নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (ভ্যালেনটাইন ডে ) বনাম কাঠমোল্লা ফতুয়া !

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২০

এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাঠ মোল্লারা দাবি করছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা হারাম । তাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্লগে যে সব তর্ক হয়েছে সেই বিষয় গুলো নিয়ে কিছু আলোকপাত করতে চাই । তাদের যুক্তির সাথে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে এই লেখাটিতে ।
মোল্লার বয়ান :: এই দিনের নাম সেইন্ট ভ্যালেনটাইনের নামে রাখা হয়েছে, সে একজন খৃষ্টান , তাই হারাম

তাহোলে আর্কিমিডিসের সূত্র, নিউটনের সূত্র, পিথাগোরাসের সূত্র , আইন্সটাইনের সূত্র -- সব গুলোকে হারাম বলতে হবে কারন ঐ সূত্র গুলোর নাম রাখা হয়েছে তাদের নামে এবং তারা মুসলমান নহে ।

মোল্লার বয়ান ::: এই দিন অবিবাহিত ছেলেরা মেয়েদের প্রেম নিবেদন করে !

এটা কোন বাধ্যতা মূলক বিষয় নহে যে শুধু ছেলেরা এই দিবসে প্রেম নিবেদন করবে এবং বৎসরের ৩৬৪ দিন করবে না । এই দিনে প্রেম নিবেদন করলে মেয়েরা সেটা গ্রহন করতে বাধ্য -- এমন কোন আজগুবি অবলিগেশন কোথাও নেই ।

মোল্লার বয়ান :: এই দিন প্রেমিক যুগল যৌন লিলায় মত্ত হয় !

কোন প্রেমিক যুগলের সম্পর্ক যদি চরম পর্যায় চলে যায়, তাহোলে তারা ডেটিং যে কোন দিনই করতে পারে । ব্যপারটা এমন নহে তারা শুধু বৎসরে একবার ঐ দিন ডেটিং করে এবং বাকি ৩৬৪ দিন ডেটিং করে না ।
ভালোবাসার দিবস শুধু মাত্র প্রেমিক প্রেমিকার ডেটিং এর মধ্য সীমাবদ্ধ নহে । এই দিবস বর্তমানে সবার মধ্য ভালোবাসার যেমন বাবা মা বা ভাই বোন বা বন্ধু বান্ধব বা পাড়াপড়শী বা মানুষে মানুষে ভালোবাসার বন্ধন হিসাবে মূলত পালন হয় ।

মোল্লার বয়ান :: এই দিবস খৃষ্টান ধর্মের রিচুয়াল তাই হারাম

সেইন্ট ভ্যালেনটাইনের ঘটনাটা ঘটে যিশু খৃষ্ঠ মারা যাবার প্রায় ২৫০ শত বৎসর পরে এবং এই ব্যপারে বাইবেলে কোন নির্দেশ নেই এবং খৃষ্টানরা ধর্মীয় ভাবে গীর্জায় গিয়ে কোন রিচুয়াল করে না , তাহোলে এটা কি করে ঐ ধর্মের রিচুয়াল হোল । এখানে উল্লেখ যোগ্য হোল বর্তমানে আমাদের দেশে খৃষ্টান মহিলাদের মাথায় হিজাব পড়ার রিচুয়াল পালন করা শুরু হয়েছে অনেক মহিলাদের ভিতর কিন্তু মাওলানরা আশ্চর্য জনক কারনে দাবি করছে এটা নাকি ইসলামিক কালচার । এক কালে বেশির ভাগ খৃষ্টান মহিলারা মাথায় ভেইলিং হিজাব পড়তো কিন্তু বর্তমানে এটা শুধু মাত্র নান রা পরিধান করে । ভ্যালেনটাইন দিবস খৃষ্টানদের রিচুয়াল নেহ কিন্তু তারা সেটা তাদের রিচুয়াল বলে দাবি করে কিন্তু যেটা সত্যই খৃস্টানদের রিচুায়াল সেটাকে ইসলামিক বলে দাবি করে ।

এবার আমরা যদি ভ্যালেনটাইন দিবসের ইতিহাসটা দেখি, সেখানে অন্য রকম চিত্র দেখতে পাই । ঐ সময়ের কোন এক রাজা , সম্ভবত রোমান কোন রাজা -- যুবক সৈনিকদের বিবাহ করাকে নিষিদ্ধ করে ছিল, তার ধারনা হয়েছিল, বিবাহিত সৈনিকরা ভালো যোদ্ধা হতে পারে না, তাই । এই পরিস্থিতিতে অবিবাহিত সৈনিকদের মধ্যে ব্যপক বিরুপ ক্রীয়া হয় , তারা গোপনে তাদের প্রমিকাদের সাথে মেলে মেশা অব্যাহত রাখে, যেটা অনেকটা ব্যাভিচারের পর্যায় চলে যায় । তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইলেও, ভয়ে কোন জাজক তাদের বিয়ে দিতে সাহস করে না । তখন সেইন্ট ভ্যালেনটাইন জীবনের ঝুকি নিয়ে গোপনে এই সমস্ত যুগলদের বিয়ে দিয়ে দিতে শুরু করে । এক সময় বিষয়টি রাজার কাছে ধরা পড়ে এবং রাজার আদেশ অমান্য করার জন্য তাকে ফাসি দিয়ে হত্যা করা হয় ।

আমাদের মোল্লারা কোন জগতে বাস করে , সেটা আল্লাহ ছাড়া কেহই জানে না । সেইন্ট ভ্যালেনটাইন যা করেছে সেটা রাজার কাছে অপরাধ হতে পারে কিন্তু বিবাহে আগ্রহি সৈন্যদের রাজার আদেশ অমান্য করে গোপনে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কাজটি-- কি কারনে কাঠ মোল্লাদের কাছে অপরাধ , সেটা কিছুতেই বোধগোম্য হোল না ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: এ আর ১৫,




গোমরাহ আর অন্ধত্ব যখন একটা গোষ্ঠীকে গ্রাস করে তখন তাদের ভাবনা চিন্তাতেও তার ছাপ পড়ে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

এ আর ১৫ বলেছেন: এটা খুব দু:খজনক বিষয় ভাই । এক মাত্র সচেনতাই সঠিক সমাধান দিবে । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস ঠিক বলেছেন।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

নাহিদ০৯ বলেছেন: এটা কাঠমোল্লাহ বলাতেই যে নিষিদ্ধ তা না। একটা সুস্থ সমাজে অবশ্যই অবাধ মেলামেশা অশান্তির সৃষ্টি করে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এটা কাঠমোল্লাহ বলাতেই যে নিষিদ্ধ তা না

তাহোলে কি কারনে নিষিদ্ধ , যদি কাঠমোল্লা বলাতে নিষিদ্ধ না হয় ?


একটা সুস্থ সমাজে অবশ্যই অবাধ মেলামেশা অশান্তির সৃষ্টি করে।
অবাধ মেলামেশা কাকে বলে জানেন ? পশ্চিমা বিশ্বে নারি পুরুষ যে ভাবে মেলামেশা করে তাকে অবাধ মেলামেশা বলে । আমাদের দেশে ওপেনলিং কখনো মেলামেশ হয় না , সুতরাং অবাধ মেলামেশার প্রশ্নই আসে না ।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অশালীন বেলাল্লাপনা লিভ টুগেদার এসবই হারাম।,... গান বাজনা নাচানাচি গান অথচ আল্লাহর ইবাদতে কয় ঘন্টা ব্যয় করেন। মোল্লারা কিছু বললে অথবা সাধারণ মানুষ কিছু বললেই আপনার ছাই দিয়া ধরেন.... এসবই দুনিয়ার মোহ। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

এ আর ১৫ বলেছেন: অশালীন বেলাল্লাপনা লিভ টুগেদার এসবই হারাম।
এক কাজ করেন, আপনি বৎসরের ৩৬৫ দিনকেই হারাম ঘোষনা করেন কারন ঐ ৩৬৫ দিন কোন না কোন যুগল বেলাল্লাপনা লিভ টুগেদার করে তাই :) :) :)

,... গান বাজনা নাচানাচি গান অথচ আল্লাহর ইবাদতে কয় ঘন্টা ব্যয় করেন।

গান বাজনার অনুষ্ঠানে দুই তিন মাসে হয়ত একবার যাওয়া হয় কিন্তু তার থেকে বেশি ইবাদত করা হয় ।

মোল্লারা কিছু বললে অথবা সাধারণ মানুষ কিছু বললেই আপনার ছাই দিয়া ধরেন.... এসবই দুনিয়ার মোহ।

সাধারন মানুষ কিছু বলে না, কাঠমোল্লারা অপব্যাখা করে, তাই ছাই নহে যুক্তি এবং তথ্য দিয়ে ধরি ।

আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন।
কাঠমোল্লার পথ সঠিক পথ নহে , তাই আল্লাহ যেন আমাদের কাঠমোল্লার পথ হতে বাহির করে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করে, আমিন ।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখেছেন ভাল, তবে শিরোনামটা কিছুটা উস্কানিমূলক বৈকি !

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

এ আর ১৫ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । শিরনামটি আপনি কি লিখতেন ভাই ?

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: মোল্লাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। ওরা ভন্ড।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: এই ব্লগে তো অনেক কাঠমোল্লা আছে , তাদের দূরে রাখবেন কি করে ? তারা তো তাদের ফতুয়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের অনেক সাগরেদ আছে তাল দেওয়ার ।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫

নতুন বলেছেন: ভালোবাসা দিবসে আপনি কতটুকু ভালোবাসা প্রকাশ করলেন সেটাতে কারুরই কোন সমস্যা বা লাভ নাই...

আসলে কি কারনে এই সব দিবস ফিবস বানানো হয় সেটা একটু খেয়াল করুন.... তবেই বুঝতে পারবেন এটা আমাদের জন্য কতটুকু দরকার।

এর পেছনে ১০০% ব্যবসায়ী উদ্দেশ্য জড়িত...অন্য কিছু না। রোজ ডে, চকলেট ডে, প্রপোজ ডে, ভ্যালেন্টাইনস ডে....

আর মুল্ল্যারা একটু না বুঝেই লাফায়.... সেটা অন্য সমস্যা।

১৫ বছর থেকে প্রেমে পরিনতি কিন্তু ৯৯% ই বিয়েতে গড়ায় না.... কিন্তু বছর বছর বিছানা পযন্ত গড়ানোর হার কিন্তু বারছে....

সেটা বেশ কিছু সামাজিক সমস্যা সৃস্টি করছে.....তাই আমাদের সমাজের প্রক্ষিতে আমিও মনে করি ভ্যালেন্টাইনস ডে আমাদের না পালন করে পহেলা ফাল্গুনের উতসবে সবাই মেতে উঠতে পারি।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ১৫ বছর থেকে প্রেমে পরিনতি কিন্তু ৯৯% ই বিয়েতে গড়ায় না.... কিন্তু বছর বছর বিছানা পযন্ত গড়ানোর হার কিন্তু বারছে....
এর জন্য কি ভ্যালেনটাইন ডে দায়ি ? ১৯৯২ সালে আমাদের দেশে এই দিবস পালন শুরু হয় , এর আগে কি আমাদের দেশে কোন প্রেমিক প্রেমিকা ছিল না এবং তারা কি ডেটিং করতো না বৎসরের ৩৬৫ দিন ?
সেইন্ট ভ্যালেনটাইন কি ডেটিং করার পক্ষে ছিলেন ? রাজা যুবকদের বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিল তখন গোপনে তারা প্রেমিকার সাথে ডেটিং করতো । সেটা সেইন্ট ভ্যালেনটাইন পছন্দ করতেন না, তাই রাজার হুকুম অমান্য করে গোপনে তাদের বিবাহ দিয়ে দিতেন ।
ভ্যালেনটাইন ডে তে প্রেমিক প্রেমিকারা ডেটিং লিভটুগেদার বন্ধ করে বিবাহ করলে , সেইন্ট ভ্যালেনটাইনের জীবনাদর্শ বাস্তবায়িত হোত কারন তিনি ডেটিংকারি যুগলদের গোপনে বিবাহ দিয়ে দিয়েছিলনে । তার উদ্দেশ্য ছিল ডেটিং লিভটুগেদার বন্ধ করা । ধন্যবাদ

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

নতুন বলেছেন: ভ্যালেনটাইন নিয়ে অনেক কাহিনি আছে.... কোনটা ঠিক কেউই জানেনা।

ব্যবসায়ীদের একটা বাহানা দরকার একটা দিবস বানাতে.... সেটা তারা বানিয়েছে।

আমি ২টা কাপলকে আমার বাসায় বিয়ে দিয়েছিলাম কলেজ জীবনে.... কিন্তু রুমে ডেটিং করতে সমথ`ন করিনি কখনো।

অনেকেই এই রকমরর দিবসের বাহানায় প্রমিকাকে ইমোসনাল ব্লাকমেইল করে বিছানায় নেয় সেটা এর একটা বাজে দিক....

১২-১৬ বছরের বালিকানা প্রতারনা বুঝার মতন বুদ্ধি কমই থাকে.... ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.