গত বছর আগস্টে এশিয়া এনার্জির উদ্যোগে জার্মানিতে কয়লাখনি দেখাতে একদল সাংবাদিককে ভ্রমণ করানো হয়। তারা আসেন জার্মানির কোলনে। সফররত সাংবাদিকদের মধ্যে দৈনিক আমার দেশের চিফ রিপোর্টার সৈয়দ আবদাল আহমেদ ও নয়া দিগন্তের চিফ রিপোর্টার মাসুমুর রহমান খলিলী (বর্তমানে বার্তা সম্পাদক) পূর্বপরিচিত। সেই সূত্রেই জার্মানিতে উচ্চশিক্ষারত বাংলাদেশী ছাত্রদের বর্তমান অবস্থা, শিক্ষা, চাকরিসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগুলো সম্পর্কে তাদের সাথে আলোচনা হয়। পরে পত্রিকা দু’টিতে এ বিষয়ে দু’টি রিপোর্টও করা হয়। এখানে আরো কিছু তথ্য ও অভিজ্ঞতা লেখার আশা রাখি।
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত মানসম্পন্ন শিক্ষা, গবেষণা, অগণিত আবিষ্কার, ভারী যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী আর দু-দু’টি বিশ্বযুদ্ধের দেশ জার্মানি যে একটি আলোচিত দেশ, তা বলাই বাহুল্য। গবেষণা আর উন্নতির চরম শিখরে আরোহণের পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থাও যে বিশ্বমানের ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কবি রবীন্দ্রনাথ নাকি বিংশ শতকের শুরুতে জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থার উঁচু মান দেখে আক্ষেপ করে বলেছিলেন ‘আমার ডিগ্রিটা যদি জার্মানি থেকে হতো’। রবীন্দ্রনাথের আক্ষেপ যে খুব একটা বাড়াবাড়ি ছিল না, তা বোঝা যায় গোটিংগেন (Goettingen) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গেলে। গণিত বিদ্যায় উচ্চশিক্ষার এক সময়ের তীর্থস্থান ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই চল্লিশের অধিক বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। সেই রাম আর অযোধ্যা হয়তো এখন আর নেই। দু’টি সর্বগ্রাসী বিশ্বযুদ্ধই এর অন্যতম কারণ।
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার প্রায় ৩০০ ইনস্টিটিউশন রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩৬টি অ্যাপ্লাইড বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিউজিক ও ফাইন আর্টবিষয়ক ৪৬টি কলেজ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১২ শতাংশ বিদেশী। বিদেশীদের মধ্যে আবার ৯ শতাংশই পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা জার্মানিতে শেষ করেছেন। গত ১৫ বছরে জার্মানিতে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে।
জার্মানিতে মূলত তিন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আছে। প্রথমত, অ্যাপ্লায়েড বিশ্ববিদ্যালয় (Applied Science University)। যেখানে ছাত্রদের মূলত চাকরি অরিয়েন্টেড (Job Oriented) বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়। গবেষণামূলক কাজ এখানে হয় না বললেই চলে। দ্বিতীয়ত, টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Technical university), যেখানে প্রকৌশলসহ বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলো পড়ানো হয়। সাথে সাথে রয়েছে ব্যাপক গবেষণামূলক প্রকল্প। তৃতীয় ভাগে আছে নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলো মূলত ইউনি (UNI) হিসেবে পরিচিত। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্যসহ সব অনুষদই পড়ানো হয়। আকারে ইউনিগুলো বড় হয়ে থাকে।
অনেক ইংলিশ ভাষাভাষী দেশে ছাত্রবৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে (Self Finance) পিএইচডি করার সুযোগ থাকলেও জার্মানিসহ অনেক ইউরোপীয় দেশ এই নিয়মের ব্যতিক্রম। এখানে পিএইচডি পর্যায়ের সব ছাত্রই প্রায় চাকরির সমপরিমাণ বৃত্তি বা বেতন পেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব সুযোগ বিজ্ঞান বা প্রকৌশল বিষয়ের ছাত্রদের জন্যই বেশি।
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিষয় নির্ধারণের ব্যাপারে আপনাকে বুদ্ধিমান হতে হবে। সব বিষয়ে (Subject) ফান্ড পর্যাপ্ত নয়। বাংলাদেশ থেকে একজন ছাত্র যা ব্যবহারিক জ্ঞান নিয়ে আসে, তা জার্মানির মতো হাইটেক দেশের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের নতুন জিনিস জানা এবং শেখার স্পৃহা থাকতে হবে। ভালো বিষয়, ভালো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রবৃত্তির জন্য যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে ইন্টানেটে সার্চ করা এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। বুদ্ধিজীবী নামের কলঙ্ক, পার্শ্ববর্তী দেশের অর্থে পরিচালিত গণমাধ্যম আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে যখন ব্যর্থ রাষ্ট্র (Dysfunctional State) প্রমাণের জন্য আদাজল খেয়ে নেমেছে। তখন হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে একটি হাইটেক দেশে আমাদের দেশের অজপাড়াগাঁয়ের ছেলেরাই তাদের মেধার যথেষ্ট স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বিগত বছরগুলোতে যেসব ছাত্র উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছে তার প্রায় ৯৫ শতাংশ ছাত্রই সফলভাবে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করে চাকরি, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরেট গবেষণা বা বিভিন্ন গবেষণা কাজে নিয়োজিত আছেন। মজার ব্যাপার হলো সংখ্যায় কম হলেও বাংলাদেশী ছাত্ররা পার্শ্ববর্তী ভারত বা পাকিস্তানের ছাত্রদের তুলনায় বেশিগুণ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে।
বর্তমানে প্রায় অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্স চালু আছে। ধীরে ধীরে সব বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয়ে ইংরেজি মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাস্টার্স কোর্স চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রদের দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনে ব্যবহারিক জার্মান ভাষা শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কোর্সগুলোতে জার্মান ভাষার কোর্স বিনামূল্যে শেখানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খণ্ডকালীন ছাত্র চাকরি বা পিএইচডি গবেষণার জন্য জার্মান ভাষা তেমন একটা জরুরি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্টটাইম কাজের জন্য জার্মান ভাষা জানা জরুরি।
চাকরির ক্ষেত্রে জার্মান ভাষা জানা থাকলে বাড়তি সুবিধা এবং চাকরি পাওয়া সহজ হয়। জার্মানিতে অবস্থিত বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে জার্মান ভাষা জানা জরুরি নয়। এ ব্যাপারে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইনফিনিয়ান টেকনোলজি (Infineon Technology)-এর সহযোগী কোম্পানিতে সস্ত্রীক চাকরিরত ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘জার্মানি ভাষা জানা থাকলে এখানে চাকরির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের ছাত্ররা জার্মানি এবং এর শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানে না। এখানে টিউশন ফি ছাড়া পড়াশোনা করা যায়, উপরন্তু স্কলারশিপের সুযোগও প্রচুর। আমার স্ত্রী জার্মানিতে এসে সিমেন্স কোম্পানির স্কলারশিপ অর্জন করে। এখানের সুযোগগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশী ছাত্রদের আরো বেশি জানা দরকার এবং মিডিয়াতে আসা দরকার।
জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা হলো ইইউ ভিসা (EU Visa)। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যেকোনো একটি দেশের ভিসা থাকলে আপনি সেই ভিসা ব্যবহার করে যেতে পারবেন অন্যান্য দেশেও। এ ক্ষেত্রে চাকরি, গবেষণা বা ভ্রমণের জন্য ইইউভুক্ত দেশগুলোকে এক দেশ হিসেবে ভাবতে পারেন।
একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতি মাসে ৮৬ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পায়। ৫০-৬০ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ পেলেই মোটামুটি খরচ চালানো যায়। এ ছাড়া ছয় মাস অর্ধদিবস বা তিন মাস পূর্ণদিবস কাজের অনুমতি ছাত্র ভিসাতে দেয়া হয়। কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা (যেমন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ওয়েবপেজ ডিজাইন বা অন্যান্য) থাকলে খণ্ডকালীন ছাত্র চাকরি বা পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি পেতে যথেষ্ট সহায়ক হয়।
এখানে একটা অভিজ্ঞতার কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশের ছাত্ররা ইন্টারনেটে সময় দিয়ে ধৈর্যের সাথে সার্চ করতে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। আপনাকে বুঝতে হবে, ইন্টারনেটই আপনার সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী। কোনো মিডিয়া সেন্টার নয়, সরাসরি আপনি নিজেই চেষ্টা করুন ভর্তির জন্য। প্রথমে সব ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটগুলোর তালিকা করুন, বিশেষ করে ইংলিশ ভার্সনগুলোর। এ ক্ষেত্রে -google.com-এর সাহায্য নিন। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ধৈর্য সহকারে সার্চ করুন। যত বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে apply করবেন, আপনার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যাবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর জন্য তো আর অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে না। একই document শুধু কপি করে দিলেই হলো। ভারতীয় এক ছাত্রের প্রচেষ্টার কথা বলি, যিনি জার্মানির সব বিশ্ববিদ্যালয়ে apply করে চান্স পেয়েছেন একটিতে। তার মেহনত সত্যিই অনুকরণীয়।
জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য আসতে পারেন কয়েকভাবে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কেউ চাইলে তাকে জার্মান ভাষা কোর্সে ভর্তি হতে হবে। খুব কমসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে ইংলিশ ভাষায় কোর্স চালু আছে। প্রথম চেষ্টা করতে পারেন ইংলিশ ভাষায় পড়ানো হয় এমন কোনো subject-এ ভর্তি হতে। তা না পেলে দু’ভাবে ব্যাচেলর কোর্সে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। প্রথমত, বাংলাদেশে জার্মান ভাষার কিছু প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য apply করুন। ভর্তি হতে পারলে এখানে এসে মূল কোর্স শুরুর আগে ছয় থেকে এক বছরের মধ্যে জার্মান ভাষার বাকি কোর্স করে ফেলুন। অন্যভাবেও আসা যায়, আপনি সরাসরি বাংলাদেশ থেকে জার্মানির যেকোনো ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে apply করুন। ভর্তি হতে পারলে ভাষা শিক্ষার জন্য ভিসা পাবেন। এখানে এসে ভাষা শিক্ষা সমাপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার পছন্দের subject-এ ভর্তি হতে পারেন। তবে এই প্রক্রিয়া বেশ costly. মাস্টার্সে ভর্তির জন্য প্রথমে ডাড (daad.de)-এর ওয়েবসাইট থেকে কোনো কোনো ভার্সিটিতে আপনার সাবজেক্ট আছে তার তালিকা তৈরি করুন। আপনার যোগ্যতা (যেমন রেজাল্ট, TOEFL/IELTS ইত্যাদি) পুরোপুরি খাপ না খেলেও নির্দ্বিধায় apply করুন।
পিএইচডি’র জন্য সরাসরি apply করতে পারেন। ভার্সিটির ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাবজেক্ট সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টির ইনস্টিটিউটগুলোর তালিকা তৈরি করুন। ইনস্টিটিউট প্রফেসরকে সরাসরি email করুন। জানতে চান পিএইচডি’র সুযোগ আছে কি না। যদিও জার্মান বা ইউরোপীয় মাস্টার্স ডিগ্রি না থাকলে সরাসরি পিএইচডিতে নিতে চান না। প্রফেসর যদি রাজি হন সে ক্ষেত্রে বুঝবেন তার পর্যাপ্ত ফান্ড আছে আপনার জন্য। আরেকটা কথা বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশে অনেকের একটা ভুল ধারণা হচ্ছে, উচ্চশিক্ষা করতে হবে স্কলারশিপ নিয়ে, আর তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। পিএইচডি’র জন্য স্কলারশিপ জরুরি।
আগেই বলেছি, ছাত্রাবস্থায় পার্টটাইম কাজ পাওয়ার জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কাজ জানা থাকা খুবই সহায়ক। এ ক্ষেত্রে দেশেই পরিচিত কারো কাছে অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা ওয়েবপেজ ডিজাইনিং ইত্যাদি কাজের প্রাথমিক ধারণা নিতে পারেন।
জার্মানির উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে তথ্য পাবেন কিভাবে? প্রথম কথা, আপনাকে ইন্টারনেটে লেগে থাকতে হবে। নিয়মিত ইন্টারনেটে বসা, সার্চ করা ও ব্যাপক যোগাযোগ অত্যাবশ্যক। ইন্টারনেটে আপনার পরিচিতি সার্কেল বাড়াতে হবে। জার্মানি ও এর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তথ্য, ছাত্রবৃত্তিসহ অন্যান্য তথ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলোর মধ্যে জার্মান একাডেমিক একচেঞ্জ সার্ভিস (DAAD, http://www.daad.de) গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন সাবজেক্টের তালিকা ও স্কলারশিপের তথ্য পাবেন। স্কলারশিপের জন্য জার্মান সায়েন্স ফাউন্ডেশন (DFG, http://www.dfg.de), জার্মান শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয় (BMBF, http://www.bmbf.de) উল্লেখযোগ্য। এসব সংস্থার ওয়েবসাইটের সংশ্লিষ্ট ইংলিশ সংস্করণে আপনাকে ব্যাপক সার্চ করতে হবে।
বাংলাদেশী ছাত্ররা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (BSA) গড়ে তুলেছে যা নতুন ছাত্রদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। BSA-এর ওয়েবসাইট http://www.bsa-germany.de আপনাকে দেবে যথেষ্ট সহায়তা। এ ছাড়াও bsa-germany yahoo group-এর সদস্য হয়ে ইমেইল করলে আপনি জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রদের কাছ থেকে যথেষ্ট তথ্য আর অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। ঢাকাস্থ জার্মান কালচারাল সেন্টার (http://www.goethe.de/dhaka) জার্মান দূতাবাসের ওয়েবসাইট (http://www.dhaka.diplo.de) পাবেন জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার পর্যাপ্ত তথ্য।
লেখকঃ পিএইচডি গবেষক, জার্মানি
email : [email protected]
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:০০