somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফটোগ্রাফি ও কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা (প্রথম অধ্যায়) :)

০৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কয়েক বছর আগেও ফটোগ্রাফি জিনিসটা একটা ছোট্ট লিমিটেড সার্কেলের মধ্যে বন্দি ছিল। ইদানীং ফটোগ্রাফি সবরকমের শিল্পের মধ্যে খুব সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এর অনেকগুলো কারণ বলে আমি মনে করি। এক, ডিএসএলআর ও যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা। দুই, আগে মানুষের হালুয়া টাইট হয়ে যেত যেসব শিখতে গিয়ে তা ইন্টারনেটে খুব সহজেই শিখে ফেলা। তিন এবং সবচেয়ে বড় কারণ- ফটো তুলে আগে গতি করা যেতো না, খুব কম মানুষের ভাগ্য হতো বা সামর্থ্য থাকতো প্রদর্শনী করার, এখন ফেসবুক/ফ্লিকারে আপলোড করলে নগদ প্রদর্শনী, নগদ ওয়াও!

আমি আজও নিজেকে ফটোগ্রাফার পরিচয় দেবার ধৃষ্টতা দেখাতে ভয় পাই, তবে বিষয়টা নিয়ে বেশ আগ্রহ। আমি যখন ফিল্ম মেকিং নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করছি, তখন সিনেমাটোগ্রাফি শিখতে আমি এইচডিএসএলআর কিনি এবং এইচডিএসএলআর সিনেমাটোগ্রাফির উপর বেশ কিছু কোর্স করি। যদিও আগে থেকেই ছবি তুলতে পছন্দ করতাম, কিন্তু এবার ছবি তোলা বিষয়টা ভালোবেসে ফেললাম। আর সাচ্চা ডাইরেকশন বা সিনেমাটোগ্রাফি করতে এর কোনও বিকল্প ছিলোনা। কারণ অধিকাংশ বাংলাদেশে সিনেমাটোগ্রাফারের ফটোগ্রাফি সেন্সের অভাবের কারণে আমাদের টিভি/সিনেমাতে আমরা গু-মুত কোয়ালিটির প্রোডাকশন দেখি। তাই আমি একজন “ঘটনাচক্রে ফটোগ্রাফার”। নিজে ফটোগ্রাফার না হওয়ায় যারা পাক্কা ফটোগ্রাফার তাদের অনেক ভুল আমার চোখে ধরা পরে। এ ছাড়া ইন্টারনেটের কিছু আর্টিকেল থেকে ইনফো নিয়ে আমি এই আর্টিকেলটা লিখলাম।
সাধারণত মানুষজনের ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু ভুল ধারনা আছে। ফটোগ্রাফারেরও অনেক ভুল ধারনা আছে। নিচে আমি সেগুলো নিয়ে একটু গুঁতাগুঁতি করছি।

ফটোগ্রাফার নিয়ে আমজনতার ভুল ধারনা:

১। ফটোগ্রাফার মানেই মাগনা: এই ধারনা হবার মূল কারণ দেশে কাউয়ার চেয়ে কবি বেশি ছিল, এখন সব কবির মাথার চুলের চেয়ে বেশি ফটোগ্রাফার। অনেকেই ছবি তোলার সুযোগ পেলে হাত পাকানোর লোভে দৌড়ে আসে, সেটা খুবই ভালো। তবে এটা দেখে অনেকেই মনে করেন যে অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফারও তাইলে মাগনা পাওয়া যায়। কষ্টার্জিত মেধা বা জ্ঞান বাদ দেই, যেই ব্যক্তি অনেক কষ্ট করে ক্যামেরা ও ইকুইপমেন্ট কিনেছেন, তার সমস্ত যন্ত্রপাতির ৫০ ভাগের এক ভাগ দাম উনি ভাড়া হিসেবে চার্জ করলে কতটা অযৌক্তিক? ২০টাকার আলু কিনে পাতি তে নিয়ে বসলে এক ঘণ্টায় ৫টাকা লাভ করা যদি পেশা হয়, তবে ২ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করে আপনার ছবি তুলতে কেন আপনি ১০০০০টাকা খরচ করতে চাইবেন না? বড়লোকের মাম্মিড্যাডি ফটোগ্রাফার না, প্রফেশনাল প্রতিটি ফটোগ্রাফার এর ইকুইপমেন্ট কিনার গল্পটা শুনে দেখুন, সেন্টু না খেয়ে পারবেন না।

২। ভালো ফটোগ্রাফার মানে ভালো ক্যামেরা: কার লেন্স কোন সিরিজের, কার ক্যামেরায় বিরাট ব্যাটারি গ্রীপ, কার ক্যামেরার বডি কি, এসব দিয়ে কি আসে যায় যদি ক্যামেরার ভিউফাইন্ডারের পিছনের চোখটা হয় অন্ধ, আর চোখের পিছনের মগজটা হয় বলদের? ভালো গিয়ার অবশ্যই কাজের, একজন ফটোগ্রাফারের ক্ষমতা বাড়ায়, কিন্তু ভুলবেন না লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কোন কালি দিয়ে ছবি এঁকেছিলেন ওইটাকে কেউ বেইল দেয়নি।

৩। ওয়েডিং ফটোগ্রাফি-তো আঁক্কাছ-কুদ্দুছ ও পারেঃ অনেকেই ভেবে থাকেন ওয়েডিং ফটোগ্রাফি মানে সেজে-গুজে পোজ দিলেই ভালো ছবি উঠে যায়। আপনার ছবিগুলো সুন্দর চাইলে খালি আপনাদের খোমা সুন্দর হলেই হবেনা, ফটোগ্রাফারেরও এলেম থাকতে হয়। যদি এলিজাবেথ টেলর এর মত বারবার বিয়ে না করে একবার/দু’বার বিয়ে করার নিয়ত থাকে, তবে এই ৪টা দিনের চমৎকার স্মৃতি সারাজীবন ধরে রাখতে আলাদা বাজেট রাখুন। রোস্ট রেজালা একবার খেয়ে মানুষ চলে যাবে, ছবিগুলো আজীবন দেখবেন। যদি না জেনে থাকেন তাই বলছি, বিদেশে ৩ মাসের কোর্স আছে ওয়েডিং ফটোগ্রাফির উপর। অত্যন্ত সুখের বিষয় যে দেশেও শুরু হয়েছে, সেদিন দেখলাম ফেসবুকে।

৪। কোপাছামছু ছবি? নিশ্চয়ই ফটোশপ: চমৎকার একটি চোখ ধাঁধানো ছবি দেখলেই ভাববেন না ফটোশপে কেরামতি করা। একজন ভালো ফটোগ্রাফার সবসময়ই টার্গেট থাকে “ইন ক্যামেরা” ছবি তুলার। ডিজিটাল যুগ আসার আগেই হাজার হাজার ফটোগ্রাফি ট্রিক ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। আর এই ডিজিটাল যুগে মানুষ আরও মজার এক্সপেরিমেন্ট করছে, কারণ এক্সপেরিমেন্টের ফলাফল জানতে ডার্করুম যাওয়া লাগছেনা, এলসিডি’তেই দেখা যাচ্ছে।

৫। আরও সস্তা ফটোগ্রাফার আছে মার্কেটে: অবশ্যই আছে। কম্পিটিশনের যুগে অনেক সস্তায় অনেক ভালো ছবি তুলে দেবে এমন মানুষ আছে। কিন্তু এটা ভুলবেন না, যে মানুষটা অনেকদিন ছবি তুলছে তার ভুল হবার সম্ভাবনা কম, আর সস্তার তিন অবস্থা। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে একই, গ্যাঞ্জামটা গভীরে।


ফটোগ্রাফদের ভুল ধারনাঃ

১। অপব্যবহার- শ্যালো ডেপথ অফ ফিল্ডঃ শ্যালো ডেপথ অফ ফিল্ড, সহজে বললে ছবির ফোকাস করা অংশ বাদে বাকিটা ঘোলাটে করে দেয়া অত্যন্ত সুন্দর একটি কাজ। পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরা থেকে ডিএসএলআর এ আপগ্রেড হলে প্রথম পার্থক্যটাই সেটা। তাই অনেকে মনের আনন্দে মিস-ইউজ করা শুরু করে দেন। লেন্সের সর্বোচ্চ এ্যাপারচার থেকে নামতেই চান না। কারণ নামলেই ডিএসএলআর’এর মজা শেষ। কোন ছবিতে কতটা এ্যাপারচার রাখা উচিত তা শিখতে নীলক্ষেতের গাইডবই লাগেনা। ফ্লিকার ব্রাউজ করুন, ঘাগু ফটোগ্রাফারদের কাজকারবার দেখুন, নিজেই বুঝবেন।

২। অপব্যবহার- সাদা কালো এবং মনোক্রোমঃ সব সাদাকালোই মনোক্রোম কিন্তু সব মনোক্রোম সাদাকালো নয়। একটি রঙের বিভিন্ন শেড দিয়ে ফুটিয়ে তোলা ছবি কে মনোক্রোম বলা হয়। মনোক্রোম ছবি রঙ্গিন ছবি থেকে সাধারণত বেশি নাটকীয় হয়। টেকনিক্যাল কারণটা বলা যায়- রঙ্গিন ছবিতে রঙের উপস্থিতি রেখা বা লাইনের থেকে মনোযোগটা সরিয়ে দ্যায়। অতঃপর সাদাকালোতে ড্রামাটিক দেখায় সবকিছুই। তাই উঠতি ফটোগ্রাফাররা এই টেকনিকটা দিয়ে হাবিজাবি ছবি পার করে দেবার প্রচেষ্টা চালান। একটা ছবি সাদাকালো ছবি তুলবেন কেন, নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে উত্তর দিয়ে উত্তরটা পছন্দ হলে তারপর ছবিটা তুলন। যদি সাদাকালো ছবি তোলার যুক্তি সবসময়ই খুঁজে পেলে আপনাকে অনেক দূরে গিয়ে মুড়ি খেতে আহ্বান জানানো ছাড়া কিছু বলার নাই।

৩। অপব্যবহার- ফটোশপ: ফেসবুকে একজনের চমৎকার স্ট্যাটাস দেখেছিলাম। ফটোশপ দিয়ে কবিতা লেখা গেলে দেশে ফটোগ্রাফার নয়, কবির সংখ্যা বেশি হতো। আমার ধারনা ফটোগ্রাফার হয়ে ফটোশপ ব্যবহার করা জায়েজ শুধুমাত্র যদি আপনার ছবিটা ৯৫% নিখুঁত, বাকি ৫% না শুধরালেই নয়। ফিল্ম আমলের ডার্করুম বর্তমান এডবি লাইটরুম। লাইটরুমে বিভিন্ন পেরিমিটার নাড়াচাড়া করে ছবিকে আর উপভোগ্য করা যায়। কিন্তু একটি যা’তা ছবি তুলে কেরামতি করে আপলোড করাটা ক্রিয়েটিভিটি নয়, অটিস্টিক বলা যেতে পারে। আপনার ফটোগ্রাফিতে যদি একটা ছবির পিছে বিনিয়োগ করা চিন্তাভাবনার ৫% এর বেশি পোস্ট-প্রোডাকশন নিয়ে হয়, তবে আপনার যত ফ্যান-ওয়ালা “কুদ্দুছ ফটোগ্রাফি” পেজই থাকুক না কেন, আপনি ফটোগ্রাফার নন। তবে আমি অনেক পাঙ্খা গ্রাফিক ডিজাইনারদের চিনি, যারা ক্যামেরা হাতে নিয়ে ছবি তুলছেন তাদের গ্রাফিক প্রজেক্ট চিন্তা করে। তারা ৫% এরও কম সময় ব্যয় করেন ছবি তুলতে, ৯৫%ভাগ প্রজেক্ট প্ল্যানিং আর পোস্ট-প্রোডাকশন নিয়ে। সেটা অন্য পেশা। তারা নিজেদের ফটোগ্রাফার দাবি করেন না। করলে তাদেরকেও দূরে গিয়ে মুড়ি খাবার আহ্বান জানাতাম।

৪। অপব্যবহার- গামছা(!)ঃ অন লোকেশন ফটোগ্রাফি করতে গামছা অনেক মহৎ জিনিস। ঘাম মুছা, লেন্স মুছা থেকে শুরু করে লেন্সে পেঁচিয়ে শিশির থেকে রক্ষা করার মত মহান কাজ করা যায় গামছা দিয়ে। তবে অনেকের ধারনা গামছা গলায় না ঝুললে ফটোগ্রাফার হওয়া যায়না, তারাই কিছুদিন আগে ভাবতেন আজিজ সুপার মার্কেটে দাঁড়িয়ে বাকিতে চা খেতে খেতে পিকাসোর ছবির সমালোচনা না করলে বোদ্ধা হওয়া যায়না। গামছা গলায় ঝুললে আপনার ক্যামেরা নিজে থেকে ফটাফট কোপা ছামছু ছবি তুলা শুরু করে দিবেনা, বরং শোঅফ ভুগিচুগি ছেড়ে ইউটিউবে দুনিয়ার সেরা ফটোগ্রাফারদের টিউটোরিয়াল ফলো করুন, দেখুন তারা কতো সিম্পল মানুষ।

৫। মানুষের ছবি পজিটিভ ক্রিটিসিজম করা- ইতিবাচক সমালোচনা না বলে পজিটিভ ক্রিটিসিজম বললাম, যেন কথাগুলো সহজে বুঝতে পারেন। মানুষের ছবি যদি কোনও কারণে মন্দ লাগে তবে “তোমাকে দিয়ে হবেনা” টাইপ কথা না বলে কেন মন্দ লাগলো সেটা জানান। কারণ ক্রিটিসিজম শুনলেই বুঝা যায় আপনি কোন ক্লাসের চিড়িয়া। আমি অনেকদিন আগে ফেসবুকে একটা ছবি দেখেছিলাম, একজন নবিশ ফটোগ্রাফার প্যানশট ট্রাই করেছিলো। অনেক বোদ্ধা ফটোগ্রাফার তাকে খুব জ্ঞান দিচ্ছিলেন, কিন্তু কেউ বলছিলেন না তার প্রব্লেমটা কোথায়। এই পয়েন্টটা বলতে গিয়ে আমার ছবি তোলার প্রথম দিনগুলির কথা মনে পড়লো। আমার বিখ্যাত মুরুব্বি ফটোগ্রাফাররা আমার ছবিতে এসে নেতিবাচক কমেন্ট দিতেন। ভবিষ্যৎ ভুল এড়াতে যখন জানতে চাইতাম ছবিটার সমস্যাটা কোথায়, মহামানবেরা প্রশ্নটাকে অপমান করার প্রয়াস ভেবে উত্তর দিতেন না। অনেকটা এই ক্ষোভ থেকে আমরা পরবর্তীতে “স্ন্যাপয” নামে একটা গ্রুপ করেছি, যেখানে কেউ নেই এমন যে কারো সাথে জ্ঞান শেয়ার করতে না চাইবার মত ছোট মনের। যদি মনে করেন কারও ছবি একটু ভালো হতে পারতো, তবে সেই আইডিয়াটা তাকে দিন। বিশ্বাস করুন, সে কৃতজ্ঞ থাকবে, এবং কোনও না কোনও দিক থেকে একদিন আপনি এর প্রতিদান পাবেনই। আই কছম!

৬। মাইওয়ে অর হাইওয়ে:“একটু ডানে হলে ভালো হতো, একটু বামে হলে ভালো হতো” সবার তোলা সব ছবি যদি আপনার মনের মত হয়, তবে সবার সাথে আপনার পার্থক্য থাকলো কোথায়? আপনি নিজেকে ঘাগু ফটোগ্রাফার ভেবে যেরকম কোন একটা কিছু চিন্তা করে একটা ছবি তুলছেন, সেরকমই অন্য আরেকজন অন্য কিছু ভেবেই তুলেছে। এমনও হতে পারে আপনিই বোঝেন নাই। যদি বিশ্বাস করেন “ভুল ছবি” বলে কিছু আছে তবে আপনার নাম এফিডেভিট করে পালটে বকরি রাখুন। কোন ছবি যদি “এর চেয়ে ভালো হতে পারতো” অবস্থা হয়, তার মানে কি ছবিটা ভুল?

৭। গ্রামারের বাইরে যেতে অনীহা: কিতাবে লিখা আছে বলে তাই চোখ বুজে ফলো করতে হবে এটা যদি আপনার ধারনা হয়, তাইলে উপরের লেখা সবকিছু আপনার জন্য নয়। গ্রামার অবশ্যই জানতে হবে, যতটা সম্ভব মানতে হবে। তবে তার মধ্যেই আটকে পরে থাকলে জেনে রাখুন -জীবনে অনেক কিছু মিস করে ফেললেন, দাদা।

৮। অতিপ্রাকৃতিক বিবাহ: টাইটেলটা শুনে বিষম খেলেন? খোলাসা করছি। অনেক ওয়েডিং ফটোগ্রাফ দেখা যায় “ক্রিয়েটিভটি” দেখাতে গিয়ে ভুতের সিনেমার পোস্টার বানিয়ে ফেলেন। গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির উদ্দেশ্য আর বিয়ের ছবি কিন্তু এক না। মাত্রাতিরিক্ত পৈতালি করে বিয়ের ছবিটাকে হালুয়া বানাবেন না। এটা আর্টিস্টিক কাজ নয়, অটিস্টিক।


আমি আগেই বলছি, আমি কিন্তু ফটোগ্রাফার নই। নিজেকে ফটোগ্রাফার দাবি করার মত মেধাবী আমি হতে পারিনি। আমার কথাগুলো একান্তই ব্যক্তিগত মত। এই কথাগুলো বিভিন্ন সময়ে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জনকে বলেছিলাম। আজকে নেট সার্ফিং’র সময় ফটোগ্রাফার বিষয়ক ভুল ধারনা নিয়ে একটা আর্টিকেল পরে আমার মনে হল, আমি মানুষকে খুব ভাব নিয়ে যেরকম জ্ঞান দেই, সেটা লিখে ফেললেই পারি।

আমার এই লেখাটার আরও অনেকগুলো চ্যাপ্টার আসছে। যদি এটা হজম করতে পারেন, তবে বাকিটাও পাবলিশ করব। লেখাগুলো আমার ওয়েবসাইটে http://www.zunayed.com এ পাবলিশ হচ্ছে।

আমার এই আর্টিকেলগুলোতে লেখা সবকিছু একান্তই নিজস্ব মতামত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আকারের ধরা নিজে খেয়ে, অন্যকে খেতে দেখে এইগুলা শিখেছি। ইন্টারনেট থেকেও কিছু তথ্য নেয়া। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে, ম্যান ইজ মর্টাল। যদি কোনও কিছু ভুল থাকে দয়া করে জানাবেন, আমি শুধরে নেবার চেষ্টা করবো। এবং অনুরোধ, ভুল বুঝবেন না, কাউকে গুতানোর জন্য লেখাটা না, জ্ঞ্যানদান করার জন্য ও না, কিছু ভাবনা শেয়ার করার জন্য লিখেছি, তাই ইনফরমাল।


পোস্ট Courtesy:
জুনায়েদ সাব্বির আহমেদ
http://www.zunayed.com
২৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×