somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্যাসের ব্যবহার বনাম অতিব্যবহার

২০ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত ১২ টার সময় ঘুমাইতে গেছি। মাত্র কাধ ঘুরাইছি আর অমনি দেখি ফ্যান বন্ধ হইয়া গেলো। অগত্যা কি আর করা শুয়ে এদিক ওদিক করছি আর অপেক্ষা করছি কখন যে একঘন্টা পার হবে!
এটি এখন আর কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় আমরা প্রতিদিনই এ অবস্থার স্বীকার হচ্ছি। দিনে কতবার ইলেকট্রিসিটি যায় না বলে বরং কতবার আসে সেটা বলা মুশকিল। যথারীতি খবর অমুক জায়গায় অত মেগাওয়াটের প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেছে, গ্যাসের চাপ কম, উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশী ইত্যাদি।
এর মধ্যে আছে আবার স্বজনপ্রীতি! বড়লোকদের এলাকা যেমন গুলশান, বনানী এলাকায় ইলেকট্রিসিটি যায় কম আর অন্যান্য এলাকায় যায় একটু বেশী (কথাটা আমার এক পরিচিত বিদ্যুৎ অফিসের লোকের কাছে শোনা)।
আর আমার এক দুলাভাই যিনি একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে চাকরি করেন উনার কাছে শুনেছি গ্যাসের অভাবে নাকি উনাদের প্ল্যান্টে অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। দেশ যেখানে গ্যাসের উপর ভাসছে সেখানে গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
এও কি সম্ভব?
দেশে যে গ্যাস উৎপাদন হয় তার ব্যবহৃত জায়গা হলো কলকারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বাসাবাড়ীতে রান্নাবান্না ইত্যাদি। ইদানিংকালে আরেক জায়গায় বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে তা হলো সিএনজি স্টেশন। এই সস্তা গ্যাসের সুবাদে প্রায় সারা ঢাকা শহর এখন সিএনজিময়। মোড়ে মোড়ে সিএনজি স্টেশন। প্রাইভেট কার দাম ১ লাখ টাকাই হোক আর ১ কোটি টাকা সবই চলে সিএনজি দিয়ে। সাথে আছে বাস, ট্রাক, মাইক্রো, সিএনজি অটোরিক্সা। রাস্তায় এত লোক, এত গাড়ী। ফলাফল যানজট। দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে থাকা আর গ্যাস পুড়তে থাকা। সারাদিন ২০০ টাকার গ্যাস নিলেই তো চলে যেখানে অকটেন নিলে খরচ পড়ে ১৫০০-২০০০ টাকা। তো ফুর্তি শুরু!!!
আমার মনে হয় আমরা যদি পারতাম তাহলে রিক্সা, মোটরসাইকেল এবং সাইকেলও সিএনজি দিয়ে চালানোর চেষ্টা করতাম! হায় রে সস্তা গ্যাস!
এখন তো মাঝে মাঝে রান্না করার জন্যও গ্যাস পাওয়া যায় না।
আমরা কি তাহলে দেশের মূল্যবান সম্পদ গ্যাস এভাবে অতিব্যবহার/অপব্যবহার করতে থাকবো নাকি একটি সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে গ্যাসের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবো? এ প্রশ্ন রইল আপনাদের কাছে,সরকারের যারা নীতি-নির্ধারক আছেন তাদের কাছেও।
(বি দ্র: সরকার জ্বালানী ঘাটতি মোকাবেলার জন্য কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে)
ট্যাগ: একটি বুদ্ধিজীবিক পোষ্ট!
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×