নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুর্নীতি করাপশন দুর্নীতি চক্র বা সিন্ডিকেট -- এগুলো অবিনাশী। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সব সরকারের আমলে ছোট বড় বহু চক্র জন্ম নেয় যারা বিভিন্ন ভাবে দেশের সম্পদ লুন্ঠণ করে এরা অপ্রতিরধ্য । এখোন একটা প্রশ্ন কাদের সময়ে লুটতরাজ বেশি হয়েচ্ছে ? আওয়ামী বা বিএনপি আমলের দুর্নীতি্র পার্থক্য কোথায় ? কাদের মাত্রা লাগামহীন বেশি। সব সরকারের সময়ে গড়ে উঠা চক্রগুলোর শোষন ক্ষমতা কেমন বা এদের প্রতিহত করা কতটুকু সম্ভব । গত বিএনপি সরকারের সময়ের এই সব চক্র গুলো একটা মস্ত বড় ছাতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল । সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত ছোট বড় সিন্ডিকেটর সংগ্রহ সহ সব কিছু মনিটর হোত একটা মস্ত বড় ছাতা দ্বারা যার নাম হাওয়া ভবন যার কর্ণধার ছিল তারেক জিয়া । এই হাওয়া ভবনের কাজ ছিল এই সমস্ত চক্র বা মন্ত্রী পরিষদ থেকে ফুটপাত সর্ব পর্যায়ের দুর্নীতি থেকে কমিশন আদায় এবং প্রটেকশন দেওয়া। লুটপাট কারিরা ছিল ধরা ছোয়ার বাহিরে কারন লুটপাটের বড় অংশ পেত হাওয়া ভবন । চক্র গুলো দুর্নীতি চাদা বাজী যাই করতো না কেন হাওয়া ভবনের কল্যাণে বহাল তবিয়তে ছিল।
বর্তমান সরকারের সময়ে ঐসমস্ত চক্র অন্য ফরমেটে এসেছে কিন্তু মাথার উপর ছাতার মত হাওয়া ভবন মার্কা কোন সিন্ডিকেট নাই যার কারনে আবুলের মত লোকরা ধরা খায়, ডিসটিনি বা হল মার্করা ধরা খায়। বিএনপি আমল হোলে হাওয়া ভবনকে বখরা দিয়ে সবাই পার পেয়ে যেত। সুতরাং বর্তমান সরকারের সময়ে স্ট্রেটেজিক কারনে বিগত সরকারের সময়ের মত পুকুর চুরি দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। হাওয়া ভবন যে মেকানিজমে সমস্ত চক্রের সংগ্রহ থেকে সংগ্রহ করতো এবং প্রটেকশন দিত সেই রকমের ম্যাকানিজম এখন না থাকায় দুর্নীতির মাত্রা গত আমলের চেয়ে অনেক কম।
একজন বাংলাদেশের বড় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের দুই আমলের চাঁদা বাজির বিশ্লেষন হোল- আওয়ামী লীগ আমলে কোন প্রজেক্টে ঐ এলাকার বড় নেতা বা এম পি বা গড ফাদার কে ৫ লক্ষ দিলে নিশ্চিতে থাকা যেত কারন সে অন্য সমস্ত গ্রুপ গুলোকে সামাল দিয়ে রাখত কিন্তু বিএনপি আমলে তা সম্ভব ছিল না কারন লিডারদের দলের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই সব গ্রুপকে চাদা দিতে হোত যেখানে আওয়ামী লীগ আমলে ৫ লাক্ষে পার পাওয়া যায় বা যেত সেখানে ১০-১৫ লাক্ষের নিচে বিএনপি আমলে রেহাই পাওয়া যেত না। এর অন্তর্নিহীত কারন টা কি ??? এর কারনটা হোল আওয়ামী লীগের গ্রাসরুট বেজ পর্যন্ত সাংঘটনিক অবকাঠামো বিএনপি হোতে অনেক মজবুদ এবং চেন অব কমান্ড বিএনপি থেকে বেশী শক্তিশালী । যার কারনে আওয়ামী নেতার কাছে ৫ লক্ষ দিয়ে যত সহজে পার পাওয়া যায় বিএনপি একাধিক নেতাকে ১৫ লক্ষ দিয়েও রেহাই পাওয়া যায় না। তারা এই চাদা বাজির কমিশন হাওয়া ভবনকে দেয় তাই তারা অপ্রতিরধ্য। সুতরাং আওয়ামী লীগের গ্রাসরুট বেজ পর্যন্ত সাংঘঠনিক অবকাঠামো বিএনপির অবকাঠামো অপেক্ষা অনেক মোজবুদ হওয়ার কারনে আওয়ামী আমলের চাদা বাজি বিএনপি আমলের অনেক নিচে এবং আওয়ামী আমলে বড় ছাতার মত হাওয়া ভবন না থাকায় বিএনপি আমলের মত লুটপাট সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.