নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুদিন আগে যে ছাত্র ও তার মা বোল্লো প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভদ্র আল্লাহ রসুল বিষয়ে কোন খারাপ মন্তব্য করে নি, ঠিক তার দুইদিন পরে সেই ছাত্র একজন সন্ত্রাসীর ভয়ে ভোল পাল্টিয়ে ফেল্লো । নতুন পান্জাবী পরে মসজিদে গিয়ে বোল্লো -- প্রধান শিক্ষক নাকি 'তুই নাপাক, তাের আল্লাহ নাপাক' বলে কটুক্তি করেছেন-- কোন মিথ্যা কথা বোলতে গেলে কিছুনা কিছু ফাক থেকে যায় । এই ক্ষেত্রে ও ঠিক তাই হয়েছে ।
আমাদের দেশে হিন্দু মুসলিমের বাচন ও কথনের মধ্য কিছু পার্থক্য আছে । আমরা যেমন পানি বলি হিন্দুরা বলে জল , আমরা যেমন গোসল বলি হিন্দুরা বলে স্নান বা চান , আমরা যেমন ভাই,ভাইয়া ,ভাইজান, আপা,আপু, বুবু ইত্যাদি বলি হিন্দুরা বলে দাদা , দিদি । মুসলমানরা বলে চাচা চাচী হিন্দুরা বলে কাকা কাকি । পাক অথবা নাপাক এই শব্দ গুলো হিন্দুরা ব্যবহার করে না সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে গল্পের গোড়ায়ে গলদ ।
ফেস বুকে দেখলাম আরো কিছু ছাত্রকে দিয়ে একই কথা বলানো হয়েছে (সেলিম ওসমানের ভয়ে) যারা ঐ সময়ে ঐ ক্লাশে ছিল -- সেই একই কথা -- 'তুই নাপাক, তাের আল্লাহ নাপাক' !!! কিন্তু মুল সত্য হোল হিন্দুরা পাক বা নাপাক শব্দ তাদের কথনে ব্যবহার করে না । মিথ্যা বোলতে গেলে দুই একটা ফাক ফোকর থেকে যায় ।
২২ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:২৪
এ আর ১৫ বলেছেন: হিন্দুরা আল্লাহ শব্দ উচ্চারন করেনা? নাপাক শব্দ হিন্দু হলে কি উচ্চারনে নিষেধ আছে? ------ জি না নিষেধ নাই নাপাক শব্দটা ব্যবহার কোরতে । জল না বলে পানি বলাতেও নিষেধ নাই, একই ভাবে কাকা কাকি কে চাচা চাচী বলাতেও নিষেধ নাই কিন্তু তারা ব্যবহার করে না।
ঠিক একই ভাবে মুসলমানদের ও নিষেধ নাই পানিকে জল বলাতে , চাচা চাচীকে কাকা কাকি বলাতে ইত্যাদি । ধন্যবাদ !!!
২| ২১ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৩২
প্রািন্ত বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সঠিক পয়েন্ট তুলে ধরার জন্য। বদমেজাজী সেলিম ওসমানকে ক্ষমতা চাওয়া উচিত। ঐ লোকটা ধর্মীয় অনুভূতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবহার করে নিজের হীন ফায়দা হাসিল করতে চায়। আমরা ধিক্কার জানাই ঐ সেলিম ওসমান ও তাদের গংদের। আমি আশাকরি, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিবে অপরাধী সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে। শিক্ষক অপমানের ঘটনায় ওর বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা হোক।
২২ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:২৪
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ !!!!
৩| ২১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০৩
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আপনি এখনও এইটা নিয়ে আছেন। ওদিকে ইউটিউবে বের হয়েছে - সেই শিক্ষক সেলিম ওসমানকে 'ভগবান' ডেকেছে। এখন কী বলবেন? আমাদের সাথে থাকতে থাকতে অনেক হিন্দু, ইনশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম বলে।
২২ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:১৮
এ আর ১৫ বলেছেন: শুনুন সেলিম ওসমানরা কি ভাবে দেখুন দুইদিনের মাথায় ছাত্র রাকাতের ভাষা চেন্জ করে দিল সেটা কেন হয়েছে তা নিশ্চয়ই আপনি বুঝেন । শিক্ষক মহাদয়কে প্রশাসন বেশি দিন সাহায্য করতে পারবে না ,,, ওসমান পরিবারকে চটিয়ে কেউ নারায়নগন্জে থাকতে পারবে না । জীবন বাচাতে যে তিনি ঐ কথা বোলেছেন সেটা কি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে আপনার । হিন্দুরা যে কাউকে ভগবান বলে থাকে এটা ওদের কালচার । কেউ সাহায্য করলে তাকেও বলে-- আপনি আমার ভগবান । যারা তার পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের কেও ভগবান বোলতে পারে, তবে এই ভগবান মানি স্রষ্ঠা নয় এবং তাকে বোঝায় না । পেলে ম্যারাডোনা কে ও ফুটবলের ভগবান বলে , শচিন টেন্ডুলকারকে ক্রিকেটের ভগবান বলে । তারা কিন্তু আল্লাহ শব্দটা এই সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করে না । হিন্দুরা কথনে বাচনে যেমন আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করে না ঠিক তেমনি নাপাক বা পাক শব্দ গুলো ব্যবহার করে না । ধন্যবাদ !!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
নতুন বলেছেন: হিন্দুরা আল্লাহ শব্দ উচ্চারন করেনা? নাপাক শব্দ হিন্দু হলে কি উচ্চারনে নিষেধ আছে?
কথা হলো তিনি হয়তো ঐ কথা বলেছেন কিন্তু তাকে কি মহাভারত অসুদ্ধ হয়ে গেছে???
তার জন্য একজন শিক্ষকে কানধরে উঠবস করাতে হবে? তাও রাজনিতিকদের মতন সাচ্চা ঈমানদারের চেতনা খাড়া হয়ে গেছে যে শিক্ষকে অপমান করতে হবে তার বিচার করতে হবে শোনা কথার প্রক্ষিতে..।
যদি তাদের কাছে প্রমানই থাকে যে তিনি কিছু বলেছেন এবং তাতে যদি আইনানুয়ায়ী অপরাধ হয়ে থাকে তার জন্য বিচারের ব্যবস্তা করা যেতে পারতো কিন্তু সবার সামনে অপমান করার অধিকার কেউই রাখে না।