যে কোন ব্যবসায় মোট খরচগুলিকে ২টি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয় –
• স্থায়ী খরচ
• পরিবর্তনশীল খরচ
মোট বিক্রি থেকে মোট খরচ বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তা্ মুনাফা । মোট বিক্রি যদি মোট খরচ অপেক্ষা কম থাকে তবে যে পরিমান কম থাকে সে পরিমানকে লোকসান বলে ।
প্রত্যেক ব্যবসাতে প্রথম অবস্থায় বিক্রি মোট খরচ মোট অপেক্ষা কম থাকে । যত্ দিন যেতে থাকে , বিক্রি বাড়তে থাকে । এ্ভাবে একদিন আসে যখন বিক্রির টাকায় কোন মতে ব্যবসার মোট খরচ পোষায়ে যায় , কোনো লোকসান ও হয়না আবার লাভ ও হয়না । সে পরিমান মোট বিক্রিকে break-even বলে । (break-even volume/ break-even point)
অর্থ্যাৎ , যে পরিমান মোট বিক্রি উঠলে তা দিয়ে ব্যবসার মোট খরচ সারানো যায় , তবে লাভ লোকসান কিছু হয়না সে পরিমান বিক্রিকে break-even sales বলে ।
বাজেট অনুসারে , এ্ পরিমান বিক্রি উঠতে যে সময়ের প্রয়োজন হয় তাকে break-even period বলে ।
পুঁজি যদি ব্যংক ঋণ থেকে আসে তবে এ্ break-even কালের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে । ব্যাংক তার দেয়া মোট ঋণকে ২ ভাগে ভাগ করে
1. স্থায়ী মূলধন বাবদ ঋণ
2. চলতি মূলধন বাবদ ঋণ
স্থায়ী মূলধন বাবদ রনি একবার দেয়া হয় এবং ব্যবসা চালু হয়ার পর তা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয় । যখন যতটুকু শোধ করা হয় , তা আর ঋণ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মত দেয়া হয়না ।
কিন্তু চলতি মূলধন বাবদ দেয়া ঋণ জন্য একটা পরিমান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় – যা একটি নির্দিষ্ট সময়কালে একবার ফেরত দিলে আবার উঠানো যায় । একে CCL / Cash Credit Limit বলে
break-even point বের করার সহজ পদ্ধতি হলো ঃ
1. প্রথম বছরের মোট উৎপাদন (P)
2. প্রতি এককের বিক্রি মূল্য (s)
3. প্রথম বছরের মোট স্থায়ী খরচ(FC)
4. প্রথম বছরের মোট পরিবর্তনশীল খরচ(VC)
5. মোট (vc) কে মোট (p) দ্বারা ভাগ করতে হবে
6. উপরে ৫ নং এ যা পাওয়া যায় , তাকে প্রতি এককের বিক্রি মূল্য(s)থেকে বিয়োগ করতে হয় , s-(VC/P)=? বের করতে হয় ।
7. এবার ৬ নং যা পাওয়া গেলো তাকে মোট FC দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যাবে তা্ break-even point হবে
8. এবার ঐকিক নিয়মে –হিসাব করে এ পরিমান বিক্রির জন্য কতকাল(মাস) লাগবে তা হিসাব করলে break-even period পাওয়া যাবে
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক দিতে ভূলবেন না আশা করি