নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই ভালো থাকুন

এ আর ১৫

এ আর ১৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম অবমাননার ক্ষেত্রে কোরানের উপদেশ !!

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

পাড়ার ছেলে গোপাল। স্বাস্থ্য ভালো, ভালো খেলোয়ার, খুবই শক্তিশালী।তাকে গান্ডু বল্লে সে তুলকালাম কান্ড করে বসে, কিল থাপ্পর সহ তাড়া করে মারা কিছুই বাদ যায় না। সে ভালো ব্যাট আগে করতো এখন পারে না কারন বাহিরের থেকে যখন গান্ডু বলা হ্য় তখন মাথা এত গরম হয়ে যায়, তখন আউট হয়ে যায়। তার এই অবস্থায় সকলে তাকে টিটকারি করে মজা পায় সে ক্ষেপে যায়।কিছু দিন পরে দেখা গেল সে ভালো খেলছে এবং সবাই তার গান্ডু নামটার কথা ভুলে গেছে। সে যে মুহুর্তে গান্ডু শব্দটাকে ইগনোর শুরু করলো সাথে সাথে তার সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।বিদ্রুপ টিটকারি এই সবকিছু এভয়েট করাই হোল সমাধান।
বেশ কয়েক বৎসর আগে আমেরিকার এক শহরে একটা প্রদর্শনিতে একটা বোতলের মধ্যে হলুদ তরল পদার্থের ভিতর যিশু খৃস্টের মুর্তি প্রদর্শন করা হয়। যখন জানাজানি হয় ঐ হলুদ তরল বস্তুটি ছিল মানুষের মূত্র তখন কর্তিপক্ষ বা কোন সংবাদ মাধ্যম বেপারটা পুরো চেপে যায়। যার ফলে ব্যপারটা অঙ্কুরে শেষ হয়ে যায়। যদি এটা নি্যে তারা হট্টগোল করতো তাহোলে গোপালের মতই অবস্থা হোত।তাদের ধর্মকে অন্য কেউ অবমাননা করতো এবং তারা খুন খারাপি করতো যেটা এখন বিকৃত মৌলবাদি ইসলামিরা করছে। তাদের ধর্ম গ্রন্থে এই বিষয়ে কোন নির্দেশ না থাকলে ও নিজের ওজান্তে তারা কোরানের উপদেশ অনুসরন করেছে।সব চেয়ে বড় অস্ত্র যা কোরানে বলা আছে এবং বাস্তবে অন্য ধর্মিরা প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছে সেটা প্রয়োগ করে ।এই কৌশল প্রয়োগ করে খৃস্টানরা হাতে নাতে সুফল পেয়েছে এবং কোরানেও বলা আছে। কৌশলটা হোল পাত্তা না দেওয়া, ইগনোর করা, চুপচাপ থাকা কোন প্রতিক্রীয়া না দেখানো। যে নাড়া দিতে চা্য় সে যখন দেখে কোন ভাবে ফিডব্যাক আসছে না তখন আপনা আপনি নাড়া দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। মৌলবাদিরা তার উল্টোটা করে তাই নাড়া দেওয়া পক্ষ আরো উৎসাহ পায় এবং চলতে থাকে অথচ সুরা মোজ্জামেল আয়াত ১০ এবং সুরা নিসার আয়াত ১৪০ সুস্পস্ঠভাবে ইগনোর করার উপদেশ দেওয়া আছে। প্রকৃত ধার্মিক কোরনের উপদেশ মেনে চলে খুন করে না। এখন দেখা যাক কোরান কি বলে ।
ইসলাম ধর্মে বা কোরানে কোন নির্দেশ নাই ইসলাম অবমাননা কারি কে খুন করার।
বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট" (সুরা আল হিজর:৯৫)
সুরা আল আনাম ( ৬--৬৮) ----- যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহ নিয়ে উপহাস করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।

সুরা আহযাব ( ৩৩ -৪৮)------ আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট।

সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।
সুরা নিসা আয়াত ১৪0- আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন। -- এখানে বিদ্রুপ গালি গালাজ ইগনোর করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে কোন হত্যার নির্দেশ নাই।
বুখারি শরিফে কত গুলো হাদিস আছে যেখানে রসুল (সাল্লিয়ালিউসাল্লাম) কয়েক জনকে হত্যার নির্দেশ দেন ইসলাম অবমাননা করার জন্য। যদি এটা সত্য হ্য় তাহোলে ঐ হাদিস গুলো কোরানের ঐ আয়াত গুলোর সাথে সাংঘর্সিক হয়ে যায়। মওদুদির মত লোক স্বীকার করেছে তাদের হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র , বিদ্রোহের মদদ, গুপ্তচর বৃত্তি, বিশ্বাষ ঘাতকতা ইত্যাদির কারনে। শুধু ইসলাম অবমাননার কারন হোলে কোরানে সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। এই সমস্ত হাদিস ৩০০ বৎসর পরে লেখা হয়েছিল - এক মুখ হতে অন্য মুখ হয়ে অনেক কিছু হারিয়ে গিয়েছিল। আসলে তাদেরকে হত্যা করার হুকুম দেওয়া হয়েছিল ইসলাম অবমাননা করার জন্য নয়। একজন ইসলামের শত্রু ইসলামকে গালিগালাজ করবেই তার জন্য কোরান বলেছে এভয়েট করতে কিন্তু কিছু লোক যখন গালিগালাজ সহ স্বরযন্ত্র, বিদ্রোহের মদদ, গুপ্তচর বৃত্তি, বিশ্বাষ ঘাতকতা করে তখন তাকে শাস্তি সবাই দেয়।ইসলাম অবমাননা কারিকে যে রসুল (সা) শাস্তি দেননি এমন হাদিস ও আছে ।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

বাঘ মামা বলেছেন: গ্রামের ওয়াজ মাহফিল গুলোতে এখনো বক্তারা সবার উদ্দেশ্য জানতে চান- কে কে রাজি আছেন ইসলামের জন্য জীবন দিতে হাত তুলুন,সবাই হাত উপরে তুলে আর কোন এক কোনা থেকে কিছু ধর্মীর নেতা স্লোগান দিয়ে উঠেন- নারায় তাকবির আল্লাহ হুআকবার,।বক্তা আবারো ব্যখ্যা দিতে থাকেন ইসলামের জন্য মারা গেলে বেহেস্তু হুর সারাবান তাহুরা সহ নানা কিছু, কিন্তু তিনি বেঁচে থাকর ধর্মীয় মন্ত্র শেখাননা,সেখাননা কিভাবে জীবিত থেকে জীবন সাজাতা হয়,ধর্ম তথা জীবন বাঁচাতে হয়।

মরে যাওয়া আর মরে গিয়ে বেহেস্ত হুর সারাবান তাহুরাই যদি শেষ কথা হয় তো এত বড় সুন্দর পৃথিবী বিধাতা কার জন্য বানিয়েছেন, কেন বানিয়েছেন,এসবের কি কোন মুল্য নেই? আল্লাহর সৃষ্টি জীব জীবন পৃথিবী এতটাও অর্থহীন? তাহলেতো আদম হাওয়াকে বের করে না দিলেই পারতেন,আমরা ওখানেই থাকতাম।

আল্লাহ এই কথা যেখানে বলেছেন যে -যারা কোন মানুষকে হত্যা করলো সে যেন সারা পৃথিবীর সবাইকে হত্যা করলো,যদি কেউ কোন মানুষকে বাঁচায় সে যেন সারা পৃথিবীর মানুষকে বাঁচালো।
তাহলে বিধাতা এই কথা বলো যদি হত্যা ধর্মে সমর্থন করে?

আমাদের ধর্মকে কিছু মানুষ খুব নিষ্ঠার সাথে নিষ্ঠুর ভাবে ভোগ করছে।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: ফকিন্নির পোলারা বিদেশ যাওয়ার লোভে ব্লগিং করে।
দাউদ হায়দার
তশলিমা
আরিফ
আসিফ

এরা সবাই বিদেশে যাওয়ার মত মেধা রাখে?
এরা তবুও বিদেশে।
আমার দেশের অনেক ফকিন্নির পোলারা বিদেশে যাওয়ার জন্য ব্লগিং করে। ্
অনেকে যেতে পারে। আর অনেকে কাটা তারা আটকে যায়।
যেমন-
রাজিব
অভিজিত
ওয়াশিক।
এরা চলে গেছে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া এমন দেশে।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

ওবায়দুল হক মাহমুদ বলেছেন: ভাই আপনার লেখা টা কি আমার ফেসবুক এ পোস্ট করতে পারি?

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

এ আর ১৫ বলেছেন: অবশ্য ভাই। এটাতো আমার জন্য বিরাট পাওনা। ধন্যবাদ আপনাকে ।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: @বাঘ মামাঃ আমাদের ধর্মকে কিছু মানুষ খুব নিষ্ঠার সাথে নিষ্ঠুর ভাবে ভোগ করছে।

সহমত!

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

যাযাবরমন বলেছেন: সমস্ব হচ্ছে কিছু কিছু অর্ধ-শিক্ষিত মানুষ কোরআন শরিফের আয়াত তুলে ধরে বলছেন যে ইসলামে প্রতিঘাত করতে নিষেধ করেছে। সম্পুর্ন ধর্ম যারা জানেন তাদের সাথে আলোচনার প্রয়োজন মনে করছেন না।
এই আয়াত ২ টি ইসলামের প্রথম যুগের যখন তাদের প্রতিঘাত করার শক্তিই ছিল না।
মোজ্জামেল ( ৭৩--১০ ) আয়াতের অর্থ হচ্ছে সবর বা আল্লাহ-তায়ালার সাহায্যের জন্য অপেক্ষার নির্দেশ।
আর সুরা নিসা আয়াত ১৪০ এর অর্থ সম্পুর্ন ভিন্ন, এখানে বলা হয়েছে বিদ্রুপ-কারীদের সাথে বসলে তুমিও তাদের সামিল বা মুনাফেক বলে গন্য হবে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০২

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলাম অবমাননাকারি কে হত্যা করার আয়াত কোথায় আছে ?? এই আয়াত ২টিতে যেই নির্দেশ আছে সেখানে কি হত্যার নির্দেশ আছে। অর্ধ শিখিতটা আসলে কে ? ইসলামে প্রতিঘাতের নিষেধের প্রসংগ এখানে আসলো কি করে ? গালিগালাজ বিদ্রুপের বিপরিতে কি করনিয় সেই উপদেশ দেওয়া হয়েছে। আপনি কি ভাবে জানলেন এই আয়াত গুলো কোন সময়ে নাজিল হয়ে ছিল ?? কোরানের আয়াত গুলোতো নাজিল হওয়ার ক্রম অনুযায়ি নাই। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন এই আ্য়াত গুলো ইসলামের প্রথম যুগের তাই মানা বাধ্য মুলক নয় বা বাতিল যোগ্য। এই ধরনের মন্তব্য কোরানের আয়াতের অবমাননার পর্যায় পরে। তাহোলে আপনি একজন কোরান অবমাননা কারি। ইসলামের প্রাথমিক যুগের আয়াত বলে ঐটা মানার প্রয়োজন নেই তাহোলেতো বাকি সব প্রাথমিক যুগের আয়াত না মানলেও চলে তাই না।ইসলামের অবমাননা কারির উপরে যত আয়াত আছে কোথাও হত্যার নির্দেশ নেই।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৭

যাযাবরমন বলেছেন: আপনি ২ টি আয়াতকেই ভুল ভাবে ব্যক্ষ্যা করেছেন।

মোজ্জামেল ( ৭৩--১০ ) আয়াতের অর্থ হচ্ছে সবর বা আল্লাহ-তায়ালার সাহায্যের জন্য অপেক্ষার নির্দেশ। আপনি ধর্মের ইতিহাস পড়লে জানতেন যে সাহাবিরা তখন নবীজীকে বার বার প্রশ্ন করেছেন "সাহায্য কখন আসবে"।

আমি কোরআনে কোন আয়াত পাই নাই যেখানে বলা হয়েছে যে কাফেরদের আঘাত কোর না। আপনি পেয়েছেন?

আর সুরা নিসা আয়াত ১৪০ এর অর্থ সম্পুর্ন ভিন্ন, এখানে "তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে" দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে - বিদ্রুপ-কারীদের সাথে বসলে তুমিও তাদের সামিল বা মুনাফেক বলে গন্য হবে।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২০

যাযাবরমন বলেছেন: সরকার চাইলেই ব্লগার হত্যা বন্ধ করতে পারে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: সরি সুরা মোজ্জামেল ৭৩-১০ এর আপনার ব্যাখা মিলছে না -- সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।--- এখানে স্পষ্ঠ ভাবে লেখা আছে - সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।এইটাই আল্লাহর নির্দেশ -- তাদের পরিহার করে চলুন।

কোরানে কাফেরদের আঘাত করার কথা বলা আছে অন কন্ডিশনাল তা যদি যুদ্ধ স্বরযন্ত্র বিদ্রোহ ইত্যাদি কারনে। শুধু গালিগালাজের জন্য নয়। এখানে কাফেরদেরকে আঘাত করা সংক্রন্ত কোন প্রসংগ আসেনি তাহোলে বিনা কারনে এই প্রসংগ আনার মানে কি।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: সুরা নিসা আয়াত ১৪০ এ কি বলা হয়েছে বিদ্রুপকারিকে হত্যা কর ??? নিবন্ধের মুল বক্তব্য হোল কোরানে বা হাদিসে ইসলাম অবমাননাকারির কোন হত্যার নির্দেশ নাই । আপনি এখন দয়া করে দেখান কোথায় সুরা মোজ্জামেল আয়াত ১০ এবং সুরা নিসা আয়াত ১৪০ এ হত্যার নির্দেশ আছে । সুরা নিসা আয়াত ১৪০ এ --বিদ্রুপকারিদের পাশে বোসতে মানা করা হয়েছে না খুন করতে বলা হয়েছে, কি বলা হয়েছে ??? যদি খুন করতে না বলা হয় তাহোলে কি কারনে তর্ক করছেন ???

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

যাযাবরমন বলেছেন: সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) আল্লাহর নির্দেশ- "সবর করুন" এবং আল্লাহর পরামর্শ "তাদেরকে পরিহার করে চলুন",

সুরা নিসা আয়াত (১৪০) আল্লাহর নির্দেশ- "যখন আল্লাহ তা’আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়।"
আল্লাহর পরামর্শ- "তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।"

সূরা তাওবা: (৭৩)‘হে নবী! কাফির ও মুনাফিক উভয়ের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে জিহাদ করুন এবং তাদের সম্পর্কে কঠোর নীতি অবলম্বন করুন। অনন্তর শেষ পর্যন্ত তাদের পরিণতি হচ্ছে জাহান্নাম, আর তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান।’

কেউ যদি বলে ২ + ২=৫, পারলে আমাকে বুঝাও যে কেমনে ৪ হয়। তাহলে তো কিছু করার নেই।

যে যেভাষা বোঝে তার সাথে সে ভাষাতেই পূর্ণ শক্তিতে জিহাদ ও কঠোর নীতি অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
-------- আপনি কোরআন না মানতে পারেন, সে অধিকার আপনার আছে। আপনি আপনার মত থাকবেন, আমরা আমাদের মত থাকবো, এটাই আমাদের ধর্ম। কিন্তু নিজের ইচ্ছা মত কোরআনের অর্থ করতে পারেন না। কারন কোরআনের অর্থ করতে হলে শুধু শব্দার্থ করলেই হয় না, আয়াতের প্রেক্ষপটও জানতে হয়। নিজের ইচ্ছা মত কোরআনের অর্থ করা কোরআনকে বিদ্রুপ করার সামিল। আর সুরা নিসা আয়াত (১৪০) -তে বলা হয়েছে " তাদের সাথে বসলে তুমিও তাদের মধ্যে সামিল বা মুনাফেক বলে গন্য হবে। সূরা তাওবা: (৭৩) এবং আরও অনেক আয়াতে "কাফির ও মুনাফিক উভয়ের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে জিহাদ করতে বলা হয়েছে"। -----এখন আমি আপনাকে এত বার করে আয়াত ২ টার অর্থ বললাম, আপনি বারবার আয়াতের কিছু শব্দ বাদ দিয়ে আর্থ করছেন। তার পরও আমি আপনাকে আরও ভাল ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। যুক্তি ও উদাহরন দেখে আপনি যদি না মানেন, তাহলে কোরআনের নির্দেশ হচ্ছে আপনার বিদ্রুপ থামাতে যতদুর কঠোর হতে হয় ততো কঠোর হতে হবে।
কারন আজকে আপনি বিদ্রুপ করবেন, কালকে মজা করে মসজিদে তালা দিবেন। পরশু দেখা যাবে আমার সাথের লোকরাও মজা করতে আপনার সাথে নেমে পরেছে।
যেমন: সুযোগ পেলেই অধিকাংশ মানুষ ফাও খায়/চুরি করে; খুব কম মানুষ অধিকারের বেশি নায় না বা আরেকজনের জিনিষ ফেরত দিয়ে আসে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি কি কোরানের আয়াত নিয়া ফাইজলামি কোরছেন ? নিচে কয়েক জনের অনুবাদ দেওয়া হোল

সুরা মোজ্জামেল আয়াত ১০
Sahih International
And be patient over what they say and avoid them with gracious avoidance.

Muhsin Khan
And be patient (O Muhammad SAW) with what they say, and keep away from them in a good way.

Yusuf Ali
And have patience with what they say, and leave them with noble (dignity).

Dr. Ghali
And (endure) patiently what they (The disbelievers) say, and forsake them with a becoming forsaking.
সুরা নিসা আয়াত ১৪০

Sahih International
And it has already come down to you in the Book that when you hear the verses of Allah [recited], they are denied [by them] and ridiculed; so do not sit with them until they enter into another conversation. Indeed, you would then be like them. Indeed Allah will gather the hypocrites and disbelievers in Hell all together -

Muhsin Khan
And it has already been revealed to you in the Book (this Quran) that when you hear the Verses of Allah being denied and mocked at, then sit not with them, until they engage in a talk other than that; (but if you stayed with them) certainly in that case you would be like them. Surely, Allah will collect the hypocrites and disbelievers all together in Hell,

Yusuf Ali
Already has He sent you Word in the Book, that when ye hear the signs of Allah held in defiance and ridicule, ye are not to sit with them unless they turn to a different theme: if ye did, ye would be like them. For Allah will collect the hypocrites and those who defy faith - all in Hell:-

Dr. Ghali
And He has already been sending down upon you in the Book that, "When you hear the signs of Allah being disbelieved and mocked at, then do not sit with them until they wade into (i.e., take up "a subject") (some) other discourse; surely (in that case) you are like them. Surely Allah will be gathering the hypocrites and the disbelievers altogether in Hell,

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার মতে আপনার ব্যাখা আমি মানছি না তাই আমি বিদ্রপকারি তাহোলে তো আপনি মহা বিদ্রুপকারি কারন আমি আপনাকে এত বার বোঝানোর পর ও আপনি বুঝছেন না। তাই কোরানের উপদেশ হোল আপনাকে দুরে রাখা আর যদি আপনি যুদ্ধ বিদ্রোহ স্বরযন্ত্র শুরু করেন তখন সুরা তোওবা আয়াত ৭৩ অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া । সুরা তোওবা আয়াত ৭৩ এর প্রেক্ষাপট যে যুদ্ধকালিন পরিস্থিতি সেটা যখন না বুঝেন বা বোঝানোর পরে না বুঝেন তাহোলে আপনার সংগা অনুযায়ি আপনি কত বড় বিদ্রুপকারি সেটা তো বোঝা যায়। ঠিক কথা বিদ্রুপ কারি যদি যুদ্ধ ঘোষনা বা যুদ্ধে লিপ্ত হ্য় বা যুদ্ধের মদত দেয় তখন কঠোর জেহাদ করতে হবে। সেটাও তো আপনি বোঝেন না । আমার পোষ্টিং এ তো আমি বিদ্রুপকারিকে কি ভাবে থামাতে হ্য় তার আলোচনা করেছি এবং গোপালের কাহিণী বলেছি সেগুলা আবার পড়েন কারন আপনি ঐগুলো কিছুই বোঝেন নি।খৃষ্টানরা কি কৌশলে বিদ্রুপ বন্ধ করেছে তার উদাহরন দিয়েছি। আমি বলছি হত্যা করে বিদ্রুপ বন্ধ করা যাবে না কারন তারা যখন নিজের সমস্ত পরিচয় গোপন করে গালিগালাজ শুরু করবে তখন কিছুই করতে পারবেন না । আমি ঐ কাহিণীর অংশ আবার দিচ্ছি ----বেশ কয়েক বৎসর আগে আমেরিকার এক শহরে একটা প্রদর্শনিতে একটা বোতলের মধ্যে হলুদ তরল পদার্থের ভিতর যিশু খৃস্টের মুর্তি প্রদর্শন করা হয়। যখন জানাজানি হয় ঐ হলুদ তরল বস্তুটি ছিল মানুষের মূত্র তখন কর্তিপক্ষ বা কোন সংবাদ মাধ্যম বেপারটা পুরো চেপে যায়। যার ফলে ব্যপারটা অঙ্কুরে শেষ হয়ে যায়। যদি এটা নি্যে তারা হট্টগোল করতো তাহোলে গোপালের মতই অবস্থা হোত।তাদের ধর্মকে অন্য কেউ অবমাননা করতো এবং তারা খুন খারাপি করতো যেটা এখন বিকৃত মৌলবাদি ইসলামিরা করছে। তাদের ধর্ম গ্রন্থে এই বিষয়ে কোন নির্দেশ না থাকলে ও নিজের ওজান্তে তারা কোরানের উপদেশ অনুসরন করেছে।সব চেয়ে বড় অস্ত্র যা কোরানে বলা আছে এবং বাস্তবে অন্য ধর্মিরা প্রয়োগ করে সুফল পেয়েছে সেটা প্রয়োগ করে ।এই কৌশল প্রয়োগ করে খৃস্টানরা হাতে নাতে সুফল পেয়েছে এবং কোরানেও বলা আছে। কৌশলটা হোল পাত্তা না দেওয়া, ইগনোর করা, চুপচাপ থাকা কোন প্রতিক্রীয়া না দেখানো। যে নাড়া দিতে চা্য় সে যখন দেখে কোন ভাবে ফিডব্যাক আসছে না তখন আপনা আপনি নাড়া দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। মৌলবাদিরা তার উল্টোটা করে তাই নাড়া দেওয়া পক্ষ আরো উৎসাহ পায় এবং চলতে থাকে অথচ সুরা মোজ্জামেল আয়াত ১০ এবং সুরা নিসার আয়াত ১৪০ সুস্পস্ঠভাবে ইগনোর করার উপদেশ দেওয়া আছে। প্রকৃত ধার্মিক কোরনের উপদেশ মেনে চলে খুন করে না।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

বাঘ মামা বলেছেন: সুরা আল ইমরান এর সাত নাম্বার আয়াতের আল্লাহ বলেছেন- তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত আছে সুস্পষ্ট ,সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ।আর অন্য গুলো রুপক।সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে,তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তার মধ্যে রুপক গুলোর। আর সে গুলোর ব্যখ্যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানেনা......................।


তাই বলবো কোরাআনের আয়াত ব্যবহার ব্যখ্যায় সতর্ক হোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.