এখন আপনার শুভাকঙ্খিদের কি উচিত। আপনার এই ত্রুটিগুলো শুধরানোর জন্য সামাজে প্র্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিযে আপনাকে চিকিৎসা দেয়া। সমাজের লোকজন জানবে আপনার সমস্যা। কিন্তু তাতে কি সমাজে যেন আপনার মতো আর কেউ এমন আচরণ করতে না পারে সেজন্য আপনার এই ত্রুটি গোপন করা যাবে না।
যে ত্রুটির জন্য দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেটাকে গোপন রাখার কথা কোথাও বলা হয়নি বরং ব্যক্তিগত ত্রুটি যেটার দ্বারা শুধু ত্রুটিকারীই ক্ষতিগ্রস্থ হন সেটা গোপন রাখার কথা বলা হয়েছে। গোপন রাখাতে হবে সমাজ থেকে-ত্রুটিকারীর কাছ থেকে নয়- কেননা ত্রুটিকারীর কাছ থেকেও গোপন রাখলে সে শুধরাবে কিভাবে। কাজেই মুমিন বান্দাকে কোন ত্রুটি গোপন রাখতে বলা হয়েছে, সেটার ধরণ, প্রেক্ষাপট না বুঝলে কোরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা হবে স্বাভাবিক।
০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৮
এ আর ১৫ বলেছেন: আরে ভাই আপনি দোষ ত্রুটির বিষয়ে যা মনে করেন সেটা এখানে বিবেচ্চ বিষয় নহে, বিবেচ্য বিষয় আমাদের মমিন আলেমরা যেটা বুঝে সেটা বিবেচনা করা ।
আপনি নিশ্চয় দেখেছেন আমাদের মমিন হুজুররা কখনো ইসলামি জংগি বাদ , আই এস আই , তালেবান , মাদ্রাসা হুজুরদের ধর্ষন এই বিষয়ে কিছু বলে না , তাদের কর্ম গুলোকে গোপন করে , তারা হাদিস অনুযায়ি বিশ্বাষ করে , যেহেতু তারা গোপন করতেছে , তাই কিয়ামতের দিনে, তারা যদি অনুরুপ অপরাধ করে , তখন আল্লাহ ওগুলো গোপন করবেন ।
দোষ ত্রুটি নিয়ে আপনার ব্যাখা আমাদের আলেম না মানে না তাই ইসলামের নামে অপইসলামিক কর্ম কান্ডের ব্যপারে তারা নিরব । আপনি তো তাদের মত নহেন , ধন্যবাদ
২৬| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৫
সুপারডুপার বলেছেন:
সোহানাজোহা বলেছেন:
জাদিদ/সুপারডুপার/সাড়ে চুয়াত্তর
এ আর ১৫ এর এ আর অর্থ = আশেকে রাসুল ওরফে দেওয়ানবাগ পীর ওরফে আরামবাগ ওরফে পেট্টা দেওয়ানবাগী। কথিত আছে এ আর আশেকে রাসুল দেওয়ানবাগ ওরফে আওয়ানবাগ সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলে (নাউজুবিল্লাহ) ।
এখন এ আর ১৫ আমাদের জানাবেন এই ১৫ এর অর্থ কি?
- আগে জানা ছিল না, নতুন জানলাম।
০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০২
এ আর ১৫ বলেছেন: ১৫ অর্থ গোপন রাখা আমার ঈমাণী দায়িত্ব ছিল কিন্তু ২২ নং কমেন্টে বিদ্রিহী ভৃগু সাহেব ১৫ অর্থ প্রকাশ করে দিয়েছেন ---
মুসলমানদের মধ্য থেকে ইবাদাত, আমলে সালিহ, এবং অন্যান্য সকল আমল এবং রিয়াজতের মাধ্যমে সে মুমিনের স্তরে উন্নিত হয়। মধ্যবর্তী আরো স্তর আছে বিশদ হয়ে যাবার শংকায় সংক্ষেপে আলোচিত হল।
এভাবে উর্ধক্রমে আরো ১৫ টি স্তর আছে, যা অর্জন সাপেক্ষ। অলি আউলিয়া, গাউস, কুতুব, আবদাল, আওতাদ . . উর্ধক্রমে যে যত বেশী আমল, আখলাম এবং সাধনা রিয়াজত করে সে তত উচ্চ স্তর লাভ করেন।
২৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৯
সুপারডুপার বলেছেন:
সুপারডুপার বলেছেন: ইস্যুগুলোওতো তারা কোরআন -হাদিসের কথা বলেই করে।
লেখক বলেছেন: মানতে পারলাম না ভাই , তারা শুধু হাদিস পালন করে এবং কোরানকে উপেক্ষা করে ।
- যেখানে শুরু সেখানেই শেষ হচ্ছে। লজিক দিলেও কিছু মানুষ মেনে নিতে পারে না। আপনি লজিকবিহীনভাবে বললেন মানতে পারলাম না ভাই। আর আমি লজিক দিয়ে (আমার আগের মন্তব্যগুলো) বললাম আপনার কথাও মানতে পারলাম না ভাই । ভালো থাকবেন:-
২৮| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: দোষ ত্রুটি গোপন করা মমিনদের ঈমাণী দায়িত্ব
এই দায়িত্ব রাষ্ট্র খুব সুন্দর ভাবে পালন করছে।
দূর্নীনিতিবাজরা আড়ালেই আছে।
২৯| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাবছিলাম আপনাকে বুঝাবো । কিন্তু আপনার বিভিন্ন মন্তব্যের জবাব পড়ে বুঝলাম শুধু শুধু লাইম লস করর কোন মানে হয়না। ভালো থাকবেন।
৩০| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিপথগামী মুসলিমদের ( এই এস, দেওয়ানবাগী, জঙ্গি, ভণ্ডপীর, মাজার পুজারি, মাদ্রাসার খারাপ হুজুর ইত্যাদি) তো আমরাও সমালোচনা করছি এবং বিচার চাচ্ছি। কাজেই তাদেরকে আপনারা ইসলামের যোগ্য প্রতিনিধি কেন মনে করছেন? সব ধর্ম, দেশ, জাতিতে ভালো মন্দ সবই থাকে। খারাপটাকে কেন আপনারা ইসলাম মনে করছেন? ইসলাম এগুলির অনুমোদন দেয় না। সৌদি রাজবংশ অধিকাংশ মুসলমানের অপছন্দের। এদের কারণে ইসলামকে ছোট করা যাবে না। আল্লাহ আর আল্লাহর রসুল (সাঃ) যে বিধান মানুষকে দিয়ে গেছেন তাকি আমরা মানছি?
৩১| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৩
সত্যপীরবাবা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর
"বর্তমান সৌদি শাষকদের পৃথিবীর ৩ ভাগের দুই ভাগ মানুষ অপছন্দ করে"
এবং
"সৌদি রাজবংশ অধিকাংশ মুসলমানের অপছন্দের"
আপনার এই দুই বক্তব্যের তথ্যসূত্র কি? বিশেষ করে প্রথম দাবী তো রীতিমত পরিসংখ্যানগত হিসেব, কোন statistical journal এ এই হিসাব দেয়া আছে জানাবেন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, এই পোস্টের আলোচনা এখন পর্যন্ত শালীন (পাছা শব্দটিকে আমি অশালীন মানতে রাজি না, বিশেষ করে ব্লগার জাদিদের ব্যবহৃত বাক্যটি বহুল প্রচলিত বাংলা প্রবাদ) আর ব্যক্তি আক্রমনমুক্ত। আশা করি এই রকমই থাকবে।
৩২| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৮
সত্যপীরবাবা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর , দু:খিত, আমার পূর্বের মন্তব্যের প্রথম বক্তব্যটি মোহাম্মদ গোফরানের।
@মোহাম্মদ গোফরান, আশা করি আপনি "বর্তমান সৌদি শাষকদের পৃথিবীর ৩ ভাগের দুই ভাগ মানুষ অপছন্দ করে" এই তথ্যের সূত্র জানাবেন।
৩৩| ০২ রা জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৪২
সুপারডুপার বলেছেন:
@সোহানাজোহা,
ধন্যবাদ তথ্যটি বলার জন্য।
@সোহানাজোহা, জাদিদ, সাড়ে চুয়াত্তর
রাব্বুল আলামিন চিন্তিত আছেন। (নিম্নে ভিডিও-১ ) । কাজেই , লজিকেল তর্ক-বিতর্ক করা ঠিক হবে না। দেওয়ানবাগী পীর ও তার মুরিদদের কথা মেনে নিন (ভিডিও-২ )
ভিডিও-১: রাব্বুল আলামিন নিজেই চিন্তিত
ভিডিও-২:
৩৪| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৃষ্টির শুরু থেকেই কাবা ঘর মুসলমানদের এবাদতের কেন্দ্র বিন্দু ছিল। পরবর্তীতে নুহ (আঃ) সময়ের বন্যার পরে একে পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন পরে। হজরত ইব্রাহীম (আঃ) কাবা ঘরের পুনর্নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে কাবা ঘরে পৌত্তলিকরা ৩৬০ টি মূর্তি স্থাপন করে। মক্কা বিজয়ের পর এই কাবা ঘরে একই সাথে কাফির ও মুসলমান যার যার মত এবাদত করেছে প্রায় দেড় বছর (আনুমানিক)। মুসলমানরা চাইলে মক্কা বিজয়ের প্রথম দিন থেকেই কাফেরদের কাবা গৃহের তওয়াফ নিষিদ্ধ করতে পারত। মক্কা বিজয়ের পরও কাফেররা কাবা তওয়াফ করেছে ও হজ্জ করেছে। তবে তাদের অনেকে কাবা তওয়াফ করত উলঙ্গ হয়েনারী পুরুষ নির্বিশেষে। এই এবাদতের নামে অশ্লীলতা ও কুফরি পদ্ধতিতে পূজা অর্চনার অবসান অবশ্যম্ভাবী হয়ে পরে। কারণ দুনিয়াকে পৌত্তলিকতা ও কুফর থেকে মুক্ত করার জন্য ইসলামের আগমন। একই ঘরকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের ইবাদত ও কাফেরদের ধর্মীয় আচার পালনের নামে অশ্লীলতা ও কুফরি কাজ কর্মের অবসানের জন্য আল্লাহ্ কাফেরদের সাথে মুসলমানদের সমস্ত সম্পর্কচ্ছেদের হুকুম দেন সুরা তওবার (৯ নং সুরা) ১ ও ৫ নং আয়াতে। সম্পর্কচ্ছেদের আরও কারণ ছিল সুদীর্ঘ ২১ বছর যাবত বিভিন্ন সময়ে চুক্তি ভঙ্গ, বিশ্বাসঘাতকতা, নির্যাতন যার কারণে মুসলমানদের পক্ষে কাফেরদের সাথে একত্রে বসবাস ও ধর্ম পালন অসম্ভব হয়ে পরে।আল্লাহর এ সকল আদেশের উদ্দেশ্য হল, আগামী সাল নাগাদ যেন মক্কা শরীফ সকল বিশ্বাসঘাতক মুশরিকদের থেকে পবিত্র হয়ে যায়।সুরা তওবার ১-৫ নং আয়াতগুলি দেখুন;
১. এটা সম্পর্কচ্ছেদ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে, সে সব মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা পারস্পারিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলে।২. অতঃপর তোমরা যমীনে চারমাস সময় পরিভ্রমণ কর এবং জেনে রাখ যে, তোমরা আল্লাহকে হীনবল করতে পারবে না। আর নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফেরদেরকে অপদস্থকারী।৩. আর মহান হজের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি এটা এক ঘোষণা যে, নিশ্চয় মুশরিকদের সম্পর্কে আল্লাহ দায়মুক্ত এবং তার রাসূলও। অতএব, তোমরা যদি তাওবাহ কর তবে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর তোমরা যদি মুখ ফিরাও তবে জেনে রাখ যে, তোমরা আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবে না এবং কাফেরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। ৪. তবে মুশরিকদের মধ্যে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ ও পরে তোমাদের চুক্তি রক্ষায় কোন ক্রটি করেনি এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকেও সাহায্য করেনি, তোমরা তাদের সাথে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ কর; নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে পছন্দ করেন।৫. অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাবে হত্যা কর, তাদেরকে পাকড়াও কর, অবরোধ কর এবং প্রত্যেক ঘাটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাক; কিন্তু যদি তারা তাওবাহ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয় তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও; নিশ্চয় আল্লাহ্ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
মক্কার বিভিন্ন গোত্রের সাথে মুসলমানদের পৃথক পৃথক চুক্তি ছিল। বিভিন্ন সময় সংঘাত ও যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এই চুক্তিগুলো হয়েছিল। কাফেরদের সাথে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত কাফেরদের জানিয়ে দেয়া হয়। চুক্তি বাতিলের মাধ্যমে বাহ্যত ৩ টা সুযোগ মুসলমানরা কাফেরদের দেয় যার যে কোন একটা কাফেরদের বেছে নিতে হবে। ১) কাফেররা মক্কা ত্যাগ করতে পারে ২) তারা ইসলাম গ্রহণ করতে পারে অথবা ৩) মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করে মক্কার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
তবে কাফেরদের এর জন্য কমপক্ষে ৪ মাস সময় দেয়া হয় মানবিক কারণে। মুসলমানদের খারাপ উদ্দেশ্য থাকলে এরকম সময় দিত না। মক্কা বিজয়ের সময় মুসলমানরা চাইলে সকল কাফেরকে হত্যা করতে পারত। কিন্তু মক্কা বিজয়ের পরেও তাদেরকে কাবা গৃহের তওয়াফে মুসলমানরা বাঁধা নেয়নি। যাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ ৪ মাসের কম ছিল বা যাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ নির্দিষ্ট ছিল না তাদের ক্ষেত্রে ৪ মাস সময় দেয়া হয়। আর যাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ ৪ মাসের বেশী ছিল এবং যারা চুক্তির বরখেলাপ করেনি ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করেনি সেক্ষেত্রে চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সময় দেয়া হয়। হজ্জের সময় (এই হজ্জে কাফেররাও ছিল ) আল্লাহর বাণী এই মর্মে ঘোষণা দেয়া হয় যে নিশ্চয় মুশরিকদের সম্পর্কে আল্লাহ দায়মুক্ত এবং তার রাসূলও। আরও বলা হয় কাফেররা যদি তাওবাহ করে তবে তা তাদের জন্য কল্যাণকর। আর যদি মুখ ফিরায় তবে জেনে রাখতে বলা হয় যে, কাফেররা আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবে না এবং পরিণামে তাদের জন্য আল্লাহর শাস্তি অপেক্ষা করছে।
এই চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পর মক্কায় কাফেরদের থাকতে হলে যুদ্ধ করে থাকতে হবে যদি না তারা মক্কা ত্যাগ করা অথবা ইসলাম গ্রহণ করাকে বেছে নেয়। বস্তুত মক্কা থেকে কুফরকে দূর করার জন্য এই পদক্ষেপগুলি নিতে হয়।প্রয়োজনে মুসলমানদের এর জন্য যুদ্ধ করতে বলা হয়। মনে রাখতে হবে যে হজরত আদম (আঃ) এর সময় থেকে কাবা ঘর মুসলমানদের এবাদতের ঘর ছিল। আর কাফেররা যখন যুদ্ধকে বেছে নেবে তখন স্বাভাবিকভাবেই মুসলমানদের বলা হয়েছে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়ার জন্য। আর যুদ্ধের প্রয়োজনে কাফেরদের হত্যা, পাকড়াও, অবরোধ, প্রত্যেক ঘাটিতে ওত পেতে থাকার কথা বলা হয়েছে। আর যদি তারা ইসলামে চলে আসে তাহলে তাদেরকে গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
তবে ইতিহাস বলে যে কাফেররা যুদ্ধের দিকে না যেয়ে ধীরে ধীরে মুসলমান হয়ে যায়। ফলে যে হত্যা, পাকড়াও, অবরোধ, ওত পেতে থাকার আদেশ আল্লাহ্ দিয়েছিলেন তার আর প্রয়োজন হইনি।
৩৫| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২১
এভো বলেছেন: ভাই এই লিংকাটা কি একটু ওপেন করে দেখবেন এবং আপনার মতামত দিবেন প্লিজ ।
এখানে ক্লিক করুন
৩৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০১
বাংলা৫২৭১ বলেছেন: ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের কল্যাণে তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎকাজের বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০)
‘তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি জাতি হওয়া উচিত যারা সব ভালো কাজের দিকে আহ্বান করবে, সৎকাজের আদেশ দেবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে, প্রকৃতভাবে তারাই সফলকাম সম্প্রদায়। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত:১০৪)
‘তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখে তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়, যদি তা করতে অপারগ হয় তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয় তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ঈমানের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ১৯৪)
‘রাসুল (সা.) তখন ইমাম, রাষ্ট্রপ্রধান এবং জাতির শাসক ছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি তার জনসাধারণকে এ মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যখনই তাদের কেউ কোনো খারাপ বা অসৎ কিছু দেখতে পাবে তখন সাধ্যমতো তা পরিবর্তনে যেন এগিয়ে আসে। তার বক্তব্য ছিলো— যখনি তোমাদের (শাসিত জনগণ) কেউ কোনো খারাপ কিছু দেখতে পায়…’। (মুসলিম, হাদিস নং: ২০১)
‘তোমরা যদি বড় বড় গুনাহ থেকে দূরে থাকো, যা থেকে দূরে থাকার জন্য তোমাদের বলা হচ্ছে, তাহলে তোমাদের ছোটখাটো খারাপ কাজগুলো আমি তোমাদের হিসাব থেকে বাদ দিয়ে দেবো এবং তোমাদের সম্মান ও মর্যাদার জায়গায় প্রবেশ করিয়ে দেবো। (সুরা নিসা ৪, আয়াত ৩১)
‘যারা আমার অবতীর্ণ উজ্জল শিক্ষাবলী ও বিধানসমূহ গোপন করে অথচ বিশ্ব মানবতাকে (সঠিক) পথের সন্ধান দেবার জন্য আমি সে (নিদর্শন তথা আয়াত)গুলো আমার কিতাবে বর্ণনা করেছি। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ, আল্লাহ তাদের (সত্য গোপনকারীদের) ওপর অভিশাপ বর্ষণ করেন এবং সব অভিশাপ বর্ষণকারীরাও তাদের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৯)
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
আহলান বলেছেন: কে যে মোমেন আর কে যে ফাসেক সেটাই তো বোঝা যায় না .....