নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝ ) হঠাৎ করে দাড়ি রাখা এবং টাকনুর উপর কাপড় পরিধান শুরু করা
সম্প্রতি একটা সামাজিক অরগানাইজেশন - জংগি সনাক্তকরন নির্দেশিকা নামে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে । ঐ সংগঠটনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেন পীযুষ বন্দোপাধ্যায় , তার সাথে মন্চে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাসাউদ । এই তালিকাতে ১৮ টি লক্ষণের গাইড লাইন দেওয়া হয় ক,খ, গ , ---------- ধ পর্যন্ত এবং রেডিক্যালাইজেশনের ৪ ধাপ উল্লেখ করা হয়।
যদি কোন ব্যক্তি হঠাৎ করে দাড়ি রাখে এবং টাকনুর উপর কাপড় পরিধান শুরু করে --- তখন কি শুধু এই কারনে তাকে জংগি হিসাবে সন্দেহ করা যায় ?
জী না তাকে শুধু ঐ কারনে জংগি হিসাবে সন্দেহ করা যায় না কারন এই লক্ষণ নং (ঝ) হোল ১৮টি লক্ষণের একটি । যদি দেখা গেল একজন লোক হঠাৎ করে দাড়ি রেখেছে এবং টাকনুর উপর কাপড় পরেছে কিন্তু সে সিনেমা দেখে, পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস , বিজয় দিবস, জন্ম দিন সম্পর্কে নেতি বাচক মনোভব নেই তাহোলে তো তাকে সন্দেহের তালিকাতে ফেলা যায় না । তারমানি তাকে শুধু তখন জংগি হিসাবে সন্দেহ করা হবে যখন ১৮টা লক্ষণের বেশির ভাগ লক্ষণ তার সাথে ম্যাচ করে যায় । শুধু মাত্র ১ বা ২ বা ৩ বা ৫টা লক্ষণ ম্যাচ করে গেলে তাকে সন্দেহ করা যাবে না ।
এখানে যাদের ১৮টা লক্ষণের অন্তত ১২টা লক্ষণ মিলে যাচ্ছে শুধু তাদেরকে সন্দেহের তালিকাতে রাখা যায় । এখানে ১৮টা লক্ষণের শুধু মাত্র ১টা মিলে গেলেই যে তাকে সন্দেহ করা হবে এমন কখনো হতে পারে না ।
এখন জংগিবাদের প্রতি নমনিয় হুজুর ও ব্লগারবৃন্দ শুধু মাত্র লক্ষণ নং (ঝ) নিয়ে জেহাদ ঘোষনা করেছে এবং পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্মানুভুতিতে আঘাত করা অপবাদ নিয়ে এসেছে । তারা বলতে চাচ্ছে দাড়ি রাখা এবং টাকনুর উপর কাপড় পরিধান করাকে জংগি হওয়ার লক্ষণ বলে ধর্মকে আঘাত করেছে । অতচ এই লক্ষণ নং (ঝ) টি ১৮টি লক্ষণের একটি ।
এই জংগি সনাক্তকরন নির্দেশিকাটি বৎসর ১০ আগে গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তৈরী করা হয় এবং সরকারি বাহিণী পুলিশ সহ অন্যান আইণ প্রয়োগ কারি সংস্থার কাছে দেওয়া হয় জংগি সনাক্তকরনের জন্য এবং এই গাইড লাইন ব্যবহার করে পুলিশ অনেক জংগিকে হাতে নাতে ধরে ফেলে । যাদের ৬০% লক্ষণ ম্যাচ করে যায় তাদের কে প্রাথমিক সাম্ভাব্য জংগি হিসাবে সন্দেহ করা যায় ।
শুধু মাত্র আইণ প্রয়োগকারি সংস্থার মাধ্যমে সব জংগিদের সনাক্ত করা সহজ নহে । এই ব্যপারে জনগনকে সম্পৃক্ত করা গেলে জংগি দমন কাজ সম্পন্ন করা সরকারের পক্ষে খুব সহজ হয় । সেই কারনে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে , যাতে জনগন যদি তাদের আসে পাশে কারো ভিতরে এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখতে পায়, তাহোলে তারা সাথে সাথে পুলিশকে খবর দিতে পারে ।
১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩০
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই যারা ধর্ম প্রাণ মুসলমান তাদের সাথে ১৮টা লক্ষণ ম্যাচ করে না । আপনি নীচের চিত্রটা ভালো করে পড়েন তাহোলে বুঝতে পারবেন । ধর্মপ্রাণ মমিনরা ফেক আইডি ব্যবহার করে না , মোবাইল ফোনে ফেক নাম লিখে না , জিহাদি শরিরচর্চা করে না ইত্যাদি । এখানে ১৮টা লক্ষণের ৫ বা ৭ টা ম্যাচ করে গেলে তাকে সন্দেহ করা যায় না । ধন্যবাদ
২| ১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
গেছো দাদা বলেছেন: বাকি লক্ষনগুলো কি কি ?
১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩২
এ আর ১৫ বলেছেন: নীচে যে জংগি সনাক্তকরন নির্দেশিকাটার চিত্র দেওয়া হয়েছে , সেটার ভিতর সব কটা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে । ধন্যবাদ
৩| ১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্তকর পোষ্ট।
৪| ১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: জংগীদের কোন ধর্ম নেই।
৫| ১৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
গরল বলেছেন: বলেছেন: সম্প্রিতী বাংলাদেশকে আমি খুব ভালো করেই চিনি এবং প্রায় প্রতিদিনই দেখা সাক্ষাত হয় তাদের একজন সক্রিয় কমিটি মেম্বারের সাথে, যে কিনা একটা দৈনিকের উপসম্পাদকও। তারা এরকম কোন লিফলেট কোনদিন প্রচার করে নাই আর এটা তাদের কাজও না। কোথাকার কোন একটা ভুয়া পোষ্ট ফেসবুকে কেউ ছড়াল আর অশিক্ষিত বাঙ্গালী লেগে পড়ল সেটা নিয়ে। সোস্যাল মিডিয়া আসলেই মূর্খদের নিয়ে বিশেষ করে ধর্মান্ধদের নাচানোর জন্য একটা ভালো প্লাটফর্ম।
৬| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সন্ত্রাস হওয়ার লক্ষন মানুষের সাথে না মিশলে বোঝা যায় না।
৭| ১৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তবে বাস্তবতা হচ্ছে ব্লগার হত্যা বিদেশী হত্যা ও হলি আর্টিজান ঘটনার পর প্রায় একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি মিডিয়াতে প্রতিদিন প্রচারিত হচ্ছিল।
অনেক ব্রেনওয়াশড লেবাসধারি জঙ্গি মতাদর্শের সন্দেহজনক সন্তানদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন পিতামাতারাই।
এছাড়া প্রায় ২ হাজারের মত ব্রেনওয়াশড লেবাসধারি খেলাফত কায়েমের নামে গলাকাটতে সিরিয়া গিয়েছিল।
অশেষ নেকি হাসিল করতে লেবাসধারিনিরাও গিয়েছিল বিছানা জেহাদে। কেউ তাদের জোড় করে নেই নি।
শুধু ইহুদি-নাসারা বা হিন্দুদের দোষ দিয়ে এতকিছুর দায় সারা যায় না।
৮| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:২৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার কথায় মনে হচ্ছে এই গাইডলাইন বা নির্দেশিকাটি ব্যবহার করে পুলিশ বাহিনী অতি সহজেই জঙ্গি ধরে ফেলতে সক্ষম হচ্ছে | নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে গাইডলাইনটি একটি মাস্টারপিস | এর রচয়িতাকে দিয়ে এই ধরণের আরো কিছু গাইডলাইন রচনা করা যায় কি ? যেমন, দুর্নীতিকারী, বিদেশে অর্থপাচারকারী, ব্যাংক লোপাটকারীদের সনাক্তকরণের নির্দেশিকা টাইপের কিছু ? ওইসব দুস্কৃতিকারীদেরকেও যদি সহজেই ধরে ফেলা যায় তবে তো আমরা আম-জনতা সবধরণের ভোগান্তি থেকে বেঁচে যাই |
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: দাড়ি, টাকনুর উপর কাপড় পরিধান করা এটা ইস্ললাম ধর্মে ইবাদত সিনেমা, পহেলা বৈশাখ, জন্ম দিন এগুলো পালন করা বা দেখার পক্ষে ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। তাহলে যে ইসলামের বিধান সঠিক ভাবে পালন করবে সে ই………
কিন্তু অন্য ধর্মের লেবাস নিয়ে এদের মাথা ব্যাথা নেই।