নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুফতি রাজ্জাকের বয়ান ------ চির দিন তোমার আকাশ , তোমার বাতাস ---- আরে বেটা আকাশটা কি তোর বাপের, এই আকাশ আল্লাহর , যত সব কুফরী কথাবার্তা জাতীয় সংগিতে !!!!!
তারপরের ঘটনা , মাদ্রাসায় জাতীয় সংগিত গাওয়া হয় না , সমস্যা কোথায় ? সমস্যা এই এখানে --- চির দিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস----- এই আকাশের মালিক আল্লাহ বাংলাদেশ নহে ।
সে হিসাবে বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু বাংলার ফল --- তাহোলে এই বাংলাদেশের ভিতরের মাটি জল বায়ু ফল সব কিছুর মালিক আল্লাহ । তাহা হইলে এই কথাও কুফরী !!!
এই বার সমস্যার কথা বলি এক এক করে -------
১) যারা বাংলাদেশের আকাশের উপর দিয়ে প্লেন নিয়ে আসবেন তারা কি বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুমুতি নিবে নাকি আল্লাহর আকাশ শুধু আল্লাহর অনুমুতি যথেষ্ঠ। সৌদি আরবের আকাশে বাহিরের কেউ উড়ার ইচ্ছা হলে কি তখন সেই দেশের সরকারের অনুমুতি লাগে ?
বর্তমানে বাংলাদেশের আকাশের উপর সার্বভৌমিক অধিকার আল্লাহ তালা কি বাংলাদেশকে দেয় নি ?
২) এই মাটি এই জল সব কিছুই আল্লাহর তাহোলে কেউ জমি জামা কিনতে গেলে কি আল্লাহর কাছে রেজিষ্ট্রেশন করবে নাকি দেশে সরকারের কাছে কোরবে । বাংলাদেশের ভিতর জমি মাটির সার্বভৌমিক বর্তমান মালিক কি বাংলাদেশ জনগণ নহে ?
৩) আমরা এখন কি ভাষা ব্যবহার কোরবো - যখন কেউ বোলবে--- এই জমি আমার , এই বাড়ী আমার ইত্যাদি কারন এই কথা বল্লেতো কুফরী হয়ে যাবে মুফতি রাজ্জাকের বয়ান অনুযায়ি যা মাদ্রাসাতে অনুসরন করা হয় । এই জমি এই বাড়ী আমার---- কে বোল্লো বা এই মাটি এই বাড়ী আমার বাপের---- কে বোল্লো সব কিছুর মালিক ঔ উপরের ওয়ালা !!!!
৪) কতক গুলো ব্যপার আছে যে গুলো ডিফ্লট বিষয়, উচ্চারন করা লাগে না এবং সংশিত হওয়ার মত ব্যপার নয় । একটা দেশের সমস্ত সম্পদ জমি জামা যা জনগনের অধিকারে আছে সব কিছুর মালিক রাষ্ঠ্র । রাষ্ঠ্রের ক্ষমতা আছে যদি প্রয়োজন হয় যে কোন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা অধিগ্রহন করতে পারে । কিন্তু সব কিছুর মালিক রাষ্ঠ্র এইটা কি বলার দরকার আছে বার বার । কেউ যদি বলে আমি ১০০ বিঘা জমির মালিক তখন কি রাষ্ঠ্র দ্রোহিতা হোয়ে যাবে ? কারন রাষ্ঠ্র ইচ্ছা করলে তাকে ফকির বানিয়ে দিতে পারে । এই আকাশ আমার এই বাতাস আমার এই জল আমার বোল্লে কি আল্লাহর প্রতি চ্যালেন্জ ছোড়া হবে ?
সব কিছু স্পিরিচুয়াল আঙ্গিকে দেখতে গেলে ফলাফল এই রকমই হয় ।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ যদি এসব আমাদেরকে দান করে থাকেন তবে কি আর তাঁর মালিকানা থাকে?
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
এ আর ১৫ বলেছেন: দেখুন স্পিরিচুয়াল দৃস্টিতে গোটা বিশ্বব্রমান্ডের মালিক আল্লাহ এবং সব কিছুই তার নিয়ন্ত্রণে ----- এই কন্সেপ্টের সাথে জাগতিক বিষয় গুলোকে মেস করা উচিৎ নহে । আপনি যদি কাউকে ১০০ টাকা দান করেন তখন কি আপনার ঐ টাকার উপর মালিকানা থাকে না কিন্তু এই কন্সেপ্ট আল্লাহর ক্ষেত্রে খাটেনা ।
জাগতিক ভাবে কেউ বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার কোরতে চেলে সরকারের অনুমুতি নিতে হবে । আটলানটিক মহাসাগরের উপরের আকাশ ব্যবহার করতে হোলে কারো অনুমুতি লাগে না ।তোমার আকাশ তোমার বাতাস মানে বাংলাদেশের মানচিত্রের উপর যে আকাশ সেই আকাশকে বোঝান হয়েছে এবং এই আকাশ আমার প্রাণে বাজায় বাশী তার পরের লাইনে আছে । বাংলার মানচিত্রের উপরের আকাশ আমার প্রাণে বাশী বাজায় , আটলানটিক মহাসাগরের উপরের আকাশ নহে ।
ভাষা সাহিত্যের কন্সেপ্ট যারা বোঝেনা তারা এই রকম উলটা পালটা বোলতে পারে !!!
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
অন্তু নীল বলেছেন: মুফতি রাজ্জাকের কি কোনো বিবাহ যোগ্য মেয়ে আছে ?
থাকলে একদিন গিয়ে দুপুরের খাওয়াটা খেয়ে আসতাম তাঁর বাড়ি থেকে আর বিয়েটাও ঠিক করে আসতাম।
সব তো আল্লার মাল !!!
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: বাংলার আকাশের যে একটা বিশেষ রূপ আছে - বিভিন্ন ঋতুতে বাংলার বাতাস যে ভিন্ন - অন্য দেশ থেকে অন্যরকম; বাংলার সেই বিশেষ আকাশ, বাতাস, প্রকৃতি যে কারও মনে বাঁশি বাজাতে পারে, তা কি আর মুফতি রাজ্জাকদের মাথায় ঢুকবে ?
যুক্তি তর্কের মত সৌন্দর্য অনুভুতিও তাদের মগজের, হৃদয়ের বাহিরের জিনিস । ধর্ম বয়ানের নামে তারা তাদের নিরেট গোবর মস্তিষ্ক আর মল-মূত্রময় হৃদয়কেই প্রকাশ করে যাবে এ আর আশ্চর্য কি ?
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
এ আর ১৫ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য । সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত নিশিদ্ধ বহু দিন থেকে এবং ফালতু যুক্তি দেখিয়ে তা তারা পালন করে না । সরকার ও মুখ চিপে বসে আছে । এই ধরনের মুর্খ ধর্মীয় কালচার না ভাঙ্গলে এরা গলার কাটা হয়ে যাবে বা অলরেডি হয়ে গেছে । ধন্যবাদ !!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বটে