নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজের কলাম
হেফাজোতের ১৩ দফা কেন সংবিধান-সাংঘর্ষিক ও ইসলাম-পরিপন্থী
এপ্রিল ২২, ২০১৩
সূচনা :
ইসলাম হেফাজতের নামে ‘হেফাজতে ইসলাম’ সম্প্রতি ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন। সুদীর্ঘ লংমার্চ করে ১৩ দফার দাবি নিয়ে শাপলা চত্বর-এর ‘শাপলা ভাস্কর্যকে’ সাক্ষী রেখে যে সকল দাবি তারা উত্থাপন করেছেন সেসব শুধু সংবিধান সাংঘর্ষিক-ই নয় বরং ইসলাম পরিপন্থী। তাদের ১৩ দফার সাতটি দফাই হল একদিকে যেমন সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন, অন্যদিকে তেমনই ইসলামবিরোধী। এ প্রবন্ধে হেফাজতে ইসলামের সাতটি দফা কেন সংবিধান ও ইসলামবিরোধী তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হল।
১ম দফা : সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে। কুরআন ও সুন্নাহ্ পরিপন্থী আইন সংবিধান থেকে বাতিল করতে হবে।
* সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১২ অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি হল আমাদের সংবিধান এবং রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি। এ মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক ১ম দফাটি কখনও-ই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
* সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭(২) অনুযায়ী সাংবিধানিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন বাতিল বলে গণ্য হবে। সংবিধান হল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। আর তাই সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন কুরআন ও সুন্নাহ্ সমর্থিত হলেও বাংলাদেশের আইন হতে পারবে না। ১ম দফাটি তাই অগ্রহণযোগ্য।
* ইসলামের নীতি অনুযায়ী সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয়। আর তাই ‘মদিনা সনদ’-এর ইসলামীকরণ করা হয়নি। কিন্তু ইসলাম হেফাজতের নামে ইসলামের এ শিক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে মুমিন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করাটাই হল একটি ইসলাম-পরিপন্থী কাজ। ইসলামের দৃষ্টিতে ১ম দফাটি তাই মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
২য় দফা : আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
* বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯(২) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, মত ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে দণ্ডবিধির ২৯৫ক এবং ২৯৮ অনুযায়ী অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে। এখন শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হলে তা হবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ক (রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ক) এবং ২৮ (ধর্মভিত্তিক বৈষম্য পরিপন্থী নীতি বিষয়ক)-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অতএব, ২য় দফা গ্রহণযোগ্য নয়।
* ইসলামে কোনো জাগতিক আইনের (ব্লাসফেমি) মাধ্যমে ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তির বিধান নেই। বরং সূরা মুযাম্মেল, আয়াত নম্বর ১০; সূরা হিজর, আয়াত নম্বর ৯৭, ৯৮ ও ৯৯; সূরা নিসা, আয়াত নম্বর ১৪০; সূরা আন’আম, আয়াত নম্বর ৬৮-৬৯ ও ১০৮; সূরা সাদ, আয়াত নম্বর ৪ ও ১৭; সূরা সাফফাত, আয়াত নম্বর ৩৬; এবং সূরা বনি ঈসরাঈল, আয়াত নম্বর ৪৭ অনুযায়ী ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তি মৃত্যুপরবর্তী সময় আল্লাহতায়ালা নিজে দিবেন বলেছেন। সুতরাং ২য় দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
৩য় দফা : শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধ করে তাদের গ্রেফতারপূর্বক কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
* বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯(১) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা-চেতনা ও বিবেকের স্বাধীনতা রয়েছে। নাস্তিকতা একটি বিশ্বাস। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বিশ্বাস-এর কারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তিকে সাজা প্রদান করতে পারে না। তাই ৩য় দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* ইসলামের দৃষ্টিতে নাস্তিকতার শাস্তি মানবসৃষ্ট আইনের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব নয়। সূরা আত-তওবা, আয়াত নম্বর ৭৩-৭৪-এ উল্লেখ আছে যে নাস্তিকতার শাস্তি আল্লাহতায়ালা নিজেই দিবেন তা ইহজীবনেই হোক বা পরজীবনে। সুতরাং ৩য় দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
৭ম দফা : কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
* সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে অবস্থানকারী আহমদিয়াদেরও রয়েছে। আর তাছাড়া সংবিধানে মুসলমান অ-মুসলমান ঘোষণার কোনো দায়িত্ব রাষ্ট্রকে দেওয়া হয়নি। বরং দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার। অতএব, ৭ম দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* ইসলামে ‘sectarianism’ নিয়ে খুব-ই সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সূরা আন’আম, আয়াত নম্বর ১৫৯; সূরা আন’বীয়া, আয়াত নম্বর ৯২-৯৩; সূরা মু’মীনুন, আয়াত নম্বর ৫২-৫৪; সূরা আর-রুম, আয়াত নম্বর ৩১-৩২; এবং সূরা হুজুরাত, আয়াত নম্বর ১০-১১ তে ইসলামের সকল মতধারার বিশ্বাসীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নির্দেশনা আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন। ‘তাকফির’ করা অর্থাৎ কাউকে কাফির ঘোষণা করা খুব কঠিন একটি ব্যাপার কারণ আল্লাহতায়ালা ছাড়া কেউ সঠিক করে বলতে পারে না কে কাফির আর কে কাফির নয়। সুরা নিসা, আয়াত নম্বর ১১৫ তে উল্লিখিত হয়েছে যে কাফিরদের দোযখে পর্যবাসিত করা হবে। সুতরাং রাষ্ট্র যদি পৃথিবীতে মুসলমান-অমুসলমান নিরূপণের দায়িত্ব নেয় তবে তা রাষ্ট্রকে আল্লাহতায়ালার সমকক্ষ করার সমতুল্য হবে। অতএব, ৭ম দফাটি নিঃসন্দেহে ইসলাম পরিপন্থী।
৮ম দফা : ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
* সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। আবার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯(২) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। নারী-পুরুষের প্রকাশ্যে বিচরণ অথবা মোমবাতি প্রজ্বলন রোধ করা হলে তা নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করবে। অতএব, ৮ম দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* নারী-পুরুষের প্রকাশ্য বিচরণ কখনও-ই ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। বিবি খাদিজা (রাঃ) মক্কা শহরের সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। ইসলামে নারীশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর তাছাড়া সুরা নিসা, আয়াত নম্বর ৩২-এ নারীদের নিজস্ব উপর্জনের ওপর তার অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া, পবিত্র হজ্বের সময় যখন তওয়াফ করা হয়, বা মুজদালিফাতে এবং মিনাতে অবস্থান করা হয়, তখন নারী আর পুরুষ একত্রে প্রকাশ্যে বিচরণ করে। অতএব, নারী-পুরুষের প্রকাশ্য বিচরণ ইসলামে নিষিদ্ধ নয়। একই রকমভাবে ইসলামে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনও নিষিদ্ধ নয়। যে যুগে আমাদের মহানবী বেঁচে ছিলেন তখন নিশ্চয়ই ইলেকট্রিসিটি ছিল না। তাহলে রাতের অন্ধকারে মোমবাতি, কুপি, লণ্ঠন প্রজ্বলন করেই তো কাজ চালাতে হত। অতএব, ৮ম দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
৯ম দফা : মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
* বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৪ অনুযায়ী বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যমণ্ডিত স্মৃতিনিদর্শনসমূহ রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র যদি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্যসমূহ ধ্বংস করতে উদ্যত হয় তবে তা সংবিধান পরিপন্থী হবে। অতএব ৯ম দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* ইসলামে ভাস্কর্য নির্মাণ মোটেও নিষিদ্ধ নয়। সূরা সাবা, আয়াত নম্বর ১২-১৩ তে উল্লিখিত আছে যে নবী ও বাদশা সোলায়মানের (আঃ) সন্তুষ্টির জন্য তাঁরই নির্দেশে জীনরা তার রাজ্যজুড়ে নানা রকম ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিল। অতএব, ৯ম দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
১০ম দফা : ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
* বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭(ক) অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হল একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা। ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হলে তা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮ (ধর্মভিত্তিক বৈষম্য পরিপন্থী নীতি বিষয়ক)-এর পরিপন্থী হবে। উপরন্তু, বিষয়টি অনুচ্ছেদ ৪১ (ধর্মীয় স্বাধীনতা) পরিপন্থী। এছাড়া সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭(২) অনুযায়ী নারীনীতি বা শিক্ষানীতি শুধুমাত্র সংবিধান পরিপন্থী হলেই রাষ্ট্র তা বাতিল করতে পারে। অতএব, ১০ম দফাটি সংবিধান সাংঘর্ষিক।
* ইসলামে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হলেও তা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। বরং ইসলামে উল্লেখ করা আছে যে, জ্ঞানার্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যেতে হলেও তা করতে হবে। এখন কথা হল আরবের মুসলমানরা ইসলাম শিক্ষা অর্জনের জন্য নিশ্চয়ই চীন দেশে যাবে না। তাহলে কি অন্য ধর্মশিক্ষার জন্য সেখানে যাবেন? তাও নিশ্চয়ই নয়। আর তাছাড়া চীন দেশে সে যুগে মক্তব মাদ্রাসার হদিসও তেমন পাওয়া যায় না। সুতরাং ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কাঠামোতে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করে নি। অতএব, ১০ম দফাটি ইসলাম পরিপন্থী।
উপসংহার :
পরিশেষে, এ সত্য পরিলক্ষিত হয় যে, ‘হেফাজতে ইসলাম’ ইসলাম রক্ষার নামে মূলত ইসলামবিরোধী দাবি জানিয়েছে, ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যা দান করেছে, ইসলাম নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। আমি বাংলাদেশের একজন মুসলিম নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪২ অনুযায়ী ধর্মীয় স্বাধীনতার দাবিদার। আমার ধর্মকে অবমাননা করার কারণে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এসেছে। সরকারের উচিত এ মুহূর্তে দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
একই সঙ্গে এটাও লক্ষ্যণীয় যে, ‘হেফাজতে ইসলাম’ তাদের দাবি উত্থাপন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে অবিরত শক্তি প্রদর্শন এবং শক্তি প্রয়োগ করে আসছে। দেশজুড়ে মিটিং মিছিল করে পুলিশ এবং সাধারণ জনগণকে আক্রমণ করেছে। দেশজুড়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মঞ্চ এবং নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করেছে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ আক্রমণ করেছে। অসৎ এবং অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবিধান বাতিল [ইসলামী শাসন কায়েমের মাধ্যমে]-এর ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনও করছে। সংবিধানের ওপর নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস এবং প্রত্যয়কে পরাহত করেছে [দেশজুড়ে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের] এবং করার জন্য উত্তেজনা বা ষড়যন্ত্র করেছে [অন্যান্য নাগরিকদের], বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ক(১) অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামী রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ সংঘটন করেছে। সরকারের উচিত এ মুহূর্তে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ড যারা নানাভাবে সমর্থন করেছে, সহযোগিতা দিয়েছে বা উস্কানি প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে ও সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ক(২) অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে সরকারের উচিত যথার্থ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ব্যরিস্টার ড. তুরিন আফরোজ : আইন বিষয়ক সম্পাদক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ।
Tureen Afroz
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
ডা: এনামুল বলেছেন: অনেক লম্বা লেখা । তবে একবাক্যে ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজ কেন ইসলাম-পরিপন্থী বললে এককথাতেই বুঝা যেত !!
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৩৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কথা হলো সবই তো বুঝলাম কিন্তু কো্র্টে গিয়া যে হারলো এরপর এরা আর কোনো ব্যাবস্থা নিলো না কেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২
সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেছেন: হেফাজতে ইসলামের কর্মকান্ডের সাথে আর কারা কারা সংবিধান পরিপন্থি কাজ করে তা উল্লেখ থাকলে ভালো হতো। ৫৭ ধারা নিয়ে কথা হলেতো তা হতো আরোও ভালো। আর ধর্মীয় বিশ্লেষণগুলো বিতর্কে ভালো যুক্তির জন্ম দিবে আদতে নয়।