নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ পর্যন্ত একজন অভিবাসীকে সৌদি,দুবাই,কুয়েতের মত রাষ্ট্র জায়গা দেয় নি!!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪


সিরিয়াতে চলছে যুদ্ধ!
প্রাণে বাঁচতে মা বাবার সাথে ইউরোপের পথে পা বাড়িয়েছিলো শিশুটি।অনিশ্চিত ভবিষ্যতে দিকে সমুদ্রে নৌকায় ভাসে ওরা! বাবার হাত থেকে পিছলে পড়ে যায় সাগরে! তুরষ্কের সমুদ্র তীরে বালিতে পাওয়া যায় শিশুটির লাশ!!!!

এখন প্রশ্ন হলো সিরিয়ার মত মুসলিম প্রধান ইসলামিক রাষ্ট্রে সারাজীবন আরবীয় ধর্ম,বোরকা পড়া,দাঁড়ি রাখা,নামাজ পড়া এগুলো পালন করা স্বত্তেও পাশের ধনী আরবীয় শেখ,আমিরদের রাষ্ট্র দুবাই,কুয়েত,সৌদি,কাতার থাকার পরও কেন আজীবন কাফের,মালাউন,নাসারা গালি দেয়া হিন্দু,খ্রিস্টান বা অমুসলিমদের রাষ্ট্রসমূহ কেবল বাঁচার জন্য পাড়ি দিতে হয় মুসলিমদের??

মুসলিমদের প্রাণে বাঁচতে বা নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় অমুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়ার ইতিহাসটা নতুন নয়!!!

১৯৭১ সালেও পূর্ব পাকিস্তানের বহু মুসলিম প্রাণে বাঁচতে ভারতে আসে!!যেকারনে ওই সময় ত্রিপুরা এলাকার শরণার্থীর অধিকাংশই মুসলিম ছিলো!

এছাড়াও সম্প্রতি মায়ানমারে থেকেও প্রাণে বাঁচতে হাজার হাজার মুসলিম ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে!
সূত্রঃ
http://www.sunday-guardian.com/news/burmese-muslim-refugees-in-delhi-search-for-haven-in-jak

সিরিয়া,লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের লাখো মুসলিম প্রাণে বাঁচতে আজ খ্রিস্টানপ্রধান রাষ্ট্রসমূহে আশ্রয় নিচ্ছে!!!!!

একজন মুসলিম সবসময় চায় তার রাষ্ট্রটা ইসলামিক হোক,মুসলিমপ্রধান হোক!!সে লক্ষ্য সব সময় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষজিহাদ চালিয়ে যেতে থাকে!!কিন্তু রাষ্ট্রি মুসলিমপ্রধান হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয় চরম যুদ্ধ আর রক্তের হোলিখেলা!!!! এগুলো থেকে বাচঁতে পারে না মুসলিমরাও!!শুরু হয় গণহত্যা,মসজিদে মসজিদে,ঈদের নামাজে,স্কুলে,কলেজে,বাজারে আল্লাহু আকবর বলে শুরু হয় মানুষ হত্যা,বোমা হামলা!!উদ্দেশ্যওরা জান্নাত যাবে!!
কিন্তু কেন মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্রে যদি
মুসলিমদেরই বাঁচার অধিকার না থাকে,বাঁচতে হলে অমুসলিমপ্রধান রাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে হয় তবে কি লাভ ইসলামিক মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র কররে????

সিরিয়ান মুসলিমদের কেন পাশের দুবাই,কুয়েত, সৌদির মত মুসলিম রাষ্ট্র রেখে ইউরোপের অমুসলিম রাষ্ট্রে পাড়ি দিয়ে হয়??
কেন বিপদজনক ভাবে সাগরে ভাসতে হয়??
কেন মারা যেতে হয়??
কেন আজীবন আরব ধর্ম পালন করার পরও পাশের আরবের ধনী রাষ্ট্রে ওদের জায়গা হয় না??

আজ পর্যন্ত একজন অভিবাসীকে সৌদি,দুবাই,কুয়েতের মত রাষ্ট্র জায়গা দেয় নি!!

সৌদি, দুবাই,কুয়েত,কাতারের মত ধনী রাষ্ট্রগুলো আরামে জীবনযাপন করছে!!এদিকে পাশের সিরিয়া,লিবিয়ার মত রাষ্ট্রের মানুষেরা জীবন বাজি রেখে বাঁচার আশায় ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছে!!

বড় বিচিত্র এ আরব!!!!

বিঃদ্রঃ
এই লেখাটি পড়ে কারো আরবানুভূতিতে আঘাত লাগলে আমার কিছু করার নেই!কারণ শিশুটিকে দেখে আমার মানবানুভূতিতে লেগেছে!!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: আরবরা জাতিগত ভাবে হিংস্র , ওদের মনুষত্ব বোধ খুবি কম

এদের বেশির ভাগই ব্যস্ত নরী আর জুয়া নিয়ে।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি, কুয়েত, আমিরাত দেশগুলা ইসলামিক রাষ্ট্র? কিসের ভিত্তিতে বললেন? বড়জোড় মুসলিম প্রধান দেশ বলতে পারি। পৃথিবিতে কোথাও ইসলামিক রাষ্ট্র নেই। অতীতে ছিলো সেটা আমাদের প্রান প্রিয় নবী মুহাম্মদ(সঃ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মদিনাতে। সেই মদিনা সনদে অসাধারন আর মানবিক অধিকারের কথা উল্লেখ ছিলো। যুগে যুগে রাষ্ট্র নায়কেরা তাদের মর্জিমতন রাষ্ট্র শাসন করেছে। এটাতে ইসলামের কি দোষ?
মানুষ মূলত ইউরোপে যায় যাতে সে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। বেচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সেটা ইউরোপে সঠিক শ্রমের মাধ্যমে সেটা ভালোভাবে যোগার করা সম্ভব যেমন উচ্চ আয়, খাদ্য, বাসস্থান, ইত্যাদি। মধ্য প্রাচ্যের রাজপরিবার/ব্যাক্তি/বংশ কেন্দ্রিক রাষ্ট্র গুলোতে সেগুলো পাওয়া বেশ কঠিন। আর শুধু খৃষ্টান অধ্যুষিত ইউরোপ কেন, আমাদের বাংলাদেশের কথাই ধরুন না। মালয়েশিয়াতে (মুসলিম প্রধান দেশ) যাবার জন্যই মানুষ বঙ্গোপসাগরে জীবন দিচ্ছে। ধর্মীয় বিষয়টা আসলে গৌন, মূল বিষয় উন্নত জীবন।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

বিজন শররমা বলেছেন: অনেক মুসলিম শাসক দেশ শাসনে অক্ষম এটা প্রমানিত সত্য । তাদের অক্ষমতার কারনে মুসলিমরা দেশত্যাগ করছে । মুসলিম কোন দেশ এই দেশত্যাগীদের আশ্রয় দিচ্ছে না, বা আশ্রয় প্রার্থীরা এই সব দেশ বাসযোগ্য মনে করছে না । তারা যেতে চায় অমুসলিম শাসিত দেশে । অথচ অমুসলিম দেশ মুসলিমদের তৈরী সন্ত্রাসের জ্বালায় জলে পুড়ে মরছে । এর ফলে এই সব আশ্রয় প্রার্থীর ভাগ্যে বিদেশের জঙ্গলে-সাগরে হচ্ছে বন-কবর আর জল-কবর । এখন সব দোষ গিয়ে পড়ছে মুসলিম দেশের ঘাড়ে । এমনকি মুসলিমরাও এর সমালোচনা করছে । অথচ নিজের দেশের অযোগ্য শাসকদের তারা অপসারন /বিতারন করতে পারছে নে । কি অদ্ভুত এই পৃথিবী, আর তার মানুষ ।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তারা মুসলিম দেশে যেতে চেয়েছিল কিনা সেটা আগে দেখতে হবে। নাকি তারা টাকার লোভে ইউরোপে যেতে চায়। কই এখনো তো খবর পাইনি যে, সিরিয়া থেকে সবাই সৌদি, কুয়েত, কাতার সীমান্তে অপেক্ষা করছে।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

নীলতিমি বলেছেন: আরব দেশগুলোর বেশির ভাগ জনগন বাস্টার্ড। না হলে কি শুধু আরব অঞ্চলে এত নবী-রাসূল আসেন?
বদমাশের বাচ্চাগুলারে ঠিক করার জন্যই সেখানে বেশি বেশি নবী-রাসূল পাঠানো হয়েছিলো..

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

বিজন শররমা বলেছেন: যেসব দেশ থেকে শরনার্থী অন্য দেশে যাচ্ছে সেসব দেশের মানুষের উচিত হবে তাদের দেশের অযোগ্য সরকারগুলিকে এখনই বিতারন করার ব্যবস্থা করা । আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ উন্নত বিশ্বের উচিত হবে এই সব দেশের অযোগ্য সরকারগুলিকে সহযোগিতা না করা এবং ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য করা । একই সঙ্গে বিতারিত শাসকদের কাছে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ থাকলে তা বাজেয়াফত করে শরনার্থীদের পূনর্বাসনে খরচ করা ।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: ভুল তথ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.