নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মমিনদের দাবি মঙ্গল শোভা যাত্রা হারাম !

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:১৮

কিছু তথা কথিত মমিন মঙ্গল শোভা যাত্রা কেন হারাম তার ঠিকুজি গত বিশ্লেষন করেছেন নিম্ম রুপ এবং যেহেতু এটা হিন্দু ধর্মের অনেক রিচুয়ালের সাথে মিলে যায় তাই এটা হারাম --

মঙ্গলশোভাযাত্রা জিনিসটা কি ?

(ক) মঙ্গল শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে। ১। কল্যাণ ২। সাপ্তাহিক দিবস নাম। ৩। সৌরজগতের একটি গ্রহের নাম। সাধারণত মঙ্গলের এ তিনটি অর্থই ব্যবহৃত হয়। তবে মঙ্গল শব্দটির শক্তিশালী একটি ধর্মীয় দিক রয়েছে। সনাতনী ধর্মাচারে মঙ্গল শব্দের বহু কীর্তি বিদ্যমান। এবার দেখা যাক, হিন্দু ধর্মাচারে মঙ্গল শব্দের ধর্মীয় রূপ-রেখা কি ?
১। মূর্তিপূজক সম্প্রদায়ের নিকট মঙ্গলদেবতা নামে একজন দেবতা রয়েছে। মঙ্গল হলো, যৌনতা, যুদ্ধ এবং শক্তির দেবতা।
২। হিন্দু ধর্মের মধ্যযুগীয় আখ্যান কবিতাকে মঙ্গলকাব্য নামে অভিহিত করা হয়। যে কাব্যে দেবতাদের আরাধনা হয়, মাহাত্ম্য ও গুণকীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণে মঙ্গল হয় এবং যে কাব্য গৃহে রক্ষিত হলে মঙ্গল হয় তাকেই মঙ্গলকাব্য নামে অভিহিত করা হয়। মঙ্গলকাব্য আবার তিন শাখায় বিভক্ত। মনসামঙ্গল, চণ্ডিমঙ্গল ও অন্যদামঙ্গল।
৩। পূজোর সময় যে পাত্র ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলঘট।
৪। বিশেষ পূজার জন্য যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলপ্রদীপ।
৫। পূজার সময় মঙ্গলপ্রদীপ ঘুরিয়ে যে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো হয় তাকে বলা হয় মঙ্গল আরতি।
৬। হিন্দু ধর্মাচারে বিশেষ একটি পূজা রয়েছে যার নাম মঙ্গল পুজা।
৭। হিন্দু ধর্মে বিবাহের প্রথম আচারের নাম হলো মঙ্গলাচরণ।
৮। হিন্দু ধর্মে বিবাহকালে সূর্যোদয়ের পূর্বে বর কণেকে চিড়ে ও দধি আহার করানো হয়, যাকে দধিমঙ্গল নামে অভিহিত করা হয়।
৯। হিন্দু ধর্ম মতে বিপদ হতে রক্ষাকামনায় প্রিয়জনের মণিবন্ধে যে সূত্র বেঁধে দেয়া হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলসূত্র বা রাখি।
১০। সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে যে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলশোভাযাত্রা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এখন ঐ সমস্ত জিনিস যেহেতু হিন্দুদের রিচুয়ালে আছে সুতরাং ওটা পালন করা হারাম ---- এবার আমরা দেখি হিন্দুদের পুজার সাথে মুসলমানদের নামাজের কিছু মিল এবং ম্যাচিং

১) হিন্দুরা পুজার আগে আহবান করে এবং সেটা মুসলমানরা ও আহবান করে তাহলে কি এই আহবান জানান কি ঠিক ( নাউযুবিল্লাহ ) ------ উল্লেখ হিন্দুরা উলু ধবনি দিয়ে আহবান করে , মুসলমানরা আজান দিয়ে আহবান করে
২) হিন্দুরা পুজার আগে পানি দিয়ে হাত পা মুখমন্ডল ধুয়ে পবিত্র হয় ঠিক তেমনি মুসলমানরা পানি দিয়ে ওজু করে পবিত্র হয়
৩) হিন্দুরা তাদের ডিভাইন থেকে মন্ত্র পাঠ করে পুজা করে , মুসলমানরা তাদের ডিভাইন থেকে সূরা পাঠ করে নামাজ পরে ( এখানে ডিভাইন থেকে পাঠ করটা মিলে যাচ্ছে)
৪) হিন্দুরা পুজার সময় পদ্মাসনে এবং বজ্রাসনে বসে , মুসলমানরা নামাজে বসার আসনটাও বজ্রাসনের মত ( এখানে আসনটা মিলে যাচ্ছে )
৫) হিন্দুরা পুজার সময় ধুপ জালায়। আগরবাতি জালায় , গোলাপ পানি ব্যবহার করে ---- মুসলমানরা আগরবাতি গোলাপ পানি ব্যবহার করে ....। ( এখানে ও কিছু জিনিস মিলে যাচ্ছে )
৬) হিন্দুরা পরিষ্কার কাপড় পরে পুজা করে , মুসলমানরা ও পরিস্কার কাপড় পরে নামাজ পরে । ( এখানেও মিলে যাচ্ছে )

আমাদের প্রশ্ন তথা কথিত মমিন ভাইদের কাছে --- এই যে নামাজের অনেক কিছুর সাথে হিন্দুদের অনেক কিছু মিলে যাচ্ছে তাহোলে কি এই দুটোকে কি এক বলা যায় ? যদি না যায় তাহোলে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভা যাত্রার ভিতর হিন্দুদের পূজা বা শরিক করা খুজেন কি করে ।

এবার আসা যাক হজ্জের বিষয় নিয়ে

যে প্রথাগুলো আরবের পৌত্তলিক ধর্ম ছিল এবং এখন ইসলাম ধর্মে ও আছে


(১)কুরাইশরা ইসলাম পূর্ব কালে কাবা ঘরকে পবিত্র জ্ঞান করত তাদের একটা উপাসনালয় হিসাবে। দুর দুরান্ত থেকে লোকজন সেখানে আসত পবিত্র ধর্মীয় ভ্রমন উপলক্ষ্যে। তারা সেখানে এসেই প্রথমে কাবা ঘরের চার পাশে সাত বার ঘুরত। বর্তমানে যারাই হজ্জ বা ওমরা উপলক্ষ্যে কাবা ঘর পরিদর্শনে যায় তারা ঠিক একই ভাবে কাবা ঘরের চারপাশে সাত বার ঘোরে।

(২) এসময় তীর্থ যাত্রীরা তাদের মস্তক মুন্ডন করত, অর্থাৎ মাথা থেকে চুল ফেলে দিত। বর্তমানের হাজীরাও সেটা করে থাকে।

(৩) তারা সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে সাতবার দৌড়া দৌড়ি করত , হাজীরাও সেটা করে।

(৪)তীর্থ যাত্রীরা কাবার দেব দেবীদের উদ্দেশ্যে পশু বলি দিত , মুসলমানরা পশু কুরবানী দেয়।

(৫) কুরাইশরা কাবার ভিতরকার কাল পাথরকে চুমু খেত, যা ইসলামে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে হজ্জ কালে।


এবার মমিনরা জবাব দিন মঙ্গল শোভা যাত্রা কেন হারাম ---- পৈতালিক কুরাইশদের তীর্থ যাত্রার কিছু কালচার এখন মুসলমানদের হজ্জের রিচুয়ালের সাথে মিলে যাচ্ছে তাই বলে কি ঐ দুটো জিনিস এক ( নাউযুবিল্লাহ ) ।
যদি এক না হয় তাহোলে মঙ্গল শোভা যাত্রা কেন হারাম ?

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৫

নাহিদ০৯ বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা বিষয়ে ফতোয়া দেয়া আমার কাজ না। এটা সাধারনত মুফতি (ফতোয়া বিষয়ে গবেষনা) পাশ করেছে এবং যথাযথ উপায়ে তা প্র্যাক্টিস করেছে যারা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের এরকম জ্ঞান নাই।

তবে সাধারন জ্ঞান এ শোভাযাত্রায় এসো হে বৈশাখ বলে যেভাবে বৈশাখ কে টেনে হিঁচড়ে ডাকার অহেতুক ভঙ্গি দেখানো হয় তা নিছক ই অকাজের জিনিস। খোদ বৈশাখ ও অপমানিত হবে। যেন না ডাকলে বৈশাখ আসবে না, চৈত্র ই থেকে যাবে দেশে।

আসুন বৈশাখে আমরা গত এক বছরের বিভিন্ন ভুল ত্রুটিগুলো স্মরন করি এবং এসব থেকে বেঁচে থাকার জন্য এবং নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করি নতুন বছরে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

এ আর ১৫ বলেছেন: জী না ভাই কোন মুফতি সঠিক ব্যাখা করে না । কোন কিছু অন্য কিছুর সাথে মিলে গেলে সেটা যে এক জিনিস হয় না এটা তারা বুঝতে চায় না, তাই এই ভাবে জবাব দেওয়া হয়েছে । আপনার চেহারার সাথে আরেক জনের যদি কিছু মিল পাওয়া যায় তহোলে দুজনকে কি একই সত্তা বলা যায় ? কিন্তু মুফতিদের কথা বার্তা শুনলে মনে হবে ২ জন একই সত্তা, ধন্যবাদ

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম'ই তো দেশটারে খাইলো।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

এ আর ১৫ বলেছেন: এখানে ধর্মের কোন দোষ নেই , দোষ অপ ব্যাখাকারিদের । বলতে পারেন ধর্মীয় অপব্যাখা দেশটারে খাইলো , ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



জনাব,
সবিনয়ে জানতে চাই, বরাবরের মত স্বভাবসুলভ আপনার এই পোস্টেও একটি ফালতু বিষয়ের অবতারনা করেছেন। পোস্টের আলোচনার প্রেক্ষিতে বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়- নামাজের সাথে অন্য ধর্মের কোনো ধর্মীয় আচরণ মিলে গেলেই কি নামাজ বাদ দিতে হবে?

ইসলামে মঙ্গল শোভাযাত্রার কোনো অস্তিত্ব নেই। হজ্জ্ব তো রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে করেছেন, সারা পৃথিবীর মুসলমানগন সেভাবেই পালন করে থাকেন। প্রাক ইসলাম যুগে যা-ই থাকুক আর না থাকুক সেটা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সারা জীবনে কখনও পালন করেছেন কি? করেননি। করতে বলেনওনি। তাহলে মুসলমানদের নিকট পবিত্র হজ্জ্ব আর মঙ্গল শোভাযাত্রা একইরকম হতে পারে কিভাবে?

জনাব,
মূর্তিপুজার ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? মুসলমানদের কি মূর্তিপুজা করা উচিত? উচিত মনে করলে পোস্ট দিয়ে সবিস্তারে বুঝিয়ে বললে বাধিত হতাম।

ভালো থাকবেন, জনাব।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলামে মঙ্গল শোভাযাত্রার কোনো অস্তিত্ব নেই। হজ্জ্ব তো রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে করেছেন, সারা পৃথিবীর মুসলমানগন সেভাবেই পালন করে থাকেন। প্রাক ইসলাম যুগে যা-ই থাকুক আর না থাকুক সেটা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়।
এটাকে কি কেহ ইসলাম ধর্মের সাথে যুক্ত করতে চেয়েছে যে এমন কথা বললেন ? রসুল (সা: ) স্বাধীন বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধ দেখেনি , সে কারনে কি এটাকে ইসলাম ধর্ম বাতিল করে দিবে ?

নামাজের সাথে অন্য ধর্মের কোনো ধর্মীয় আচরণ মিলে গেলেই কি নামাজ বাদ দিতে হবে?

মঙ্গল শোভা যাত্রার সাথে অন্য ধর্মের আচরণ মিলে গেলেই কি মঙ্গল শোভা যাত্রা বাদ দিতে হবে ?

মঙ্গল শোভাযাত্রা আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সারা জীবনে কখনও পালন করেছেন কি? করেননি। করতে বলেনওনি। তাহলে মুসলমানদের নিকট পবিত্র হজ্জ্ব আর মঙ্গল শোভাযাত্রা একইরকম হতে পারে কিভাবে?


রসুল সা: পৈতালিকদের তীর্থের আচার সাথে মিলে যাওয়া রিচুয়াল হজ্জে যুক্ত করে প্রমাণ করেন তীর্থ যাত্রা এবং হজ্জ আলাদা জিনিস । রসুল সা: অন্য ধর্মের ইবাদতের আচারের সাথে মিলে যাওয়া কিছু রিচুয়াল নামাজে যুক্ত করে প্রমাণ করেন নামাজ এবং অন্য ধর্মের পুজা বা ইবাদত এক জিনিস নয় । তাহোলে মঙ্গল শোভা যাত্রা এবং হিন্দুদের পুজা এক জিনিস নহে এবং এতে শরিক করার কোন প্রশ্ন আসে না ।

মূর্তিপুজার ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? মুসলমানদের কি মূর্তিপুজা করা উচিত? উচিত মনে করলে পোস্ট দিয়ে সবিস্তারে বুঝিয়ে বললে বাধিত হতাম।

এই বিষয়ে আপনাকে আগে কয়েকবার ব্যাখা করা হয়েছে , দয়া করে সেগুলো আবার পড়ে উত্তর বের করুন । মুসলমানদের শুধু মুর্তি কেন, অন্য কোন কিছু যেমন চন্দ্র, সুর্য, তারা, আগুন , গাছ , মৎস , গরু , কুমারী কণ্যা, শিব লিঙ্গ সহ অন্য যত এনটিটি আছে , সেগুলো পূজা করা হারাম, এক মাত্র আল্লাহর ইবাদত ছাড়া , ধন্যবাদ

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১০

বাংলার মেলা বলেছেন: ইসলামে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ফরজ নয়, কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ফরজ। তাই সময়ের দাবি পূরণে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ফরয হয়ে গিয়েছিল।

মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্দেশ্যই হল মঙ্গল কামনা করে শোভাযাত্রা। অন্য ধর্মের সঙ্গে মিলুক বা না মিলুক, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে মঙ্গলের কামনা করাই ইসলামী দর্শনের সাথে সরাসরি সাংঘর্শিক। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা এক কথায় বাতিল।

রাসূলের (সা) আগে পৌত্তলিক যুগে কাবা ঘরে ৩৬০ মূর্তি রেখে হজ্জ করা হত, কাবা ঘরকে তাওয়াফ করা হত উলঙ্গ অবস্থায়। তিনি এগুলো সব বাতিল করে কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী হজ্জের প্রচলন করেন, যেরকম হজ্জ কাবা ঘরের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহীম (আঃ) এর সময় চালু ছিল।

আপনার ব্যাখ্যা অনুযায়ী মুসলমানদেরও মূর্তি পূজা করা উচিত। কারণ মুসলমানেরা পূজা তো আর ইবাদত হিসেবে করবেনা, তারা করবে অন্য সম্প্রদায়ের উৎসবে নিজেকে শামিল করার অংশ হিসেবে। মুসলমান যদি নিজের ইবাদত ঠিকঠাক মত করে, তবে অন্যের উৎসবে অংশ নিতে তার বাধা কোথায়? কোরআন হাদিসে কোথাও কি নিষেধ করা আছে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

এ আর ১৫ বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্দেশ্যই হল মঙ্গল কামনা করে শোভাযাত্রা। অন্য ধর্মের সঙ্গে মিলুক বা না মিলুক, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে মঙ্গলের কামনা করাই ইসলামী দর্শনের সাথে সরাসরি সাংঘর্শিক। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা এক কথায় বাতিল।

অন্য কার কাছে মঙ্গল কামনা করা হয়েছে ? দয়া করে অন্য কোন জন তার নাম বলুন ? যদি আল্লাহ নাই এবং অন্য জন ও নাই তাহোলে ইসলামের সাথে কি করে সংঘর্সিক হয় । এই বার বলুন যদি আল্লাহর নাম নিয়ে , কোরান খানি , দোয়া মহফিল এবং সারা দিনের ইবাদত করে পহেলা বৈশাখ পালন করা হয় , তখন ও কি সেটা ইসলাম এলাউ করবে ? করবে না -- তখন আপনাদের মত মানুষ বলবে ওটা বিদাত , রসুল সা: , সাহাবারা কোন দিন এটা পালন করে নি , তাই এটা বিদাত । সোয়াব পারার উদ্দেশ্য কোন কিছু ইসলামে সংযোজন করা হোল বিদাত ।
আপনি এক কথায় বাতিল করার কে ? সেই অধিকার আপনারে কে দিয়েছে । আপনা গো হারাম হারাম ফতুয়াটাকে তো আমরা এক কথায় বাতিল করে দিয়েছি , যুক্তি প্রমাণ দাখিল করে ।

রাসূলের (সা) আগে পৌত্তলিক যুগে কাবা ঘরে ৩৬০ মূর্তি রেখে হজ্জ করা হত, কাবা ঘরকে তাওয়াফ করা হত উলঙ্গ অবস্থায়। তিনি এগুলো সব বাতিল করে কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী হজ্জের প্রচলন করেন, যেরকম হজ্জ কাবা ঘরের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহীম (আঃ) এর সময় চালু ছিল।

পৈতালিকরা যে ভাবে করুক না কেন , তাদের অনেক আচার কি হজ্জে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি ? এই কিছু মিলে যাওয়া কি রসুল সা: গ্রহন করেন নি ? পৈতালিকরা শুধু উলঙ্গ নহে , কেহ কেহ সিলাই বিহিন এক কাপড় পরিধান করে ও তীর্থ করতো । সুতরাং পুজার সাথে মঙ্গল শোভা যাত্রার কিছু জিনিস মিলে গেলে সেটা পুজা হয়ে যায় না ।

আপনার ব্যাখ্যা অনুযায়ী মুসলমানদেরও মূর্তি পূজা করা উচিত।


আমি কোথায় এমন ব্যাখা করেছি যে মুসলমানদের আল্লাহ ব্যাথিত অন্য কোন এনটিটিকে পূজা করা উচিৎ ? আমি প্রমাণ করতে চেয়েছি মঙ্গল শোভা যাত্রা মধ্য কোন ইবাদত বা পুজা বা আরাধনা নেই এবং এটাকে যারা পূজার সাথে কিছু আচারের মিলে যাওয়ার কারনে হারাম হারাম বলে দাবি করে , তাদেরকে জবাব দিয়ে বলেছি কোন কিছুর সাথে অন্য কিছু মিলে গেলে ,সেই দুটো জিনিস এক হয়ে যায় না , নামাজ এবং হজ্জের অনেক আচার অন্য ধর্মের আচারে সাথে মিলে গেছে বলে কি সে গুলো এক জিনিস হয়ে যাবে ? যদি এক জিনিস না হয়ে যায় , তাহোলে কেন মঙ্গল শোভা যাত্রাফারামহবে ? যদি একবার পড়ে বুঝে না থাকেন তাহোলে আবার পড়ুন দ্য়া করে , ধন্যবাদ


৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

বাংলার মেলা বলেছেন: হযরত আলী (রা) বলেছেন, "মূর্খদের সাথে তর্ক করতে যেওনা, তাহলে তারা তোমাকে তাদের স্তরে নামিয়ে আনবে।" আমিও তাই আর কোন তর্কে যাবনা। তবে কয়েকটি জিনিস ক্লারিফাই করার লোভ সামলাতে পারছিনা।

১। মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল থিম সং হলঃ
"তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে" বুঝাই যাচ্ছে, কার কাছে মঙ্গল চাওয়া হচ্ছে ।
আর যার কাছেই চাওয়া হোক - আল্লাহর কাছে তো চাওয়া হয়নি - এটা স্পষ্ট।

আমাকে বাতিল করার অধিকার দিয়েছে আমার শিক্ষা, আমার বিবেক, আমার অভিজ্ঞতা, আমার যুক্তি, কুরআন হাদীস ও শরীয়ত সম্পর্কে আমার জ্ঞান, ধর্ম নিরপেক্ষ দাবিদারদের আচরণ ইত্যাদি। রাসূল (স) ও তার সাহাবীদের দৈনন্দিন আচরণ পর্যবেক্ষণ করলেই বুঝা যাবে, তারা পৌত্তলিকদের সংস্কৃতি কিভাবে এড়িয়ে চলতেন জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে।

২। পৌত্তলিকদের কোন একটি আচারকেও রাসুল (স) হজ্জে অন্তর্ভুক্ত করেননি। রাসূল (স) যখন হজ্জ করেছেন, তখন একজন কাফিরকেও তার সাথে হজ্জ করতে দেয়া হয়নি। তিনি পুরো পদ্ধতি ঢেলে সাজিয়ে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। কেবল ইব্রাহীম (আ) এর সময়কালের সাথে যতটুকু মেলে, ততটুকুই রেখেছিলেন। (দ্রষ্টব্যঃ আর রাহীকুল মাখতুম- সফিউর রহমান মোবারকপুরী রহঃ)

৩। আপনার ব্যাখ্যায় 'আল্লাহ ব্যতিত' নেই। আল্লাহকে তার জায়গায় রেখেই পূজা করা জায়েজ করেছেন।

ইবাদত ছাড়া কোন কিছুর মাধ্যমে কোন কিছু কামনা করাই শিরক। যেহেতু মঙ্গল শোভাযাত্রায় মঙ্গল কামনা করা হয়, তাই তা শিরক এবং হারাম। শিরক সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে অনেক কিছু জানতে হয়। আধো আধো জ্ঞান নিয়ে ফতোয়া দেয়া যায়না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন: প্রথম বিষয় হোল , আপনি আমার লেখাটা ভালো করে না পড়েই জগাই পাকাচ্ছেন । এটা আপনাদের দাবি মঙ্গল শোভা যাত্রা হারাম এবং এটা কেন হারাম তার পক্ষে যুক্তি হোল -- এখানকার আনেক কিছু নাকি পূজার আচারের সাথে মিলে যায় , তাই হারাম ( এবং অনেক কিছু মিলেও না ) --- এই মিলে যাওয়ার জন্য যদি পূজা আর মঙ্গল শোভা যাত্রা এক হয়ে যায় --- তাহোলে প্রশ্ন করা হয়েছে পুজারে অনেক কিছুর সাথে নামাজের অনেক কিছু মিলে যায় , উদাহরন সহ বলা হয়েছে এবং একই ভাবে পৈতালিকদের তীর্থ যাত্রার সাথে হজ্জের ও অনেক জিনিস মিলে যাচ্ছে , যার উদাহরন দেওয়া হয়েছে ।
এখানে মিলে যাওয়ার কারনে নামাজ ও পূজা কোন দিন এক জিনিস বলা যাবে না এবং তীর্থ যাত্রা আর হজজকে এক জিনিস বলা যাবে না --- আপনারা এটা মানেন এবং বিশ্বাষ করেন , তাহোলে কি কারনে পূজা সাথে মঙ্গল শোভা যাত্রা কে মিলিয়ে ফেলে হারাম ঘোষনা করেন ----- এ্টা ছিল মূল কথা , সেটা তো আপনি বুঝতে পারেন নি তাই , জগাই পাকাইতেছেন ।

১। মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল থিম সং হলঃ
"তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে" বুঝাই যাচ্ছে, কার কাছে মঙ্গল চাওয়া হচ্ছে ।
আর যার কাছেই চাওয়া হোক - আল্লাহর কাছে তো চাওয়া হয়নি - এটা স্পষ্ট।


আপনার তো দেখছি বোধ উপলদ্ধিগত অনেক সমস্যা আছে , তানা হোলে এটা কি বলছেন --- গানের প্রথম কথা হোল -- এসো সে বৈশাখ এসো এসো , "তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে"-- এখানে কোন এনটিটির কাছে কিছু কি চাওয়া হয়েছে ? বৈশাখ মাসের বৈশিষ্ঠের কথা বলা হয়েছে - বৈশাখ মাসে তাপস নি:শ্বাস বায়ে -ইত্যাদি ইত্যাদি , মৌসুমি আবর্জনা দুর হয়ে যাক যাক এসো এসো ---- গানটা মধ্যে কি কোন এনটিটির কাছে কিছু চাওয়া হয়েছে । বোঝার অক্ষমতার দায় কেন অন্য কেউ নেবে ?
৩। আপনার ব্যাখ্যায় 'আল্লাহ ব্যতিত' নেই। আল্লাহকে তার জায়গায় রেখেই পূজা করা জায়েজ করেছেন।

আপনার বোধ বুদ্ধিগত সমস্যার সমাধান করার দায়িত্ব আমার নেহ --- পূজা তো কোন বিশেষ এনটিটিকে করতে হয় -- মঙ্গল শোভা যাত্রাতে কোন ডিভাইনের মন্ত্র পড়া হয় বা কোন এনটিটির ইবাদত করা হয় ?

ইবাদত ছাড়া কোন কিছুর মাধ্যমে কোন কিছু কামনা করাই শিরক।

বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে কামনা করে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চাম্পিয়ান হোক -- তাহোলে এটা শরিক করা হয়ে গেল - কারন আল্লাহর কাছে ইবাদত করা হয় নি তাই । ইবাদত না কে ব্রাজিলের সাপোটাররা চায় ব্রাজিল এবং ইবাদত না করে আরজেনটিনার সমর্থকরা আর্জেনটিনার চাম্পিয়ান হওয়া কামনা করে , তাহোলে ওনারা শিরক করে ফেলেছে ।

এক জন বাপ ইবাদত ছাড়া কামনা করছে তার ছেলে ডাক্তার হোক -- তার মানি তিনি শরিক করে ফেলেছে ।

শিরক সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে অনেক কিছু জানতে হয়। আধো আধো জ্ঞান নিয়ে ফতোয়া দেয়া যায়না।

এই মাত্র তো আপনার শিরক বিদ্যার দৌড় দেখলাম । ইবাদত ছাড়া কামনার নাম হোল শিরক করা !!!! এক পোলা এক মেয়ে
কামনা করে , বিয়ে করতে চায় মনে মনে কোন ইবাদত ছাড়াই -- সুতরাং সে শিরক করেছে । এক জন লোকের কামনা , বাজারে বড় মাছটা কিনবে যতই দাম হোক -- তারমানি সে চিন্তার মাধ্যমে শিরক করেছে এবং এই সিদ্ধান্ত ইবাদত না কর করেছে । এই তো আপনার শিরক বিদ্যা , চালাই যান ।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ইসলামিক বিষয়ে আপনার জ্ঞান যে কম তা স্পষ্ট।

আমি রাত্রে বিস্তারিত বলবো। ইনশা আল্লাহ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ও আইচা ! রাত্রে বলবেন , দিনে বইললে বুঝি শিরক করা হয়ে যাবে ?

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২

অদৃশ্য বালক বলেছেন: ভাই আপনি কিসের সাথে কিসের তুলনা মিলিয়ে একটা জগাখিচুড়ি পোষ্ট দিলেন। খুব ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন আপনি নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দান করেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার যদি মঙ্গল শোভা যাত্রার মধ্যে পুজা আবিষ্কার করে জগা খিচুড়ি করতে পারেন তাহোল -- জগাখিচুড়ি পাকাতে হবে , তাই না ।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অনুভব সাহা বলেছেন:

আপনি মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভূগছেন


ব্লগে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক পোস্ট ও মন্তব্য আছে। নতুন করে ত্যানা পাকিয়ে বুদ্ধিজীবী সাজার মানে কী?


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সকল নাগরিকের মানসিক সুস্থতার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করুন


শেষ কথা , ভালো লাগলে মঙ্গল শুভা যাত্রায় গিয়ে লফ ঝাপ করুন। কে নিষেধ করেছে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি বুঝি মানসিক চিকিৎসকের সাথে দেখা করে পোষ্ট দিতে বসেছেন ? সে কারনে সব কিছুকে ত্যান মনে হচ্ছে আপনার এবং সবাইকে বুদ্ধিজীবি মনে হচ্ছে ।
যত দিন সুস্থ না হবেন তত দিন এমন মনে হবে । তবে রেগুলার মানুষিক চিকিৎসকের সাথে যোগযোগ করবেন এবং বলবেন -- ব্লগের লেখা গুলোকে আপনার ত্যানা প্যাচানো মনে হয় এবং সবাইকে বুদ্ধিজীবি মনে হয় । তাহোলে মানষিক চিকিৎসক সঠিক ভাবে আপনার ট্রিটমেন্ট করতে পারবে ।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

আহা রুবন বলেছেন: আমাদের গ্রামে চার বছর আগ পর্যন্ত বৈশাখে উৎসব হত। গ্রামের চাষাভুষা, ছাত্ররা মিলে নানা খেলা, গানের অনুষ্ঠান করত। বুড়োরা বল খেলত, মজা করত। গরুর দৌড় হত। শেষে সবার আগ্রহ থাকত কে কে পুরষ্কার পেল।

হুজুরের বাগড়া লাগাল, বৈশাখী অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেল। এখন ছেলেরা উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে ক্ষেতের মধ্যে ডিজে পার্টি করে, ভটভটি/মিনি ট্রাক ভাড়া করে নাচানাচি করে, রাস্তায় মেয়ে দেখলে উত্ত্যক্ত করে, পাশের গ্রামের সঙ্গে (মেয়ে উত্ত্যক্তকে কেন্দ্র করে) মারামারি করে। হুজুরেরা খুব খুশি পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান তো বন্ধ হয়েছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

এ আর ১৫ বলেছেন: এটা খুবই দু:খজনক ঘটনা , বর্তমান সরকার যে ভাবে হেফাজতিদের তোয়াজ করে চলছে , সেখান থেকে তারা এমন ঘটনা ঘটাবার সাহস পেয়েছে । সচেতন মানুষদের এটার প্রতিহত করা এগিয়ে আসতে হবে । ধন্যবাদ

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষদের পূর্বপুরুষরা বেশীর ভাগই হিন্দু ছিল এমনটা মনে করা খুব ভুল ধারণা নয়। কেননা, আরব ও এর পার্শ্ববর্তী দেশের লোকেরা এখানে এসে ধর্ম প্রচার করার পর এখানকার হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন। তাই বলা চলে অনেকের শরীরেই এখনো হিন্দুর রক্ত বহমান।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

এ আর ১৫ বলেছেন: তাই বলা চলে অনেকের শরীরেই এখনো হিন্দুর রক্ত বহমান।

ঠিক বলেছেন । তারা কারা জানেন , যাদের ঈমাণ হাটুর নীচে , মঙ্গল শোভা যাত্রাকে পুজা মনে করে , কারন এটাকে সমর্থন করলে তারা ঈমাণ হারিয়ে শেরেকি শুরু করে , হাইকোটর পাশে মূর্তি দেখলে ঈমাণ নষ্ঠ হয়ে যায় । তাই এগুলো সরাতে চায় , কারন ঈমাণ দুর্বল এবং সামনে আসলে ঈমাণ চূত হয় ।

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: দুঃখিত ব্যাস্ততার কারনে রাত্রে উত্তর দিতে পারি নি।

যদিও আমি শুরুতে বলেছি ধর্ম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কম।আপনার ধারনার মধ্যে রয়েছে অজস্রভুল।

যাই হোক হিন্দু ধর্ম আর ইসলাম এদের মধ্যে আপনি যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তার আগে আপনাকে জানতে হব ইসলামে উৎপত্তি ও হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি।

হিন্দু শব্দটি উৎসারিত হয়েছে সংস্কৃত সিন্ধু শব্দটি থেকে। সিন্ধু ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক নদীর নাম ঋগ্বেদে সিন্ধু নদের স্তুতি করা হয়েছে। পরবর্তীকালের আরবি সাহিত্যেও আল-হিন্দ শব্দটির মাধ্যমে সিন্ধু নদ অববাহিকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে।প্রকৃতপক্ষে ৭১২ খৃষ্টাব্দে যখন মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু প্রদেশ জয় করেন তখন থেকে তাদের মধ্যে সিন্ধুর স্থলে হিন্দ শব্দটির ব্যাপক প্রচলন ঘটে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতের নামের সমার্থক শব্দ হিসেবে হিন্দুস্তান বা হিন্দুস্থান শব্দটির উৎপত্তি হয়। এই শব্দের আক্ষরিক অর্থ “হিন্দুদের দেশ”। ইংরেজি ভাষাতে ভারতের স্থানীয় ধর্মীয়, দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলি বোঝাতে হিন্দুইজম বা হিন্দুধর্ম কথাটি চালু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে।

আর ইসলাম শুরু হয় প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এর দুনিয়ায় আগমনের পর থেকেই।কিন্তু তার সন্তানেরা পথ ভ্রষ্ট হয়ে নানা অইসলামিক কার্যকলাপের দিকে পা বাড়ায়।তাঁদের ইসলামের পথে আনার জন্য মহান রব্বুল আ'লামিন যুগ যুগ ধরে অসংখ্য নবী রাসুল প্রেরন করেছিলেন।এবং সর্বশেষ নবী হযরত মুহ'ম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে দীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা লাভ করে।যার ধারাবাহিকতা আমরা আজব্দি বজায় রেখেছি।অন্যান্য কিছু নবীদের যুগে নামাজ ছিলো কিন্তু আমাদের নবীর আমলে নামাজ ও আল্লাহর পথে আহ্বান করার পূর্নাঙ্গ নির্দেশ দেন মহান রাব্বুল আ'লামিন।আর এই যে নামাজের প্রতি আহ্বান জানানো সহ অন্যান্য ব্যাপাগুলো হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি লাভের বহু পূর্বে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ।

আচ্ছা এবার আসি অন্য কথায়,
মঙ্গল শোভাযাত্রার মানুষগুলো সম্পূর্ণ জ্ঞানহীন।কারন সে নিজেই যদি হয় খারাপ এবং ভালো হওয়ার চেষ্টা না করে তাহলে মঙ্গলশোভাযাত্রা তার জন্য কি মঙ্গল বয়ে আনবে?এটা মানুষের সৃষ্টি করা যাত্রা আর মানুষকেই এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।কারন ভালো মানুষের জন্য মঙ্গলশোভাযাত্রার প্রয়োজন পড়ে না।
মহান রাব্বুল আ'লামিন বলেছেন,তোমরা সৎকাজে উপদেশ দাও এবং অসৎকাজে নিষেধ করো।এবং তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসো তার রাসুলদেরকে অনুসরন কর।কোন মঙ্গল কিছু চাইতে হলে আল্লাহর কাছে চাও অন্য কারও কাছে নয়।আর আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে কার কাছে মঙ্গল চাইছি?আপনি কার কাছে চাইছেন?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২০

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার মত মানুষদের সমস্যা হোল লেখার থিম না পড়ে না বুঝে - উল্টাপাল্টা মন্তব্য করা । আমার লেখার মূল জিস্ট হোল দুটো জিনিসের মধ্যে কিছু জিনিস ম্যাচ করে গেলে সে দুটো জিনিস এক হয়ে যায় না । যেটা আপনার মত তথাকথিত মমিনরা মানতে চায় না , যেমন গরুর একটা মাথা আছে , ২টা কান আছে , ৪ টা পা আছে , ১টা লেজ আছে , গরু তৃণভূজি --- ঠিক একই ভাবে হাতীর ১টা মাথা আছে , ২টা কান আছে , ৪টা পা আছে, একটা লেজ আছে এবং হাতী তৃণভূজি ----- তাহোলে গরু আর হাতী একই প্রাণী ? আপনার মত কাট মোল্লারা প্রমাণ করতে চাচ্ছে মঙ্গল শোভা যাত্রা আর পুজা একই জিনিস কারন ঐ দুটোর মধ্য কতক গুলি জিনিস মিলে যায় , তাই । গরু হাতী একই প্রাণীর মত ।
তাহোলে নামাজের সাথে কিছু জিনিস পূজার সাথে মিলে যায় এবং হজজের সাথে ঐ আমলের তীর্থযাত্রার অনেক কিছুই মিলে যায় কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আপনাদের অভিমত কি সেটা জানতে চেয়েছি । প্রশ্ন করেছি গরু হাতী মার্কা মিল থাকার পর আপনারা দাবি করেন এবং আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাষ করি নামাজ এবং হজজ আলাদা জিনিস ----পূজা এবং তীর্থযাত্রা থেকে ।

তাহোলে গরু হাতী মার্কা মিলের জন্য কি কারনে মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং পূজা এক জিনিস হবে ?

মঙ্গল শোভাযাত্রার মানুষগুলো সম্পূর্ণ জ্ঞানহীন।কারন সে নিজেই যদি হয় খারাপ এবং ভালো হওয়ার চেষ্টা না করে তাহলে মঙ্গলশোভাযাত্রা তার জন্য কি মঙ্গল বয়ে আনবে?

এটা আজগুবি যুক্তি, যে খারাপ লোক সে যদি ভালো হওয়ার চেষ্টা না করে শুধু মঙ্গল শোভা যাত্রা কেন , সে যদি ইবাদত হজ্জ , রোজা ইত্যাদি পালন এবং জাকাত দিয়ে ও থাকে, তাতে কোন মঙ্গল বয়ে আনবে না । আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে খারাপ লোক নিজে ভালো নাহয়ে যদি মঙ্গল শোভা যাত্রা করে তাহোলে মোটেও মঙ্গল হবে না ,, কিন্তু খারাপ লোক নিজে ভালো না হয়ে নামাজ , রোজা, হজজ করে এবং জাকাত দিয়ে ধর্ম পালন করে তাহোলে মঙ্গল হবে । আমি নিমিশে কয়েক হাজার লোকের উদাহরন দিতে পারি যারা খারাপ লোক কিন্তু খুব ধর্ম পরায়ন । লেটেস্টা অধ্যক্ষ ফেনি মাদ্রাসা সিরাজ উদ্দৌলা , আরো লেটেস্ট কিছু চাইলে দিতে পারি ।

এটা মানুষের সৃষ্টি করা যাত্রা আর মানুষকেই এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।কারন ভালো মানুষের জন্য মঙ্গলশোভাযাত্রার প্রয়োজন পড়ে না।

ধর্ম কর্ম পালন করে, এমন হাজার কেন , কোটি কোটি খারাপ মানুষ আছে যেমন -- জামাতী , তালেবানি , হেফাজতি, বোক হারাম , আই এস আই , জে এন বি , হরকাতুল জেহাদ , লস্করি তৈয়ব । আল্লাহর সৃষ্ঠ বিধান তাদের ভালো মানুষ বানাতে পারিনি ।
যারা মঙ্গল শোভা যাত্রার ভিতর পূজা আবিষ্কার করে -- হারাম হারাম ফোতুয়া দিচ্ছে ---- তারা ধর্ম পরায়ন কিন্তু অপব্যাখা কারি বিভ্রান্ত সৃষ্ঠি কারি , ফেতনা সৃষ্ঠি কারি খারাপ মানুষ । আল্লাহ নিজেই ফেতনা সৃষ্ঠিকারি , অপব্যাখা কারিদের জাহান্নামি বলেছেন ।

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: ছাগলের কাজ কি বলেন? দিন রাত ম্যা ম্যা করা। এই সব তথাকথিত মোমিনদের ম্যা ম্যা শুনে উত্তেজিত হয়ে কি লাভ। এদের কে একটাই ঔষাধ দেয়া দরকার সেটা হল কানের নিচে ঠাটিয়ে একটা বিরাশি সিক্কা ওজনের থাবড়া দেয়া।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

ইনাম আহমদ বলেছেন: এসব ইসলামিক-অইসলামিক কোনো ব্যপার না। হুজুরদের যতো রাগ পহেলা বৈশাখ নিয়ে।
২০০১ সালে ছায়ানটে হুজুরদের দ্বীনী সৈনিকরা বীরবিক্রমে বোমাহামলা করে ভেবেছিলো দেশে ইসলামী খিলাফত কায়েম হবে।
দেশের মসজিদে-মসজিদে, শিবিরপন্থী শয়তানগুলোর বাড়ীতে উল্লাস বয়ে গেছিল, এবার নববর্ষ বরণের বিদআতী সংস্কৃতি বন্ধ হয়ে যাবে। সেইসব জানোয়ারগুলোর নাচানাচি এখনও মনে আছে।
কিন্তু বেহায়া বাঙালি জিহাদীদের বোমাহামলার পরও তার সংস্কৃতি ছাড়েনি। তাই তার অল্প কিছু পর থেকেই হুজুরেরা ঈমানযুদ্ধে নামলেন। এখন পহেলা বৈশাখ দেশে বহু ছাগলের কাছে ঈমানসংকট। জুম্মার খুৎবায় হুজুরেরা কান্নাকাটি করেন, বাংলার মাটিতে বাংলা সালের পরিবর্তে হিজরী সাল প্রবর্তিত হোক।
মাদ্রাসার শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা বন্ধ করে দেয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.