নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম পর্ব লিংক
Click This Link
ধর্ম বিদ্রুপকারিকে শাস্তি দেওয়ার বিধান যেখানে বিদ্যমান সেখানে যারা খুনাখুনি করেছে তারা সংবিধান এবং কোরান লংঘন করেছে । বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯(২) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা, মত ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে দণ্ডবিধির ২৯৫ক এবং ২৯৮ অনুযায়ী অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে -- কেন এই আইনের আশ্রয় না নিয়ে কোরান লংঘন ( আগের পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে এই বিষয়ে) এবং সংবিধান লংঘন।
প্রথমে দেখি ইগনোর ম্যাথোডে আইনের ব্যবস্থা না নিয়ে থামানো যায় কিনা। যিনি গালিগালাজ করে তার খবর ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯৯% পাঠক বা ফেসবুক ইউজার জানে না শুধু তাদের খুন করার পর সবাই দেখতে পায় কিন্তু আগে ঐ ব্যক্তির নিজের সার্কেলের বাহিরে খুব কম মানুষই জানে এবং নিজের সার্কেলের মধ্যে ৯৭% তার ঐ মতামতের সাথে একমত নয়। এটাকে ইগনোর করলে ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯% মানুষের কাছে কোন কটু মন্তব্য যায় না। যেহেতু এটাকে কাভারেজ দেওয়া হচ্ছে তাই এখন বেনামে গালিগালাজ শুরু করলে খুন করার ও কোন স্কোপ থাকবে না এবং চলতেই থাকবে।
সমস্ত প্রমান দিয়ে এদেরকে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া যায়। মানুষ কেস খাওয়াকে খুব ভয় করে। মামলার ভীতির কারনে গালিগালাজ বন্ধ হতে বাধ্য ।
আমি নিজে মুসলমান হয়ে জানি মুসলমানদের মত বিশেষ করে মোল্লা শ্রেণীর মত অন্য ধর্মকে বিদ্রুপ গালাগালি অন্য ধর্মের লোকেরা করে না।মুসলিম মৌলবাদের সমালোচক মডারেট মুসলিমরা এবং মুসলমান ধর্মকে বেশি ভাগ আক্রমন গালিগালাজ করে মুসলমান বংশভুত নাস্তিকরা তবে সব নাস্তিক নয়। অন্য ধর্মকে গালাগালি যারা করে তারা ও মুসলমান বিশেষ করে মোল্লা শ্রেণী। অন্য ধর্মকে বিদ্রপ করা এই মোল্লা শ্রেণী স্পিরিচুয়াল প্রাকটিসের মধ্যে নিয়ে এসেছে। আমি নিজের কানে বহু খোদবায় , ওয়াজে এমন কি মোনাজাতে অন্য ধর্মকে ধ্বংস করার দোয়া শুনেছি। এমন ই ভাষা হে আল্লাহ তুমি ইহুদি নাসাদের ধ্বংস করে দাও। হিন্দু দেব দেবির উপর আক্রমন ডাল ভাতের মত ব্যাপার । যেমন খুনি দুর্নীতি গ্রস্থ ইসলামের শত্রু ভারতের দালাল মাকালি হাসিনা । দেখুন কিভাবে হিন্দু দেবিকে ঐ মাওলানারা গাল দিচ্ছে। অথচ কোরানে পরিস্কার নির্দেশ আছে অন্য ধর্মের আরাধনার বস্তু গুলোকে গালমন্দ না করা জন্য। সুরা আনাম আয়াত ১০৮ -- তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।--- এবার দেখুন সরস্বতিকে যদি হিন্দুরা বিদ্যাবতি বোলে বিশ্বাষ করে তাহোলে কি আমাদের কিছু বলার আছে-- শুনুন মোল্লারা কি বলে -- সম্প্রদা্য়িক হিন্দু মহল দাবি তুলছে সব জ্ঙানের মালিক নাকি তাদের কথিত সরস্বতি দেবী ( নাউযুবিল্লাহ) তাই তারা সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কথিত সরস্বতি পুজা অনুষ্ঠানের দাবি তুলেছে । --- অথচ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু আগে থেকেই পুজা হয়।--- এই ভাবে অন্য ধর্ম বিশ্বাষ কে বিদ্রুপকরা মোল্লাদের মজ্জার ভিতর ঢুকে গেছে।
দেখুন হিন্দুরা কিন্তু নিজের অজান্তে কোরানের উপদেশ সুরা মোজাম্মেল আয়াত ১০ এবং সুরা নিসার আয়াত ১৪০ অনুসরন করছে এবং সম্পুর্ন ভাবে ব্যাপারটাকে ইগনোর করছে। কেউ কি বোলতে পারবে কোন হিন্দু তাদের ধর্মের বিদ্রুপকারিদের খুন করতে এসেছে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য যে আইন আছে তা ব্যবহার করে ধর্মীয় বিদ্রুপকারিদের শায়েস্তা করা যায়। এই আইনের সফল প্রয়োগ হলে মোল্লা শ্রেণীর খোদবায়, ওয়াজে মোনাজাতে অন্য ধর্মকে বিদ্রপকরা যেমন বন্ধ হবে তেমনি মুসলমান ধর্মকে অবমাননা করা বন্ধ হবে কোন খুন খারাপি ছাড়াই ।
©somewhere in net ltd.